মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

হারিয়ে যাচ্ছে দই-চিঁড়ার ব্যবসা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

হারিয়ে যাচ্ছে দই-চিঁড়ার ব্যবসা

কুমিল্লায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে সুস্বাদু দই-চিঁড়ার ব্যবসা। বিশেষ করে কুমিল্লা নগরী ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এক সময় শতাধিক দোকানে দই-চিঁড়া বিক্রি হতো। এখন নগরীর রেলস্টেশন রোডে রয়েছে তিনটি দোকান। এখানকার কাস্টমারদের অধিকাংশ কলেজের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া কুমিল্লা শহরতলির কুচাইতলী, সদরের বিবিরবাজারে, দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে, বরুড়া সদরের চান্দিনা রোডে দই-চিঁড়ার দোকান রয়েছে।

সূত্রমতে, দই-চিঁড়া, কলা, নারিকেল, ছানা, আখের গুড় মিশিয়ে দই চিঁড়ার সুস্বাদু খাবার তৈরি হয়।

প্রথম দেখায় যে কারও জিভে পানি চলে আসবে। এক সময় নগরীর গোয়ালপট্টি, দিগাম্বরীতলা, বজ্রপুরে ডজনখানেক দোকান ছিল। এ ছাড়া মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ, রামচন্দ্রপুর, লাকসামের দৌলতগঞ্জ, বুড়িচং সদর, ব্রাহ্মণপাড়া, চান্দিনা ও দেবিদ্বারে একাধিক দোকান ছিল। নগরীর রেলস্টেশন রোডে দই-চিঁড়ার ৪০ বছরের পারিবারিক ব্যবসা পুনিল ঘোষের। তিনি বলেন, প্রতি বাটি দই-চিঁড়া ৭৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও ফাস্টফুডে আসক্তির কারণে স্বাস্থ্যকর দই-চিঁড়ার চাহিদা কমেছে।

ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র আবু সুফিয়ান রাসেল বলেন, নগরীর রেলস্টেশন রোডে বন্ধুদের নিয়ে দই-চিঁড়া খেতে আসি। তবে কারও জন্মদিন বা উৎসবের দিনে বেশি আসা হয়। নগরীর দিগাম্বরীতলার বাসিন্দা ইতিহাস গবেষক সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম বলেন, গোয়ালপট্টি, দিগাম্বরীতলা, বজ্রপুরে অনেক দোকান ছিল। তখন আমাদের দই-চিঁড়ার সঙ্গে কলাপাতায় মাখন দেওয়া হতো। প্রবীণ সাংবাদিক প্রদীপ সিংহ রায় মুকুট বলেন, আমাদের তারুণ্যের সময় নগরীতে অনেক দই-চিঁড়ার দোকান ছিল। আমরাও বন্ধুদের নিয়ে মজা করে খেয়েছি। এখন মানুষের রুচির পরিবর্তনে এই ব্যবসাটি হারিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর