সোমবার, ২০ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা
গাইডলাইন

উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের করণীয়

শরীফ খান

উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের করণীয়

দেশের সব কলেজে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে উচ্চ মাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম চলছে। প্রথম ধাপের ভর্তি চলবে ২২ জুন পর্যন্ত। পছন্দের প্রতিষ্ঠানের ক্রম উল্লেখ করে অনলাইন বা এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই তালিকা অনুযায়ী প্রথম ধাপে কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি চলছে। পরবর্তীতে অপেক্ষমান তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে। তবে যেসব শিক্ষার্থীদের নাম প্রথম বা অপেক্ষমান তালিকায় নেই তাদেরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অনলাইনে বা এসএমএসে আবেদনের সময় প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই একটি পিন নম্বর অর্থাৎ শনাক্তকরণ নম্বর দেওয়া হয়েছে। এই পিন নম্বরটি ব্যবহার করে এসব শিক্ষার্থীরা আসন খালি থাকা সাপেক্ষে বোর্ডের অনুমতি নিয়ে দেশের যেকোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে। 

সঠিক প্রতিষ্ঠান বাছাই :অনলাইন বা এসএমএসে আবেদন করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তিবঞ্চিত ও অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম অপশন হতে পারে রাজধানীর উত্তরাস্থ ‘এমিনেন্স কলেজ’। শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক চাহিদার জন্য যোগ্য করে তোলার পথে গুণগত শিক্ষা প্রদানের প্রধান উৎস হয়ে উঠাই প্রতিষ্ঠানটির ভিশন। একঝাঁক উদ্যমী, শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সচেতন সশস্ত্রবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলেজটি। গুণগত ও আধুনিক শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে তাদের সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে আধুনিক নিজস্ব ক্যাম্পাস, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্লাসরুম, কম্পিউটার ল্যাব, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, চমৎকার শিক্ষার পরিবেশ, একদল অভিজ্ঞ ও আন্তরিক শিক্ষক, সিসিটিভির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা। এককথায়, একজন শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে সব সুযোগ-সুবিধার সমাহার ঘটেছে প্রতিষ্ঠানটিতে। ‘শিক্ষা সবার অধিকার’ এই কথার প্রতিফলন ঘটানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি দরিদ্র অথচ মেধাবী শিক্ষার্থী এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের দিচ্ছে বিশেষ বৃত্তি। এছাড়া এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা। উত্তরা তের নম্বর সেক্টরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কলেজটিতে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি চলছে। ভর্তি ও অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কল ০১৭১৭-৭৯৬৪১০, ০১৫৫১-৬০৫০৩৪।  ভিজিট করতে পারও www.eminencecollege.com. সীমিত সংখ্যক আসনে বিজ্ঞান, ব্যবসা ও মানবিক এই তিনটি বিভাগেই ভর্তির সুযোগ রয়েছে। এছাড়া এইচএসসি শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিবিএ ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

নতুন হলেও অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত বিধায় কলেজটি ইতিমধ্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টদের নজর কেড়েছে। তাইতো শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় আরও অনেক প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও এমিনেন্সকে বেছে নিচ্ছে। 

শিক্ষার্থীদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, কোনো কলেজ পরিচালনার সঙ্গে কারা আছেন এ বিষয়টি গুণগত শিক্ষাদান ও ভালো ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। দুর্নীতিবিরোধী ও সৎ-নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এমিনেন্স যারা ব্যবসা ও ব্যক্তিস্বার্থ নয়, বরং সমাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই কলেজটি গড়ে তুলেছে।

এইচএসসি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ : শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে এইচএসসির সিলেবাস বড় হলেও এর জন্য এসএসসির মতো দুই বছর সময় পাওয়া যায় না। মূলত এইচএসসিতে শিক্ষার্থীরা দেড় বছর সময় পায়। তাই শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ধাপে ভালো করতে হলে একাদশ শ্রেণি থেকেই ভালো করে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। তা না হলে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হবে না। ফলশ্রুতিতে কাঙ্ক্ষিত উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণ নাও হতে পারে। তাই উচ্চ মাধ্যমিকের সময়টুকু সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা চাইলে এমিনেন্সকে বেছে নিতে পারে। সঠিক একটি কলেজ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত পথ নির্দেশনা দেবে।

সর্বশেষ খবর