মিরপুরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দিনে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৩ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছে প্রোটিয়ারা। লিড নিয়েছে ১৩৭ রানের। শেষ ঘণ্টায় দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ দলকে লড়াইয়ে রেখেছেন হাসান মাহমুদ।
আগের দিন বাংলাদেশকে অলআউট করে দিয়ে ৬ উইকেটে ১৪০ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের দুই অপরাজিত ব্যাটার দুর্দান্ত শুরু করেন দ্বিতীয় দিনে। ধীরে ধীরে লিডও বাড়তে থাকে প্রোটিয়াদের। কাইল ভেরেইনের সঙ্গে ভিয়ান মুল্ডারের জুটিতে রানও আসতে থাকে।
বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ভোগানো মুল্ডার হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্যাট হাতেও। ১৪তম টেস্টে এসে প্রথম ফিফটি পেলেন তিনি, এর আগে তার সর্বোচ্চ ছিল ৪২ রান। এর আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অবশ্য ১১টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মুল্ডার।
হাফ সেঞ্চুরি থেকে তিন রান দূরে থাকতেই ফিরতে পারতেন মুল্ডার। কিন্তু নাঈম হাসানের বলে শর্ট লেগে তার ক্যাচ ছেড়ে দেন মুমিনুল। এরপর ম্যাচ বাংলাদেশের থেকে ক্রমেই দূরে সরে যেতে থাকে। তখনই দলের জন্য ত্রাতা হন হাসান মাহমুদ। দলকে প্রথম উইকেট এনে দিয়েছিলেন তিনিই। পরের পাঁচটি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনে যখন ম্যাচ দূরে সরে যাচ্ছিল, তখন টানা দুই বলে দুই উইকেট এনে দিয়েছেন তিনি। শুরুটা করেন মুল্ডারকে দিয়ে।
১১২ বলে ৫৪ রান করে তিনি ক্যাচ দেন স্লিপে। পরের বলেই কেশভ মহারাজকে বোল্ড করে দেন হাসান। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগলেও সেটি অবশ্য পূরণ হয়নি। প্রথম সেশনের শেষটা আরও রঙিন করতে পারতেন তিনিই।
কিন্তু পারেননি রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করে। হাসান মাহমুদের ফুল টসে সোজা খেলেন পিট। বোলারের হাত ছুঁয়ে স্টাম্পেই লাগে বল, তখন নন স্ট্রাইকার ক্রিজের ভেতরই আছেন। কিন্তু হুট করে স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে ব্যাটার দৌড় শুরু করেন।
শুরুতে হাসান মাহমুদ বুঝতে না পারলেও পরে বলের দিকে দৌড়ে যান। কিন্তু তিনি যতক্ষণে থ্রো করেন, ততক্ষণে ব্যাটার অনেক দূর পৌঁছে গেছেন; হাসানের থ্রোও ব্যাটারের গায়ে লাগে। ১০৫ বলে ৭৭ রান করে ভেরেইনা ও ২৫ বলে ৬ রান করে পিট অপরাজিত আছেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ