শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মশার অত্যাচারে রাজধানীবাসী

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

মশার অত্যাচারে রাজধানীবাসী

মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করে সর্বত্র মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক এলাকায় দরজা-জানালা বন্ধ রেখেও নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নগরবাসী। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কোটি কোটি টাকার ওষুধ ছিটিয়েও মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মশা নিয়ন্ত্রণে উত্তর সিটি করপোরেশনের মাসব্যাপী ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলছে।

দক্ষিণ সিটিও সম্প্রতি সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মাঠপর্যায়ের মশক নিধন কর্মীরা সঠিকভাবে ওষুধ ছিটাচ্ছেন কিনা তা নিয়মিত তদারকির কথা থাকলেও তাদের সঙ্গে কাউকে দেখা যায় না। ওষুধ না পানি ছিটাচ্ছেন তা নিশ্চিত করার কেউ নেই। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এস এম এম সালেহ ভূঁইয়া জানান, মশা নিয়ন্ত্রণে চেষ্টার কমতি নেই। বর্তমানে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকায় এবং কিছু এলাকার ড্রেন পরিষ্কার না থাকায় মশার প্রজনন ঠেকানো যাচ্ছে না।

বিশেষ করে বস্তি এলাকায় ড্রেন পরিষ্কার করলে আবার ভর্তি করে ফেলে। এ বছর জলাশয়ের কচুরিপানার পাশাপাশি ড্রেনও পরিষ্কার করা হয়েছে। এখন মশার বংশবিস্তারের সময় হওয়ায় ৮ জানুয়ারি থেকে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানো হচ্ছে।

জানা যায়, নগরীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরা, ধানমন্ডিতেও বেড়েছে মশার ভয়াবহ উপদ্রব। এ ছাড়া বনশ্রী, খিলগাঁও, মতিঝিল, মিরপুর, ধোলাইখাল, মীরহাজিরবাগ, যাত্রাবাড়ী, ধলপুর, শ্যামপুর, কামরাঙ্গীরচর, সূত্রাপুর, মোহাম্মদপুর, মগবাজার, ফকিরেরপুল, মানিকনগর, বাসাবো, কমলাপুর, মুগদা, সায়েদাবাদ, রামপুরা, বাড্ডা, মহাখালী, কুড়িল, হাজারীবাগ, রায়েরবাজার এলাকায় মশার উপদ্রব বেশি। দিনে-রাতে সব সময় মশার উপদ্রব চলছেই। মশারি না টাঙিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায় না। মশার কামড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গুসহ নানা রোগ। দুই সিটি করপোরেশন কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের পরও মশার উপদ্রব অব্যাহত থাকায় ক্ষুব্ধ রাজধানীবাসী।

অনেকেই সন্দেহের আঙ্গুল তুলে বলছেন, ধোঁয়ার কোনো হিসাব নেই। ওষুধের নামে কী পরিমাণ ধোঁয়া ছিটানো হচ্ছে তা বোঝার উপায় নেই। কারও কারও অভিমত, সিটি করপোরেশনের ওষুধে মশা মরে না। ফগার মেশিনের বিকট শব্দ ও ধোঁয়ায় মশা দিশা হারালেও সম্বিত ফিরে পেয়ে আবার উড়াল দেয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গত অর্থবছর মশক নিধনে ১৪ কোটি টাকা বাজেট ধার্য করলেও ব্যয় হয় ১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এ বছর ওষুধ, কচুরিপানা পরিষ্কারসহ আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ ২৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা বাজেট রাখা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) গত অর্থবছর সাড়ে ১২ কোটি টাকা বাজেট রাখলেও ব্যয় হয় ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ বছর বরাদ্দ হয়েছে ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ডিএসসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে এ বছর তিন লাখ লিটার অ্যাডালটিসাইড ও চার হাজার লিটার লার্ভিসাইড ওষুধ কেনার টার্গেট আছে।

সর্বশেষ খবর