সব ভাল যার শেষ ভাল। সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন। তার আগে রঞ্জি ট্রফির শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন গৌতম গম্ভীর। অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ফিরোজ শাহ কোটলায় ১৮৫ বলে গম্ভীরের ব্যাট থেকে এল ১১২ রানের ঝকঝকে ইনিংস। গম্ভীরকে গার্ড অফ অনার দেয় গোটা স্টেডিয়াম। আর এই ইনিংস খেলেই ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন দিল্লির বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।
ভারতের সেরা ওপেনার ছিলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তার ব্যাট থেকে এসেছিল বড় ইনিংস। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওয়াংখেড়েতেও ৯৭ রানের ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। দু'বারই বিশ্বকাপ জেতে ভারত। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে প্রথম আইপিএলে সাফল্য এনে দেন অধিনায়ক গম্ভীর। দুবার আইপিএলে গম্ভীরের নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয় কেকেআর।
২০০৩ সালে দেশের হয়ে অভিষেক করেন গম্ভীর। ১৩ বছরের ক্রিকেট সফর শেষ করলেন তিনি। সেঞ্চুরি করেই বিদায় জানালেন গম্ভীর। মাঠে ছিলেন গম্ভীরের স্ত্রী নাতাশা ও তার দুই মেয়ে। হাফসেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরির পর তাকে গার্ড অফ অনারে শ্রদ্ধা জানান অন্ধ্রপ্রদেশ ও দিল্লির ক্রিকেটাররা।
মঙ্গলবার ক্রিকেটকে বিদায়ের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন গম্ভীর। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, “ভারাক্রান্ত মনে খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। কিন্তু ভারাক্রান্ত মনে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত