অনেক দিন ধরেই তাকে ঘিরে চলছে নানা গুঞ্জন। রবার্ট লেভানদোভস্কি অবশ্য আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ছাড়তে চান বায়ার্ন মিউনিখ। এরপর বুন্ডেসলিগার দলটি দাবি-দাওয়া কিছুটা কমানোর খবর প্রকাশ্যে এলে গুঞ্জন সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা জাগে জোরালভাবে। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হতে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, স্পেনের যাওয়ার চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে লেভানদোভস্কির।
কিছুদিন আগে বায়ার্নের প্রধান নির্বাহী অলিভার কান জোর দিয়ে বলেছিলেন লেভানদোভস্কিকে চুক্তির শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার কথা। তিনিই এবার বললেন, চলে যাচ্ছেন পোলিশ তারকা। অবশেষে বার্সেলোনা একটা ভালো অঙ্কের (ট্রান্সফার ফির) প্রস্তাব দিয়েছে, যে মূল্যে তাকে বিক্রি করাই যায়।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দলবদলের বাজারে আমরাও সফল হয়েছি এবং আক্রমণভাগে বিশ্ব মানের খেলোয়াড় সাদিও মানেকে দলে টেনেছি। তাই এখন আমরা বার্সেলোনার সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছি। অবশ্য এখন পর্যন্ত তা কেবলই মৌখিকভাবে, চুক্তি এখনও বাকি আছে।”
বায়ার্নে সতীর্থদের ইতোমধ্যে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন লেভানদোভস্কি। লিওনেল মেসিকে ছেড়ে দেওয়ার পর থেকেই একজন স্কোরারের অভাব বড্ড অনুভব করছে বার্সেলোনা। এবারের দলবদলে তাই তারা কোমর বেঁধে নেমেছে লেভানদোভস্কিকে আনতে। শেষ পর্যন্ত পাঁচ কোটি ইউরোর বিনিময়ে তাকে পেতে যাচ্ছে লা লিগার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ীরা।
দুইবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার লেভানদোভস্কির সঙ্গে বায়ার্নের চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু গত মে মাসে এই তারকা ফরোয়ার্ড সরাসরি জানিয়ে দেন, বায়ার্নে তার অধ্যায় শেষ এবং তিনি ক্লাবের হয়ে তার শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন। এরপর বার্সেলোনার প্রস্তাব বিবেচনা করার কথাও বলেন তিনি।
যদিও বায়ার্নের বিশ্বাস ছিল টানাপোড়েনের অবসান হবে, লেভানদোভস্কিও থেকে যাবে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায়। ক'দিন আগে পোলিশ ফরোয়ার্ড বায়ার্নের অনুশীলনে ফিরলে দলটির সমর্থকদের মনে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অনেক সাফল্যের নায়ককে ছেড়ে দিতে হচ্ছে দলটিকে।
পোল্যান্ডের হয়ে ১৩২ ম্যাচে ৭৬ গোল করা লেভানদোভস্কি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে বায়ার্নে যোগ দেন ২০১৩ সালে। জার্মানির সফলতম দলটির হয়ে জেতেন সব ধরনের শিরোপা। ৩৭৫ ম্যাচে গোলও করেন ৩৪৪টি। সাফল্যে মোড়ানো ক্লাব ক্যারিয়ারে বায়ার্নের হয়ে ৮টি বুন্ডেসলিগা, ৩টি জার্মান কাপ, ৪টি জার্মান সুপার কাপ এবং ১টি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ