খুলনায় পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় দুই চোখ উপড়ে ফেলার ঘটনায় সাত বছর পর খালিশপুর থানার তৎকালীন ওসি নাসিম খানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল মহানগর হাকিমের আমলি আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী যুবক শাহজালালের মা রেণু বেগম। বিচারক মো. আল-আমিন অভিযোগ আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তপূর্বক ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানান। মামলায় অপর আসামিরা হলেন- পুলিশের এএসআই রাসেল, এসআই তাপস কুমার পাল, মিজানুর রহমান, মোরসেলিম মোল্লা, কনস্টেবল আল মামুন, খালিশপুরের বাসিন্দা সুমা আক্তারসহ ১২ জন। ভুক্তভোগী শাহজালাল তার স্ত্রী ও সাত মাসের শিশু কন্যাকে নিয়ে খালিশপুর নয়বাটি রেললাইন বস্তিতে বসবাস করতেন।
২০১৭ সালে ১৮ জুলাই শিশু কন্যার জন্য দুধ কিনতে বাইরে বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় শাহজালালকে থানায় ছাড়াতে গেলে ওসি নাসিম খান দেড় লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানা থেকে চোখ বেঁধে তাকে গাড়িতে তোলা হয়। এ সময় শাহজালাল শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।
বাদী রেণু বেগম জানান, পুলিশকে টাকা না দেওয়ায় রাত পৌনে ১২টায় গোয়ালখালি বাইপাস রোডে শাহজালালকে মারধর করে মুখের মধ্যে গামছা দিয়ে স্ক্রু ড্রাইভারে তার চোখ তুলে ফেলা হয়। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ক্ষোভ তৈরি হলে খালিশপুরের বাসিন্দা সুমা আক্তারকে দিয়ে পুলিশ শাহজালালের বিরুদ্ধে মিথ্যা ছিনতাই মামলা দায়ের করে।