বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

পায়ের যত্ন ‘ফুট ফেশিয়াল’

পায়ের যত্ন ‘ফুট ফেশিয়াল’

ছবি : সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পায়ের যত্নে মাসে একবার হলেও পেডিকিওর করা প্রয়োজন। তবে খরচের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট স্টাইলক্রেজ এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছে, এক্ষেত্রে ‘ফুট ফেশিয়াল’ সেরা। এ বিষয়ে নিউ ইয়র্কয়ের  মেডিকেল পেডিকিওরিস্ট মার্সেলা কোরেয়া বলেন, বিভিন্ন ধাপের সমন্বয়ে ফুট ফেশিয়াল করতে হয়। যা কি না নখের আগা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত বিস্তৃত।

 

উপকারিতা : বিশেষজ্ঞ অ্যানি শার্কি বলেন, শুষ্ক, ফাটা চামড়ার কারণে নানান রকম অসুখের পাশাপাশি ফাঙ্গাস ও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। যা পা, পায়ের আঙুল ও নখের রোগ বাড়িয়ে দিতে পারে। পা সবসময় পরিষ্কার রাখা, এক্সফলিয়েট করা ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার পায়ের ত্বকের আবরণকে সুরক্ষিত রাখে।

 

কতদিন পরপর করা উচিত : যুক্তরাষ্ট্রে টেনেসির পা, আঙুল ও নখের রোগ বিশেষজ্ঞ টেক্স সং জানান, প্রতি দু-এক মাস পরপর একবার ফুট ফেশিয়াল করা উচিত। তিনি আরও বলেন, কাজের জন্য যাদের পায়ে বেশি চাপ পড়ে, তাদের উচিত হবে একটু বেশি করা। এতে পায়ের ব্যথা ও অস্বস্তি দূর হবে।

 

ফুট ফেশিয়ালের পদ্ধতি

ধাপ ১ : সাবান পানি দিয়ে পায়ের পাতা পরিষ্কার করার পর, পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে খানিকটা এপসম সল্ট গুলিয়ে নিতে হবে।

ধাপ ২ : মৃদু ঘষে এক্সফলিয়েট করতে হবে। এক্ষেত্রে রাসায়নিক ও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এক্সফলিয়েট করলে উপকার বেশি হবে। এক্ষেত্রে ‘সি সল্ট’ ব্যবহার করা ভালো।

ধাপ ৩ : পায়ের পাতার বিশেষ কোনো সমস্যা থাকলে সেদিকে নজর দিতে হবে। যেমন- শুষ্ক ও ফাটা গোড়ালির জন্য ব্যবহার করতে হবে ‘গোড়ালিতে মাখার বাম’ কিংবা লোশন। কিউটকলের দিকেও নজর দিতে হবে।

ধাপ ৪ : এবার পুরো পায়ের পাতা জুড়ে ভালো মতো ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে। বাজারে নানান ধরনের পায়ের জন্য ঘন ‘ফুট ক্রিম’ পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারলে ভালো। নইলে সাধারণ ময়েশ্চারাইজার দিয়েও কাজ হবে। উপকার পাবেন।

 

তথ্যসূত্র : স্টাইলক্রেজ

সর্বশেষ খবর