প্রচণ্ড গরমে ত্বক খোঁজে শান্তি। এমন দিনে মসৃণ ও সতেজ ত্বকের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তির মূলমন্ত্র হলো- টোনার। ত্বক পরিষ্কার, মসৃণ আর উজ্জ্বল করে তুলতে এর জুড়ি মেলা ভার। এ টোনিংই সুস্থ, মসৃণ, টান টান ত্বকের চাবিকাঠি। তবে এ ক্ষেত্রে ত্বকের ধরন বুঝে টোনার ব্যবহার করতে হবে। যদিও টোনিং সম্পর্কে জানার পরও অনেকে তা মানেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে- এটা অত্যন্ত জরুরি।
এ প্রসঙ্গে ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের পরিচালক ও বিশিষ্ট রূপ বিশেষজ্ঞ ফারনাজ আলম বলেন, ‘বাজারে নানান ধরনের টোনার পাওয়া যায়। বিউটি প্রোডাক্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ত্বকের ধরন বুঝে টোনার তৈরি করে থাকেন। তবে কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্টের চেয়ে ঘরে তৈরি টোনার বেশি কার্যকরী। আর সব উপকরণ মিলবে আপনার হাতের কাছেই।’
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজে ময়লা জমে। ফলে ব্রণের পাশাপাশি নানা সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকে তখন জেদি দাগ দেখা দেয়। বেকিং সোডা এক চা চামচ ও গোলাপজল দুই চা চামচ মেশান। চাইলে বোতলে ভরে ফ্রিজার করে রাখতে পারেন। এবার তুলো নিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগান। পাঁচ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুবার করে ব্যবহার করতে পারেন। এটি তৈলাক্ত ত্বকে দ্রত কাজ করে। ত্বক দেখায় উজ্জ্বল।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের ঝামেলা কম হলেও এ ধরনের ত্বক দেখতে ভালো লাগে না। আর্দ্রতা না থাকায় ত্বক দেখায় রুক্ষ। ফলে বার্ধক্য এবং বলিরেখা চেপে বসে। ত্বকে নিয়মিত টোনার ব্যবহারে এমন সমস্যার সমাধান পাবেন। এক চা চামচ গ্লিসারিন ও চার চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে আগে মুখ ধুয়ে মুছে নিন। তারপর তুলো টোনারে ভিজিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট রাখুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। রোজ দুবার করে টোনার লাগাতে পারেন। ত্বক ফিরে পাবে উজ্জ্বলতা; নরম ও মসৃণ।
সংবেদনশীল ত্বক
সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারীদের যত্নের বেলায় থাকতে হয় খুবই সচেতন। যে কোনো প্রসাধনী ব্যবহারের আগে সে প্রসাধনীর খুঁটিনাটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। অন্যথায় ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। আধা কাপ ঠান্ডা দুধের সঙ্গে তিন চামচ গোলাপজল মেশান। তুলো দিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট পর ভালো কোনো ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। দিনে একবার এ টোনার ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক হবে সতেজ ও উজ্জ্বল।
তবে মনে রাখুন, টোনার ব্যবহার করতে হয় তুলোর সাহায্যে। টোনিং শেষে মুখ ধুয়ে হালকা ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগান।
লেখা : সাদিয়া সারা