এক ছিল এক রাজ্য, নাম ‘সুস্থতার রাজ্য’। সেই রাজ্যে সব প্রাণী, মানুষ আর গাছেরা খুবই সুখী। কারণ সেই রাজ্যের রাজা ছিলেন পুষ্টি রাজা আর রাণী ছিলেন পুষ্টি রাণী। তারা নিজেদের রাজ্যের সব নাগরিকের ভালো স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নিতেন।
একদিন পুষ্টি রাজার কাছে তার প্রধান মন্ত্রী এসে বললেন, ‘মহারাজ, রাজ্যের শিশুরা আজকাল স্বাস্থ্য হারাচ্ছে। তারা খেলাধুলা করতে পারে না, পড়াশোনাতেও মন বসছে না। রাজা খুব চিন্তিত হলেন। তিনি রানির সঙ্গে পরামর্শ করলেন।
রানি বললেন, ‘মহারাজ, শিশুদের পুষ্টির অভাব হয়েছে। তারা এখন সঠিক খাবার খাচ্ছে না। শুধু চিপস, চকোলেট আর ঠান্ডা পানীয় খাচ্ছে, যেগুলোতে পুষ্টি নেই। আমাদের কিছু করতে হবে।’
রাজা রাজ্যের সব বাবা-মা এবং শিশুদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করলেন। তিনি বললেন, ‘আমরা তোমাদের ভালো স্বাস্থ্যের জন্যই কাজ করছি। কিন্তু তোমরা যদি সঠিক খাবার না খাও, তাহলে তোমরা শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে পারবে না। আমাদের রাজ্যে ফল, শাকসবজি, দুধ, ডিম এবং শস্য খুবই প্রয়োজনীয় খাবার। তোমাদের এগুলো খেতে হবে।’
রানি তখন তার ব্যাগ থেকে রঙিন সব ফল, শাকসবজি, দুধ, ডিম আর মাছ বের করে দেখালেন। তিনি বললেন, ‘দেখো, প্রতিদিন যদি তোমরা এই পুষ্টিকর খাবারগুলো খাও, তাহলে তোমাদের শরীর শক্তিশালী হবে, আর মন হবে বুদ্ধিমান।’
শিশুরা সব মনোযোগ দিয়ে শুনছিল। একজন ছোট মেয়ে জিজ্ঞাসা করল, ‘রানিমা, আমরা যদি প্রতিদিন এসব খাবার খাই, তাহলে কি আমরা সবসময় সুস্থ থাকব?’
রানি হেসে বললেন, ‘হ্যাঁ, যদি তোমরা এসব খাবার নিয়মিত খাও, তাহলে তোমরা সবসময় শক্তি পাবে এবং সব খেলাধুলা আর পড়াশোনায় সেরা হতে পারবে।’
পুষ্টি রাজা তখন বললেন, ‘খাবার শুধু পেট ভরার জন্য নয়। সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়া আমাদের শরীর ও মনের জন্য প্রয়োজন। তাই আজ থেকে তোমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করো যে, প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খাবে এবং জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলবে।’
সব শিশুরা খুশিতে চিৎকার করে উঠল, ‘হ্যাঁ, আমরা পুষ্টিকর খাবার খাবো!’ বাবা-মায়েরা রাজার কথা শুনে অনেক খুশি হলেন।