শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২৫

বিশ্বখ্যাত যত মসজিদের শহর

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ
প্রিন্ট ভার্সন
বিশ্বখ্যাত যত মসজিদের শহর

মসজিদ মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যাবলির প্রাণকেন্দ্র। এতে ইবাদত করা ছাড়াও শিক্ষা দেওয়া, তথ্য বিতরণ ও বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়। সপ্তম শতাব্দীতে ছিল সাদাসিধে খোলা প্রাঙ্গণবিশিষ্ট মসজিদুল হারাম ও মসজিদুন নববি; সে অবস্থা থেকে এখন এর অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। বিভিন্ন দেশে এখন অনেক মসজিদেরই সুবিশাল গম্বুজ, উঁচু মিনার ও বৃহদাকার প্রাঙ্গণ। মসজিদের উৎপত্তি আরব উপদ্বীপে হলেও ইসলাম প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর সব দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। দেশবিদেশে গড়ে উঠেছে মসজিদকেন্দ্রিক বড় বড় শহর। প্রসিদ্ধ এমনই কয়েকটি মসজিদের শহর নিয়ে আজকের রকমারি-

 

তুর্কি সংস্কৃতির কেন্দ্র ইস্তাম্বুল

সৌদি আরবের মক্কা

সৌদি আরবের মক্কা ইসলামের পবিত্রতম শহর। এখানে শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম। এখানেই তিনি প্রথম ওহি লাভ করেন। মুসলমানরা প্রতিবছর হজ-ওমরা পালনের জন্য এখানে আসেন। দীর্ঘদিন এ শহর মুহাম্মদ (সা.)-এর বংশধররা শাসন করেছেন। ১৯২৫ সালে ইবনে সৌদের মাধ্যমে সৌদি আরব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর সৌদ বংশ মক্কার দায়িত্ব লাভ করে। বর্তমানেও এ রাজবংশ মক্কা শাসন করছে।

আধুনিক যুগে শহরটি বহুগুণ সম্প্রসারিত হয়েছে। এর অবকাঠামো, রাস্তাঘাট, নাগরিক সুবিধার অনেক উন্নতি দেখা যায়। এটি সারা বিশ্বের অন্যতম প্রধান বিশ্বজনীন শহর। সমুদ্রতল থেকে ২৭৭ মিটার ওপরে একটি সংকীর্ণ উপত্যকায় অবস্থিত মক্কা শহর। মক্কার প্রাণকেন্দ্রে কাবা অবস্থিত। কাবা পৃথিবীর প্রথম মসজিদ। মুসলমানরা প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ আদায়ের সময় এর দিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখেন।

এ মসজিদকে মসজিদুল হারাম বলা হয়। বিশ্বখ্যাত মসজিদুল হারাম পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদ; যা ৮৮.২ একর জায়গার ওপর স্থাপিত। এটি বর্তমানে অষ্টম বৃহত্তম স্থাপনা হিসেবে অক্ষত রয়েছে। কয়েক বছর এর গুরুত্বপূর্ণ মেরামত ও বর্ধন করা হয়েছে। মসজিদটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সুলতান, খলিফা ও রাজা-বাদশাহর তত্ত্বাবধানে ছিল। বর্তমানে সৌদি আরবের বাদশাহর তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

মসজিদ

মদিনা

মুসলিমদের কাছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ শহর সৌদি আরবের মদিনা। পবিত্র এ ভূমিতে ইসলামের উত্থান হয়েছিল। এখান থেকেই পৃথিবীতে ইসলাম ছড়িয়ে পড়েছিল। জন্মস্থান মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন মহানবী (সা.)। তিনি তার জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ শেষ ১০ বছর এখানেই কাটিয়েছেন। পশ্চিম সৌদি আরবের হেজাজ অঞ্চলের একটি প্রসিদ্ধ শহর এটি। মক্কার মতো মদিনা তার তুলনামূলক সংক্ষিপ্ত অস্তিত্বের মধ্যে অনেকগুলো ক্ষমতার অধীনে ছিল। সর্বশেষ বর্তমান সৌদি আরব সাম্রাজ্যের হাতে রয়েছে। মদিনাকে সাধারণত মদিনা মোনাওয়ারা বলা হয়। মহানবী (সা.) প্রথম মদিনায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। ইসলামের প্রাচীনতম ও ঐতিহাসিক এ মসজিদকে মসজিদে নববি বলা হয়। একে কেন্দ্র করে তিনি ইসলাম প্রচারের কাজ শুরু করেন। পরবর্তীকালে মুসলিম শাসকরা মসজিদটির সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্য বর্ধন করেছেন। বর্তমানে এটি সৌদি আরবের বাদশার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। মসজিদের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত সবুজ গম্বুজের স্থাপনা রয়েছে। এটি আয়েশা (রা.)-এর বাড়ি ছিল। এখানেই শুয়ে আছেন শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও সম্মানিত দুই সাহাবি- আবু বকর (রা.) ও ওমর (রা.)। ১২৭৯ খ্রিস্টাব্দে এ সমাধির ওপর একটি কাঠের গম্বুজ নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ১৫শ শতাব্দীতে কয়েকবার এবং ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে একবার পুনর্নির্মিত ও সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়। বর্তমান গম্বুজটি ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে ওসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ কর্তৃক নির্মিত। ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে প্রথম সবুজ রং করা হয়। ফলে এর নাম সবুজ গম্বুজ হয়েছে।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক। বিশ্বের প্রাচীনতম এ শহরটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পবিত্র স্থান। শহরটি ভূমধ্যসাগরীয় মালভূমির পূর্ব উপকূল থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে লেবানন পর্বতমালার পূর্ব পাদদেশে অবস্থিত। সিরিয়ার প্রথম ও পৃথিবীর প্রাচীনতম মসজিদগুলোর একটি এ শহরে অবস্থিত উমাইয়া মসজিদ। উমাইয়া খলিফা আল-ওয়ালিদ এ মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। ৭১৫ খ্রিস্টাব্দে তা সম্পন্ন হয়। খ্রিস্টান ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের কাছে এ মসজিদের বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদা রয়েছে। এর সঙ্গে কারবালার ময়দানে শহীদ হুসাইন বিন আলী (রা.) এবং বন্দি যোদ্ধাদের নানা স্মৃতি সংরক্ষিত আছে। মসজিদের পাশেই একটি বাগানে শায়িত আছেন ক্রুসেড বিজয়ী মুসলিম শাসক সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি (রহ.)। ঐতিহাসিক বর্ণনানুসারে, লৌহ যুগে অ্যারামিয়ানরা এখানে দেবতা হাদাদের মন্দির নির্মাণ করে। ৬৪ খ্রিস্টাব্দে রোমান শাসকরা সেই মন্দির ভেঙে নির্মাণ করেন দেবতা জুপিটারের মন্দির। খ্রিস্টান বাইজেন্টাইনরা দামেস্ক জয় করার পর জুপিটারের মন্দির ভেঙে নির্মাণ করেন জন দ্য ব্যাপ্টিস্টের গির্জা ও ক্যাথেড্রাল। ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ দামেস্ক জয় করার পর ক্যাথেড্রালের ছোট্ট একটি অংশে মুসলমানদের নামাজ পড়ার স্থান নির্ধারণ করা হয়। উমাইয়া খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর খলিফা আল-ওয়ালিদ ক্যাথেড্রালের বেশির ভাগ অংশ নিয়ে বৃহৎ আয়তনের মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। বিনিময়ে তিনি শহরের অন্য গির্জাগুলো খ্রিস্টানদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। ক্যাথেড্রালের পূর্ব অংশে খ্রিস্টানদের প্রার্থনার সুযোগ রাখা হয়। প্রায় ৯ বছর কাজ করার পর ৭১৫ খ্রিস্টাব্দে খলিফা সোলাইমান ইবনে আবদুল মালিকের যুগে মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ঐতিহাসিক ইবনুল ফকিহের বর্ণনানুসারে, উমাইয়া মসজিদের নির্মাণকাজে ৬ থেকে ১০ লাখ স্বর্ণমুদ্রা ব্যয় করা হয়। এতে পারস্য, ভারত, গ্রিক ও মরক্কোর প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক কাজ করে। খলিফা ওয়ালিদ মোজাইকের কাজের জন্য ২০০ সুদক্ষ বাইজেন্টাইন শ্রমিক নিযুক্ত করেন। মসজিদের মার্বেল পাথর এবং ৪৩ হাজার বর্গফুটের সোনালি মোজাইক বিস্ময়কর সৌন্দর্যের জন্ম দিয়েছিল। পরবর্তী যুগের সব মুসলিম শাসকই উমাইয়া মসজিদের উন্নয়ন ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সিরিয়ার সাবেক শাসক হাফিজ আল-আসাদ দীর্ঘ সংস্কার কাজের মাধ্যমে উমাইয়া মসজিদের হারানো শৈলী ফিরিয়ে আনেন। উমাইয়া মসজিদের আয়তন দৈর্ঘ্যে ৩১৮ ফুট এবং প্রস্থে ৫১২ ফুট। মসজিদ কমপ্লেক্সের উত্তরাংশজুড়ে আছে বিশাল আঙিনা। দক্ষিণাংশকে বলা হয় পবিত্র সীমানা। পুরো মসজিদ কমপ্লেক্স পাথরের সীমানাপ্রাচীর দ্বারা সংরক্ষিত। সীমানা প্রাচীরে একাধিক তোরণ আছে। দেয়ালের প্রতি দুকলামে আছে একটি জোড় স্তম্ভ। মসজিদের প্রধান নামাজকক্ষে আছে তিনটি তোরণ। মূল প্রার্থনাকক্ষের ওপর মসজিদের সর্ববৃহৎ গম্বুজ কুব্বাতু নিসর স্থাপিত।

জেরুজালেম : বহন করে তিন ধর্মের ঐতিহ্য

জেরুজালেম : বহন করে তিন ধর্মের ঐতিহ্য

ভূমধ্যসাগর ও মৃত সাগরের মধ্যবর্তী জোধাইয়ান পর্বতের নিচু মালভূমিতে অবস্থিত ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় শহর জেরুজালেম বা জেরুসালেম। শহরটি মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই তাৎপর্য ও গুরুত্বপূর্ণ। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ই জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী দাবি করে। এ কারণে শহরটি পবিত্র শহর হিসেবে বিবেচিত। জেরুজালেমে প্রতিটি ধর্মের পবিত্র কিছু স্থান পাওয়া যায়। এখানে রয়েছে মুসলিমদের পবিত্র মসজিদ বায়তুল মুকাদ্দাস। মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিকের অনন্য নিদর্শন এ মসজিদ। বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরকে বোঝানো হয়। হারাম শরিফ নামে পরিচিত এ চত্বরের চার দেয়ালে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বোরাক মসজিদ। মূল আল-আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর শিসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজবিশিষ্ট স্থাপনা। তবে আল-আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা। ইসলামের তৃতীয় বড় মসজিদ আল-আকসা কাবাঘর নির্মাণের ৪০ বছর পর নির্মিত হয়। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন। এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। এটি মুসলমানদের প্রথম কিবলা। হিজরতের পর কোরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণে কাবাঘর নতুন কিবলা হয়। খলিফা ওমর (রা.)-এর শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। পরবর্তীকালে উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের যুগে মসজিদটি পুনর্নির্র্মিত ও সম্প্রসারিত হয়। এ সংস্কার ৭০৫ খ্রিস্টাব্দে তার পুত্র খলিফা প্রথম আল-ওয়ালিদের শাসনামলে শেষ হয়। ৭৪৬ খ্রিস্টাব্দে ভূমিকম্পে মসজিদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আব্বাসীয় খলিফা আল-মানসুর এটি পুনর্র্নির্মাণ করেন। পরে তার উত্তরসূরি আল-মাহদি এর পুনর্র্নির্মাণ করেন। ১০৩৩ খ্রিস্টাব্দে আরেকটি ভূমিকম্পে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফাতেমি খলিফা আলি আজ-জাহির পুনরায় মসজিদটি নির্মাণ করেন; যা এখনো টিকে আছে। বর্তমানে মসজিদটি ফিলিস্তিনি নেতৃত্বাধীন ইসলামি ওয়াকফের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

তিউনিসিয়া

তিউনিসিয়া

আফ্রিকার উত্তরতম দেশ তিউনিসিয়া। এর উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে ভূমধ্যসাগর। পশ্চিমে আলজেরিয়া ও দক্ষিণ-পূর্বে লিবিয়া। এখানেই বহু স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কায়রোয়ান মসজিদ। উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় ইসলামের প্রথম মসজিদ হিসেবে এটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। ৬৭০ খ্রিস্টাব্দে উকবা ইবনে নাফি কায়রোয়ান মসজিদ নির্মাণ করেন। ৭০৩ সালে হাসান ইবনে নোমান মসজিদটি পুনর্র্নির্মাণ করেন। যেখানে মূল মিহরাব অপরিবর্তিত থাকে। পরবর্তী ১০০ বছরে বিশাল খোলা চত্বর এবং মূল মিনার সংযোজন করা হয়। ৮৩৬ সালে মসজিদের প্রধান সংস্কার সম্পন্ন হয়। নবম শতকে আঘলাবিদ শাসনামলে মসজিদের গুরুত্বপূর্ণ সম্প্রসারণ ঘটে। ১২ শতকে হাফসিদের আমলে এবং ১৬১৮ সালে আবার আধুনিক করা হয়। উনবিংশ ও বিংশ শতকেও মসজিদের উন্নয়ন অব্যাহত ছিল। স্থাপত্যশৈলীতে ইসলামি, রোমান ও বাইজেন্টাইন রীতির সমন্বয় দেখা যায়। মসজিদটি অনিয়মিত চতুর্ভুজ আকারের এবং ১০ হাজার ৮০০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে অবস্থিত। এর ৩২ মিটার উঁচু মিনারটি পুরো শহরের সর্বোচ্চ স্থাপনা। ১৭টি বিশাল পিলার মূল নামাজঘরের ভার বহন করে। মসজিদের বাইরে অবস্থিত মারবেল ও গ্রানাইটে নির্মিত খোলা চত্বরের আয়তন ৬৭ মিটার। মিনারটি ৩১.৫ মিটার উঁচু এবং ১০.৭ মিটার চওড়া। মসজিদের গম্বুজটি আফ্রিকায় স্থাপিত প্রথম গম্বুজগুলোর একটি। খোলা চত্বরের দক্ষিণে রয়েছে মসজিদের মূল নামাজের জায়গা। প্রায় ১৭টি দরজা এ মসজিদের মূল নামাজঘরে প্রবেশের জন্য সব সময় খোলা থাকে। পুরো জায়গায় মোট ১৭টি পিলার রয়েছে। মূল নামাজের জায়গা প্রস্থে ৭০.৬ মিটার এবং লম্বায় ৩৭.৫ মিটার। ১৭টি পিলার এ মসজিদকে আট ভাগে ভাগ করে। মাঝের অংশটি এখানে সবচেয়ে বড়। এতে কিবলার অবস্থান সঠিকভাবে রক্ষিত হয়েছে। পুরো মসজিদে মোট কলামের সংখ্যা ৫০০-এর বেশি। মূল মসজিদের মাঝেই আছে ৪১৪টি কলাম। তবে এ ১৭টি জোড় কলাম মূলত মসজিদের একেবারে কেন্দ্রে। মসজিদের এ ৪১৪টি কলাম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে গ্রানাইট ও মারবেল পাথর। কায়রোয়ান মসজিদের নকশায় গোল্ডেন রেশিও অনুসরণ করা হয়েছে। প্রধানত মারবেল, গ্রানাইট, কাঠ, ইট ও কাদামাটি ব্যবহার করে মসজিদটি নির্মিত। নবম ও একাদশ শতকে মসজিদটি ছিল ইসলামি চিন্তাধারার প্রাণকেন্দ্র।

মসজিদের শহর ঢাকা

মসজিদের শহর ঢাকা

বাংলাদেশের রাজধানী ও মহানগরী ঢাকা। এটি দেশের মধ্যভাগে বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত। এর অলিগলিতে রয়েছে অসংখ্য মসজিদ। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতে, এখানে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি মসজিদ আছে। ঢাকার ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ বায়তুল মোকাররম। এটি বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ। ১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফ বাওয়ানি ও তাঁর ভাতিজা ইয়াহইয়া বাওয়ানি বায়তুল মোকাররম মসজিদ সোসাইটি গঠন করে এ মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। এর দুই বছর পর ১৯৬২ সাল নাগাদ মসজিদ নির্মাণের মূল কাজ শেষ হয়। প্রাথমিকভাবে নির্মাণকাজ শেষ হলে ১৯৬৩ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো এখানে নামাজ পড়া হয়। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের স্থপতি এ এইচ থারানি মসজিদটির নকশা করেন। পুরনো ও নতুন ঢাকার মিলনস্থল পল্টন এলাকায় অবস্থিত মসজিদটি বাংলাদেশের বৃহত্তম মসজিদ। নির্মাণের পর এ মসজিদে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন। পরে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকার মসজিদের ধারণক্ষমতা ৪০ হাজারে উন্নীত করে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ভিতরে সংরক্ষিত রয়েছে পবিত্র কাবাঘরের গিলাফের একটি অংশ। যা সৌদি আরবের বাদশা খালিদ ইবনে আবদুল আজিজ আলে সাউদ বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সৌদি আরব সফরকালে উপহার দেন। এ গিলাফে সুরা হজের ২৬ নম্বর আয়াত লেখা আছে। ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এ মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। বর্তমানে মসজিদটি আটতলা। নিচতলায় মার্কেট কমপ্লেক্স, দোতলা থেকে ছয় তলা পর্যন্ত প্রতি তলায় নামাজ আদায় করা হয়। বায়তুল মোকাররম মসজিদের প্রবেশপথ রাস্তা থেকে বেশ খানিকটা উঁচু। মসজিদে প্রবেশ করার পর রয়েছে কয়েকটি বারান্দা। সেগুলোতে তিনটি অশ্বখুরাকৃতি খিলানপথ রয়েছে। দুটি উন্মুক্ত অঙ্গন মসজিদের প্রধান নামাজকক্ষে আলো ও বাতাসের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। তিন দিকে বারান্দাঘেরা প্রধান নামাজকক্ষের মেহরাবটির আকৃতি আয়তাকার। এর আয়তন ২ হাজার ৪৬৩ বর্গমিটার। নারীদের জন্য রয়েছে পৃথক নামাজকক্ষ ও পাঠাগার। প্রায় সাড়ে আট একর জমির ওপর নির্মিত মসজিদটিতে নামাজ আদায় ছাড়াও মুসলমানদের ধর্মীয় কার্যক্রম, আলোচনা সভা ও ইসলামি শিক্ষার নানা আয়োজন হয়।

তুর্কি সংস্কৃতির কেন্দ্র ইস্তাম্বুল

তুর্কি সংস্কৃতির কেন্দ্র ইস্তাম্বুল

পশ্চিম এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের রাষ্ট্র তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক কেন্দ্র ইস্তাম্বুল। এটি প্রাচীনকালে বাইজেন্টিয়াম ও কনস্টান্টিনোপল নামে পরিচিত ছিল। ১৯৩০ সালে শহরটির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তাম্বুল রাখা হয়। শহরটি মসজিদ ও মুসলিম ঐতিহ্যের নগরী। জনসংখ্যা অনুপাতে এখানে মসজিদ বেশি। এখানকার মসজিদগুলো অনেকটা এক গম্বুজের। এসব মসজিদ নির্মাণ ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য। বর্তমানকালেও শত শত বছর আগে থেকে চলে আসা তাদের একই আদলের মসজিদ নির্মাণ চালু রয়েছে। ইস্তাম্বুলে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন মসজিদ আছে। এর মধ্যে সুলতান আহমদ মসজিদ বা ব্লু মসজিদ এবং সোলাইমানি মসজিদ অন্যতম। সুলতান সোলাইমান এ মসজিদ নির্মাণ করেন। মসজিদের কিবলার দিকে তার ও তার পরিবারের কবর আছে। অন্যদিকে সুলতান আহমদ মসজিদ বা ব্লু মসজিদ ইস্তাম্বুলের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে। যা তোপকাপি জাদুঘরের কাছে। প্রখ্যাত সাহাবি আবু আইয়ুব আনসারি (রহ.) মাজার কমপ্লেক্স মসজিদ, ইস্তাম্বুল জয়কারী সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ মাজার মসজিদসহ ইস্তাম্বুলে আরও ১০-১২টি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ আছে। তোপকাপি জাদুঘর মসজিদে রূপান্তরিত আয়া সোফিয়া গির্জা, ব্লু মসজিদ নিয়ে বসফরাস প্রণালির তীরে তিন-চার বর্গকিলোমিটার এলাকা ইস্তাম্বুলের প্রাণকেন্দ্র। জাস্টিনিয়ান প্রথমের আদেশে ৫৩২ এবং ৫৩৭-এর মধ্যে কনস্টান্টিনোপলের খ্রিস্টান ক্যাথেড্রাল হিসেবে আয়া সোফিয়া নির্মিত হয়। ব্যাসিলিকাটি মাইলাতাসের গ্রিক জিওমিটার ইসিডোর এবং ট্রেলসের অ্যান্থিমিয়াস ডিজাইন করেছিলেন। বর্তমান জাস্টিনিয়ান ইমারতটি একই স্থানে অধিষ্ঠিত তৃতীয় গির্জা। এর আগে এটি নিকা দাঙ্গায় ধ্বংস হয়েছিল। কনস্টান্টিনোপলের একিউম্যানিকাল মহাবিশপ এপিসোপাল সি অনুসারে, এটি প্রায় এক হাজার বছর ধরে বিশ্বের বৃহত্তম ক্যাথেড্রাল হিসেবে ছিল। ১২০৪ সালে এটি চতুর্থ ক্রুসেডারদের দ্বারা লাতিন সাম্রাজ্যের অধীনে রোমান ক্যাথলিক ক্যাথেড্রালে রূপান্তর করা হয়। ১২৬১ সালে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের ফিরে আসার পরে পূর্ব অর্থোডক্স চার্চে পুনরুদ্ধার করা হয়। ১৪৫৩ সালে কনস্টান্টিনোপলের পতনের পর অটোমান সাম্রাজ্যের তৎকালীন মুসলিম শাসক ফাতিহ সুলতান মুহাম্মদ মসজিদে রূপান্তর করেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ের গোড়ার দিকে কাউন্সিল অব স্টেট ১৯৩৪ সালের মন্ত্রিসভার জাদুঘর স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে। তুরস্কের রাষ্ট্রপতির আদেশে আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদ হিসেবে নির্মাণের আদেশ দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
যেভাবে বিক্রি হয় আলাস্কা
মূল্যবান যা কিছু...
মূল্যবান যা কিছু...
রহস্যময় গোপন স্থান
রহস্যময় গোপন স্থান
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
রোগের মায়াজমা তত্ত্ব : ‘দূষিত বাতাস’ বা ‘দুর্গন্ধ’ ছিল মৃত্যুর কারণ
ক্যালরিক তত্ত্ব : তাপ যখন ছিল কেবল এক অদৃশ্য তরল!
ক্যালরিক তত্ত্ব : তাপ যখন ছিল কেবল এক অদৃশ্য তরল!
লুমিফেরাস ইথার : যে পদার্থের আসলে কোনো অস্তিত্বই ছিল না
লুমিফেরাস ইথার : যে পদার্থের আসলে কোনো অস্তিত্বই ছিল না
সম্প্রসারণশীল পৃথিবী : যখন মহাদেশের রহস্য ভুল পথে হেঁটেছিল
সম্প্রসারণশীল পৃথিবী : যখন মহাদেশের রহস্য ভুল পথে হেঁটেছিল
ফ্লজিস্টন তত্ত্ব : বৈজ্ঞানিক কল্পনা থেকে বাস্তবতার পথে
ফ্লজিস্টন তত্ত্ব : বৈজ্ঞানিক কল্পনা থেকে বাস্তবতার পথে
কোল্ড ফিউশন : উনবিংশ শতাব্দীর যে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল
কোল্ড ফিউশন : উনবিংশ শতাব্দীর যে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল
স্টেডি-স্টেট ইউনিভার্স : মহাবিশ্বের এক চিরন্তন রহস্যের সমাপ্তি
স্টেডি-স্টেট ইউনিভার্স : মহাবিশ্বের এক চিরন্তন রহস্যের সমাপ্তি
বৈজ্ঞানিক বিভ্রান্তি : এন-রে এবং ফ্রান্সের একটি কাল্পনিক বিকিরণ
বৈজ্ঞানিক বিভ্রান্তি : এন-রে এবং ফ্রান্সের একটি কাল্পনিক বিকিরণ
নতুন বরফ যুগের সূচনা : যে ধারণা শুধুই রহস্যের জন্ম দিয়েছিল
নতুন বরফ যুগের সূচনা : যে ধারণা শুধুই রহস্যের জন্ম দিয়েছিল
সর্বশেষ খবর
ছাত্রীর গোপন ছবি তুলে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ কোচিং শিক্ষকের বিরুদ্ধে
ছাত্রীর গোপন ছবি তুলে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ কোচিং শিক্ষকের বিরুদ্ধে

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানীতে আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

২৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

বুড়িগঙ্গার তীর দখলমুক্তে দুই দিনের যৌথ অভিযান শুরু
বুড়িগঙ্গার তীর দখলমুক্তে দুই দিনের যৌথ অভিযান শুরু

২৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে স্বর্গে যেতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প!
ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে স্বর্গে যেতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প!

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকসু নির্বাচন: মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ
ডাকসু নির্বাচন: মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ

৩৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইরান থেকে বিতাড়িত হয়ে ফিরছিলেন, পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৭১ আফগানির
ইরান থেকে বিতাড়িত হয়ে ফিরছিলেন, পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৭১ আফগানির

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোভিডে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে বিশেষ করে নারীদের : গবেষণা
কোভিডে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে বিশেষ করে নারীদের : গবেষণা

৫৬ মিনিট আগে | হেলথ কর্নার

ইয়াবা ও গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক
ইয়াবা ও গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন শুরু রিয়ালের
জয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন শুরু রিয়ালের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বলিভিয়ায় ইনকা সাম্রাজ্যের আগের রহস্যময় সভ্যতার সন্ধান
বলিভিয়ায় ইনকা সাম্রাজ্যের আগের রহস্যময় সভ্যতার সন্ধান

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্প–ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকেও ইউক্রেনের সমাধান মিলল না
ট্রাম্প–ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকেও ইউক্রেনের সমাধান মিলল না

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুলনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
খুলনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে অসুস্থ ফখরুল, ভর্তি হাসপাতালে
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে অসুস্থ ফখরুল, ভর্তি হাসপাতালে

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কক্সবাজারে র‍্যাবের অভিযানে দুই ক্যাডার অস্ত্রসহ গ্রেফতার
কক্সবাজারে র‍্যাবের অভিযানে দুই ক্যাডার অস্ত্রসহ গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে দুই মানব পাচারকারী আটক
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে দুই মানব পাচারকারী আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাইজেরিয়ায় ফজরের সময় মসজিদে হামলা, নিহত ২৭
নাইজেরিয়ায় ফজরের সময় মসজিদে হামলা, নিহত ২৭

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঠাকুরগাঁওয়ে মৎস্যচাষি ও জেলেদের সাথে মতবিনিময়
ঠাকুরগাঁওয়ে মৎস্যচাষি ও জেলেদের সাথে মতবিনিময়

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, শর্ত দিচ্ছে ইসরায়েল
নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, শর্ত দিচ্ছে ইসরায়েল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বালতির পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু
রাজধানীতে বালতির পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউটিউবে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, ক্ষতিপূরণ দেবে গুগল
ইউটিউবে শিশুদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন, ক্ষতিপূরণ দেবে গুগল

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ
স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ আজ
একাদশে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ আজ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাঝেও রাশিয়া-ইউক্রেন হামলা অব্যাহত
যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাঝেও রাশিয়া-ইউক্রেন হামলা অব্যাহত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ দিন ভারি বৃষ্টির সতর্কতা, ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
৫ দিন ভারি বৃষ্টির সতর্কতা, ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দৃঢ়চিত্ত ড. ইউনূস
প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দৃঢ়চিত্ত ড. ইউনূস

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেজগাঁও বিভাগে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫৬
তেজগাঁও বিভাগে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৫৬

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গরু চরাতে গিয়ে গ্রেনেডের খোঁজ
গরু চরাতে গিয়ে গ্রেনেডের খোঁজ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ আগস্ট)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ আগস্ট)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিস্ফোরক মন্তব্য
এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিস্ফোরক মন্তব্য

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১,০০০ ফুট উঁচু সুনামির আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
১,০০০ ফুট উঁচু সুনামির আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের

২০ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, আবেদন করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, আবেদন করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

১২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ভারতের উপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল চীন
ভারতের উপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল চীন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, বাসার কাজের ছেলের হাতে খুন স্কুলছাত্র
১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, বাসার কাজের ছেলের হাতে খুন স্কুলছাত্র

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুতিনের সাহস আছে কি না দেখা যাবে, কেন বললেন ফিনল্যান্ড প্রেসিডেন্ট
পুতিনের সাহস আছে কি না দেখা যাবে, কেন বললেন ফিনল্যান্ড প্রেসিডেন্ট

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই : আইন উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই : আইন উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড, মালয়েশিয়ার রাজ্যে নতুন আইন
জুমার নামাজে না গেলে দুই বছরের দণ্ড, মালয়েশিয়ার রাজ্যে নতুন আইন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র: নেপথ্যে প্রথম আলো?
ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র: নেপথ্যে প্রথম আলো?

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৬ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৬ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে যা হলো
ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে যা হলো

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অতিরিক্ত এসপি হাফিজ আল ফারুক বরখাস্ত
অতিরিক্ত এসপি হাফিজ আল ফারুক বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনকে আরও এক হাজার সৈন্যের মরদেহ ফেরত দিল রাশিয়া
ইউক্রেনকে আরও এক হাজার সৈন্যের মরদেহ ফেরত দিল রাশিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্পেনে তাপপ্রবাহে ১৬ দিনে সাড়ে ১১শ’ মানুষের মৃত্যু
স্পেনে তাপপ্রবাহে ১৬ দিনে সাড়ে ১১শ’ মানুষের মৃত্যু

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ
স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাইজেরিয়ায় ফজরের সময় মসজিদে হামলা, নিহত ২৭
নাইজেরিয়ায় ফজরের সময় মসজিদে হামলা, নিহত ২৭

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দলীয় প্রতীক থাকছে না স্থানীয় সরকার নির্বাচনে, অধ্যাদেশ জারি
দলীয় প্রতীক থাকছে না স্থানীয় সরকার নির্বাচনে, অধ্যাদেশ জারি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে নতুন হুমকি দিলেন কিম জং উন
পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে নতুন হুমকি দিলেন কিম জং উন

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাড়ল সরকারি কর্মচারীদের অনুদানের পরিমাণ
বাড়ল সরকারি কর্মচারীদের অনুদানের পরিমাণ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ একঝাঁক তারকা
ভারতের এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ একঝাঁক তারকা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন আনোয়ার হোসেন
পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন আনোয়ার হোসেন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন সচিব পেল তিন মন্ত্রণালয়
নতুন সচিব পেল তিন মন্ত্রণালয়

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ফল প্রকাশ
৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ফল প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ দিন ভারি বৃষ্টির সতর্কতা, ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
৫ দিন ভারি বৃষ্টির সতর্কতা, ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতিতে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না: মির্জা ফখরুল
পিআর পদ্ধতিতে জনগণের অধিকার পরিপূর্ণ হবে না: মির্জা ফখরুল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষককে ছুরি মেরে টিসি দেওয়ার প্রতিশোধ নিল ছাত্রী!
শিক্ষককে ছুরি মেরে টিসি দেওয়ার প্রতিশোধ নিল ছাত্রী!

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ভবনের ছাদে মিললো শটগান
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ভবনের ছাদে মিললো শটগান

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, শর্ত দিচ্ছে ইসরায়েল
নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, শর্ত দিচ্ছে ইসরায়েল

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মারা গেছেন সেই ‘থ্রি ইডিয়টস’খ্যাত অভিনেতা
মারা গেছেন সেই ‘থ্রি ইডিয়টস’খ্যাত অভিনেতা

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
৬২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প
৬২ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে ইউরোপে
ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে ইউরোপে

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্যাসচোরেরা কাজ করছে মিলেমিশে
গ্যাসচোরেরা কাজ করছে মিলেমিশে

পেছনের পৃষ্ঠা

মালিকদের চাপে সংশোধন হচ্ছে আইন
মালিকদের চাপে সংশোধন হচ্ছে আইন

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশের টাকা লুট করে বিদেশে শীর্ষ ধনী
দেশের টাকা লুট করে বিদেশে শীর্ষ ধনী

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাঙা রেললাইনে ‘বস্তা গুঁজে’ চালানো হচ্ছে ট্রেন
ভাঙা রেললাইনে ‘বস্তা গুঁজে’ চালানো হচ্ছে ট্রেন

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির মনোনয়ন চান তিনজন প্রার্থী চূড়ান্ত জামায়াতের
বিএনপির মনোনয়ন চান তিনজন প্রার্থী চূড়ান্ত জামায়াতের

নগর জীবন

বাস্তবায়নের পথ পাচ্ছে না কমিশন
বাস্তবায়নের পথ পাচ্ছে না কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

মনোনয়নের লড়াইয়ে বিএনপির দুই আছেন জামায়াতের প্রার্থীও
মনোনয়নের লড়াইয়ে বিএনপির দুই আছেন জামায়াতের প্রার্থীও

নগর জীবন

বাফুফে আসলে কী চায়
বাফুফে আসলে কী চায়

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশিসহ ৬ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল
বাংলাদেশিসহ ৬ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল

প্রথম পৃষ্ঠা

মুজিব হত্যাকাণ্ড ও জাসদ
মুজিব হত্যাকাণ্ড ও জাসদ

সম্পাদকীয়

সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী
সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামি দলগুলোকে এক হতে হবে
ইসলামি দলগুলোকে এক হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফার্স্ট-সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেরা সচিব-ডিসিদের পাশে বসে তদবিরে ব্যস্ত
ফার্স্ট-সেকেন্ড ইয়ারের ছেলেরা সচিব-ডিসিদের পাশে বসে তদবিরে ব্যস্ত

নগর জীবন

জুলাই সনদের তিনটি দফা নিয়ে আপত্তি আছে
জুলাই সনদের তিনটি দফা নিয়ে আপত্তি আছে

প্রথম পৃষ্ঠা

স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির খবর অসত্য
স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির খবর অসত্য

নগর জীবন

আন্তর্জাতিক মানের ভোট করতে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ
আন্তর্জাতিক মানের ভোট করতে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত দিলেন ইউপি সদস্য
বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত দিলেন ইউপি সদস্য

নগর জীবন

মুক্তিপণ না দেওয়ায় শিশু হত্যা
মুক্তিপণ না দেওয়ায় শিশু হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুবকের সাত বছর কারাদণ্ড
যুবকের সাত বছর কারাদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়লে সহজ হবে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন
রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়লে সহজ হবে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসন

প্রথম পৃষ্ঠা

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ৪১ হাজার ৬২৭ জন
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ৪১ হাজার ৬২৭ জন

নগর জীবন

ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেট এমসি কলেজ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে আমেরিকা প্রবাসীরা
সিলেট এমসি কলেজ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে আমেরিকা প্রবাসীরা

নগর জীবন

চট্টগ্রামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আটক
চট্টগ্রামে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আটক

নগর জীবন

অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল প্রবাসীদের
অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল প্রবাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা আব্বাস
চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেলেন মির্জা আব্বাস

নগর জীবন

জুলাই সনদে কিছু ছাড় দেওয়ার চিন্তা করছে বিএনপি
জুলাই সনদে কিছু ছাড় দেওয়ার চিন্তা করছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা