ডিআরএসের মতো আধুনিক প্রযুক্তি বিপিএলের কয়েক বছর ধরেই আনতে পারছে না বিসিবি। ফলে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হচ্ছে জটিলতা। ডিআরএসের বিকল্প এডিআরএসে সেই সঙ্কট হচ্ছে আরও প্রকট। ফলে সাকিব আল হাসানসহ নানা ক্রিকেটারই বিসিবির সমালোচনা করছেন, মাঠেই তেড়েফুড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ।
এমন কাণ্ডে বিপাকে পড়া বিসিবি এবার হাঁটল ভিন্ন পথে। আম্পায়ারিং আর এডিআরএস নিয়ে প্রশ্নে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের ভাষ্য ছিল ‘কিছু বলতে পারব না… সাসপেন্ড করে দেবে…।’ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘খালি চোখে যেটা আমরা দেখছি নট আউট, সেটা থার্ড আম্পায়ার আউট দিয়ে দিচ্ছে। কী করতে পারি? আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা মাঠে চিল্লাচিল্লি করি, এটাই কি চান? এমনিই সাসপেন্ড করে দেবে। যেহেতু খেলা চলছে। প্রতিবাদ করেও তো লাভ নেই। আমরা লিখিত দেব বা প্রতিবাদ করব, সেটাতেও তো লাভ নেই। আসলে কিছু করার নেই। হাত-পা বাঁধা আছে, যা হওয়ার তা-ই হবে আরকি।’
এই কথার জেরেই বিসিবির আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে সালাউদ্দিনকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে বিপিএলের সফলতম কোচের নামের সঙ্গে।
আচরণবিধির ২.৭ ধারা অনুযায়ী লেভেল ২ ভাঙার অভিযোগ আনা হয় সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য এই ধারায় আছে, ‘ম্যাচের কোনো ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্য সমালোচনা ও অনুপযুক্ত মন্তব্য করা।’
রবিবার রাতে বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাঠের দুই আম্পায়ার, তৃতীয় আম্পায়ার ও চতুর্থ আম্পায়ার এই অভিযোগ আনেন সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। তিনি দায় স্বীকার করে ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের দেওয়া শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল