কুমিল্লা আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার মধ্যবর্তী গোমতী নদীর পড়ের তিন কিলোমিটার সড়ক কয়েক যুগ ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। আদর্শ সদর উপজেলার কাছিয়াতলী, বুড়িচংয়ের ফরিজপুর ও মীরপুর এলাকার এ কাঁচা রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে দেখলে মনে হবে চাষের জমি। সড়কটি পাকা করা হলে দুই উপজেলার ১০ গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন।
সরেজমিন দেখা যায়, পালপাড়া থেকে গোমতী নদীর দক্ষিণ পাড় দিয়ে একটি সড়ক আমতলী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমতলী থেকে গোমতী পাড় হয়ে পশ্চিম উত্তর দিকে যাওয়া সড়কটি কাঁচা। দুই পাশে গাছের সারি। পাশের নদীর সৌন্দর্য যে কাউকে বিমোহিত করে। সড়কটিতে হাঁটু সমান কাদা। মনে হয়, চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়েছে। ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রায়ই কাদায় আটকে যায়। বেশি খারাপ অবস্থা কাছিয়াতলী ও ফরিজপুরের মাঝামাঝি এলাকায়। ফরিজপুরের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম, ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম সুমন ও মানিক মিয়া বলেন, কয়েক যুগ ধরে সড়কটি অবহেলায় পড়ে আছে। যেন কোনো অভিভাবক নেই। সড়কটি পাকা হলে কয়েক ধরনের সুবিধা পাবেন এলাকাবাসী। প্রথমত আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষের চলাচল সহজ হবে। দ্বিতীয়ত নাজিরা বাজার এলাকায় পরিবহনের চাপ কমাতে ও যানজট এড়াতে ছোট যানবাহন এ সড়ক হয়ে ওয়ার সিমেট্রির পাশ দিয়ে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে উঠতে পারবে। চরের কৃষক সহজে সবজি বাজারে নিতে পারবেন। এলাকাটিতে নদীর বাঁক রয়েছে। এখানে অনেকে অবসর সময় কাটাতে আসেন। সড়কটি পাকা হলে এ এলাকায় দর্শনার্থী বাড়বে।
স্থানীয় ময়নামতি ইউপি চেয়ারম্যান লালন হায়দার বলেন, সড়কটির বিষয়ে আমরা অবগত আছি। এটি প্রকল্প হিসেবে জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।