রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মারাত্মক আহত ৪৬ জনের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
সংগঠনটির ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে এই সহায়তা বিতরণ করেন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এ সময় তিনি আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন, তাদের সমস্যার কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সাধ্যমত সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। সেই সঙ্গে তিনি তাদের বিপদে ধৈর্যধারণের পরামর্শ দেন।
তিনি আহতদের আশু আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহ তা’য়ালার কাছে দোয়া করেন।
এ সময় মহানগরী সেক্রেটারির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ আমীর আমিনুল ইসলাম, সেক্রেটারি আবু সাঈদ মন্ডল।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াত নেতা জামিল হোসাইন, মাওলানা রুহুল আমিন জহিরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, মুরাদ হোসেন প্রমুখ।
তিনি উপস্থিতদের উদ্দেশ্যে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে বিজয়ী করার মাধ্যমে যারা দেশকে অপশাসন-দুঃশাসন, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার মুক্ত করতে অবদান রেখেছেন তারা জাতীয় বীর ও আমাদের গর্বিত সন্তান। এজন্য যারা রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন তারা দেশ ও জাতির কাছে বীরশ্রেষ্ঠ হিসেবে অভিষিক্ত। যারা আহত ও বিজয়ী হয়েছেন ইতিহাসে তাদের নাম চিরদিনই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি আন্দোলনে আত্মৎস্বর্গোকারী বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন, আহত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং বিজয়ীদের প্রতি অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, আমাদের গর্বিত সন্তানদের বিজয় নিয়ে ইতোমধ্যেই নানাবিধ ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মহান এ বিজয়কে বিতর্কিত করার জন্যই দেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িকতার ধুয়া তোলা হচ্ছে। কিন্তু এসব ষড়যন্ত্র করে ছাত্র-জনতার এই মহাবিজয়কে কোনওভাবেই কলঙ্কিত করা যাবে না, বরং ছাত্র-জনতার ঐক্যের কাছে সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হতে বাধ্য।
তিনি অর্জিত বিজয়কে সার্থক ও ফলপ্রসূ করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান জানান।
বিডি প্রতিদিন/একেএ