‘পুলিশের কোনো সদস্য যদি মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, পৃষ্ঠপোষকতা অথবা সহায়তা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে; যাতে অন্যরাও দেখে ভয় পায়।’ গতকাল সকালে রাজধানীর আফতাবনগরে পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ ও সিসি ক্যামেরা কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তার বিকল্প নেই। গুলশান, বনানী, বারিধারায় সিসি ক্যামেরা বসানোর ফলে অপরাধ শূন্যের কোঠায় এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আফতাবনগরে ১০০ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এখানে এখন থেকে আর অপরাধ থাকবে না। কেউ অপরাধ করার সাহস পাবে না। করলেও পালিয়ে বাঁচতে পারবে না। খুব সহজে পাকড়াও করা যাবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অপরাধশূন্য করতে সিসি ক্যামেরার বিকল্প নেই। ঢাকা শহরের অপরাধ কমানোর জন্য ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্যসংবলিত একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। কোথাও মাদকের আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেলে তা ভেঙে তছনছ করা হবে। কড়াইল বস্তি ও কারওয়ান বাজারের মতো মাদক আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মাদকের লগ্নি কারা করছে তা খোঁজা হচ্ছে। সে যে-ই হোক, তার কোমরে রশি পরানো হবে।’ তিনি বলেন, ‘থানাসহ সব ক্ষেত্রে জনসাধারণকে উত্তম ব্যবহার ও সেবা দিয়ে পুলিশকে আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। থানায় এসে যদি কেউ আইনি সেবা না পান, তাহলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান। আমরা ব্যবস্থা নেব।’বাড্ডা ইউলুপে র্যালি শুরুর আগে ডিএমপি-প্রধান বলেন, ‘জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক ও ভূমি দখলকারীরা যত বড় ক্ষমতাশালীই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এরপর পুলিশ সেবা সপ্তাহের র্যালি নিয়ে আফতাবনগরে আসেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
