স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যু সাক্ষি থাকল রোনালদোর ইতিহাসের। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলের সেঞ্চুরি করলেন সিআর সেভেন। জোড়া গোল এল ক্রিশ্চিয়ানোর পা থেকে। ঘরের মাঠে রিয়াল অনায়াসে হারাল নেইমারের পিএসজিকে।
লা লিগায় রিয়ালের সাম্প্রতিক যাত্রা পথ মসৃণ হয়নি। ঘরের মাঠে বার বার হোঁচট খেতে হয়েছে জিদানদের। যদিও রিয়াল সোসিয়েদারের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল মাদ্রিদ। হ্যাটট্রিক করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলেন রোনালদো। সেই আত্মবিশ্বাসটাই কাজে লাগল পিএসজির বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টারের প্রথম পর্বের খেলায়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের ধারাবাহিকতা নিয়ে সংশয় নেই। শেষ আটবারের সেমিফাইনালিস্ট তারা। একই কথা প্রযোজ্য রোনালদোর ক্ষেত্রেও। লা লিগায় যাই হোক না কেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল করার কমতি নেই পর্তুগীজ তারকার। ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন সিআর সেভেন। যার ফল পেল জিদানের দল।
শুরুতেই পিছিয়ে পড়েও ঘটনাবহুল কোয়ার্টার ফাইনালে নেইমারদের ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করে মাদ্রিদ। ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের সুযোগ তৈরি করে দু’দলই। তবে গোল পেতে ৩৩ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় পিএসজিকে। এমবাপের ক্রস থেকে অরক্ষিত রাবিয়ত গোল করে এগিয়ে দেন পিএসজিকে৷
যদিও প্রথমার্ধেই ম্যাচে সমতা ফেরায় রিয়াল। ৪৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন ক্রিশ্চিয়ানো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি ছিল তার শততম গোল। ৮৩ মিনিটে পিএসজি গোলরক্ষকের দস্তানা ফেরত বল পুনরায় জালে ঠেলে দেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোর স্কোরার রোনালদো। ৮৬ মিনিটে মার্কোর পাস থেকে রিয়ালের হয়ে তৃতীয় গোল করেন মার্সেলো।
পিএসজির বিরুদ্ধে জোড়া গোলের পর চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোনাল্ডোর গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১১। এখনও পর্যন্ত তিনিই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা৷ আগামী ৬ মার্চ প্যারিসে ফিরতি লেগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে দু’দল৷
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর