বগুড়ার বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে আগাম শীতের সবজি। তবু কমছে না দাম। বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। গত কয়েক দিনে প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে ৮০-১২০ টাকা হয়েছে।
বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজারসহ গতকাল কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলু মানভেদে ৫৫ টাকা কেজি, বেগুন ১০০-১১০, কাঁচা মরিচ ২৯০-৩০০, করলা ১০০, ফুলকপি ১২০, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা পিস, বরবটির কেজি ১০০, ঝিঙা ৭০-৮০, পিঁয়াজ দেশি ১০০-১২০, ভারতীয় পিঁয়াজ ৯০, আদা ২৮০, রসুন ২৪০, পটোল ৬০, চিচিঙা ৬০, শসা ৫০, পেঁপে ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৬০-৬৫, কচুরলতি ৬০-৭০, ঢ্যাঁড়শ ৮০ ও মুলা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল আগের দামেই বেচাকেনা হতে দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগির দামও ছিল বাড়তির দিকে। খুচরা বাজারে ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে শীতের আগাম সবজি আসতে শুরু করলেও দাম বেশি। দুই-চার দিনের মধ্যে দাম কমতে পারে। কয়েক দিন আগে টানা বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে সবজির দাম বেড়েছে।
বগুড়া সদরের পীরগাছার কৃষক মজিবর রহমান জানান, কয়েক দিন আগে বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি খেত নষ্ট হয়েছে। জমিতে কাদাপানি জমে যাওয়ায় সবজি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। এ কারণে বাজারে দাম বাড়তি। ফতেহ আলী বাজারে সবজি কিনতে আসা দুলাল মিয়া জানান, ছেলে বেগুন ভাজি খাবে। বাজারে বেগুন কিনতে এসে দেখি দ্বিগুণ দাম। ছেলের আবদার পূরণ করতে ২৫০ গ্রাম বেগুন কিনেছি ২৫ টাকায়। অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে মিষ্টি কুমড়ার। আগে প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। বাজার স্বাভাবিক না হলে খেটে খাওয়া মানুষকে বিপাকে পড়তে হবে।