এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ কালো ছায়া ফেলেছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর নতুন সরকারের প্রথম বৈঠকের উপর। ফরাসি সংবাদপত্র মিডিয়াপার্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দুই নারী দেশটির ‘সলিডারিটি অ্যান্ড দ্য ডিসঅ্যাবল্ড’ মন্ত্রী দামিয়েন আবাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। যদিও মন্ত্রী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ওই দুই নারীর অভিযোগ, ২০১০ সালের শেষ থেকে ২০১১ সালের শুরুর দিককার সময়ে আবেদ তাদের সঙ্গে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের একজন ২০১৭ সালে আবেদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তবে সেই অভিযোগ কোনো ধরনের পরবর্তী পদক্ষেপ ছাড়াই বাতিল হয়।
নতুন করে এ অভিযোগ উঠায় আবেদ জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি শারীরিকভাবে সেটা করতে অক্ষম। যদিও বিরোধী রাজনীতিবিদদের মধ্যে থাকা বামেরা আবেদকে পদচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন।
সবুজ দলের নেতা স্যাঁনড্রিন রুসো এ বিষয়ে বলেন, আমি মনে করি প্রশ্ন এটা হওয়া উচিত নয় যে তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা। সতর্কতা হিসেবে তাকে পদচ্যুত করা যেতে পারে। নারীদের প্রতি আমাদের এই বার্তা পৌঁছানো উচিত যে তাদের কথা আমরা শুনছি।
এ নিয়ে মাক্রোঁর নতুন প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন অবশ্য জানিয়েছেন আবাদকে নতুন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার সময় এই অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানতেন না। আবাদ এর আগে দেশটির নিম্নকক্ষে বিরোধী রক্ষণশীল দলের নেতা ছিলেন। এদিকে, টেলিভিশনে দেয়া এক বক্তব্যে নতুন সরকারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরলেও আবেদের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এমানুয়েল মাক্রোঁ।
সূত্র : ডয়চে ভেলে ও দ্য গার্ডিয়ান।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক