মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ফোন করলেই ফ্রি-অক্সিজেন সেবা

আফজাল, টঙ্গী

ফোন করলেই ফ্রি-অক্সিজেন সেবা

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’-এমন স্লোগান নিয়ে ছোট বড় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে অফুরন্ত হাসি ফুটিয়ে তুলছেন কতিপয় ব্যক্তি। তাদের এই উদ্যোগ আর সহযোগিতায় পাল্টে যাচ্ছে অনেকের জীবনমান। এমন কর্মকান্ডে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নগরজুড়ে তারা। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যুবলীগের করোনাযোদ্ধা ও স্থানীয় এমপির মানব সেবায় অসহায় মানুষের মুখে ফুটে উঠেছে অফুরন্ত হাসি। কেউ আর্থিক স্বাবলম্বী আবার কেউ বিনামূল্যে অক্সিজেন পেয়ে মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন। এমনিভাবে সহজ স্বতঃস্ফূর্ত এক মানবসেবা পেয়ে যাচ্ছেন অসহায়রা।

সম্প্রতি গাজীপুরের টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ অফিসের অফিস সহকারী প্রয়াত আবদুল মতিন হান্নানের পরিবারকে ব্যক্তিগত ও দলের নেতা-কর্মীর সহযোগিতায় ৯ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন স্থানীয় এমপি জাহিদ আহসান রাসেল। অপরদিকে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান রাসেল সরকারের ব্যক্তিগত উদ্যোগে গত দুই মাস ধরে বিভিন্ন এলাকায় করোনায় আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছে করোনা যোদ্ধারা। এ ছাড়াও গাজীপুর মহানগর যুবলীগের পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান রাসেল সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশক্রমে করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। নগরবাসী ফোন করলেই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের বাসাবাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন। হাসপাতালে নেওয়ার জন্য রয়েছে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। এ ছাড়া আর্থিক সহায়তা প্রদান ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। টঙ্গী আরিচপুর এলাকার প্রবীণ শ্রমিক নেতা মতিউর রহমান (বিকম) মতি বলেন, গাজীপুর মাটি ও মানুষের নেতা সৎ ও আদর্শবান রাজনৈতিক ব্যক্তি প্রয়াত এমপি শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে জাহিদ আহসান রাসেলও তার বাবার মতো জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, যার যার অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এক বছর আগে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ অফিসের অফিস সহকারী আবদুল মতিন চাচা মারা যান। তখন তার জানাজায় গিয়ে জানতে পারলাম তার পরিবারের লোকজনের থাকার ঘর নেই, জায়গা নেই। আমি সে সময়ই জায়গা ও ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ নেই। পরে আমি নিজ তহবিল ও দলের নেতা-কর্মীর সহযোগিতা নিয়ে ৯ লাখ টাকা অনুদান দেই। এই টাকা দিয়ে তারা এক টুকরা জমি কিনে ঘর করে থাকতে পারবেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় সরকারি অনুদান ছাড়া অসহায়দের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছি এবং আগামী দিনেও ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ খবর