দাক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার বল টেম্পারিং নিয়ে সমালোচনার ঝড় এখনও থামেনি। বার বারই সামনে আসছে সেই কেলেঙ্কারির কথা। তবে এই কাণ্ডের অন্যতম কুশীলব ক্যামেরন ব্যানক্রফটের পাশে দাঁড়িয়েছেন নবনিযুক্ত অজি হেড কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। দলনায়কের নির্দেশে বল বিকৃত করে ৯ মাস আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়েছেন ব্যানক্রফট। তরুণ অজি ওপেনারের পরিস্থিতি উপলব্ধি করে ল্যাঙ্গারের মত, তার অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার নির্দেশ দিলে তাকেও বল বিকৃত করতে হতো।
মূলত ল্যাঙ্গার বোঝাতে চেয়েছেন, নবাগত কোনো ক্রিকেটারের পক্ষে অধিনায়কের নির্দেশ অমান্য করা দুষ্কর। তাছাড়া ক্যাপ্টেন পাশে থাকলে কোনো ভুল কাজ করতে খুব বেশি দুঃসাহসের প্রয়োজন হয় না।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে অ্যাডিলেডে বর্ডারের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ল্যঙ্গারের। ৪৭ বছর বয়সি প্রাক্তন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান কয়েকদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন।
তবে ব্যানক্রফটের পাশে দাঁড়ালেও ল্যাঙ্গার স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, তার সময়ে অধিনায়ক বর্ডার বা কোচ বব সিম্পসন কখনও কোনো অনৈতিক কাজকে প্রশ্রয় দিতেন না। বরং খেলায় কোনো দুর্নীতি দেখলে কোচ সিম্পসন দলের যেকোনো ক্রিকেটারকে কঠোর শাস্তি দিতেন বলে তার ধারণা।
ল্যাঙ্গার বলেন, ‘যদি অ্যালান বর্ডার আমাকে বল বিকৃত করতে বলতেন, তবে আমাকে তাই করতে হতো। কারণ, আমার সামনে কোনো উপায় থাকত না। তফাৎ হলো এটাই, বর্ডার আমাকে কখনই এমনটা বলেনি। এমন কিছু করলে সিম্পসন আমাকে খুন করে ফেলতেন। অনৈতিক কোনো কাজ করলে বব যেকোনো ক্রিকেটারকে খুন করে ফেলতে পারতেন। ব্যানক্রফটের বিষয়টা তাই সকলের বোঝা উচিত। আমি বিশ্বাস করি না যে দলে ঢুকেই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে ছিল ও। অনেক সময় সিনিয়রদের কথা অমান্য করা সম্ভব হয় না।’
বিডি প্রতিদিন/ ১২ মে ২০১৮/ ওয়াসিফ