পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে বেআইনি বোলিং অ্যাকশনের জন্য আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ। আর এবার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ব্যাটসম্যান রস টেলর নিজেই।
এর আগে, ২০১৪-১৫ মৌসুমে দু'বার শাস্তি পেয়েছেন হাফিজ। তারপর ২০১৭ সালে আরও একবার তাঁর বোলিং অ্যাকশন বেআইনি বলে বিবেচিত হয়। চলতি বছরের এপ্রিলে এই পাকিস্তানি স্পিনারের উপর থেকে নির্বাচনের খাঁড়া সরে যায়। তিনি আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেআইনি অ্যাকশনের জন্য এমনিতেই একাধিকবার অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সামনে পড়তে হয়েছে হাফিজকে। এবার তাই টেলর প্রকাশ্যে তাঁর অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় চাপ আরও বাড়ল। আইসিসির নিয়ম বলছে, কোন বোলার বোলিং করার সময় তাঁর হাত ১৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল'র বেশি বাঁকাতে পারবেন না। ঠিক এই নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্যই এর আগে একাধিকবার শাস্তির মুখে পড়েছেন হাফিজ।
এদিন, হাফিজের ওভারে ব্যাট করছিলেন রস টেলর। পাকিস্তানি স্পিনারের একটা ডেলিভারি খেলার পরই তিনি ডান হাত উঁচিয়ে আম্পায়ারের উদ্দেশে আচমকা কিছু একটা ইশারা করতে শুরু করেন। আসলে বোঝাতে চান, হাফিজের অ্যাকশন বেআইনি বলে মনে হচ্ছে তাঁর। এই ব্যাপারে তিনি তাই আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছিলেন। এরপর আম্পায়াররাও পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে, অধিনায়ক সরফরাজ অবশ্য টেলরের এমন কাণ্ডে চটেছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ''আমিও হঠাৎ করে বলতে পারি, টেলরের অ্যাকশন আইনবিরুদ্ধ। তাতে কিছু প্রভাব পড়বে না। যেখানে মাঠে আম্পায়াররা রয়েছেন। তাঁরা সবটা পর্যবেক্ষণ করছেন। সেখানে টেলরের এমন ভাবভঙ্গি করার কোন মানে হয় না। সবটাই টিভিতে দেখা যাচ্ছে। টেলর একজন পেশাদার ক্রিকেটার। কিন্তু এরপর ওর স্পোর্টসম্যানশিপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আমি ওর এমন ইশারা নিয়ে আম্পায়ারদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। হাফিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে এখন কোন সমস্যা নেই। আর টেলর এসেছিল ব্যাটিং করতে। ও সেটা ঠিকঠাক করলেই কোন সমস্যা থাকত না।''
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ