শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

কাগমারী মহাসম্মেলনের ৬০ বছর

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
কাগমারী মহাসম্মেলনের ৬০ বছর

’৫৭-এর ফেব্রুয়ারির ৬-১১ তারিখ কাগমারী মহাসম্মেলনের দেখতে দেখতে ৬০ বছর চলে গেল। আমাদের ভাষা, কৃষ্টি-সভ্যতার শক্তিশালী ভিত রচনা করেছিল ১৯৫৭ সালের কাগমারী মহাসম্মেলন। কী চমৎকার মিল। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন মুর্শিদাবাদের ভাগিরথির তীরে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজের হাতে বাংলার শেষ নবাব সিরাজ উদ দৌলা স্বাধীনতা হারিয়ে ছিলেন। আমরা আবার সেই স্বাধীনতা দইয়ের স্বাদ ঘোলে মিটানোর মতো ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান-ভারত বিভাগের মধ্য দিয়ে পেয়েছিলাম। ১০ বছরে আমাদের সে স্বাদ মিটে গিয়েছিল। পাকিস্তানের বঞ্চনা ও অসংগতির বিরুদ্ধে ১৯৫৭ সালে হুজুর মওলানা ভাসানী কাগমারীতে আফ্রেশিয়া ল্যাটিন আমেরিকার শান্তির সম্মেলন ডেকেছিলেন। সেখানে উপমহাদেশের কত নেতা, কত মনীষী এসেছিলেন। প্রখ্যাত সাহিত্যিক তারা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবোধ কুমার সান্যাল, অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, আবদুল ওয়াদুদ, নরেন্দ্র দেব, বাংলাদেশের কবি জসীমউদ্দীন, অধ্যাপক ড. এবি হালিম, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ, শাসুন্নাহারের মতো জগদ্বিখ্যাত লেখক-সাহিত্যিক। মহেশ্বেতা দেবীও সে সম্মেলনে পদধূলি দিয়েছিলেন। সীমান্ত গান্ধী খান আবদুল গাফ্ফার খান, মিয়া মমতাজ দৌলতানা, পীর পাগারুসহ আরও যোগ দিয়েছিলেন ইয়ার মামুদ, মো. ইদ্রিস, ফকির সাহাবুদ্দিন আহমেদ, খায়রুল কবির, খন্দকার মহাম্মদ ইলিয়াস, সদর ইস্পাহানী ও আবু জাফর শামসুদ্দিন। সে সময় পাকিস্তানের কেন্দ্র ও প্রাদেশিক সরকার ছিল আওয়ামী লীগের। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আতোয়ার রহমান খান। সেই সম্মেলনে ১০-১১ বছর বয়সে কতবার সমবয়সীদের সঙ্গে দৌড়ে গেছি, আবার ফিরেছি। ৬ দিনের সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছিল প্রায় ১৫-২০ দিন আগে থেকে। ছনের অসংখ্য কুঁড়েঘর বানানো হয়েছিল। তখন বেশ ঠাণ্ডা ছিল। রাস্তার পাশে শিশির ভেজা ঘাসে খালি পায় ছুটতে খুবই ভালো লাগত। সন্তোষ মহারাজার পুরনো বাড়িতে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়। জানালার ফাঁক দিয়ে আমরা সেসব দেখতাম। শেষদিন ছিল কাগমারী মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ মাঠে জনসভা। সে জনসভায় মাইকের আওয়াজ আর হুজুর মওলানা ভাসানীর দাড়ির নাচন আজও আমাকে উদ্বেল করে। আল্লাহ কখন কাকে কী দান করেন মানবের কল্পনার অতীত। কাগমারী সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে প্রথম দেখেছিলাম, আবার কাগমারী কলেজ সরকারিকরণের অনুষ্ঠানে তাদের দুজনকে একত্রে শেষ দেখা দেখি। আল্লাহর কী দয়া, সে সভা পরিচালনার দায়িত্ব ছিল আমার। কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে বঙ্গবন্ধু গিয়েছিলেন হুজুরের সন্তোষের ভাঙা কুঁড়েঘরে। দরবার হলে খাবার খেয়ে তিনি সরাসরি খুলনা চলে যান। কারণ তার বাবা তখন সেখানে খুবই অসুস্থ। সেই ছিল তার টাঙ্গাইলে শেষ সফর। দরবার হলে পিতার মতো পুত্রের পাতে যখন রুই মাছের বিশাল মাথা তুলে দিচ্ছিলেন তখন খুবই অভিভূত হচ্ছিলাম। বঙ্গবন্ধু অত বড় বিশাল মাথা খেতে পারছিলেন না, একে ওকে দিচ্ছিলেন। যেই অন্যের পাতে তুলে দিচ্ছিলেন, অমনি হুজুর আরেকটা তার পাতে দিচ্ছিলেন। সে এক অপূর্ব দেখার মতো দৃশ্য। হুজুর সব সময় অভিনব কাণ্ড করতেন। সে যাত্রায় বঙ্গবন্ধুকে খাওয়াতে খরচ হয়েছিল ১৭-১৮ হাজার। মাছ, মাংস, তরি-তরকারি যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনার জন্য কোঁচ থেকে ১৩৫ টাকা বের করে আমার হাতে গুঁজে দিয়েছিলেন। অমনটাই ছিল তার সারা জীবনের স্বভাব। মহররম অথবা খাজা বাবার জন্মদিন কিংবা তার পীর নাসির উদ্দিন বোগদাদীর উরসে কাঁচা মরিচ ৫ মণ, পিয়াজ ১০ মণ, আলু ২০ মণ, চাল ১৫-২০ বস্তা, তেল ২ মণ, চিনি ২ বস্তা— এ রকম এক লম্বা ফিরিস্তি দিয়ে টাকা গুঁজে দিতেন ১০০-১৫০ বা ২০০ যখন যা খুশি। কিন্তু কেন যেন তার কোনো কাজ ঠেকে থাকত না। যখন যাকে যা বলতেন সানন্দে তা করতেন। সেটা আমি কাদের সিদ্দিকীই হই, জননেতা আবদুল মান্নান, শামসুর রহমান খান শাজাহান, বদিউজ্জামান আর তার দলের আবদুর রহমান, বুলবুল খান মাহাবুব বা মোসলেম মিয়া। কাউকে তার দেওয়া দায়িত্ব মনে হয় আল্লাহর তরফ থেকে পালিত হতো।

কাগমারীর মহাসম্মেলন ছিল পূর্ব পাকিস্তান বা বাঙালিদের চোখ খুলে দেওয়ার মতো। আমরা ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয়েছি। কিন্তু হুজুর মওলানা ভাসানী কত দূরদর্শী ছিলেন তার প্রমাণ কাগমারী মহাসম্মেলন। তিনি ’৫৭ সালে পাকিস্তানকে ‘আস্সালামু আলাইকুম’ জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘বঞ্চনা বন্ধ না করলে তোমাদের সঙ্গে আমাদের থাকা হবে না।’ হুজুর মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করবেন, এটা সেই সময় থেকে বলে বলে ক্ষেত্র প্রস্তুত না করলে ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর— ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’— বলার জন্যও তার গলা টিপে ধরা হতো। আজকাল অনেক পণ্ডিত ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি বলে সমালোচনা করেন। ‘রক্ত যখন দিয়েছি, আরো রক্ত দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’ আমাদের কাছে ওটাই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা। এরপর আমাদের আর কোনো ঘোষণার দরকার ছিল না। স্বার্থান্ধ যারা তারা নিজেদের স্বার্থে ওসব বলে এবং কিয়ামত পর্যন্ত বলবে। বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে যেভাবে জাতিকে পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্ত করেছেন, আর কোনো নেতা হাজার বছর বেঁচে থেকেও পারতেন না। বাংলার স্বাধীনতার জন্য মওলানা ভাসানী হাল দিয়েছেন, মই দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু তাতে ফসল ফলিয়েছেন। জীবনের একটা সময় এই দুই নেতার মাঝে সেতুবন্ধনের কাজ করেছি, তাই হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছি শেষ জীবনে তারা দুজন ছিলেন এক ও অভিন্ন।

 

 

অতীত ভোলা বাঙালি, ’৫৭-কে ভুলতে বসেছি। ১৭৫৭-র পলাশীর পরাজয়ের দাগ যেমন আমাদের আলোড়িত করে না, তেমনি ১৯৫৭-এর কাগমারী সম্মেলনও আমাদের হৃদয়ে অনেকটা ম্রিয়মাণ-ম্লান। সামনের বিপদ থেকে দূরে থাকতে এবং আলোর পথে চলতে অতীতের ওপর চোখ রাখতে হয়। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে অগ্রসর হলে কল্যাণ হয়। অকল্যাণ থেকে দূরে থাকা বা তা প্রতিরোধ করা যায়। সেই অর্থে ১৯৫৭-র কাগমারী মহাসম্মেলন আমাদের সামনে এক দীপশিখা। যে শিখা কখনো নেভার নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সব সময় পথ দেখাবে। মানুষের অধিকার, আত্মসম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর মতো প্রেরণা জোগাবে।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁয় সীনহা আবুল মনসুরের ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার না বলা কথা’ প্রকাশনী উৎসব ছিল। সোনারগাঁয়ে প্রকাশনী যেমন হওয়ার কথা তেমনই ছিল। সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করেছিলেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, প্রধান অতিথি সাংস্কৃতিক বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। লেখক বার বার অনুরোধ করায় টাঙ্গাইল থেকে ছুটে গিয়েছিলাম। ঢাকা-টাঙ্গাইল রাস্তায় ইদানীং চলা যায় না। ৬০-৭০-৮০ কিলোমিটার লম্বা যানজট লেগে থাকে নিত্যদিন। সেদিন তেমন না থাকলেও সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ঢাকা পৌঁছেছিলাম। যখন সেখানে পৌঁছি অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছিল। জনাব আনিসুল হক বই নিয়ে আলোচনা করছিলেন। বইয়ের শুরুতেই ২-৩টি চিঠি ছিল, যা নিয়ে আনিসুল হক কথা বলছিলেন, চিঠি পড়ছিলেন। ভদ্রলোক দেখতে যেমন সুন্দর, কথা বলেন আরও ভালো, লেখেন তারচেয়েও চমৎকার। প্রথম অবস্থায় দর্শকদের মাঝে বসেছিলাম। কিন্তু উদ্যোক্তারা থাকতে দেননি। বলতে গেলে টেনেহিঁচড়ে মঞ্চে নিয়েছিলেন। ইদানীং অমন আদর খুব একটা পাওয়া যায় না। বই নিয়ে আমাকে কিছু বলতে হবে তেমন আগ্রহ ছিল না। বইটির মূল নায়ক আমারই দলের এক কাল্পনিক যোদ্ধা। উপন্যাসে অনেক রং মাখা যায়, বাস্তবে তেমন যায় না। লেখকের সঙ্গে আমার ৪-৫ বার কথা হয়েছে। তিনি আমার ‘স্বাধীনতা-৭১’ পড়েছেন। বইটা অনেক বড়। তাই হয়তো সবটুকু পড়েননি বা ভালো করে পড়েননি। কিন্তু পড়েছেন। লেখক সীনহা আবুল মনসুরের লেখার ক্ষমতা অসাধারণ, নিষ্ঠা আরও বেশি। তার ক্ষমতা ও নিষ্ঠা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ‘জীবন এতো ছোট কেন?’ পড়ে অভিভূত হয়েছি। তার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে মনে হয়েছে আমিই যেন ভ্রমণ করছি। এসব দিক থেকে তাকে একজন ভালো লেখক বলতে হবে। আমেরিকায় থাকেন। শখ করে লেখেন। কর্মজীবনে একজন ডাক্তার। মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার আগ্রহের শেষ নেই। সে আগ্রহ থেকেই লেখকের এই প্রয়াস। বই সম্পর্কে তিনি বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ৬-৭ বছরের ছিলাম। তাই হয়তো আমার অনেক কথাই পাঠকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। সে জন্য অতি সম্প্রতি এক যোদ্ধার সঙ্গে আমার দেখা হয়। তার কথাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’

উপন্যাস আর ইতিহাস বা ঘটনা এক নয়। উপন্যাস উপন্যাসই। একজন লেখকের চিন্তা থেকে উপন্যাসের জন্ম। কিন্তু ঐতিহাসিক ঘটনা কড়কড়ে সত্য। লেখকের মুনশিয়ানায় কিছু বাস্তব, কিছু কল্পনা মিলেমিশে একাকার হয়ে মুক্তিযুদ্ধের কিছু ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু লেখকের দরদের কোনো ঘাটতি দেখিনি। কিন্তু প্রকাশনী সভায় প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান নূর বাস্তবের চেয়ে কল্পনাকে এত বেশি গুরুত্ব দিলেন যা দেখে বিস্মিত হয়েছি। কাদেরিয়া বাহিনীকে ঘিরে বইখানি রচনা করেছেন। কাদেরিয়া বাহিনীর কত জয়-পরাজয়ের ইতিহাস আছে, ঘটনা আছে, কত যোদ্ধা শহীদ হয়েছে। রকেট, আমির হানাদারদের সঙ্গে হাতাহাতি লড়াই করে জীবন দিয়েছে। দাইমার শামসু যমুনা নদীতে পাকিস্তানি হানাদারদের গুলিতে নিহত হয়েছিল। তার ভাগ্যে কবর জোটেনি। যমুনার পানির প্রবল টানে সে ভেসে গেছে। কদ্দুসনগরের কদ্দুস তার নিজের থানা স্বাধীন করতে গিয়ে বুকে গুলি খেয়ে শহীদ হয়েছিল। পাকিস্তানিদের মটরশেলে আনুর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। লেখক সেদিকে দৃষ্টি দেননি বা দিতে পারেননি। অর্নব নামে তার কল্পনায় সৃষ্ট নায়ক আমার সামনে দাঁড় করে দিয়েছেন। যে কথা তিনি তাকে দিয়ে বলিয়েছেন তাও যেমন সত্য নয়, আমাকে দিয়ে যা বলিয়েছেন তারও কোনো সত্যতা নেই। তারপরও লেখার গুণে বইটি হয়তো পাড় পেয়ে যাবে। কিন্তু আমি অবাক হয়েছি আসাদুজ্জামান নূরের বক্তৃতা শুনে। তার কল্পনার স্বপ্ন দেখা জাল বোনা দেখে। তিনি নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেন। আমি জানি না তিনি কেমন মুক্তিযোদ্ধা, কোথায় কোন রণাঙ্গনে অথবা অন্য কোথাও কি করেছেন। তবে বলতে বলতে তিনি যখন বললেন, ১৪ মার্চ তারা ডিমলা, না ডোমর থানা দখল করেছিলেন। শুনে অবাক হয়েছিলাম। শ্রোতাদের মধ্যেও গুঞ্জন উঠেছিল। ১৪ মার্চ তাকে থানা দখল করতে হবে কেন? সব থানা তো আমাদের দখলেই ছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষে জনাব তাজউদ্দীন আহমদ যে ফরমান জারি করতেন, সেই ফরমানেই চলত। তাহলে কীভাবে তিনি দখল করলেন? সঙ্গে সঙ্গে এও বললেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করতাম না, ছাত্র ইউনিয়ন করতাম।’ আজ মন্ত্রী হলেও সেদিন ছাত্র ইউনিয়নের কেউ বঙ্গবন্ধুকে সহজভাবে নেয়নি। তাদের কথায় তিনি ছিলেন সিআইএ-এর চর বা দালাল। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার পরও তারা তার বিরোধী ছিলেন। এখন জননেত্রী শেখ হাসিনার সামনে দাঁড়াতে না পেরে বঙ্গবন্ধুর চরম বিরোধীরাও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ধরনা দিয়ে যে যতটা সুযোগ-সুবিধা লুফে নিতে পারছেন নেওয়ার চেষ্টা করছেন। বঙ্গবন্ধুকে কেউ সহায়তা করেনি আমাদের মতো কিছু উন্মাদ ছাড়া। কিন্তু সেই উন্মাদরাই আজ বেশি বঞ্চিত নির্যাতিত নিগৃহীত। আজকাল যত পেখমধারী বর্ণচোরাদের জয়-জয়কার।

সেদিন হতেয়ার নয়ন হাজী এসেছিলেন। তার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট চাই। জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন, আপনার সার্টিফিকেট নেই? ‘না স্যার, এখন পর্যন্ত কোনো সার্টিফিকেট পাইনি।’ কেন পাননি? ‘তা তো বলতে পারবো না।’ আবেদন ফরমে লেখা ‘কোথায় ভর্তি হয়েছেন? কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন? কমান্ডার কে? কোথায় যুদ্ধ করেছেন? কোথায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন?’ হাজী মানুষ, তার সোজা জবাব, ‘স্যার, আমি কি ভর্তি হয়েছি? তা তো আপনিই ভালো জানেন। ইউনুস কমান্ডার সাহেবের সঙ্গে ছিলাম। আমার বাড়িতে একটানা ৬ মাস ক্যাম্প ছিল। আমার জমি-জমা ছিল। হাজার— দুই হাজার মণ ধান পেতাম। এখন আরও বেশি পাই। নিজেরটাও খাইয়েছি, অন্যের কাছ থেকে এনেও খাইয়েছি।’ তা ভালো কথা। কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন? ‘স্যার, ট্রেনিং আবার কী? সারা দিনই তো ট্রেনিংয়ের মধ্যেই থাকছি। সব সময়ই তো যুদ্ধের মধ্যে ছিলাম।’ আরে হাজী সাহেব, সরকারি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম লেখাবেন, যুদ্ধ করবেন না? নিজেই বলছেন যুদ্ধ করেননি। এই ফরম অনুসারে আপনি মুক্তিযোদ্ধা না। বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘কি বলেন স্যার? যুদ্ধের সময় কত কষ্ট করলাম। মুক্তিযোদ্ধারা এক রাইফেল কাঁধে নিয়ে হতেয়া থেকে পাথরঘাটা গেছে। আমি ৪টা গামছায় বেঁধে পৌঁছে দিয়েছি। না হলেও ১০ বার গুলির বাক্স নিয়ে কাচিনা গেছি, ফুলবাড়িয়া রাঙ্গামাটি গেছি। এমন কোনো দিন নেই নিজের ঘরে দুই-একশ রাইফেল, গোলাবারুদ পাহারা দিইনি। আগস্ট মাসে মুক্তিবাহিনীর হেডকোয়ার্টার ভেঙে গেলে আহত কমান্ডার খোরশেদ আলমকে আমাদের কাছে দেওয়া হয়। আমরা দেড় মাস তাকে চাঙ্গারিতে করে পালিয়ে বেড়িয়েছি। আমজাদ মাস্টার, ১০-১২ জন গুলি খাওয়া মুক্তিযোদ্ধা দিয়েছিলেন। তাদের জান বাঁচিয়েছি। দেশ স্বাধীন হলে আমার হেফাজতে থাকা ১৬ গাড়ি অস্ত্র বাসাইল মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে জমা দিয়েছি। তারপরও আমি মুক্তিযোদ্ধা না। চোখের সামনে কত মুক্তিযোদ্ধা ঘুরে। যারা আমার ক্যাম্পে ভাত রান্নার সময় ছাই-খোঁচানি হাতে চুলা খুঁচিয়েছে তারা মুক্তিযোদ্ধা আর আমি মুক্তিযোদ্ধা না। স্যার আপনিই বিচার করেন এটা কেমন কথা?’ হ্যাঁ, যুদ্ধের সময় কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু এখনকার হিসাবে নন। তবু তাকে বলেছিলাম, আপনি যান যাচাই বাছাই কমিটিকে বলবেন আমাদের সর্বাধিনায়ক কাদের সিদ্দিকী কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন? এই যে কমিটির সভাপতি আবু হানিফ আজাদ, ওসমান গনি কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন? খোরশেদ আলম, আউয়াল সিদ্দিকী, সালাম সিদ্দিকী, নয়া মুন্সী, শওকত মোমেন শাজাহানের যে ট্রেনিং আমারও তো সেই ট্রেনিং। তারা মুক্তিযোদ্ধা হলে আমি কেন হবো না? পাহাড়ের বন্ধু হামিদুল হক বীরপ্রতীক খেতাব পেয়েছেন। তিনি তো কোনো ট্রেনিং নেননি, যুদ্ধ করেননি। আনোয়ার উল আলম, ফারুক আহমেদ, দাউদ খান, সোহরাব আলী খান আরজু তারা যা করেছে আমি তাদের চাইতে কম করিনি। তারপরও আমি মুক্তিযোদ্ধা না? আমি অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা।

কিছু মানুষ যুদ্ধের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল তারা কয়টা গুলি ছুড়েছে, কয়টা যুদ্ধ করেছে তার চেয়ে অনেক বড় যুদ্ধে জোগান দিয়েছি তাদের একজন উপলদিয়ার নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া। তিনি জামালপুর সমবায়ে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে বাড়ি এসে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে আর চাকরিতে যাননি। যখন যে কাজ দিয়েছি, চিলের মতো উড়ে গিয়ে করেছেন। ঘাটাইল থানা দখলের সব অস্ত্র তার জিম্মায় রাখা হয়েছিল। তিনি এখন মুক্তিযোদ্ধা না। নিয়মিত সেনাবাহিনীর গাড়ির চালক, ধোপা, নাপিত, রাঁধুনী, মিস্ত্রি, হাসপাতালের ডাক্তার-নার্স যুদ্ধ করে না। কিন্তু তাদের ছাড়া যুদ্ধ চলে না। কাদেরিয়া বাহিনীর জনযুদ্ধে এমন কিছু মানুষ ছিলেন যাদের ছাড়া সব কিছু অচল। কিন্তু তাদের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নেই, ‘কয়টা যুদ্ধ করেছেন? কয়টা হানাদার মেরেছেন?’ এসব কথা বলে তাদের দূরে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। দেওপাড়ার করিম মুন্সী সেও নাকি যাচাই বাছাইয়ে টিকছে না। অথচ কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটা কোম্পানি যে কাজ করেছে তেমন কাজ তিনি একাই করেছেন। দেওপাড়ার এক যুদ্ধে কমান্ডার মফিজের ফেলে আসা ২ ইঞ্চি মর্টার উদ্ধার করেছিলেন। হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক আর আনছার একই সঙ্গে হানাদারদের মর্টারের একই গোলায় বাথুলীতে আহত হয়েছিল।

একই সঙ্গে ওদের চিকিৎসা হয়েছে। ওদের দুজনের নামই খেতাবের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। হাবিবুর রহমান খেতাব পেয়েছেন তাই মুক্তিযোদ্ধা তালিকাতেও নাম রয়েছে। কিন্তু আনছার যেমন খেতাব পায়নি, তেমনি তার মুক্তিযোদ্ধা তালিকাতে নাম নেই। এরা এখন কোথায় যাবে? কোথায় প্রতিকার পাবে?

লেখক : রাজনীতিক।

এই বিভাগের আরও খবর
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
অপনীতির অবসান
অপনীতির অবসান
গুপ্ত স্বৈরাচার
গুপ্ত স্বৈরাচার
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
গোলাপের সুবাস গেল কই
গোলাপের সুবাস গেল কই
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ব্যবসায় দুর্দিন
ব্যবসায় দুর্দিন
দেশবাসী কী চায়
দেশবাসী কী চায়
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
সর্বশেষ খবর
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে মিশরীয় রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে মিশরীয় রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

এই মাত্র | রাজনীতি

২ দিনের সরকারি সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
২ দিনের সরকারি সফরে পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচনের জন্য ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্যের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
নির্বাচনের জন্য ৪৮ হাজার পুলিশ সদস্যের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

যে জেলার কোনও আসনেই প্রার্থী দেয়নি বিএনপি
যে জেলার কোনও আসনেই প্রার্থী দেয়নি বিএনপি

২৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

ক্যালগেরি'র বাংলা স্কুলে শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন
ক্যালগেরি'র বাংলা স্কুলে শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন

৩০ মিনিট আগে | পরবাস

রাজধানী থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার
রাজধানী থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

তানজানিয়ায় বেআইনি হত্যা ও দমন-পীড়ন চলছে: অ্যামনেস্টি
তানজানিয়ায় বেআইনি হত্যা ও দমন-পীড়ন চলছে: অ্যামনেস্টি

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু
ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেক্সিকোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ১৩
মেক্সিকোতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ১৩

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটার প্রতি ১০ টাকা খরচ করতে পারবেন প্রার্থী
ভোটার প্রতি ১০ টাকা খরচ করতে পারবেন প্রার্থী

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সূচক বেড়ে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচক বেড়ে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাইফার্ট ছিটকে যাওয়ায় সুযোগ পেলেন মিচেল
সাইফার্ট ছিটকে যাওয়ায় সুযোগ পেলেন মিচেল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাগর জাহানের নতুন ধারাবাহিক ‘বিদেশ ফেরত’
সাগর জাহানের নতুন ধারাবাহিক ‘বিদেশ ফেরত’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে ৭৫ শতাংশ ভারতীয় শিক্ষার্থীর ভিসা আবেদন বাতিল কানাডার
যে কারণে ৭৫ শতাংশ ভারতীয় শিক্ষার্থীর ভিসা আবেদন বাতিল কানাডার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর শাহজাহানপুরে বাস চাপায় নারী নিহত
রাজধানীর শাহজাহানপুরে বাস চাপায় নারী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াল বিসিবি
নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়াল বিসিবি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যে জেলায় কোনো প্রার্থীই দেয়নি বিএনপি
যে জেলায় কোনো প্রার্থীই দেয়নি বিএনপি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড শাটডাউনে কর্মী সংকট, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচলে বিপর্যয়
রেকর্ড শাটডাউনে কর্মী সংকট, যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চলাচলে বিপর্যয়

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল
৫ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা
হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তুষারধসে নেপালে বিদেশি পর্বতারোহীসহ সাতজনের মৃত্যু
তুষারধসে নেপালে বিদেশি পর্বতারোহীসহ সাতজনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে ৭ম দিনের আপিল শুনানি চলছে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে ৭ম দিনের আপিল শুনানি চলছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুদানে আরএসএফের ড্রোন হামলায় নারী ও শিশুসহ নিহত ৪০
সুদানে আরএসএফের ড্রোন হামলায় নারী ও শিশুসহ নিহত ৪০

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তর কোরিয়ায় কিম পরিবারের বিশ্বস্ত সংসদপ্রধানের মৃত্যু
উত্তর কোরিয়ায় কিম পরিবারের বিশ্বস্ত সংসদপ্রধানের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নির্বাচনী পরিচালনা কমিটি ঘোষণা এনসিপির
নির্বাচনী পরিচালনা কমিটি ঘোষণা এনসিপির

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে আজ
ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে আজ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খরার কবলে তেহরান, দুই সপ্তাহ পর থেকে মিলবে না পানযোগ্য পানি
খরার কবলে তেহরান, দুই সপ্তাহ পর থেকে মিলবে না পানযোগ্য পানি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা
এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম
জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফরিদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ
ফরিদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি
ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা
এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার
দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ
মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খুলনা বিভাগে বাবার আসনে তিন পুত্র বিএনপির প্রার্থী
খুলনা বিভাগে বাবার আসনে তিন পুত্র বিএনপির প্রার্থী

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপির সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী শ্রাবণ
বিএনপির সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী শ্রাবণ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা
হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার
মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইলহান ওমরকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইলহান ওমরকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মনোনয়ন পেয়ে আনন্দ মিছিল করতে নিষেধ করলেন শামা ওবায়েদ
মনোনয়ন পেয়ে আনন্দ মিছিল করতে নিষেধ করলেন শামা ওবায়েদ

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান
বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে নতুন সুবিধা চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে নতুন সুবিধা চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এক বিমান বানিয়ে যতো লাভ করল ইরান
এক বিমান বানিয়ে যতো লাভ করল ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন তালিকায় নেই শিল্পীরা
বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন তালিকায় নেই শিল্পীরা

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসলাম চৌধুরী মনোনয়ন না পাওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ
আসলাম চৌধুরী মনোনয়ন না পাওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ

১৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কুড়িগ্রাম-৪: জামায়াত-বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আপন দুই ভাই
কুড়িগ্রাম-৪: জামায়াত-বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আপন দুই ভাই

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন
আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমেরিকাকে যে কঠিন শর্ত দিলেন ইরানের খামেনি
আমেরিকাকে যে কঠিন শর্ত দিলেন ইরানের খামেনি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা কবে, জানালেন শফিকুর রহমান

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে
গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার
৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন গেলেন সালাহউদ্দিন
লন্ডন গেলেন সালাহউদ্দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনায় রাজি জামায়াতে ইসলামী
আলোচনায় রাজি জামায়াতে ইসলামী

প্রথম পৃষ্ঠা

আলু এখন কৃষকের বোঝা
আলু এখন কৃষকের বোঝা

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির এমপি প্রার্থী হচ্ছেন যাঁরা
বিএনপির এমপি প্রার্থী হচ্ছেন যাঁরা

ভোটের মাঠে

এক হৃদয়ভাঙা গল্পের নায়িকা
এক হৃদয়ভাঙা গল্পের নায়িকা

মাঠে ময়দানে

ঘাটে ফিরছে ইলিশভর্তি ট্রলার
ঘাটে ফিরছে ইলিশভর্তি ট্রলার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইতিহাস গড়ার পথে মামদানি
ইতিহাস গড়ার পথে মামদানি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ
উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

প্রধান উপদেষ্টার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব
প্রধান উপদেষ্টার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ বছরে বে-টার্মিনাল চালু
পাঁচ বছরে বে-টার্মিনাল চালু

নগর জীবন

ডিজিটাল ব্যাংক লাইসেন্সের জন্য ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা
ডিজিটাল ব্যাংক লাইসেন্সের জন্য ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা

নগর জীবন

ফের ভয়াবহ গ্যাসসংকট
ফের ভয়াবহ গ্যাসসংকট

পেছনের পৃষ্ঠা

দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু
দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা

সিন্ডিকেটে আটকা পড়ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
সিন্ডিকেটে আটকা পড়ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি
৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

মসজিদ থেকে রক্তাক্ত স্বামীকে বাসায় নিয়ে আসেন স্থানীয়রা
মসজিদ থেকে রক্তাক্ত স্বামীকে বাসায় নিয়ে আসেন স্থানীয়রা

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা কেন্দ্র করে ভাঙচুর সড়ক অবরোধ
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা কেন্দ্র করে ভাঙচুর সড়ক অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কমুক্ত সংবিধান গড়ার চ্যালেঞ্জ
বিতর্কমুক্ত সংবিধান গড়ার চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে দলগুলোকে এক সপ্তাহ দিল সরকার
ঐকমত্যে দলগুলোকে এক সপ্তাহ দিল সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

এমপিওভুক্ত হচ্ছে ১০৮৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা
এমপিওভুক্ত হচ্ছে ১০৮৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

মুগডালে রং, চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মুগডালে রং, চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

দেশগ্রাম

বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলায় শিক্ষক নিহত
বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলায় শিক্ষক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

বালাশী-বাহাদুরাবাদ সড়ক, রেলসেতুর দাবি
বালাশী-বাহাদুরাবাদ সড়ক, রেলসেতুর দাবি

দেশগ্রাম

পানিতে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর
পানিতে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর

দেশগ্রাম

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

দেশগ্রাম

কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করা ভুল ছিল : জর্জ ক্লুনি
কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করা ভুল ছিল : জর্জ ক্লুনি

পূর্ব-পশ্চিম

আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২০
আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২০

পূর্ব-পশ্চিম