প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাট হাতেও নেমেও পড়ে চাপে। শুরুর দিকের ওই চাপ দ্বিতীয় সেশনেও সামলে উঠতে পারেনি টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় দিনের ৯ উইকেটে ১৩০ রান করেছে ভারত।
প্রথম দিনের শেষটা দুর্দান্ত করে ভারত। রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার রেকর্ড জুটিতে বড় রানের পথে ছুটছিল তারা। দ্বিতীয় দিনে সেটিকে আর বাড়তে দেননি তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের কেবল তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট এনে দেন তিনি। তার বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন জাদেজা। ১২৪ বলে ৮৬ রান করেন তিনি, অশ্বিনের সঙ্গে ১৯৯ রানের জুটি ভাঙে তার। বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন অশ্বিন ও জাদেজা।
নিজেদের ইনিংসে নেমে বিপদে আছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের শেষ বলে বোল্ড করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ওই পরিস্থিতি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন জাকির হাসান।
২২ বলে ৩ রান করে আকাশ দ্বীপের বলে বোল্ড হয়ে যান জাকির। পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান মুমিনুল হক। তিন ব্যাটারকে হারিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ দ্বিতীয়টিতেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। দুই ওভার পরই সাজঘরে ফেরত যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩০ বলে ২০ রান করে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
পরের ওভারে ফেরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ১৪ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন লিটন দাস। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
৪২ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরত যান লিটন। তার বিদায়ের পর বোলারদের নিয়ে লড়াই শুরু হয় মেহেদী হাসান মিরাজের। কিন্তু ২২ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান হাসান মাহমুদ।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল