শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১

চট্টগ্রামের শতবর্ষী নান্দনিক স্থাপনা

রেজা মুজাম্মেল
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
চট্টগ্রামের শতবর্ষী নান্দনিক স্থাপনা

চট্টগ্রামে শতবর্ষী প্রাচীন স্থাপনা হাতেগোনা মাত্র নয়টি। তবে কিছু স্থাপনা ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্থাপত্যশৈলী, নির্মাণে নৈপুণ্যতা, আনন্দ-বেদনার স্মৃতিময় এবং ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে সবার কাছে দেদীপ্যমান। সিংহ ভাগ স্থাপনাই দ্বিতল বিশিষ্ট। তদুপরি মুঘল আমলের স্থাপনাগুলো কালনিরবধি স্থাপত্যশৈলীর দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছে। আপন আলোয় উদ্ভাসিত স্থাপনাগুলো মানুষের মনের মণিকোঠায় স্থান করে রেখেছে সুদীর্ঘকাল ধরে। কালের আয়নায় সরব থাকে স্থাপনাগুলোর আবেদন-নিবেদন। চট্টগ্রামের এমন কটি স্থাপনা নিয়ে এবারের রকমারি আয়োজন

 

ভারতের রাইটার্স বিল্ডিংয়ের আদলে আদালত ভবন

মুঘল আমলের স্থাপত্য। ব্রিটিশ স্থাপত্যশৈলীর অনুপম নিদর্শন। ১৩০ বছর পরও স্বগৌরবে প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে ভবনটি। এটি চট্টগ্রামের আদালত ভবন হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত। বর্তমানে এটি বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।

১৮৯৩-৯৪ সালে কলকাতার প্রশাসনিক ভবন রাইটার্স বিল্ডিংয়ের আদলে পরীর পাহাড়ে ইংরেজ ও মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর সমন্বয়ে ৫ লাখ ৬৫ হাজার ৩৭২ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় দ্বিতল বিশিষ্ট কোর্ট বিল্ডিং, আদালত ভবন। কারুকার্য সংবলিত অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন এ ভবনের দক্ষিণ দিক থেকে দুই গম্বুজবিশিষ্ট অংশ বিশেষ অনেকটা ইংরেজি ‘ড’ আকারের দ্বিতল, উত্তর দিক থেকে ‘ঞ’ আকারের, অংশবিশেষ ত্রিতল, পূর্বদিক থেকে ‘খ’ আকারের মনে হয়। বিভিন্ন দিক থেকে এই ভবনকে ভিন্ন ভিন্ন ভবন বলে মনে হয়। বিশাল এ ভবনে আছে ১৫০টির মতো কক্ষ। পলাশীর যুদ্ধের ১৯ বছর পর ১৭৭৬ সালে ফ্রান্সিস লো নামের এক ব্রিটিশ শাসক সর্বপ্রথম চট্টগ্রামের শাসনভার গ্রহণ করেন। ইংরেজ আমলের শুরুতে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল মাদরাসা পাহাড়ে (ড. মুহাম্মাদ এনামুল হক সড়কের পশ্চিম দিকের পাহাড়কে মাদরাসা পাহাড় বলা হতো)। মুঘল আমলে চট্টগ্রাম শহর বলতে বোঝানো হতো-কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, চকবাজার, চন্দনপুরা, আন্দরকিল্লা, জামালখান ও রহমতগঞ্জ এলাকাকে। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানি শাসন ও রানী ভিক্টোরিয়ার রাজত্বকালে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কেন্দ্র ‘আলা সদর আমিন আদালত’ ছিল মাদরাসা পাহাড়ে। এর পশ্চিম দিকের পাহাড়ে ছিল সদর মুনসেফি ও অন্য একটি আলা সদর আদালত। পরে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে সম্প্রসারিত হয় শহর। দক্ষিণে বাড়তে থাকে শহরের পরিধি। প্রয়োজন পড়ে অফিস-আদালত সম্প্রসারণের। পরে নানা বিবেচনায় পরীর পাহাড়কে নির্বাচন করা হয়। ইংরেজরা পাহাড়ের নাম পরিবর্তন না করে ইংলিশ অনুবাদে ‘ফেয়ারি হিল’ নামকরণ করেন। তখন পাহাড়টি ছিল জন হ্যারি নামক এক পর্তুগিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। জঙ্গলাকীর্ণ এ পাহাড়ে তখন একটি কুঠির ছিল। এই কুঠিরে পর্তুগিজদের পরিচালিত একটি ছোট চিকিৎসা কেন্দ্র থাকার কথাও জানা যায়। ব্রিটিশ শাসনামলে বুলক ব্রাদার্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। ব্রিটিশ শাসন শুরুর পর মি. ট্যাঙরা নামের এক ইংরেজ ক্যাপ্টেন জন হ্যারি থেকে পরীর পাহাড়টি ক্রয় করেন। মি. ট্যাঙরা থেকে পাহাড়টি ক্রয় করেন মি. প্যারেডা নামের এক ব্যক্তি। সম্ভবত এসব ক্রয়-বিক্রয় ও হস্তান্তর হয় ১৮৫০ সালের আগে। পরে পটিয়া থানার ছনহরা ইউনিয়নের বাসিন্দা জাহাজ ব্যবসায়ী ও জমিদার অখিল চন্দ্র সেন তৎকালীন সময়ে ৯ হাজার টাকায় মি. প্যারেডার কাছ থেকে পরীর পাহাড় কিনে নেন। ১৮৮৯ সালে অফিস-আদালত ভবন নির্মাণে অখিল চন্দ্র সেনের কাছ থেকে ব্রিটিশ সরকার এই পাহাড় হুকুম দখল করে। ১৮৯৩-১৮৯৪ সালে প্রায় ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ২০২ বর্গফুট আয়তনের লাল রঙের দ্বিতল ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এরপর অফিস-আদালত নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর পরীর পাহাড়ও আস্তে আস্তে হয়ে ওঠে কাচারি পাহাড় বা কোর্ট হিল। ১৯৫৩ সালে ভবনের ওপরে আরও এক তলা নির্মাণ করা হয়। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এখানে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৭১১ বর্গফুট আয়তনের নতুন আদালত ভবন নির্মাণ করা হয়।

প্রথম দিকে পাহাড়কে বলা হতো ‘কালেক্টরেট বিল্ডিং’। তবে এর আদি নাম ‘পরীর পাহাড়’। বর্তমানে এটি কোর্ট হিল বা কোর্ট বিল্ডিং নামে পরিচিত। এখানে আছে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এ পাহাড়ের শীর্ষ থেকে দেখা যায় নয়নাভিরাম চট্টগ্রাম, কর্ণফুলী নদী ও চট্টগ্রাম বন্দর। পাহাড়ের পাদদেশ ধরে আছে জেনারেল পোস্ট অফিস, মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল, নিউমার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

 

রুচিশীল নির্মাণশৈলীর সার্কিট হাউস

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস। দেখতে নজরকাড়া। দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী। বিস্তৃত পরিসর। রুচিশীল নির্মাণশৈলী। টেকসই অবকাঠামো। বাইরে থেকে দেখলেই ভবনের এতসব গুণাবলি দৃশ্যমান। চট্টগ্রাম নগরের প্রাণকেন্দ্র কাজীর দেউড়ি এলাকায় ব্রিটিশ আমলে ১৯১৩ সালে সার্কিট হাউসটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এটি এক প্রাসাদোপম অট্টালিকা। ঐতিহাসিক স্থাপনা। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এটি পরিচালনা করে। ব্রিটিশ আমল থেকেই এটি সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন। ভবনটি অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। স্থাপত্যশৈলী ও ঐতিহাসিক নানা কারণে এটি এখন চট্টগ্রামের প্রাচীন ঐতিহ্য। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এটিকে ব্যবহার করত সাধারণ বাঙালি ও মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে। অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল এখানে। তদুপরি ঐতিহাসিক অনেক ঘটনার নীরব সাক্ষীও এ সার্কিট হাউস। ১৯৫৪ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার এই সার্কিট হাউস থেকেই শুরু হয়েছিল। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন ঘটনাবলির ছবি দলিল এখানে সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে এখানে আছে ৫০ আসন বিশিষ্ট একটি কনফারেন্স রুম। আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি ভিআইপি ডাইনিং রুম ও ৩৫ আসনের কমন একটি ডাইনিং রুম। ভিআইপি রুমের মধ্যে আছে শাপলা, কর্ণফুলী, শিমুল, চাপা, জবা, বকুল, কেয়া, পলাশ, টগর ও ঊর্মি। আছে ননভিআইপি আটটি কটেজ।

সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষটিতে প্রায় প্রতিদিনই সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিগুলোর আয়োজন করা হয়। তাছাড়া চট্টগ্রামে সরকারের মন্ত্রী এবং উচ্চপর্যায়ের নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত প্রণয়নে বৈঠকগুলোও এ সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত হয়। ফলে সার্কিট হাউসটি কেবল ইট-কংক্রিটের একটি দালান নয়। বরং এটি ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রাচীন স্থাপত্য, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং দেশ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ভবন। প্রায় প্রতিদিনই রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলো হয় প্রাচীন এ স্থাপনায়।

 

পাহাড়ের চূড়ায় শতবর্ষী সিআরবি বিল্ডিং

সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি)। পাহাড়ের ওপর লাল দালান। দৃষ্টিনন্দন মুঘল স্থাপত্য। ভবনের নিচে আঁকাবাঁকা পথ। উঁচু-নিচু পাহাড়। পাহাড়ের পথে পথে আছে শতবর্ষী বৃক্ষ। বৃক্ষের ছায়ায় শান্তির পরশে আশ্রিত হন পথচারী। ক্লান্ত-শ্রান্ত মানুষ ফেলে স্বস্তির নিঃশ্বাস। বলা যায়, ইট-কংক্রিটের নাগরিক জীবনে মুক্ত নিঃশ্বাসের আঙিনা। পাহাড়ের চূড়ায় শতবর্ষী সিআরবি বিল্ডিংটি এখন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। রেলপথ মন্ত্রণালয় ঢাকায় অবস্থিত হলেও রেলওয়ে পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয় এই সিআরবি থেকেই। উপরন্তু দেশের সিংহ ভাগ রেলপথ নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও মেরামত-সংস্কার কাজ এই সিআরবির অধীনেই পরিচালিত হয়। ১৮৬২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তদানীন্তন পূর্ববঙ্গের দর্শনা থেকে জাগতি পর্যন্ত ৫৩ দশমিক ১০ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এর মাধ্যমে এতদাঞ্চলে রেলপথের গোড়াপত্তন হয়। ১৮৯১ সালে এটি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসে। ১৮৯২ সালের ১৬ নভেম্বর গেজেট মূলে ফেনী থেকে চট্টগ্রামের বটতলী পর্যন্ত রেলওয়ে সম্প্রসারিত হয়। তখন আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য পূর্ববঙ্গের চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় রেল ভবন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চট্টগ্রামের ভৌগোলিক অবস্থান ও চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন সুবিধাকে রেলওয়ের সঙ্গে সমন্বিত করার লক্ষ্যে ১৮৯৯ ইংরেজি সালে সিআরবি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৪৭ সালের পর পাকিস্তান পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে নামে পরিচিত হয়। বর্তমানে এটি সিআরবি হিসেবেই সমধিক পরিচিত।

সিআরবির পাহাড়ের ওপরে আছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান কার্যালয়, সুদৃশ্য বাংলো, রেলওয়ে ক্লাব, কর্মচারীদের আবাসিক ভবন, রেলওয়ে হাসপাতাল। সিআরবির সড়কের পূর্বে আছে রেলওয়ে হাসপাতাল, এটি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৪ সালে।  

সিআরবির প্রধান আকর্ষণের কেন্দ্রে আছে দৃষ্টিনন্দন শিরীষতলার মাঠ এবং সাতরাস্তা মাথার মোড়। এ শিরীষতলায় প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ, বসন্ত উৎসব, পয়লা ফাল্গুনসহ চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যগত উৎসবসমূহ। তাছাড়া সাতরাস্তার মোড় ঘিরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে। আছে মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেওয়া শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের স্মৃতিফলক। আছে, ১৮৯৯ সালে তৈরি করা বাষ্পীয় রেল ইঞ্জিনের মডেল।

 

শতবর্ষী সাংস্কৃতিক আঙিনা জে এম সেন হল

উনিশ শতকের দ্বিতীয় দশক। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনও দানা বাঁধছে। মুক্তিকামী মানুষ স্বাধীনতার জন্য উদগ্রীব। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে সোচ্চার সাধারণ মানুষ। সেই সময়ে চট্টগ্রামবাসীর জন্য প্রয়োজন হয় একটি মিলনমেলার। স্বাধীনতা সংগ্রামী ও স্বাধিকার প্রেমী জনসাধারণের সম্মিলনের জন্য ১৯১৬ সালের ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগরীর রহমতগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হয় জে এম সেন (যাত্রা মোহন সেন) হল। লাল ইটের তৈরি টিনের ছাউনি দেওয়া এই জে এম সেন হলেই সংবর্ধিত হয়েছিলেন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনায় আটক ও পরে মুক্তি পাওয়া বিপ্লবীরা। এ ভবন থেকেই শুরু হয় চট্টগ্রামের অসহযোগ আন্দোলন। আন্দোলনে যোগ দেওয়া চা-শ্রমিকদের ওপর ব্রিটিশ পুলিশ গুলি চালালে সংহতি জানানো রেল শ্রমিকরা এ ভবন ও আশপাশের এলাকাতেই তাঁবু টানিয়ে ধর্মঘট চালান। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ ইতিহাসের নানা বাঁকে সাক্ষী চট্টগ্রামের প্রথম টাউন হল-খ্যাত শতবর্ষী জে এম সেন হল।

শুরুর দিকে আন্দোলন-সংগ্রামের মানুষের মিলনমেলা হলেও সময়ের আবর্তনে এটি হয়ে ওঠে চট্টগ্রামের মানুষের প্রিয় সাংস্কৃতিক অঙ্গন। ১০৫ বছর (১৯১৬-২০২১) ধরে এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে নানা বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কালের ব্যবধানে সংস্কৃতি কর্মীদের কাছেও এটি হয়ে ওঠে প্রিয় আঙিনা। তবে পরবর্তীতে সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন উদ্যোগে অন্যান্য সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হলে পর্যায়ক্রমে এ হলে কমে আসে অনুষ্ঠানের সংখ্যা। জে এম সেন হল চট্টগ্রামের প্রথম টাউন হল। যাত্রা মোহন সেন ১৮৭৫ সালে ‘দি চিটাগাং এসোসিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন ও একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন। ১৯১৪ সালে তিনি হলের জন্য একটি জায়গা ও ৩ হাজার টাকা অনুদান দেন। এরপর ১৯১৬ সালের ১৯ নভেম্বর শরৎচন্দ্র দাশ রায় বাহাদুর এই জায়গায় টাউন হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তৎকালীন প্রথিতযশা ব্যারিস্টার, কলকাতার মেয়র ও জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট যতীন্দ্র মোহন সেন তাঁর পিতা বরেণ্য আইনজীবী যাত্রা মোহন সেনের স্মৃতিতে এই মিলনায়তনের নামকরণ করেন জে এম সেন হল। পরে ১৯২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রায় বাহাদুর নবীন চন্দ্র দত্ত এই হলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে, স্বাধীনতা-সংগ্রামী ও স্বাধীনতাকামী মানুষের মতবিনিময় বা মিলনস্থল হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এই মিলনায়তনেই কবিয়াল সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ আমল থেকে সাম্প্রতিক কাল পর্যন্ত এই মিলনায়তন চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

শতবর্ষী এ হলে আগমন করেন উপমহাদেশের অহিংস আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধী, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা মাস্টার দা সূর্যসেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সারথি, শের-ই-চট্টগ্রাম উপাধিতে ভূষিত কাজেম আলী মাস্টার, একাত্তর পরবর্তীতে আসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিরা। 

হলটি এখনো কালের সাক্ষী। হল প্রাঙ্গণের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এখনো আবক্ষমূর্তিতে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক মাস্টার দা সূর্যসেন, আইনজীবী-কংগ্রেস নেতা যাত্রা মোহন সেনগুপ্ত, কংগ্রেস নেতা যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নেলী সেনগুপ্তা ও রাজনীতিবিদ-সাংবাদিক মহিমচন্দ্র দাশ।

 

সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে শতবর্ষী ঐতিহ্যে কে সি দে ইনস্টিটিউট

মুঘল আমল থেকে ঢাকার পরই চট্টগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ একটি নগর। সংস্কৃতি চর্চাসহ সব ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা ছিল এই বাণিজ্যিক শহরের। কিন্তু চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনার মতো উপযুক্ত মিলনায়তনের সংকট ছিল। তখন ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত জে এম সেন হলই ছিল একমাত্র টাউন হল। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে নালাপাড়া এলাকায় চট্টগ্রামের প্রথম মিলনায়তন কমলাবাবুর থিয়েটার স্থাপিত হয়। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে চট্টগ্রামের পরীর পাহাড়স্থ পর্তুগিজ আমলের প্রশাসনিক ভবন সংস্কার করে ব্রিটিশ সরকার। এ ভবনে ডিভিশনাল হেড কোয়ার্টার ও ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার হেড কোয়ার্টার করে ডিভিশনাল কমিশনার অফিস, ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ও ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্র্রেট অফিস স্থাপন করে। এ দুই অফিসের তৎকালীন ননগেজেটেড অফিসারদের সমন্বয়ে ‘ননগেজেট অফিসার্স ক্লাব’ নামে ১৯১৩ সালে একটি সংস্কৃতি বিষয়ক ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৫ সালে এ ক্লাবের সদস্যদের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার কেসি দের (কিরণ চন্দ্র দে) নির্দেশনায় তৎকালীন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর মি. জিপি হগ চট্টগ্রাম টাউন খাস মহলের অধীনে ৪০ শতক খিলা শ্রেণির সরকারি খাস জমি ক্লাবের অনুকূলে কবুলিয়তনামা প্রদান করেন। সেই সময় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া স্থাপনাটি কালের পরিক্রমায় এটি এখন চট্টগ্রামে শতবর্ষী ঐতিহ্য। ক্লাবের সদস্যরা এ জমি পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনারের স্মরণে ‘ননগেজেটেড অফিসার্স ক্লাব’ নাম পরিবর্তন করে ক্লাবের নামকরণ করা হয় ‘কে সি দে ইনস্টিটিউট’। তৎকালীন সরকারের ফিন্যান্স মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৯৫১ সালে প্রকাশিত গেজেটের মিনিস্টেরিয়াল অফিসে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণির পদকে অফিসার্স হিসেবে উল্লেখ করায় তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনতন্ত্র সংশোধন করে কে সি দে ইনস্টিটিউট ক্লাবের সঙ্গে অফিসার্স শব্দটি সংযোজন করে কে সি দে ইনস্টিটিউট (অফিসার্স ক্লাব) নামকরণ করা করা হয়। বর্তমানে এটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুছ। প্রসঙ্গত, কে সি দে ছিলেন কলকাতার সন্তান। তিনি প্রথম ভারতীয় বিভাগীয় কমিশনার। কে সি দে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি আইসিএস ক্যাডার হয়ে ভারতবাসীর জন্য প্রশংসা অর্জন করেন। তাঁর কর্মদক্ষতা দেখে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে সিআইই উপাধি দেয়। কে সি দে চট্টগ্রামের অভিজাত ক্লাব সিনিয়রস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। চট্টগ্রাম নগরে তাঁর নামে আছে, ‘কে সি দে রোড’।

 

কবিগুরুর স্মৃতিধন্য পুরনো রেলওয়ে স্টেশন

চট্টগ্রাম নগরের প্রাণকেন্দ্র পুরনো রেলওয়ে স্টেশন। এই রেলস্টেশনে এসেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৭ সালের ১৭ জুন চট্টগ্রাম পুরনো রেলস্টেশনে (বটতলী স্টেশন) আসেন তিনি। দুই দিন চট্টগ্রামের কবি-সাহিত্যিকদের সঙ্গে বসা, সংবর্ধনা এবং অনুষ্ঠানে গান গেয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছিলেন। পর দিন ১৮ জুন এই স্টেশন থেকেই ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম ছাড়েন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিন্তু এখন আর অবশিষ্ট নেই কবিগুরুর আসার সেই সময়ের কোনো স্মৃতিচিহ্ন। সময়ের আবর্তনে হারিয়ে গেছে একমাত্র বাঙালি নোবেলজয়ী সাহিত্যিকের ১১৪ বছর আগের স্মৃতি স্মারক। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন। এটি পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন নামেও পরিচিত। ইংরেজ শাসনামলেই তৈরি এটি। ১৮৯২ সালের ১৬ নভেম্বর গেজেট মূলে ফেনী থেকে চট্টগ্রামের বটতলী পর্যন্ত রেলওয়ে সম্প্রসারিত হয়। তখন আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য পূর্ববঙ্গের চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় রেলভবন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৮৯৯ ইংরেজিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় সিআরবি। হয়তো তখনই পুরাতন স্টেশন ভবনটি নির্মিত হয়। ভবনটি পূর্ব-পশ্চিমে দৈর্ঘ্য। ভবনটির আয়তন পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রায় ৫৬ দশমিক ২৪ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ দশমিক ৩৭ মিটার প্রস্থ। এটি দ্বিতল ভবন। ভবনের নিচতলায় ব্যবসায়িক স্থান এবং দ্বিতীয় তলায় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের আবাসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। ভবনটির পরতে পরতে আছে মুঘল আমলের স্থাপত্যশৈলী। ভবনের টেকসই কাঠামো, ডিজাইন, প্রশস্ত দেয়ালের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ সব মিলিয়ে মুঘল আমলের নান্দনিক স্থাপনার রূপ ছড়াচ্ছে ভবনটি। তবে কালের পরিক্রমায় ফিকে হয়ে গেছে ভবনটির চাকচিক্য, মুঘল আমলীয় জৌলুস। পুরনো রেলওয়ে স্টেশন ভবনের দোতলায় ছিল রেলওয়ের গেস্ট হাউস, প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের বিশ্রামাগার, ক্যাফেটেরিয়া। বেশ জমজমাট ছিল সেই ক্যাফেটেরিয়া। সব সময়ই মানুষের পদচারণায় মুখর থাকত। তবে সময়ের পরিবর্তনে রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম এখন পরিচালিত হচ্ছে নতুন স্টেশন থেকে। বর্তমানে পুরাতন স্টেশন থেকে পরিচালিত হয় শুধু ট্রেনের অপারেশনাল কার্যক্রম। বাণিজ্যিক সব কার্যক্রম পরিচালিত হয় নতুন স্টেশন থেকে।

এই বিভাগের আরও খবর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
ভাওয়াল রাজার দিঘি
ভাওয়াল রাজার দিঘি
সর্বশেষ খবর
ভারতে নারীদের ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি, মৃত্যুহার বেশি পুরুষের
ভারতে নারীদের ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি, মৃত্যুহার বেশি পুরুষের

২ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন প্রধান উপদেষ্টার
ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন প্রধান উপদেষ্টার

১৩ মিনিট আগে | জাতীয়

চাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর চবি, দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ১৪১ প্রার্থী
চাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর চবি, দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ১৪১ প্রার্থী

১৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন
দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন

২৭ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

‘ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য’
‘ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য’

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের
ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মানিকগঞ্জে এবার ৫৫৩ মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন
মানিকগঞ্জে এবার ৫৫৩ মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারে এক লাখ ৭০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৩
কক্সবাজারে এক লাখ ৭০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৩

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উজানে বৃষ্টিপাত, সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি
উজানে বৃষ্টিপাত, সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’
‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্যারিসে জমকালো আয়োজনে শুরু টেক্সটাইল সোর্সিং মেলা ২০২৫
প্যারিসে জমকালো আয়োজনে শুরু টেক্সটাইল সোর্সিং মেলা ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খুলনায় চুরি হওয়া নবজাতক ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার
খুলনায় চুরি হওয়া নবজাতক ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুমিল্লায় চুন কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ৮ শ্রমিক কারাগারে
কুমিল্লায় চুন কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ৮ শ্রমিক কারাগারে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গেল চলন্ত ট্রাক, নিহত ৩
ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গেল চলন্ত ট্রাক, নিহত ৩

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে: চসিক মেয়র
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে: চসিক মেয়র

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হাইতিতে গ্যাং হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক
হাইতিতে গ্যাং হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’
‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিনিয়োগ পেতে পরামর্শকের কথায় বিদেশে প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারিত উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা
বিনিয়োগ পেতে পরামর্শকের কথায় বিদেশে প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারিত উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস
পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিকি-ক্যাটরিনার ঘরে আসছে নতুন অতিথি
ভিকি-ক্যাটরিনার ঘরে আসছে নতুন অতিথি

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে
দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন