ওয়েস্টার্ন আউটফিট মানেই ক্যাজুয়াল। আর ক্যাজুয়াল স্টাইলে নেই কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম। তবে মানানসই না হলে সব আয়োজনই ফিকে। পাশ্চাত্যের রং-ঢং এখন ফ্যাশন দুনিয়ায় রমরমা। পাশ্চাত্য পোশাকে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন অনেকেই। অফিস বা পার্টিতে তো বটেই, অনেকেই আবার সারা দিনের দৌড়ঝাঁপেও ওয়েস্টার্ন পোশাকগুলোই বেছে নেন।
সময়টা এখন হালকা গরম আর হালকা ঠান্ডার দখলে। এমন আবহাওয়ায় পরিহিত পোশাকটির সঙ্গে ঘাম আর মাঝেমধ্যের বৃষ্টির পানি একসঙ্গে শত্রুতা করে। তাই উপযুক্ত ফেব্রিক্সের ওয়েস্টার্ন আউটফিটই বেছে নেওয়া উচিত। তাছাড়া কাপড়ের রংটিও হতে হবে চোখে স্বস্তি জাগানো। সাদার ওপরে লাল কটি, পরনে ডেনিম আর হাইহিলের স্টাইলে সঙ্গে জুড়ে নিতে পারেন স্টাইলিশ ঘড়ি, ট্রেন্ডি গগজ এবং অন্যান্য এক্সেসরিজ। চুলের স্টাইলে আনতে পারেন ক্যাজুয়ালি ভাব। তবেই আপনার ফ্যাশন হবে বাজিমাত।
নিজেকে ট্রেন্ডি লুকে উপস্থাপন করতে নিতে পারেন ফিটিং টিউনিক টপস, স্টাইলিশ কুর্তি। এ ছাড়াও ইদানীং তরুণীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কুর্তি, টপস, কাপ্তান, শার্ট, রং-বাহারি টি-শার্ট। আর ওয়েস্টার্ন আউটফিটের সেই তালিকা থেকে বাদ যায় না মোলায়েম কাপড়ের সালোয়ার-কামিজ বা সিঙ্গেল কামিজও। তরুণীদের চাহিদা ও সুবিধা অনুযায়ী ওয়েস্টার্ন আউটফিট জায়গা করে নিয়েছে। তাই ফ্যাশন দুনিয়ায় ওয়েস্টার্ন আউটফিট এখন রমরমা।
হালকা গরম, এই সময় টি-শার্টই হতে পারে একদম ফিট। ডেনিমের সঙ্গে স্মার্ট টি-শার্টে হয়ে উঠতে পারেন সবার চেয়ে আলাদা। বাজারে নানা কাটের নজরকাড়া টি-শার্ট পাওয়া যাচ্ছে। কোনোটি কোমরের সামান্য নিচে আবার কোনোটি প্রায় হাঁটু ছুঁই ছুঁই। কেবল ভিন্ন থাকে কালার, ডিজাইন আর প্যাটার্নে। এর ওপর জড়িয়ে নিতে পারেন আঁকাবাঁকা ধাঁচের স্টাইলিশ কটি। রং-বাহারি এসব কটিতে বাজার এখন সয়লাব। শুধু আপনার পছন্দের ফেব্রিক্সটি বেছে নিতে পারলেই হলো।
ওয়েস্টার্নের দলে যোগ হয়েছে নানা রকমের কুর্তি। দেশি ঐতিহ্যের মনে হলেও প্রত্যেকটির কাটিং-ফিটিংয়ে থাকে নানা বৈচিত্র্য। এসব কুর্তি ঘরে-বাইরে দুই জায়গায়ই বেশ মানানসই। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের কম্বিনেশনে তৈরি টপসও বাদ যায় না ওয়েস্টার্ন দুনিয়া থেকে। তবে খাটো কিংবা লম্বা লেন্থেই শুধু পার্থক্য। বডিফিটিং বা লুজ ফিটিংসের থ্রি-কোয়ার্টার এবং শর্ট স্লিভের হয়ে থাকে। একটি ভালো মানের টপস পরে কোথাও বেড়াতে গেলে বেমানান লাগে না, অফিসেও চলছে বেশ।
ক্রপ টপ বা স্লিভলেস টপের ওপর জড়িয়ে নিতে পারেন শ্রাগ। ওয়েস্টার্ন দুনিয়াজুড়ে এখন বেশ ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে দেশি ঐতিহ্যের সালোয়ার-কামিজ। পুরো দেশি আবহ না রেখে এসব পোশাকের ডিজাইন আর কাটিং-ফিটিংয়ে কিছুটা পার্থক্য তো আছেই। ভিন্ন কাটের সালোয়ার-কামিজ পুরো লুকই বদলে দিতে বাধ্য। পার্টি কিংবা যে কোনো অনুষ্ঠানে বেশ উপযুক্ত। তবে সিঙ্গেল কামিজে লম্বা জিপার বা চেইন পুরো কামিজকেই করেছে দেশি সংস্কৃতি থেকে আলাদা। ডেনিম কিংবা গ্যাবার্ডিন ছাড়াও টাইলস বা পাল্লেজোর সঙ্গে বেশ মানানসই। এ ছাড়াও গাউন বা স্কার্টও পরতে পারেন যুৎসই মতো। টপ বা ফুল স্লিভস স্লিট ব্লাউজে হয়ে উঠতে পারেন ট্রেন্ডি। পার্টিতে নিজেকে সাজাতে পারেন হাই স্লিট গাউনে। অফ শোল্ডার বা কাটআউট শোল্ডারের সঙ্গে টিম আপ করুন হাই স্লিট স্কার্ট। স্পোর্টি ওয়্যারও এখন বেশ জমে উঠেছে।
ওয়েস্টার্ন আউটফিটে ফরমাল বা ক্যাজুয়াল ড্রেস যাই হোক না কেন, ড্রেসের ধরনের পাশাপাশি মেকআপ হতে হবে দিনরাতের ওপর নির্ভর করে। দিনের বেলায় ক্যাজুয়াল ড্রেসের মেকআপ হওয়া চাই হালকা। আর ফরমাল পোশাক পরলে মেকআপে মিশ্রভাব রাখতে পারেন। দিনে চুল খোলা হলেই ভালো। রাতে নিতে পারেন নির্দিষ্ট কোনো স্মার্ট হেয়ার স্টাইল। প্রয়োজন মানানসই এক্সেসরিজ। শুধু ফেব্রিকে নজর দিলেই হবে না। সঠিক এক্সেসরিজও জরুরি। না হলে আউটফিটের স্মার্টনেস হারিয়ে যাবে। ওয়েস্টার্ন আউটফিটে পরতে পারেন লং লকেট চেইন, পুঁতি কিংবা ওজের অর্নামেন্টস, স্টাইলিশ ঘড়ি, চোখে গগজ কিংবা স্মার্ট কোনো ফ্রেমের চশমা।
লেখা : ফেরদৌস আরা