বত্রিশ দলের ইউরো কাপের মধ্যে ছিটকে গেছে ষোলো দল। প্রি কোয়ার্টার-ফাইনালের লড়াইয়ের জন্য পড়ে রয়েছে ঠিক অর্ধেক অর্থাৎ ১৬ দল। শনিবার (২৬ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে এই লড়াই। ইতিমধ্যেই লেওয়ান্ডোস্কি, হামসিক, ইয়ালমজ, রবার্টসনদের মতো তারকারা ছিটকে গেলেও অনেকেই মন ভরিয়ে গেছেন। অনেকে নিজেদের প্রচেষ্টায় সফল হলেও দলের ব্যর্থতায় বিদায় নিয়েছেন। যারা রয়েছেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয়ার্ধের লড়াইয়ের জন্য তাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হল সেরা ৫ তারকা।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল)
নিঃসন্দেহে ইউরোপের সবচেয়ে বড় তারকা। বিশ্ব ফুটবলের প্রথম তিন তারকার একজন। এটাই তার জীবনের শেষ ইউরো কাপ। ৩ ম্যাচে ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন ৫ গোল। পুরুষ ফুটবলে ইরানের আলি দায়ির রেকর্ড স্পর্শ করেছেন ১০৯ গোল করে। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে একটি গোল করতে পারলে সবার ওপরে পৌঁছে যাবেন সিআর সেভেন। পেলে, ম্যারাডোনা, মেসিকে অনেক আগেই পেছনে ফেলেছেন। কিন্তু লক্ষ্য দেশকে চ্যাম্পিয়ন করার।
কিলিয়ান এমবাপে (ফ্রান্স)
আগামীদিনের মহাতারকা। ফুটবল সম্রাট পেলের প্রশংসা পেয়েছেন। প্রচন্ড গতি এবং দেখার মত স্কিল রয়েছে এই ফরাসি তারকার। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে আদর্শ করে বড় হয়েছেন। ফ্রান্সের অন্যতম কাণ্ডারী এই তরুণ ফুটবলার। রাশিয়া বিশ্বকাপেও দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিলেন। খেলেন পিএসজি ক্লাবে। রেকর্ড পরিমাণ অর্থে তাকে দলে নিতে মরিয়া ইউরোপের অন্তত তিনটি বড় ক্লাব।
লুকা মদ্রিচ (ক্রোয়েশিয়া)
রোনালদোর মতো মদ্রিচেরও এটা শেষ ইউরো কাপ। বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। দলের প্রধান সম্পদ। শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত গোল করেছেন। মিডফিল্ড জেনারেল বললেও ভুল বলা হবে না। মাঝমাঠ এবং আক্রমণভাগের রিমোট থাকে তার পায়ে। স্পেনের বিরুদ্ধে তিনিই প্রধান ভরসা ক্রোয়েশিয়ার। রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম সেরা তারকা।
গিনি উইনালদাম (নেদারল্যান্ডস)
কার্যকরী ফুটবলার হিসেবে এই মুহূর্তে ইউরোপের অন্যতম সেরা। দীর্ঘদিন লিভারপুলে সাফল্যের সঙ্গে খেলার পর রেকর্ড পরিমাণ অর্থে গেছেন পিএসজি ক্লাবে। ডাচ দলের অধিনায়ক ইতিমধ্যেই তিন গোল করে ফেলেছেন চলতি টুর্নামেন্টে। প্রচন্ড পরিশ্রম করতে পারেন এবং পাশাপাশি গোল করাতেও দক্ষ। কমলা ব্রিগেডের ইঞ্জিন।
কাই হাভারটজ (জার্মানি)
বলা হচ্ছে জার্মান ফুটবলের পরবর্তী বেকেনবাওয়ার। নতুন মহানায়ক ইতিমধ্যেই প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন। ইউরো কাপ শুরু হওয়ার আগে তার গোলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল চেলসি। পর্তুগালের বিরুদ্ধে দুরন্ত ফুটবল খেলার পর শেষ ম্যাচে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে গোল করে সমতায় ফিরিয়েছিলেন দলকে। বাঁ-পায়ের স্কিল দেখার মত। উচ্চতা এবং গতি ঈর্ষণীয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত