খেলার সময় যারা নেচে গেয়ে মাঠে উপস্থিত দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেন তাদের বলা হয় চিয়ারলিডার্স।
চিৎকার করে শারীরিক নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তারা খেলোয়াড়সহ সবাইকে উদ্দীপ্ত করারও চেষ্টা করেন। এতে খেলার উত্তেজনাও বৃদ্ধি পায়।
যদিও এই চিয়ারলিডিং এর উৎপত্তি অ্যামেরিকায় তারপরেও, বিশেষ করে ক্রিকেট খেলার মাঠে তাদের বেশি চোখে পড়ে।
টেলিভিশনের পর্দায় তাদের দেখার পর মানুষের মনে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে সাধারণত তারা হন নারী।অনেকেই প্রশ্ন করেন চিয়ারলিডাররা পুরুষ হন না কেন? ইতোমধ্যে চিয়ারিলিডিং একটি স্পোর্টসও বটে।
ব্রাজিলের রিওতে এরকম একটি চিয়ারলিডার গ্রুপে পুরুষরাও খেলার সময় মনোরঞ্জনের চেষ্টা করেন।
ব্রাজিলের চিয়ারলিডিং গ্রুপে পুরুষ সদস্য এরকমই একজন পুরুষ চিয়ারলিডার ২০ বছর বয়সী ডিলান।
তিনি জানান, ব্রাজিলে নারী ও পুরুষ সবাই মিলে চিয়ারলিডারের কাজ করছে। ব্রাজিলে এই কাজটা পুরুষদের দিয়েই শুরু হয়েছিল। ব্রাজিলে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি চিয়ারলিডার টিম আছে যাতে সবাই নারী।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু ছবিতে দেখে মানুষের মনে একটা সাধারণ ধারণা তৈরি হয়েছে যে চিয়ারলিডার হিসেবে শুধু নারীরাই কাজ করেন। এই কাজ করতে গিয়ে শুরুতে তিনি নানা রকমের সামাজিক কুসংস্কারের মধ্যে পড়েছিলেন। এমনকি নিজের বাড়িতেও।
ডিলান বলেন, তিনি যখন তার পরিবারের সদস্যদের জানান যে তিনি এমন একটা কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন তখন সবাই, বিশেষ করে কাজিনরা, তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে শুরু করেন। তারা তাকে বলতে থাকেন যে চিয়ারলিডার হিসেবে কাজ করলে তাকে মেয়েদের মতো দেখাবে এবং তাকে স্কার্ট পরতে হবে। গত বছরই অলিম্পিকে এই চিয়ারলিডিংকে একটি খেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
ডিলান আরও বলেন, চিয়ারলিডিং এর কাজ সবাই করতে পারে না। চিয়ারলিডার হতে হলে শারীরিকভাবে খুবই ফিট থাকতে হয়। আপনার যখন বয়স হয়ে যাবে তখন আপনি এটা করতে পারবেন না।
কিন্তু শখ হিসেবে এই কাজটা চাইলে হয়তো আরও বেশি সময় ধরে চালিয়ে যেতে পারেন, যে রকমটা তিনি ব্রাজিলে অনেককেই করতে দেখেছেন।সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি প্রতিদিন/২৯ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত