লাইভ বা সরাসরি সম্প্রচারে বিধি-নিষেধ আরোপের চিন্তা করছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এই বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলে সকল ব্যবহারকারীর জন্য ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার উন্মুক্ত থাকবে না। খবর নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলার পুরো ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেনটন ট্যারেন্ট। ওই ঘটনায় অন্তত ৫০জনকে গুলি করে হত্যা করেন তিনি। আহত হন আরও কমপক্ষে ৪২ জন।
ভয়াবহ ওই ঘটনার সম্প্রচার নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে ‘লাইভ-স্ট্রিমিংয়ে’ নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিল ফেসবুক।
শনিবার এ বিষয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে লেখা ফেসবুকের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গের চিঠিতে বলা হয়, লাইভে কে আসতে পারবে, আর কে পারবে না তা নিয়ন্ত্রণে কী করা যায় সে বিষয়ে ভাবছেন তারা।
চিঠিতে শেরিল স্যান্ডবার্গ লিখেছেন, ফেসবুকের মতো একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে কীভাবে এমন ভয়ানক হামলার ভিডিও প্রচারে ব্যবহার করা হল, তা নিয়ে আপনাদের অনেকেই যৌক্তিক প্রশ্ন তুলেছেন … এক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি ভূমিকা রাখতে হবে এমন পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে। আমরা তাদের সঙ্গে একমত।
তিনি জানান, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় কি না, এমন বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে কে কে সরাসরি সম্প্রচারে যেতে পারবেন আর কে পারবেন না, সে বিষয়ে বিধি-নিষেধ আরোপ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
নীতিমালায় কোনও পরিবর্তনের ঘোষণা দেননি স্যান্ডবার্গ। তবে কীভাবে ফেসবুক লাইভের জন্য নিয়ম-কানুন জোরদার এবং এই প্ল্যাটফর্মে বিদ্বেষমূলক কনটেন্ট মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেয়া হবে সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছেন তিনি।
আগামী সপ্তাহ থেকেই ‘শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের সমর্থন, প্রশংসা ও প্রতিনিধিত্ব’ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ব্লক করার ঘোষণা দিয়েছে এই সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার পুরো ঘটনাই নিজের হেলমেটে লাগানো ক্যামেরা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেন বন্দুকধারী ব্রেনটন ট্যারেন্ট।
বিডি প্রতিদিন/কালাম