ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে পর্ন সাইট ভিজিট করছেন? ব্রাউজার হিস্ট্রি মুছে ফেলেই ভাবছেন কেউ জানলো না, কেউ দেখলো না? আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ২০১৫ সালে ইন্টারনেট ট্র্যাকিং এতটাই শক্তিশালী আর সর্বব্যাপি হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, সাধ্যমতো সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করেও লুকানোর জায়গা থাকছে না। কে কোন নিষিদ্ধ সাইট ভিজিট করলেন, কোথায় আপনার অনুসন্ধানের প্রবণতা- সব বের করে ফেলা সম্ভব শুধুমাত্র মাউসের এক ক্লিকে।
মার্কিন সফটওয়্যার বিজ্ঞানী ব্রেট টমাস সতর্ক করছেন, আপনি হিস্ট্রি মুছে ফেললেও সাইবার জগতে রেখে যাচ্ছেন আরও অসংখ্য পায়ের ছাপ। এগুলো থেকে খুব সহজেই বের করে ফেলা যায় আপনার গতিবিধি।
টমাস বলছেন, প্রত্যেক ব্রাউজারেরই একটি অনন্য চিহ্নিতকরণ পরিচয় থাকে। এর থেকে ট্র্যাক করা যায় ব্যবহারকারীর গতিবিধি। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েব সাইট তাদের ট্র্যাকিং এজেন্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত বিপুল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করে রাখছে ব্যবহারকারীদের। এই তথ্য যে কোনো সময় ফাঁস করার ক্ষমতাও রাখে তারা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, সেখানকার তিন কোটি মানুষ নিয়মিত পর্ন সাইট ভিজিট করে। এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরই বেশ কিছু গোষ্ঠি থেকে আপত্তি ওঠে যে, সংখ্যাটি এত কম নয়। সবচেয়ে বড় অংশটিই সমীক্ষায় স্বীকার করেননি তাদের সাইবার গতিবিধির কথা। তবে তারা স্বীকার না করলেও তাদের রেখে যাওয়া চিহ্ন বলে দিচ্ছে ভিন্ন তথ্য। অর্থাৎ, যে তিন কোটি মানুষের কথা বলা হয়েছে সমীক্ষায় বাস্তবে এ সংখ্যা আরও ঢের বেশি।
সুতরাং, ব্রেট টমাসের পরামর্শ, ওয়েবসাইট ভিজিটের সময় সতর্কতার সর্বোচ্চ উপায়টি হতে পারে শুধু এইটুকু মনে রাখা যে- কেউ আপনাকে সমসময় দেখছে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ এপ্রিল ২০১৫/ এস আহমেদ