মূলত বরফঘরের প্রয়োজন মেটানোর জন্যই তৈরি করা হতো। এই স্থাপত্যের ওপরিভাগ ছিল গম্বুজাকৃতির এবং এর ভিতরের দিকে ছিল কতক ফাঁপা জায়গা। নিরেট, তাপরোধী কিছু গাঠনিক উপাদান দিয়ে ভিতরের দিকের ফাঁপা জায়গা মুড়িয়ে দেওয়া হতো।
খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ অব্দের দিকে প্রাচীন পারস্যে হিমায়ক কক্ষ তৈরি করা হতো। যাকে ‘ইয়াখছাল’ বলা হতো। একে বর্তমানের বরফঘরের সঙ্গে তুলনা দেওয়া যেতে পারে। মূলত বরফঘরের প্রয়োজন মেটানোর জন্যই তৈরি করা হতো। এই স্থাপত্যের ওপরিভাগ ছিল গম্বুজাকৃতির এবং এর ভিতরের দিকে ছিল কতক ফাঁপা জায়গা। নিরেট, তাপরোধী কিছু গাঠনিক উপাদান দিয়ে ভিতরের দিকের ফাঁপা জায়গা মুড়িয়ে দেওয়া হতো। অন্তভৌমের ফাঁপা জায়গার আয়তন হতো প্রায় ৫০০০ ঘনমিটারের মতো। হাজার বছর আগের প্রাচীন এই স্থাপনাগুলো এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কাঠামোটিতে শীতল বাতাস প্রবেশ করত এর ভিত্তি এবং অন্তভৌমের ফাঁপা অংশ দিয়ে। এর মোচাকৃতির গঠন দিয়ে গরম তাপ বেরিয়ে যেত। ফলে ভিতরের অংশের তাপমাত্রা হতো বাইরের অংশ থেকে কম। এগুলো তৈরি করা হতো সারোজ নামে পানিরোধী হামানদিস্তা দিয়ে। বালি, কাদা, ডিম, ছাগলের পশম এবং ছাই সঠিক অনুপাতে মিশিয়ে তৈরি করা হতো সেই বিশেষ হামানদিস্তা। এর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো, এটি তাপ ও পানিরোধের উপযোগী। এর আসল কাজ ছিল বরফ সংরক্ষণ করে রাখা। বরফের পাশাপাশি এতে খাবারও সংরক্ষণ করা হতো।