বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

গ্রহাণু সরিয়ে দেবে নাসার ‘ডার্ট’ যান!

রকমারি ডেস্ক

গ্রহাণু সরিয়ে  দেবে নাসার ‘ডার্ট’ যান!

উল্কাপি- বা গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে ধেয়ে আসতে শুরু করলেই বিজ্ঞানীদের কপালে পড়ে চিন্তার ভাঁজ। মানুষের একমাত্র আবাসকে প্রাকৃতিক এই বিপর্যয় থেকে রক্ষায় দিন-রাত এক করে ফেলেন তাঁরা। এবার তারই অংশ হিসেবে মহাকাশে ‘ডার্ট’ একটি যান পাঠিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। পৃথিবীকে বিপজ্জনক গ্রহাণু থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায় তা জানা এবং গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তনের এমন চেষ্টা এটিই প্রথম।

 

পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে এমন গ্রহাণুকে কক্ষপথ থেকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়ার প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখতে মহাকাশ যান পাঠিয়েছে সংস্থাটি। স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটে চড়ে ডার্ট (ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট) ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেজ থেকে বুধবার মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, অভিযানটি চালানো হবে ডাইমোরফস নামের গ্রহাণুর ওপর। এর ব্যাস ১৬০ মিটার। এই গ্রহাণুটি ডিডিমোস নামের আরেকটি বড় গ্রহাণুকে (৭৮০ মিটার ব্যাস) কেন্দ্র করে ঘুরছে। কাছাকাছি ঘুরতে থাকা এ দুটি গ্রহাণুই ডার্টের লক্ষ্য। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ভেদ করে ডার্ট সূর্যের চারপাশে এর নিজ কক্ষপথে এগোতে থাকবে ডাইমোরফস এবং ডিডিমোসকে লক্ষ্য করে। এরপর ২০২২ সালে যুগ্ম কক্ষপথে থাকা ডাইমোরফসে ঘণ্টায় ১৫ হাজার মাইল বেগে আছড়ে পড়বে ডার্ট। এই সংঘর্ষের ফলে গ্রহাণুটির গতিসহ যাত্রাপথ কতটুকু পরিবর্তন করা গেল তা দেখা হবে।

 

পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে দশকের পর দশক ধরে ডিডিমোস এবং এর চাঁদ (মুনলেট) ডাইমোরফস নিয়ে গবেষণা চলছে। নাসা বলছে, ডাইমোরফস কিংবা ডিডিমোস কোনোটিই পৃথিবীর জন্য হুমকি নয়। কিন্তু এ দুটি গ্রহাণুর যে অবস্থান, তাতে এটিই পরীক্ষা চালিয়ে দেখার জন্য মোক্ষম জায়গা যে, একটি মহাকাশ যান দিয়ে কোনো একটি গ্রহাণুকে ধাক্কা দিলে তা গ্রহাণুটির গতিপথ বদলে দিতে পারে কি না। এই ধাক্কা বা সংঘর্ষের ফলে ডার্ট ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু এই সংঘর্ষের এক সপ্তাহ আগেই ছোট্ট একটি স্যাটেলাইট মহাকাশে রেখে যাবে ডার্ট। আর সেই স্যাটেলাইটই পাঠাবে সংঘর্ষ-পরবর্তী পরিস্থিতির ছবি।

সর্বশেষ খবর