সিরিজের শেষ টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। বিপর্যয় কাটিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়ে দলকে নিয়ে গেছেন নিরাপদ অবস্থানে। তাদের জুটিতে এসেছে ২৫৩ রান।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৭ রান।
এদিন মুশফিক টেস্ট ক্যারিয়ারে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ও নিজের নবম সেঞ্চুরি করেন। অপরদিকে, তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকানো ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে ১৫৩ রান করেন লিটন। মুশফিক অপরাজিত আছেন ১১৫ রানে।
ইতিহাসগড়া এ অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ২৫৩ রান। দলীয় ২৪ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারানোর পর টেস্ট ইতিহাসে শতরানের জুটিও ছিল না আগে আর কখনও।
এটি লিটন-মুশফিক জুটির দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি জুটি। গত নভেম্বরে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষ দুজনে ২০৫ রান যোগ করেছিলেন পঞ্চম উইকেটে।
এর আগে ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে ১৯১ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিক।
এর আগে সোমবার মিরপুরে সিরিজের শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের এলোমেলো করে দেয় লঙ্কান বোলাররা। বিপর্যয় নেমে আসে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপে। দলীয় ২৪ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদশে।
মাঠে যখন এমন করুণ অবস্থা বাংলাদেশ দলের, তখন আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্ক্লেকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যে কারণে সামনে থেকে এমন ভয়াবহ বিপর্যয় দেখতে হয়নি বিসিবি সভাপতিকে।
যদি এটি দেখতে হতো, তাহলে হার্ট অ্যাটাক করে ফেলতেন বলে জানালেন পাপন। দিনের খেলা শেষে আইসিসি চেয়ারম্যানকে নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ওই সময় থাকলে হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতো (হাসি)। আল্লাহর রহমত আমি ছিলাম না। আমরা তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলাম।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ