শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪

পৃথিবীর বৃহত্তম যত বাঁধ

Not defined
পৃথিবীর বৃহত্তম যত বাঁধ

ড্যাম কিংবা বাঁধ; মনুষ্যসৃষ্ট সবচেয়ে বড় কাঠামোগুলোর মধ্যে অন্যতম। যেখানে নদীর পানি সঞ্চয় থেকে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, নানা ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে বিশ্বের অসংখ্য দেশ বিশালাকার বাঁধ নির্মাণ করে থাকে। বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তম বাঁধের মধ্যে চীন এবং রাশিয়ার প্রতিটিতে দুটি বাঁধ রয়েছে; যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিল এবং ভেনিজুয়েলায় রয়েছে একটি। আমেরিকার গ্র্যান্ড কোলি বাঁধ থেকে শুরু করে চীনের থ্রি জর্জেস ড্যাম; এবং কানাডার রবার্ট বুরাসা পর্যন্ত এখানে বিশ্বের ১০টি মেগা বাঁধের তালিকা দেখানো হলো।

মানবসৃষ্ট অবকাঠামোর প্রাচীনতম রূপগুলোর মধ্যে অন্যতম অবকাঠামো হলো- ড্যাম কিংবা বাঁধ। যা মানব ইতিহাসে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সাধারণত বাঁধ হলো- পানির স্রোত ধরে রাখার জন্য নদীর মোহনাজুড়ে নির্মিত একটি অবকাঠামো। যা মানুষের ব্যবহারের জন্য, শুষ্ক এবং আধা-শুষ্ক জমিতে সেচের জন্য, এমনকি শিল্প প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহারের জন্য পানি সরবরাহ করার জন্য তৈরি করা হয়। এসব ড্যাম কিংবা বাঁধ; বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ফসলের সেচ, পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং নৌ-চলাচলকে সহজ করে তোলার জন্য নির্মিত হয়েছে। কালে কালে এসব বাঁধ নির্মাণে এসেছে নানা বিবর্তন। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার কাঠামোগুলোকে করেছে আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।

ড্যাম কিংবা বাঁধ বিশেষজ্ঞ এমনকি এসব প্রকল্পের সমর্থকরা প্রায়শই এ বাঁধগুলোকে কম কার্বন বিদ্যুতের অন্যতম উৎস হিসেবে ভূয়সী প্রশংসা করে থাকেন। যা সম্পূর্ণ সত্য। কারণ- বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘পৃথিবী’ নামক এই গ্রহে কম কার্বন শক্তি উৎপাদনের উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে বায়ুশক্তি, সৌরশক্তি, পারমাণবিক শক্তি এবং বেশির ভাগ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। অর্থাৎ বাঁধগুলোর মাধ্যমে সহজে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা লাভজনক। অনলাইল পোর্টাল ন্যাচারের তথ্যমতে, ২০১৯ সালে বিশ্বের মোট বিদ্যুতের ১৬ শতাংশ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুতের ৬০ শতাংশ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উৎস হলো জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। বলা হয়, সমগ্র বিশ্বে বার্ষিক নির্গমন প্রায় ২.৮ বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড কমানোর জন্য জলবিদ্যুৎকে সবার জন্য সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন শক্তির লক্ষ্য অর্জনের জন্য মেরুদণ্ড হিসেবে দেখা হয়। এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোয় অব্যবহৃত জলবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী ১ মেগাওয়াটের বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন কমপক্ষে ৩,৭০০টি বড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ৮২,৮০০টি ছোট প্রকল্প (তন্মধ্যে অনেকগুলো এখনো নির্মাণাধীন বা পরিকল্পনা করা হচ্ছে) কাজ করছে। পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠে মোট ৪৭ শতাংশ পানি অসংখ্য নদী বা জলাশয়ের মাধ্যমে কমপক্ষে দুটি দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর ওপর পৃথিবীর ৪০ শতাংশ মানুষ নির্ভর করে। ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, পৃথিবীর প্রায় ১৫৩ দেশের ৩১০ নদী এই পানি নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি (প্রবাহিত) করে নেয়। গ্লোবাল ড্যাম ট্র্যাকার (জিডিএটি) ক্রস-ভ্যালিডেটেড জিও-অর্ডিনেট, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত এলাকা এবং বিস্তারিত বৈশিষ্ট্যের তথ্য অনুসারে সমগ্র বিশ্বে মোট ৩৫,০০০টি বাঁধ রয়েছে। অনলাইল পোর্টাল ন্যাচারের অনুসন্ধান বলছে, গেল তিন দশকে এই বাঁধগুলো নাটকীয়ভাবে বিশ্বব্যাপী ভূপৃষ্ঠের পানির পরিধি বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। বিশেষ করে এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোয়।

নদীগুলোয় বাঁধ প্রকল্প নির্মাণে অবশ্য খরচও অনেক। অন্যদিকে বাঁধ নির্মাণ, বিশেষত বড় বাঁধ এবং আন্তঃসীমান্ত নদী অববাহিকায় অবস্থিত বাঁধগুলোর ব্যাপক আর্থ-সামাজিক, ভূ-রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে। আর দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্র অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোকে নানাভাবে বঞ্চিত করে, নিপীড়ন করে এবং তথাকথিত শক্তিশালী রাষ্ট্র অনেকটা তৃপ্তিলাভ করে। যেমন- পানির একতরফা নিয়ন্ত্রণের কারণে প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্র ভারতের প্রতি বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের স্বাভাবিকভাবে বিদ্বেষ রয়েছে। কেননা, ভারত শুকনো মৌসুমে শুকিয়ে আর বর্ষা মৌসুমে ভাসিয়ে মারে। এর অবশ্য অসংখ্য নজিরও রয়েছে। অন্যদিকে চীনের থ্রি গর্জেস ড্যামের মতো বড় বাঁধগুলো বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। এর প্রভাব অবশ্য এখানেই থেমে নেই। যেমন- অ্যামাজন, কঙ্গো এবং মেকংয়ের মতো জীববৈচিত্র্যপূর্ণ নদী অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণের কারণে বিশ্বের এক- তৃতীয়াংশ স্বাদুপানির মাছের প্রজাতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। উপরন্তু কিছু বাঁধ গ্লোবাল ওয়ার্মিংকে প্রশমিত করার পরিবর্তে পৃথিবীকে অত্যধিক উত্তাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

 

থ্রি জর্জেস ড্যাম [চীন]

বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ বাঁধ

এশিয়ার দীর্ঘতম এবং পৃথিবীর তৃতীয় দীর্ঘতম নদীর নাম- ইয়াংৎজি। এই নদীর ওপরেই গড়ে উঠেছে থ্রি জর্জেস বাঁধ। চীনের ইলিং জেলার সান্ডৌপিং শহরে এই বাঁধ অবস্থিত। এটি বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম বাঁধগুলোর অন্যতম। ১৯৯৪ সালে চীনের বৃহৎ থ্রি জর্জেস বাঁধটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পে খরচ হয়েছিল ২০০ বিলিয়ন ইউয়ান (২৮.৬ বিলিয়ন ডলার)। নির্মাণে সময় লেগেছিল ১৭ বছর। এটি একটি বিস্ময়কর স্থাপত্য। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল- বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ইয়াংৎজি বরাবর নৌচলাচলের উন্নতি। থ্রি জর্জেস বাঁধটি দৈর্ঘ্যে ২.৩ কিলোমিটার (১.৪ মাইল) বেশি প্রসারিত এবং ১৮৫ মিটার (৬০৭ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছে যায়। এর জলাধারটি ৩৯.৩ কিউবিক কিলোমিটার (৯.৪৩ কিউবিক মাইল) পর্যন্ত পানি ধরে রাখতে পারে। অধিকন্তু বাঁধের জলবিদ্যুৎ ক্ষমতা অপরিসীম। এর জেনারেটিং ক্যাপাসিটি ২২,৫০০ মেগাওয়াট। আমেরিকার অন্যতম বৃহৎ গ্র্যান্ড কুলি ড্যামের তুলনায় এর সামর্থ্য তিন গুণ বেশি।

 

ইতাইপু বাঁধ [ব্রাজিল-প্যারাগুয়ে]

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাঁধ

ইতাইপু বাঁধের নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয় ১৯৮৪ সালে। এটি ব্রাজিল এবং প্যারাগুয়ের মধ্যে ভাগ করা পারানা নদীর ওপর স্বগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। নির্মাণের সময় লেগেছিল ১৬ বছর। আয়তনের দিক থেকে ইতাইপুর দৈর্ঘ্য ৭,৯১৯ মিটার এবং উচ্চতা ১৯৬ মিটার। এর জলাধারটি প্রায় ১,৩৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত; যা ২৯.৩ ঘন কিলোমিটার পানি ধারণ করতে সক্ষম। বাঁধের প্রাথমিক উদ্দেশ্য- বৃহৎ অঞ্চলকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া। এ কারণে এটি বিশ্বব্যাপী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নেতা হয়ে আছে। আর হবেই না কেন! এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তড়িৎ শক্তি তৈরির সক্ষমতা প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট। জলস্রোতকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ২০টি জেনারেটরের সাহায্য বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় এখানে। প্রতিটি জেনারেটর ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারে। প্যারাগুয়েতে বিদ্যুৎশক্তি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে এই কেন্দ্রটির। যদিও বিশাল এই বাঁধের কারণে পৃথিবীর মহাবন অ্যামাজনের অনেক অঞ্চল বৃক্ষহীন মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে।

 

জিলুওডু বাঁধ [চীন]

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাঁধ

এটি চীনের জিনসা নদী উপত্যকায় অবস্থিত। যা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম বাঁধ এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৩ সালে। সময় লাগে ছয় বছর। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৩ সালের ৩০ অক্টোবর জিলুওডু বাঁধটি উদ্বোধন করা হয়। যা চীনের লেইবো এবং ইয়োশান রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত। জলবিদ্যুৎ বাঁধটি চীনের বৃহৎ ইউনান এবং সিচুয়ান প্রদেশের ইয়াংৎজি নদীর একটি উপনদী জিনসা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। জিলুওডু বাঁধ বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা এবং দীর্ঘতম বাঁধগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাঁধটি প্রায় ২৭৮ মিটার উঁচু, দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৯৮ মিটার। জিলুওডু বাঁধটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি একইসঙ্গে সেচ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে। এর জলাধারটি প্রায় ৬০০ বর্গ কিলোমিটার (২৩২ বর্গ মাইল) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। যা বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য যথেষ্ট। ৯টি ইউনিট সমৃদ্ধ বাঁধটির ভূগর্ভস্থ শক্তিশালী জেনারেটর ১৩ হাজার ৮৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারে। যা চীনের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ।

 

গুরি বাঁধ [ভেনেজুয়েলা]

১৯৬৯ সালে শুরু হয়ে গুরি বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৯৮৬ সালে। এটি ভেনেজুয়েলার পূর্বাংশের বলিভার রাজ্যের ক্যারোনি নদীর ওপর অবস্থিত। গুড়ি বাঁধ ছাড়াও এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সিমন বলিভার হাইড্রোইলেকট্রিক প্লান্ট নামেও পরিচিত। এর আগে রাউল লিওনি হাইড্রোইলেকট্রিক প্ল্যান্ট নামে পরিচিত ছিল বাঁধটি। এর উচ্চতা প্রায় ১৬২ মিটার। আর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ হাজার ৪২৬ মিটার। তবে ২০০৯ সালে এই বাঁধের সক্ষমতা বাড়ানোর ফলে ১০ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। প্রকল্পটির লক্ষ্য ভেনেজুয়েলার জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো; যা দেশের শক্তির প্রয়োজন মেটাতে অবদান রাখে। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাঁধটির কারণে গোটা লাতিন আমেরিকার ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর অনেক চাপ পড়ছে।

 

টুকুরুই বাঁধ [ব্রাজিল]

ব্রাজিলের পারাতে অঞ্চলের টোক্যানটিন নদীর মাঝে অবস্থিত টুকুরুই বাঁধ। অ্যামাজন রেইনফরেস্টের মাঝে এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র এটাই ছিল প্রথম। বাঁধটি তার পরিবেশগত বৈচিত্র্য এবং শক্তি উদ্ভাবনের জন্য বিখ্যাত। এর দৈর্ঘ্য ৩,৭৫৮ মিটার এবং ৮৯ মিটার। এর জলাধারটি ৬,২৯৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। যা এটিকে বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম জলাধারগুলোর একটি করে তুলেছে। অভিযোগ রয়েছে- এটি বানানোর সময় অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এমনকি এর কারণে বন উজাড় এবং নদীপ্রবাহে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করছে। এর মোট সক্ষমতা ৮ হাজার ৩৭০ মেগাওয়াট। যা ব্রাজিলের মোট বিদ্যুৎ গ্রিড এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।

 

গ্র্যান্ড কোলি বাঁধ [যুক্তরাষ্ট্র]

গ্র্যান্ড কোলি বাঁধটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যের কলম্বিয়া নদীর ওপরে অবস্থিত। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৬ কিলোমিটার এবং উচ্চতা প্রায় ১৬৮ মিটার। এর মূল উদ্দেশ্য- জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচের পানি সরবরাহ। ১৯৩৩ সালে বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু হয়, শেষ হয় ১৯৪২ সালে। এটি বৃহত্তম বাঁধগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন। ৮৮ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন বাঁধটি মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজেই ব্যবহৃত। যা ৩৩ টি জলবিদ্যুৎ জেনারেটর সমন্বিত চারটি ভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধারণ করে। মূল কেন্দ্রে ১৮টি প্রধান জেনারেটর রয়েছে। গ্র্যান্ড কোলি বাঁধ বার্ষিক ২১টি-ডব্লিউ-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এর অর্থ- বাঁধটি প্রায় ৬,৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। বাঁধের প্রভাবে আদিবাসীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কলম্বিয়া নদীতে মাছ কমতে শুরু করে।

 

লংটান বাঁধ [চীন]

এই বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০১ সালে। সময় লেগেছিল আট বছর। চীনের লংটান বাঁধটি আধুনিক প্রকৌশল দক্ষতার অন্যতম উদাহরণ। এর উচ্চতা ২১৬.৫ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ৮৪৯ মিটার। বাঁধটি চীনের গুয়াংসি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের হংশুই নদীর তীরে অবস্থিত। এর জলাধারটির ধারণক্ষমতা প্রায় ২৭.৩ বিলিয়ন কিউবিক মিটার। বাঁধটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সেচের জন্য পানি সরবরাহসহ একাধিক উদ্দেশ্যে কাজ করে। এর পাওয়ার স্টেশনের ৬,৪২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি এই অঞ্চলে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জানা গেছে, বাঁধটি নির্মাণের সময় ৭৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। এমনকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভূমি পানিতে প্লাবিত করা হয়।

 

সায়ানো-শুশেনস্কায়া বাঁধ [রাশিয়া]

বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম বাঁধ

এটি রাশিয়ায় অবস্থিত। যা সাইবেরিয়ার ইয়েনিসে নদী এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। সায়ানো-শুশেনস্কায়া বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম বাঁধগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর উচ্চতা ২৪২ মিটার, যা একে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বাঁধগুলোর মধ্যে একটি করে তুলেছে। বাঁধটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয় ১৯৭৮ সালে। বিশাল জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির পরিচালনায় রয়েছে RusHydro। প্রায় ৩১.৩ কিউবিক মাইল ধারণক্ষমতার জলাধারটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত পানি সঞ্চয় করে। বাঁধটি প্রায় ৬,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। অভিযোগ আছে, এটি নির্মাণে অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। বন উজাড় এবং নদী প্রবাহে ক্ষতি হয়। যাই হোক ২০০৯ সালে টারবাইনের ত্রুটির কারণে সায়ানো-শুশেনস্কায়া বাঁধটি এক বিপর্যয়কর দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল। ফলে বাঁধের টারবাইন হল প্লাবিত হয়। একাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সত্ত্বেও জলবিদ্যুৎ বাঁধটি এই অঞ্চলের জন্য বিদ্যুতের অত্যাবশ্যক উৎস হয়ে আছে।

 

ক্রাসনোয়ারস্ক বাঁধ [রাশিয়া]

বিশ্বের নবম বৃহত্তম বাঁধ

ক্রাসনোয়ারস্ক বাঁধটি রাশিয়ার ইয়েনিসে নদীর ওপর অবস্থিত। ১৯৫৬ সালে এর নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে। কয়েক হাজার শ্রমিক এবং প্রকৌশলীর দক্ষতা ও পরিশ্রমের ফসল এই ক্রাসনোয়ারস্ক বাঁধ। যা দৈর্ঘ্যে ১,০৬৫ মিটার, উচ্চতায় ১২৪ মিটার। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধগুলোর একটি, যার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৬,০০০ মেগাওয়াট। এই বাঁধটি মূলত এই অঞ্চলের জন্য একটি পাওয়ার হাউস হিসেবে কাজ করে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বাঁধের কৌশলগত তাৎপর্য শুধুমাত্র শক্তি উৎপাদনেই নয়, বরং নদী প্রবাহ, নিয়ন্ত্রণ এবং ইয়েনিসে নৌ-চলাচলের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা অনেক। এর জলাধারটি দৈর্ঘ্যে ৪০০ কিলোমিটারের বেশি প্রসারিত। ফলে কৃষি জমির সেচ, শিল্প ব্যবহার এবং নদীর বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখার জন্য ক্রাসনোয়ারস্ক বাঁধটি পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করে। বাঁধের অবস্থান সাইবেরিয়ান মরুভূমিতে হওয়ার কারণে নির্মাণের সময় কর্মীরা চরম আবহাওয়াসহ নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়।

 

রবার্ট-বোরোসা বাঁধ [কানাডা]

বিশ্বের দশম বৃহত্তম বাঁধ

কানাডার ‘রবার্ট বোরোসা’ বাঁধ বিশ্বব্যাপী অন্যতম বৃহত্তম বাঁধ। ১৯৮১ সালে এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়। বাঁধটি উত্তর কানাডার কুইবেকের লা গ্র্যান্ডে নদীর ওপর অবস্থিত। বিশাল রবার্ট বোরাসা জলাধারাটি- লা গ্র্যান্ডে-২-এ জলাধার নামেও পরিচিত। প্রথমে বাঁধটির নাম ছিল লা গ্র্যান্ডে-২, কিন্তু ১৯৯৫ সালে কুইবেকের প্রাক্তন প্রিমিয়ার রবার্ট বোরাসাকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে এর নাম পরিবর্তন করা হয়। আয়তনের দিক থেকে বাঁধটির দৈর্ঘ্য ২,৮৩৫ মিটার এবং উচ্চতা ১৬২ মিটার। এর সর্বোচ্চ জলাধারের ক্ষমতা প্রায় ৬১.৫ বিলিয়ন কিউবিক মিটার। যা ২,৮০০ বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। স্থানীয়ভাবে এটি জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে কাজ করে। বলতে গেলে- এই অঞ্চলের জন্য প্রকল্পটি বিদ্যুতের একটি হাব। ‘রবার্ট বোরোসা’ বাঁধের ১৬টি ইউনিটের প্রায় ৫,৬১৬ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। অর্থাৎ এই ক্ষমতা বছরে ১০ লাখেরও বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যথেষ্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
অ্যাজটেক সভ্যতার অজানা গল্প
অ্যাজটেক সভ্যতার অজানা গল্প
বিখ্যাতদের নির্বাসন
বিখ্যাতদের নির্বাসন
যে ছবিগুলো সময় সম্পর্কে ধারণা পাল্টে দিতে পারে
যে ছবিগুলো সময় সম্পর্কে ধারণা পাল্টে দিতে পারে
ঢেউয়ের মাথায় দাঁড়িয়ে
ঢেউয়ের মাথায় দাঁড়িয়ে
হেমন্তের চাঁদ
হেমন্তের চাঁদ
গোপন মানুষ
গোপন মানুষ
গোলাপ ফোটার দিন
গোলাপ ফোটার দিন
সাকরাইন
সাকরাইন
কবি আবুল হাসান : স্বতন্ত্র ও শানিত শিল্পস্বর
কবি আবুল হাসান : স্বতন্ত্র ও শানিত শিল্পস্বর
ভয়ংকর গাছ
ভয়ংকর গাছ
এ যুগের আবিষ্কার
এ যুগের আবিষ্কার
অবাক জলযান
অবাক জলযান
সর্বশেষ খবর
পাপ থেকে বিরত থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে
পাপ থেকে বিরত থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে

১৭ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

কবর জিয়ারতকালে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তেন
কবর জিয়ারতকালে মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তেন

২৭ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

মিসরে বাংলাদেশি গবেষক আলেমের ইন্তেকাল
মিসরে বাংলাদেশি গবেষক আলেমের ইন্তেকাল

৩১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে শুধু বিএনপি নয়, পুরো জাতি উপকৃত হবে’
‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে শুধু বিএনপি নয়, পুরো জাতি উপকৃত হবে’

৪৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু
ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্কুলছাত্র অজয়ের সন্ধান মেলেনি ৯ দিনেও
স্কুলছাত্র অজয়ের সন্ধান মেলেনি ৯ দিনেও

২ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সচল
ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সচল

৩ ঘন্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা, আটক ৩
ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা, আটক ৩

৩ ঘন্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজীপুরে তুলার গুদামে আগুন
গাজীপুরে তুলার গুদামে আগুন

৪ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

নিখোঁজ শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, গণপিটুনিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যু
নিখোঁজ শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, গণপিটুনিতে অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যু

৪ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকনাফে বিদেশি পিস্তল-বুলেটসহ যুবক আটক
টেকনাফে বিদেশি পিস্তল-বুলেটসহ যুবক আটক

৬ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

পতাকা বৈঠকের পর ভারতীয় গরু ফেরত দিলো বিজিবি
পতাকা বৈঠকের পর ভারতীয় গরু ফেরত দিলো বিজিবি

৬ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বজুড়ে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন
বিশ্বজুড়ে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন

৭ ঘন্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বানিয়াচংয়ে নাইন মার্ডার: দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
বানিয়াচংয়ে নাইন মার্ডার: দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

৭ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

মিয়ানমারে সংঘাত: টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ
মিয়ানমারে সংঘাত: টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ

৭ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

বাবরের মুক্তির দাবিতে নেত্রকোনায় বিএনপির সমাবেশ
বাবরের মুক্তির দাবিতে নেত্রকোনায় বিএনপির সমাবেশ

৮ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানালো রাশিয়া
সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানালো রাশিয়া

৮ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুধু একটি নির্বাচনের জন্য দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা রক্ত দেয়নি : মাসুদ সাঈদী
শুধু একটি নির্বাচনের জন্য দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা রক্ত দেয়নি : মাসুদ সাঈদী

৯ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগ, ৩৭টি বাস আটকে রাখলো জাবি শিক্ষার্থীরা
ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগ, ৩৭টি বাস আটকে রাখলো জাবি শিক্ষার্থীরা

৯ ঘন্টা আগে | ক্যাম্পাস

আজান শুনতে পাওয়ায় বেঁচে ফিরলেন অপহৃত অভিনেতা
আজান শুনতে পাওয়ায় বেঁচে ফিরলেন অপহৃত অভিনেতা

১০ ঘন্টা আগে | শোবিজ

লিভ-টুগেদারে থাকতে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন, অতঃপর…
লিভ-টুগেদারে থাকতে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন, অতঃপর…

১০ ঘন্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
চট্টগ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

১০ ঘন্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

১১ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

শিগগিরই সিরিয়ায় দূতাবাস চালু করবে কাতার
শিগগিরই সিরিয়ায় দূতাবাস চালু করবে কাতার

১১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন বাংলাদেশ গড়তে ড. ইউনূসের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে: আব্দুল হান্নান মাসউদ
নতুন বাংলাদেশ গড়তে ড. ইউনূসের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে: আব্দুল হান্নান মাসউদ

১১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

'বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন'
'বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন'

১১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমে ১০০
বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমে ১০০

১১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

সারজিস আলমের পক্ষ থেকে পঞ্চগড়ে শীতবস্ত্র পেল দুই হাজার শীতার্ত
সারজিস আলমের পক্ষ থেকে পঞ্চগড়ে শীতবস্ত্র পেল দুই হাজার শীতার্ত

১১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

পি কে হালদারের জামিন শুনানি পিছিয়েছে
পি কে হালদারের জামিন শুনানি পিছিয়েছে

১১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

১১ ঘন্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
প্রবাসীদের সুখবর দিলেন ড. আসিফ নজরুল
প্রবাসীদের সুখবর দিলেন ড. আসিফ নজরুল

১৯ ঘন্টা আগে | জাতীয়

বাদ যাচ্ছে সাড়ে ১২ বছরের কম বয়সী ২১১১ মুক্তিযোদ্ধার নাম
বাদ যাচ্ছে সাড়ে ১২ বছরের কম বয়সী ২১১১ মুক্তিযোদ্ধার নাম

১৫ ঘন্টা আগে | জাতীয়

আসাদকে দামেস্ক থেকে কীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয় জানাল রাশিয়া
আসাদকে দামেস্ক থেকে কীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয় জানাল রাশিয়া

২১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল হলে ফেঁসে যাবেন ১৬ লাখ ভারতীয়
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল হলে ফেঁসে যাবেন ১৬ লাখ ভারতীয়

১৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যাংকে তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে গ্রাহক
ব্যাংকে তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে গ্রাহক

২২ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

ভারত ফেরত না দিলেও শেখ হাসিনার বিচার চলবে: টবি ক্যাডম্যান
ভারত ফেরত না দিলেও শেখ হাসিনার বিচার চলবে: টবি ক্যাডম্যান

২০ ঘন্টা আগে | জাতীয়

আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল
আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু, নেতাকর্মীদের ঢল

২১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র স্পষ্ট: সরকার পতনের পর ১৬৫৭ কোটিপতি হাওয়া
দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র স্পষ্ট: সরকার পতনের পর ১৬৫৭ কোটিপতি হাওয়া

২২ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল করা সহজ নয়: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল করা সহজ নয়: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১৮ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেলেন যারা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেলেন যারা

১২ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

সমুদ্র থেকে তুলে নেওয়া ৭৮ বাংলাদেশির ছবি প্রকাশ করল ভারত
সমুদ্র থেকে তুলে নেওয়া ৭৮ বাংলাদেশির ছবি প্রকাশ করল ভারত

১৬ ঘন্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সিরিয়ায় কুর্দি ও তুর্কি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সিরিয়ায় কুর্দি ও তুর্কি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অসুস্থ আবু সাঈদের বাবা, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়
অসুস্থ আবু সাঈদের বাবা, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়

২০ ঘন্টা আগে | জাতীয়

‘রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে’
‘রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে’

১৪ ঘন্টা আগে | জাতীয়

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে ১৩ নির্দেশনা
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে ১৩ নির্দেশনা

১৯ ঘন্টা আগে | জাতীয়

আফগানিস্তানে মন্ত্রণালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলা, মন্ত্রী নিহত
আফগানিস্তানে মন্ত্রণালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলা, মন্ত্রী নিহত

১৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে: উপদেষ্টা আসিফ
অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে: উপদেষ্টা আসিফ

১৭ ঘন্টা আগে | জাতীয়

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন নিয়ে মুখ খুললেন খামেনি
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন নিয়ে মুখ খুললেন খামেনি

১৮ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিজয় দিবস উপলক্ষে যেসব কর্মসূচি পালন করবে সরকার
বিজয় দিবস উপলক্ষে যেসব কর্মসূচি পালন করবে সরকার

১৪ ঘন্টা আগে | জাতীয়

একযোগে ১২ জেলার এসপিকে বদলি
একযোগে ১২ জেলার এসপিকে বদলি

১৫ ঘন্টা আগে | জাতীয়

উৎখাতের পর বাশার আল-আসাদের বাবার সমাধিতে অগ্নিসংযোগ
উৎখাতের পর বাশার আল-আসাদের বাবার সমাধিতে অগ্নিসংযোগ

১২ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টে খালাস চাইলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টে খালাস চাইলেন লুৎফুজ্জামান বাবর

১৮ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ‘আগ্রাসনের’ প্রতিবাদে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের বিক্ষোভ, ৬ দাবি
ভারতের ‘আগ্রাসনের’ প্রতিবাদে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের বিক্ষোভ, ৬ দাবি

১৬ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর কী বার্তা দিচ্ছে ইরান?
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর কী বার্তা দিচ্ছে ইরান?

২০ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখন কত সম্পত্তির মালিক কোহলি-আনুশকা?
এখন কত সম্পত্তির মালিক কোহলি-আনুশকা?

১৬ ঘন্টা আগে | শোবিজ

লংমার্চ থেকে ভারতকে প্রভুত্ব ছেড়ে বন্ধু হওয়ার আহ্বান বিএনপির
লংমার্চ থেকে ভারতকে প্রভুত্ব ছেড়ে বন্ধু হওয়ার আহ্বান বিএনপির

১৪ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

প্রায় পাঁচ মাস পর ভারতে ফিরলো আটকে পড়া 'মিতালি এক্সপ্রেস'
প্রায় পাঁচ মাস পর ভারতে ফিরলো আটকে পড়া 'মিতালি এক্সপ্রেস'

১৫ ঘন্টা আগে | জাতীয়

‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

১৬ ঘন্টা আগে | জাতীয়

রাজাকারের কোনও তালিকা মন্ত্রণালয়ে নেই: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা
রাজাকারের কোনও তালিকা মন্ত্রণালয়ে নেই: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা

১২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

আজান শুনতে পাওয়ায় বেঁচে ফিরলেন অপহৃত অভিনেতা
আজান শুনতে পাওয়ায় বেঁচে ফিরলেন অপহৃত অভিনেতা

১০ ঘন্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
শেখ পরিবারের সিনেমায় ৩৭৮ কোটি
শেখ পরিবারের সিনেমায় ৩৭৮ কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশি ঋণের বিশাল বোঝা
বিদেশি ঋণের বিশাল বোঝা

প্রথম পৃষ্ঠা

তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে
তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে

পেছনের পৃষ্ঠা

খাতুনগঞ্জে নতুন রূপে বাজার সিন্ডিকেট
খাতুনগঞ্জে নতুন রূপে বাজার সিন্ডিকেট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেশ এখন মুক্তিযুদ্ধের উল্টো স্রোতে গেছে
দেশ এখন মুক্তিযুদ্ধের উল্টো স্রোতে গেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

সুন্দরবন নিয়ে ৫৩ বছরেও নেই কোনো মহাপরিকল্পনা
সুন্দরবন নিয়ে ৫৩ বছরেও নেই কোনো মহাপরিকল্পনা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত ফেরত না দিলেও হাসিনার বিচারকাজ চলবে
ভারত ফেরত না দিলেও হাসিনার বিচারকাজ চলবে

প্রথম পৃষ্ঠা

শীতেও উষ্ণতা ছড়ায় মাটির ঘর
শীতেও উষ্ণতা ছড়ায় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

কোটি টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কমেছে
কোটি টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কমেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

চিন্ময়ের জামিন শুনানির আবেদন নাকচ
চিন্ময়ের জামিন শুনানির আবেদন নাকচ

পেছনের পৃষ্ঠা

সারের জন্য হাহাকার
সারের জন্য হাহাকার

নগর জীবন

রাজধানীজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ির দুর্ভোগ
রাজধানীজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ির দুর্ভোগ

রকমারি নগর পরিক্রমা

নতুন বার্তা নিয়ে ঢাকায় ওয়াহিদ সাদিক
নতুন বার্তা নিয়ে ঢাকায় ওয়াহিদ সাদিক

শোবিজ

ভাসানীর পথে চললে কোনো বাধাই থাকবে না
ভাসানীর পথে চললে কোনো বাধাই থাকবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

শাহবাগে বিক্ষোভ
শাহবাগে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিরিয়ায় শান্তির ডাক অন্তর্র্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর
সিরিয়ায় শান্তির ডাক অন্তর্র্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ মাস পর ঢাকা থেকে জলপাইগুড়িতে মিতালী এক্সপ্রেস
পাঁচ মাস পর ঢাকা থেকে জলপাইগুড়িতে মিতালী এক্সপ্রেস

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে কড়াকড়ি করে ১৩ নির্দেশনা
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে কড়াকড়ি করে ১৩ নির্দেশনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতীয় রুপির মান আরও তলানিতে
ভারতীয় রুপির মান আরও তলানিতে

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণভাবে মতপার্থক্য দূর করুন
শান্তিপূর্ণভাবে মতপার্থক্য দূর করুন

প্রথম পৃষ্ঠা

১২ পুলিশ সুপার বদলি
১২ পুলিশ সুপার বদলি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করব
রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করব

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কারে সমর্থন প্রধান উপদেষ্টাকে জাপানের রাষ্ট্রদূত
সংস্কারে সমর্থন প্রধান উপদেষ্টাকে জাপানের রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা স্বেচ্ছায় সরলে সাধারণ ক্ষমা
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা স্বেচ্ছায় সরলে সাধারণ ক্ষমা

নগর জীবন

এক যুগ পালিয়ে থাকার পর গ্রেপ্তার
এক যুগ পালিয়ে থাকার পর গ্রেপ্তার

নগর জীবন

বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল করা সহজ হবে না
বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল করা সহজ হবে না

নগর জীবন

শীতের সবজি নিয়ে ব্যস্ত জয়া
শীতের সবজি নিয়ে ব্যস্ত জয়া

শোবিজ

সমষ্টিগত প্রয়াস ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত
সমষ্টিগত প্রয়াস ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত

প্রথম পৃষ্ঠা