দক্ষিণ আফ্রিকার পুরনো ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোর অন্যতম ডারবানের কিংসমিড। এখানে খেলা হচ্ছে ১৯২৩ সাল থেকে। গত ৯৯ বছরে এই মাঠে টেস্ট হয়েছে ৪৪টি। স্বাগতিক আফ্রিকার জয় ১৪টি। স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্টে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ড্র হয়েছিল টেস্টটি। এই মাঠে সর্বশেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে করোনার আগে। ১ উইকেট জিতেছিল শ্রীলঙ্কা।
মুমিনুলদের হারাতে উইকেটে ঘাস রাখা হবে। বাউন্স থাকবে। অতীত রেকর্ডও বলে কিংসমিড পেসারদের স্বর্গ। সেরা বোলিং পারফরম্যান্স হিউজ টেয়ফিল্ডের। ৩৭ টেস্টে ১৭০ উইকেট নেওয়া টেয়ফিল্ড ১৯৫৭ সালে বিধ্বংসী বোলিং করেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ৩৭.৭ ওভারে ৬৯ রানের বিনিময়ে উইকেট নিয়েছিলেন ৮টি। তখন ওভার ছিল ৮ বলে। এখানে টেয়ফিল্ডের উইকেট সংখ্যা ৪ টেস্টে ৩০টি। তবে একমাত্র বোলার হিসেবে উইকেটের হাফসেঞ্চুরি ডেল স্টেইনের। ডান হাতি ফাস্ট বোলারের উইকেট ১০ টেস্টে ৫০টি। স্পিনারদের মধ্যে সেরা পারফরমার স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিল ভিনসেন্ট। বাঁ হাতি স্পিনারের উইকেটে ৪ টেস্টে ১৯টি। সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ৬/৫১। অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার ক্যারি গ্রিমেট ২ টেস্টে উইকেট নেন ১৮টি। লিজেন্ড লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন নিয়েছেন ৩ টেস্টে ১৮ উইকেট। প্রোটিয়াদের বর্তমান দলে খেলছেন বাঁ হাতি স্পিনার কেশব মহারাজের উইকেট ২ টেস্টে ১২টি।
পেসারদের দাপটে ২৮ টেস্টে ফল হয়েছে। তবে সর্বশেষ ১২ টেস্টের ১১টিতেই হার জিত হয়েছে। পেস আধিক্যেও ডারবানে ৬০০ পেরুনো ইনিংস আছে ৩টি। ২০০৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৬৫৮ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইংল্যান্ডের, ১৯৩৯ সালে ৫ উইকেটে ৬৫৪ এবং ১৯৭০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রোটিয়াসরা করেছিল ৯ উইকেটে ৬২২ রান। কিংসমিডে কোনো ট্রিপল সেঞ্চুরির ইনিংস নেই। ডাবল সেঞ্চুরি ৪টি। সর্বোচ্চ ২৭৫ রান গ্যারি কার্স্টেনের। গ্রায়েম পোলক ২৭৪, ইংল্যান্ডের এডি পেইন্টার ২৪৩ ও জন এডরিচ ২১৯ রান। পরিসংখ্যান যাই বলুক, কিংসমিডে প্রথমবার টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ