লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইকুয়েডরের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জয় হাতছাড়া হলো আর্জেন্টিনার।
বুধবার ভোরে ইকুয়েডরের সঙ্গে আর্জেন্টিনার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। একুয়েডরের পক্ষে গোলটি করেন এনের ভালেন্সিয়া।
এ নিয়ে টানা ৩১ ম্যাচে অপরাজিত রইল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। যার শুরুটা হয়েছিল ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে।
বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা একুয়েডর এদিন আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরু করে। প্রথম ২০ মিনিটে কয়েকটি আক্রমণও করে দলটি, গোলের উদ্দেশ্যে যদিও কোনো শট নিতে পারেনি তারা।
তবে ২৪তম মিনিটে প্রথম নিশ্চিত সুযোগ পেয়েই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। মেসির দারুণ পাস ডি-বক্সে ধরে ডান দিকে বল বাড়ান নিকোলাস তাগলিয়াফিকো। পেনাল্টি স্পটের কাছে বল ধরে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে প্রথম দফায় ঠিকমতো শট নিতে পারেননি আলভারেস। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ঠিকই কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন রিভার প্লেটের এই ফরোয়ার্ড।
৪১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। তবে রদ্রিগো দে পলের ক্রসে বল দূরের পোস্টে পেয়ে কাছ থেকে গোলরক্ষক বরাবর হেড করেন নিকোলাস ওটামেন্দি। বিরতির ঠিক আগে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি একুয়েডরের পেরভিস এস্তুপিনান।
বিরতি থেকে ফিরে এসে নিজেদের খেলার গতি কিছুটা কমিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। উপরে উঠে আক্রমণে মনোযোগী হয় একুয়েডর। ৬২তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে তাদের ফরোয়ার্ড আনহেল মেনার বুলেট গতির শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল হজম করে আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সে নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ফরোয়ার্ড ভালেন্সিয়ার স্পট কিক ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি; কিন্তু বল হাতে রাখতে পারেননি। আলগা বল পেয়ে ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভালেন্সিয়া।
লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৭ ম্যাচে ১১ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে স্কালোনির দল আছে দুই নম্বরে। সমান ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
