১০ অক্টোবর, ২০১৯ ০৪:১৬

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল শ্রীলঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল শ্রীলঙ্কা

পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল শ্রীলঙ্কা।

আগের দুই ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল দাসুন শানাকার দল। সিরিজের সবশেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মাটিতে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ড করার রেকর্ড গড়েই, স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

 শেষ ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। কেননা তাদের দেশের মাটিতে ১৪৭ রান করে কেউ কোনোদিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে পারেনি। তাই হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ১৪৭ রানে বেঁধে রেখে নিশ্চিন্তেই ডাগআউটে ফিরেছিল সরফরাজ আহমেদের দল।

কিন্তু ম্যাচের বাকি অংশ শেষে আর হাসি টেকেনি তাদের মুখে। কেননা হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ও লাহিরু কুমারার বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১৪৮ রানের লক্ষ্যটাও তাড়া করতে পারেনি স্বাগতিক পাকিস্তান, অলআউট হয়ে গেছে ১৩৪ রানে।

তবে আগের দুই ম্যাচের তুলনায় দাপুটে জয় পায়নি শ্রীলঙ্কা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় দলীয় সংগ্রহটা ১৪৭ রানের বেশি হয়নি। ফলে বাড়তি দায়িত্ব পড়ে বোলারদের কাঁধে। যা সুনিপুণভাবে পালন করেন হাসারাঙ্গা, লাহিরুরা।

সফরকারীদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের কেউই ব্যাট হাতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। দলের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজম ২৭ রান করতে খরচ করেন ৩২ বল। তিন নম্বরে নামা হারিস সোহেল ৫২ রান করলেও খেলেন ৫০টি বল।

এছাড়া বাকিরা কেউই বলার কিছু করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের ইনিংস থামে ৬ উইকেটে ১৩৪ রানে। বল হাতে ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন হাসারাঙ্গা, ২ উইকেট নিতে লাহিরু খরচ করেন ২৪ রান। মাত্র ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দেন কাসুন রাজিথা।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পাকিস্তানি দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের মুখে পড়তে হয় লঙ্কানদের। তবু ওশাদা ফার্নান্দোর কল্যাণে তারা পায় ১৪৭ রানের লক্ষ্য।

পাকিস্তানের দারুণ বোলিংয়ে ৩০ রানের মধ্যেই প্রথমসারির তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় শ্রীলঙ্কা। গুনাথিলাকা ৮, সামারাভিক্রমা ১২ এবং ভানুকা রাজাপাকষে আউট হন ৩ রান করে। ৫৮ রানের মাথায় ১৩ রান করে রানআউট হয়ে ফিরে যান অ্যাঞ্জেলো পেরেরা।

ওশাদা ফার্নান্দোই শুধুমাত্র পাকিস্তানি বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করতে সক্ষম হন। ৪৮ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে। ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনি মারেন ৩টি ছক্কার মার।

দাসুন সানাকা ১২, মাধুশঙ্কা ১ এবং ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা আউট হন ৬ রান করে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৪৭ রান করতে সক্ষম হয় লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। মোহাম্মদ আমির নেন ৩ উইকেট। ইমাদ ওয়াসিম এবং ওয়াহাব রিয়াজ নেন ১টি করে উইকেট।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর