পিসি বা ল্যাপটপের একেবারে উপরের সারিতে যে ১২টি ট্যাব বা বাটন রয়েছে সেগুলোই হচ্ছে এর ফাংশন। এই ফাংশনগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যেগুলো হয়তো আমরা নিজেরাই জানি না। সেইসঙ্গে অপারেটিং সিস্টেম ভেদে এদের কাজও ভিন্ন ভিন্ন। নিচে এই ১২টি ফাংশনের কর্মযজ্ঞ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
১. উইন্ডোজকে সেফ মোডে খুলতে F1 বাটন ব্যবহার করা হয়। কিছু কম্পিউটারে এই কি দিয়ে উইন্ডোজ রিকভারি সিস্টেম শুরু করা যায়।
বেশির ভাগ সফ্টওয়্যারের ক্ষেত্রে এটি হেল্প বাটন হিসেবেও কাজ করে। উইন্ডোজের নিজস্ব হেল্প কি-ও F1।
২. কোনও হাইলাইটেড ফাইল বা ফোল্ডার রিনেম করার শর্টকাট কি। F-2।মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে কোনো ডকুমেন্ট খুলতে alt+ctrl+f2 ব্যবহার করা হয়।
৩. উইন্ডোজ ডেস্কটপের ক্ষেত্রে এই বাটন সার্চের কাজ করে। ডস মোডে F3 বাটন লেখা শেষ লাইন আবার ফিরিয়ে আনবে।
৪. উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার বা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ক্ষেত্রে এই বাটন অ্যাড্রেস বার খোলার কাজ করে। অ্যাক্টিভ উইন্ডো একবারে বন্ধ করতে alt+f4 ব্যবহার করা হয়।
৫. যে কোনো ব্রাউজারের ক্ষেত্রে এই বাটন রিফ্রেশের কাজ করে। মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে এই বাটন দিয়ে একবারে Find, Replace, Go To ডায়লগ উইন্ডো খোলা যায়।
৬. যে কোনো ব্রাউজারের ক্ষেত্রে F6 বাটন অ্যাড্রেস বারে কার্সার নিয়ে যায়। কিছু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এই বাটন দিয়ে ভলিউম কমানো যায়।
৭. মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড এবং আউটলুকের ক্ষেত্রে বানান এবং ব্যাকরণ চেক করার জন্য F7 বাটন ব্যবহৃত হয়। কিছু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এই বাটন দিয়ে ভলিউম বাড়ানো যায়।
৮. উইন্ডোজকে সেফ মোডে খুলতে এই বাটন ব্যবহার করা হয়। কিছু কম্পিউটারে F8 কি দিয়ে উইন্ডোজ রিকভারি সিস্টেম শুরু করা যায়।
৯. মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে এই বাটন রিফ্রেশের কাজ করে। কিছু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে F9 বাটন দিয়ে ব্রাইটনেস কমানো যায়।
১০. যে কোনো অ্যাক্টিভ উইন্ডোজের ক্ষেত্রে F10 বাটন দিয়ে মেনু বার খোলা হয়। কিছু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এই বাটন দিয়ে ব্রাইটনেস বাড়ানো যায়।
বিডি-প্রতিদিন/৮ মে ২০১৬/শরীফ