চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে বড় কোনও সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি মাশরাফি বাহিনী। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়েছে ১৮২ রানে। একমাত্র তামিম ইকবাল ছাড়া আর কেউই অজিদের বোলিং তোপের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন নি।
সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন তামিম নিজেও আউট হয়েছেন ৯৫ রানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে সাকিবের ব্যাট থেকে তাও মাত্র ২৯ রান।
এর আগে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার স্কিপার মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সৌম্যের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১১ বলে মাত্র ৩ রান করেই সাজঘরে ফিরে গেছেন সৌম্য সরকারও। দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাতে পারলেন না সৌম্য।
সৌম্যের পর ফিরে যান ইমরুল কায়েসও। কাভার পয়েন্টে পেট কামিন্সের বলে ক্যাচ দিলেন ইমরুল। আর সহজেই তা তালুবন্দি করলেন অ্যারন ফিঞ্চ। আউট হওয়ার আগে করেছেন মাত্র ৬ রান বল খেলেছেন ১৬টি। ৩৭ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ইমরুল-সৌম্যের পর আম্পায়ারে খড়গের শিকার হয়ে সাজ ঘরে ফিরেন মুশফিকুর রহিম। তার আউটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। ময়েস হেনরিকেসের বলে এল ডব্লিউর ফাঁদে পড়া মুশফিক মূলত ফ্লিক করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন। তবে হটস্পট ও রিয়েল টাইম স্নিকোয় দেখা গেছে প্যাডে লাগার আগে বল ব্যাট স্পর্শ করেছিল।
তবে এদিন জীবন পেয়েও স্কোরটা বড় করে ফিরতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। ট্রেভিস হেডের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজ ঘরে ফিরেছেন ২৯ রানে। বল খেলেছেন ৪৮টি।
একই পথে হেটেছেন সাব্বির-মাহমুদ উল্লাহ। দুজনেই ৮ রান করে সাজ ঘরে ফিরেছেন। এরপর ৯৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তামিমও।তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার মারে। মাশরাফি ও রুবেল হোসেন দুজনেই ডাক মেরেছেন। মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪ রান। আর মুস্তাফিজ ১ রান।
সব মিলিয়ে ৪৪.৩ ওভারে ১৮২ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্ট্রাক আর জাম্পা ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন হেনরিকেস, ট্রেভিস হেড, হ্যাজেলউড, পেট কামিন্স।
বিডি-প্রতিদিন/ ৫ জুন, ২০১৭/ ই জাহান