শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ আপডেট:

কাগমারী মহাসম্মেলনের ৬০ বছর

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
কাগমারী মহাসম্মেলনের ৬০ বছর

’৫৭-এর ফেব্রুয়ারির ৬-১১ তারিখ কাগমারী মহাসম্মেলনের দেখতে দেখতে ৬০ বছর চলে গেল। আমাদের ভাষা, কৃষ্টি-সভ্যতার শক্তিশালী ভিত রচনা করেছিল ১৯৫৭ সালের কাগমারী মহাসম্মেলন। কী চমৎকার মিল। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন মুর্শিদাবাদের ভাগিরথির তীরে পলাশীর প্রান্তরে ইংরেজের হাতে বাংলার শেষ নবাব সিরাজ উদ দৌলা স্বাধীনতা হারিয়ে ছিলেন। আমরা আবার সেই স্বাধীনতা দইয়ের স্বাদ ঘোলে মিটানোর মতো ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান-ভারত বিভাগের মধ্য দিয়ে পেয়েছিলাম। ১০ বছরে আমাদের সে স্বাদ মিটে গিয়েছিল। পাকিস্তানের বঞ্চনা ও অসংগতির বিরুদ্ধে ১৯৫৭ সালে হুজুর মওলানা ভাসানী কাগমারীতে আফ্রেশিয়া ল্যাটিন আমেরিকার শান্তির সম্মেলন ডেকেছিলেন। সেখানে উপমহাদেশের কত নেতা, কত মনীষী এসেছিলেন। প্রখ্যাত সাহিত্যিক তারা শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবোধ কুমার সান্যাল, অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, আবদুল ওয়াদুদ, নরেন্দ্র দেব, বাংলাদেশের কবি জসীমউদ্দীন, অধ্যাপক ড. এবি হালিম, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ, শাসুন্নাহারের মতো জগদ্বিখ্যাত লেখক-সাহিত্যিক। মহেশ্বেতা দেবীও সে সম্মেলনে পদধূলি দিয়েছিলেন। সীমান্ত গান্ধী খান আবদুল গাফ্ফার খান, মিয়া মমতাজ দৌলতানা, পীর পাগারুসহ আরও যোগ দিয়েছিলেন ইয়ার মামুদ, মো. ইদ্রিস, ফকির সাহাবুদ্দিন আহমেদ, খায়রুল কবির, খন্দকার মহাম্মদ ইলিয়াস, সদর ইস্পাহানী ও আবু জাফর শামসুদ্দিন। সে সময় পাকিস্তানের কেন্দ্র ও প্রাদেশিক সরকার ছিল আওয়ামী লীগের। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আতোয়ার রহমান খান। সেই সম্মেলনে ১০-১১ বছর বয়সে কতবার সমবয়সীদের সঙ্গে দৌড়ে গেছি, আবার ফিরেছি। ৬ দিনের সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছিল প্রায় ১৫-২০ দিন আগে থেকে। ছনের অসংখ্য কুঁড়েঘর বানানো হয়েছিল। তখন বেশ ঠাণ্ডা ছিল। রাস্তার পাশে শিশির ভেজা ঘাসে খালি পায় ছুটতে খুবই ভালো লাগত। সন্তোষ মহারাজার পুরনো বাড়িতে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়। জানালার ফাঁক দিয়ে আমরা সেসব দেখতাম। শেষদিন ছিল কাগমারী মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ মাঠে জনসভা। সে জনসভায় মাইকের আওয়াজ আর হুজুর মওলানা ভাসানীর দাড়ির নাচন আজও আমাকে উদ্বেল করে। আল্লাহ কখন কাকে কী দান করেন মানবের কল্পনার অতীত। কাগমারী সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে প্রথম দেখেছিলাম, আবার কাগমারী কলেজ সরকারিকরণের অনুষ্ঠানে তাদের দুজনকে একত্রে শেষ দেখা দেখি। আল্লাহর কী দয়া, সে সভা পরিচালনার দায়িত্ব ছিল আমার। কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে বঙ্গবন্ধু গিয়েছিলেন হুজুরের সন্তোষের ভাঙা কুঁড়েঘরে। দরবার হলে খাবার খেয়ে তিনি সরাসরি খুলনা চলে যান। কারণ তার বাবা তখন সেখানে খুবই অসুস্থ। সেই ছিল তার টাঙ্গাইলে শেষ সফর। দরবার হলে পিতার মতো পুত্রের পাতে যখন রুই মাছের বিশাল মাথা তুলে দিচ্ছিলেন তখন খুবই অভিভূত হচ্ছিলাম। বঙ্গবন্ধু অত বড় বিশাল মাথা খেতে পারছিলেন না, একে ওকে দিচ্ছিলেন। যেই অন্যের পাতে তুলে দিচ্ছিলেন, অমনি হুজুর আরেকটা তার পাতে দিচ্ছিলেন। সে এক অপূর্ব দেখার মতো দৃশ্য। হুজুর সব সময় অভিনব কাণ্ড করতেন। সে যাত্রায় বঙ্গবন্ধুকে খাওয়াতে খরচ হয়েছিল ১৭-১৮ হাজার। মাছ, মাংস, তরি-তরকারি যাবতীয় প্রয়োজনীয় উপকরণ কেনার জন্য কোঁচ থেকে ১৩৫ টাকা বের করে আমার হাতে গুঁজে দিয়েছিলেন। অমনটাই ছিল তার সারা জীবনের স্বভাব। মহররম অথবা খাজা বাবার জন্মদিন কিংবা তার পীর নাসির উদ্দিন বোগদাদীর উরসে কাঁচা মরিচ ৫ মণ, পিয়াজ ১০ মণ, আলু ২০ মণ, চাল ১৫-২০ বস্তা, তেল ২ মণ, চিনি ২ বস্তা— এ রকম এক লম্বা ফিরিস্তি দিয়ে টাকা গুঁজে দিতেন ১০০-১৫০ বা ২০০ যখন যা খুশি। কিন্তু কেন যেন তার কোনো কাজ ঠেকে থাকত না। যখন যাকে যা বলতেন সানন্দে তা করতেন। সেটা আমি কাদের সিদ্দিকীই হই, জননেতা আবদুল মান্নান, শামসুর রহমান খান শাজাহান, বদিউজ্জামান আর তার দলের আবদুর রহমান, বুলবুল খান মাহাবুব বা মোসলেম মিয়া। কাউকে তার দেওয়া দায়িত্ব মনে হয় আল্লাহর তরফ থেকে পালিত হতো।

কাগমারীর মহাসম্মেলন ছিল পূর্ব পাকিস্তান বা বাঙালিদের চোখ খুলে দেওয়ার মতো। আমরা ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয়েছি। কিন্তু হুজুর মওলানা ভাসানী কত দূরদর্শী ছিলেন তার প্রমাণ কাগমারী মহাসম্মেলন। তিনি ’৫৭ সালে পাকিস্তানকে ‘আস্সালামু আলাইকুম’ জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘বঞ্চনা বন্ধ না করলে তোমাদের সঙ্গে আমাদের থাকা হবে না।’ হুজুর মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করবেন, এটা সেই সময় থেকে বলে বলে ক্ষেত্র প্রস্তুত না করলে ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর— ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’— বলার জন্যও তার গলা টিপে ধরা হতো। আজকাল অনেক পণ্ডিত ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি বলে সমালোচনা করেন। ‘রক্ত যখন দিয়েছি, আরো রক্ত দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’ আমাদের কাছে ওটাই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা। এরপর আমাদের আর কোনো ঘোষণার দরকার ছিল না। স্বার্থান্ধ যারা তারা নিজেদের স্বার্থে ওসব বলে এবং কিয়ামত পর্যন্ত বলবে। বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে যেভাবে জাতিকে পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্ত করেছেন, আর কোনো নেতা হাজার বছর বেঁচে থেকেও পারতেন না। বাংলার স্বাধীনতার জন্য মওলানা ভাসানী হাল দিয়েছেন, মই দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু তাতে ফসল ফলিয়েছেন। জীবনের একটা সময় এই দুই নেতার মাঝে সেতুবন্ধনের কাজ করেছি, তাই হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেছি শেষ জীবনে তারা দুজন ছিলেন এক ও অভিন্ন।

 

 

অতীত ভোলা বাঙালি, ’৫৭-কে ভুলতে বসেছি। ১৭৫৭-র পলাশীর পরাজয়ের দাগ যেমন আমাদের আলোড়িত করে না, তেমনি ১৯৫৭-এর কাগমারী সম্মেলনও আমাদের হৃদয়ে অনেকটা ম্রিয়মাণ-ম্লান। সামনের বিপদ থেকে দূরে থাকতে এবং আলোর পথে চলতে অতীতের ওপর চোখ রাখতে হয়। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে অগ্রসর হলে কল্যাণ হয়। অকল্যাণ থেকে দূরে থাকা বা তা প্রতিরোধ করা যায়। সেই অর্থে ১৯৫৭-র কাগমারী মহাসম্মেলন আমাদের সামনে এক দীপশিখা। যে শিখা কখনো নেভার নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সব সময় পথ দেখাবে। মানুষের অধিকার, আত্মসম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর মতো প্রেরণা জোগাবে।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁয় সীনহা আবুল মনসুরের ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার না বলা কথা’ প্রকাশনী উৎসব ছিল। সোনারগাঁয়ে প্রকাশনী যেমন হওয়ার কথা তেমনই ছিল। সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করেছিলেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, প্রধান অতিথি সাংস্কৃতিক বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। লেখক বার বার অনুরোধ করায় টাঙ্গাইল থেকে ছুটে গিয়েছিলাম। ঢাকা-টাঙ্গাইল রাস্তায় ইদানীং চলা যায় না। ৬০-৭০-৮০ কিলোমিটার লম্বা যানজট লেগে থাকে নিত্যদিন। সেদিন তেমন না থাকলেও সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ঢাকা পৌঁছেছিলাম। যখন সেখানে পৌঁছি অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছিল। জনাব আনিসুল হক বই নিয়ে আলোচনা করছিলেন। বইয়ের শুরুতেই ২-৩টি চিঠি ছিল, যা নিয়ে আনিসুল হক কথা বলছিলেন, চিঠি পড়ছিলেন। ভদ্রলোক দেখতে যেমন সুন্দর, কথা বলেন আরও ভালো, লেখেন তারচেয়েও চমৎকার। প্রথম অবস্থায় দর্শকদের মাঝে বসেছিলাম। কিন্তু উদ্যোক্তারা থাকতে দেননি। বলতে গেলে টেনেহিঁচড়ে মঞ্চে নিয়েছিলেন। ইদানীং অমন আদর খুব একটা পাওয়া যায় না। বই নিয়ে আমাকে কিছু বলতে হবে তেমন আগ্রহ ছিল না। বইটির মূল নায়ক আমারই দলের এক কাল্পনিক যোদ্ধা। উপন্যাসে অনেক রং মাখা যায়, বাস্তবে তেমন যায় না। লেখকের সঙ্গে আমার ৪-৫ বার কথা হয়েছে। তিনি আমার ‘স্বাধীনতা-৭১’ পড়েছেন। বইটা অনেক বড়। তাই হয়তো সবটুকু পড়েননি বা ভালো করে পড়েননি। কিন্তু পড়েছেন। লেখক সীনহা আবুল মনসুরের লেখার ক্ষমতা অসাধারণ, নিষ্ঠা আরও বেশি। তার ক্ষমতা ও নিষ্ঠা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ‘জীবন এতো ছোট কেন?’ পড়ে অভিভূত হয়েছি। তার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে মনে হয়েছে আমিই যেন ভ্রমণ করছি। এসব দিক থেকে তাকে একজন ভালো লেখক বলতে হবে। আমেরিকায় থাকেন। শখ করে লেখেন। কর্মজীবনে একজন ডাক্তার। মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার আগ্রহের শেষ নেই। সে আগ্রহ থেকেই লেখকের এই প্রয়াস। বই সম্পর্কে তিনি বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ৬-৭ বছরের ছিলাম। তাই হয়তো আমার অনেক কথাই পাঠকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। সে জন্য অতি সম্প্রতি এক যোদ্ধার সঙ্গে আমার দেখা হয়। তার কথাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’

উপন্যাস আর ইতিহাস বা ঘটনা এক নয়। উপন্যাস উপন্যাসই। একজন লেখকের চিন্তা থেকে উপন্যাসের জন্ম। কিন্তু ঐতিহাসিক ঘটনা কড়কড়ে সত্য। লেখকের মুনশিয়ানায় কিছু বাস্তব, কিছু কল্পনা মিলেমিশে একাকার হয়ে মুক্তিযুদ্ধের কিছু ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু লেখকের দরদের কোনো ঘাটতি দেখিনি। কিন্তু প্রকাশনী সভায় প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান নূর বাস্তবের চেয়ে কল্পনাকে এত বেশি গুরুত্ব দিলেন যা দেখে বিস্মিত হয়েছি। কাদেরিয়া বাহিনীকে ঘিরে বইখানি রচনা করেছেন। কাদেরিয়া বাহিনীর কত জয়-পরাজয়ের ইতিহাস আছে, ঘটনা আছে, কত যোদ্ধা শহীদ হয়েছে। রকেট, আমির হানাদারদের সঙ্গে হাতাহাতি লড়াই করে জীবন দিয়েছে। দাইমার শামসু যমুনা নদীতে পাকিস্তানি হানাদারদের গুলিতে নিহত হয়েছিল। তার ভাগ্যে কবর জোটেনি। যমুনার পানির প্রবল টানে সে ভেসে গেছে। কদ্দুসনগরের কদ্দুস তার নিজের থানা স্বাধীন করতে গিয়ে বুকে গুলি খেয়ে শহীদ হয়েছিল। পাকিস্তানিদের মটরশেলে আনুর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। লেখক সেদিকে দৃষ্টি দেননি বা দিতে পারেননি। অর্নব নামে তার কল্পনায় সৃষ্ট নায়ক আমার সামনে দাঁড় করে দিয়েছেন। যে কথা তিনি তাকে দিয়ে বলিয়েছেন তাও যেমন সত্য নয়, আমাকে দিয়ে যা বলিয়েছেন তারও কোনো সত্যতা নেই। তারপরও লেখার গুণে বইটি হয়তো পাড় পেয়ে যাবে। কিন্তু আমি অবাক হয়েছি আসাদুজ্জামান নূরের বক্তৃতা শুনে। তার কল্পনার স্বপ্ন দেখা জাল বোনা দেখে। তিনি নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেন। আমি জানি না তিনি কেমন মুক্তিযোদ্ধা, কোথায় কোন রণাঙ্গনে অথবা অন্য কোথাও কি করেছেন। তবে বলতে বলতে তিনি যখন বললেন, ১৪ মার্চ তারা ডিমলা, না ডোমর থানা দখল করেছিলেন। শুনে অবাক হয়েছিলাম। শ্রোতাদের মধ্যেও গুঞ্জন উঠেছিল। ১৪ মার্চ তাকে থানা দখল করতে হবে কেন? সব থানা তো আমাদের দখলেই ছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষে জনাব তাজউদ্দীন আহমদ যে ফরমান জারি করতেন, সেই ফরমানেই চলত। তাহলে কীভাবে তিনি দখল করলেন? সঙ্গে সঙ্গে এও বললেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করতাম না, ছাত্র ইউনিয়ন করতাম।’ আজ মন্ত্রী হলেও সেদিন ছাত্র ইউনিয়নের কেউ বঙ্গবন্ধুকে সহজভাবে নেয়নি। তাদের কথায় তিনি ছিলেন সিআইএ-এর চর বা দালাল। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার পরও তারা তার বিরোধী ছিলেন। এখন জননেত্রী শেখ হাসিনার সামনে দাঁড়াতে না পেরে বঙ্গবন্ধুর চরম বিরোধীরাও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ধরনা দিয়ে যে যতটা সুযোগ-সুবিধা লুফে নিতে পারছেন নেওয়ার চেষ্টা করছেন। বঙ্গবন্ধুকে কেউ সহায়তা করেনি আমাদের মতো কিছু উন্মাদ ছাড়া। কিন্তু সেই উন্মাদরাই আজ বেশি বঞ্চিত নির্যাতিত নিগৃহীত। আজকাল যত পেখমধারী বর্ণচোরাদের জয়-জয়কার।

সেদিন হতেয়ার নয়ন হাজী এসেছিলেন। তার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট চাই। জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন, আপনার সার্টিফিকেট নেই? ‘না স্যার, এখন পর্যন্ত কোনো সার্টিফিকেট পাইনি।’ কেন পাননি? ‘তা তো বলতে পারবো না।’ আবেদন ফরমে লেখা ‘কোথায় ভর্তি হয়েছেন? কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন? কমান্ডার কে? কোথায় যুদ্ধ করেছেন? কোথায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন?’ হাজী মানুষ, তার সোজা জবাব, ‘স্যার, আমি কি ভর্তি হয়েছি? তা তো আপনিই ভালো জানেন। ইউনুস কমান্ডার সাহেবের সঙ্গে ছিলাম। আমার বাড়িতে একটানা ৬ মাস ক্যাম্প ছিল। আমার জমি-জমা ছিল। হাজার— দুই হাজার মণ ধান পেতাম। এখন আরও বেশি পাই। নিজেরটাও খাইয়েছি, অন্যের কাছ থেকে এনেও খাইয়েছি।’ তা ভালো কথা। কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন? ‘স্যার, ট্রেনিং আবার কী? সারা দিনই তো ট্রেনিংয়ের মধ্যেই থাকছি। সব সময়ই তো যুদ্ধের মধ্যে ছিলাম।’ আরে হাজী সাহেব, সরকারি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম লেখাবেন, যুদ্ধ করবেন না? নিজেই বলছেন যুদ্ধ করেননি। এই ফরম অনুসারে আপনি মুক্তিযোদ্ধা না। বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘কি বলেন স্যার? যুদ্ধের সময় কত কষ্ট করলাম। মুক্তিযোদ্ধারা এক রাইফেল কাঁধে নিয়ে হতেয়া থেকে পাথরঘাটা গেছে। আমি ৪টা গামছায় বেঁধে পৌঁছে দিয়েছি। না হলেও ১০ বার গুলির বাক্স নিয়ে কাচিনা গেছি, ফুলবাড়িয়া রাঙ্গামাটি গেছি। এমন কোনো দিন নেই নিজের ঘরে দুই-একশ রাইফেল, গোলাবারুদ পাহারা দিইনি। আগস্ট মাসে মুক্তিবাহিনীর হেডকোয়ার্টার ভেঙে গেলে আহত কমান্ডার খোরশেদ আলমকে আমাদের কাছে দেওয়া হয়। আমরা দেড় মাস তাকে চাঙ্গারিতে করে পালিয়ে বেড়িয়েছি। আমজাদ মাস্টার, ১০-১২ জন গুলি খাওয়া মুক্তিযোদ্ধা দিয়েছিলেন। তাদের জান বাঁচিয়েছি। দেশ স্বাধীন হলে আমার হেফাজতে থাকা ১৬ গাড়ি অস্ত্র বাসাইল মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে জমা দিয়েছি। তারপরও আমি মুক্তিযোদ্ধা না। চোখের সামনে কত মুক্তিযোদ্ধা ঘুরে। যারা আমার ক্যাম্পে ভাত রান্নার সময় ছাই-খোঁচানি হাতে চুলা খুঁচিয়েছে তারা মুক্তিযোদ্ধা আর আমি মুক্তিযোদ্ধা না। স্যার আপনিই বিচার করেন এটা কেমন কথা?’ হ্যাঁ, যুদ্ধের সময় কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু এখনকার হিসাবে নন। তবু তাকে বলেছিলাম, আপনি যান যাচাই বাছাই কমিটিকে বলবেন আমাদের সর্বাধিনায়ক কাদের সিদ্দিকী কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন? এই যে কমিটির সভাপতি আবু হানিফ আজাদ, ওসমান গনি কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন? খোরশেদ আলম, আউয়াল সিদ্দিকী, সালাম সিদ্দিকী, নয়া মুন্সী, শওকত মোমেন শাজাহানের যে ট্রেনিং আমারও তো সেই ট্রেনিং। তারা মুক্তিযোদ্ধা হলে আমি কেন হবো না? পাহাড়ের বন্ধু হামিদুল হক বীরপ্রতীক খেতাব পেয়েছেন। তিনি তো কোনো ট্রেনিং নেননি, যুদ্ধ করেননি। আনোয়ার উল আলম, ফারুক আহমেদ, দাউদ খান, সোহরাব আলী খান আরজু তারা যা করেছে আমি তাদের চাইতে কম করিনি। তারপরও আমি মুক্তিযোদ্ধা না? আমি অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা।

কিছু মানুষ যুদ্ধের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল তারা কয়টা গুলি ছুড়েছে, কয়টা যুদ্ধ করেছে তার চেয়ে অনেক বড় যুদ্ধে জোগান দিয়েছি তাদের একজন উপলদিয়ার নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া। তিনি জামালপুর সমবায়ে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে বাড়ি এসে দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে আর চাকরিতে যাননি। যখন যে কাজ দিয়েছি, চিলের মতো উড়ে গিয়ে করেছেন। ঘাটাইল থানা দখলের সব অস্ত্র তার জিম্মায় রাখা হয়েছিল। তিনি এখন মুক্তিযোদ্ধা না। নিয়মিত সেনাবাহিনীর গাড়ির চালক, ধোপা, নাপিত, রাঁধুনী, মিস্ত্রি, হাসপাতালের ডাক্তার-নার্স যুদ্ধ করে না। কিন্তু তাদের ছাড়া যুদ্ধ চলে না। কাদেরিয়া বাহিনীর জনযুদ্ধে এমন কিছু মানুষ ছিলেন যাদের ছাড়া সব কিছু অচল। কিন্তু তাদের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নেই, ‘কয়টা যুদ্ধ করেছেন? কয়টা হানাদার মেরেছেন?’ এসব কথা বলে তাদের দূরে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। দেওপাড়ার করিম মুন্সী সেও নাকি যাচাই বাছাইয়ে টিকছে না। অথচ কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটা কোম্পানি যে কাজ করেছে তেমন কাজ তিনি একাই করেছেন। দেওপাড়ার এক যুদ্ধে কমান্ডার মফিজের ফেলে আসা ২ ইঞ্চি মর্টার উদ্ধার করেছিলেন। হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক আর আনছার একই সঙ্গে হানাদারদের মর্টারের একই গোলায় বাথুলীতে আহত হয়েছিল।

একই সঙ্গে ওদের চিকিৎসা হয়েছে। ওদের দুজনের নামই খেতাবের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। হাবিবুর রহমান খেতাব পেয়েছেন তাই মুক্তিযোদ্ধা তালিকাতেও নাম রয়েছে। কিন্তু আনছার যেমন খেতাব পায়নি, তেমনি তার মুক্তিযোদ্ধা তালিকাতে নাম নেই। এরা এখন কোথায় যাবে? কোথায় প্রতিকার পাবে?

লেখক : রাজনীতিক।

এই বিভাগের আরও খবর
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
সর্বশেষ খবর
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ

এই মাত্র | রাজনীতি

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

৬ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

২৯ মিনিট আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৪৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা
লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮
প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা
কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১
যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুবকের লাশ উদ্ধার
যুবকের লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির
‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু
রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন
কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোলায় সাত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ
ভোলায় সাত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ
তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স
আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!
শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ
এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা
বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে
দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

উল্টো রথযাত্রায় ভক্তের ঢল
উল্টো রথযাত্রায় ভক্তের ঢল

দেশগ্রাম

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়
হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়

মাঠে ময়দানে

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না
এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হোটেল জাকারিয়ায় ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
হোটেল জাকারিয়ায় ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

উলটো রথ টেনে শেষ হলো রথ উৎসব
উলটো রথ টেনে শেষ হলো রথ উৎসব

নগর জীবন

মানুষ আর কত জীবন দেবে
মানুষ আর কত জীবন দেবে

নগর জীবন

নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে

নগর জীবন

পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কারের বিকল্প নেই
পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কারের বিকল্প নেই

প্রথম পৃষ্ঠা