শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মুসলিম মনীষীদের মাজার

যুগে যুগে ইসলাম প্রচারে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বুজুর্গ ব্যক্তির আগমন ঘটেছে। তারা ছড়িয়েছেন ইসলামের আলো। এসব মনীষীর হাত ধরে দিকহারা সাধারণ মানুষ পেয়েছে দীন ইসলামের দিশা। পরিণত হয়েছেন মনীষীদের ভক্ত-আশেকানে। এই ভালোবাসা পরবর্তীতে অব্যাহত থেকেছে অনুসারীদের মাঝে। তাই বুজুর্গদের প্রতি ভালোবাসা ও স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে সমবেত হন তাদের মাজারে। আজকের বিশেষ আয়োজনে থাকছে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন মুসলিম মনীষীর মাজার সম্পর্কে বিস্তারিত।
তানিয়া তুষ্টি
প্রিন্ট ভার্সন
মুসলিম মনীষীদের মাজার

বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানীর মাজার

 

হিজরি ৫৬১ সালের ১১ রবিউস সানি বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) পরলোক গমন করেন। খ্রিস্ট সাল অনুযায়ী ১১৬৬ সাল ছিল। তবে তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ৮, ৯, ১১, ১৩ এবং ১৭ পর্যন্ত এ পাঁচটি তারিখের উল্লেখ পাওয়া গেলেও সর্বসম্মত মতে ১১ রবিউস সানি। তার মৃত্যুবার্ষিকী ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত। ফাতেহা অর্থ দোয়া, আর ইয়াজদাহম অর্থ এগারো। রবিউস সানি মাসের ১১ তারিখ হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) এর স্মরণে বিশ্বব্যাপী তার ভক্ত-অনুসারীরা দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে পালন করে থাকেন। ইরাকের বাগদাদ শহরের ‘বাবুশ শায়েখ’ এলাকায় তার মাজার শরিফ অবস্থিত। এই দিনে ভক্তদের উদ্যোগে ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে মসজিদে আলোকসজ্জা করা হয়। মাহফিল মজলিসের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, রসুলুল্লাহ (স.)-এর প্রতি দরুদ শরিফ ও সালাম, কালেমা পাঠ, জিকির-আজকার ও শিরনি এবং মিষ্টি বিতরণ ও ইসালে সওয়াব ইত্যাদি অনুষ্ঠান পালন। এই দিবসকে এগারই শরিফ বা গিয়ারভি শরিফ বলে। দিবসটি গাউসে পাকের উরস মোবারক। অন্যান্য আউলিয়া কেরামের উরস শরিফ অনুষ্ঠিত হয় সাধারণত তাদের ইন্তেকাল দিবসে কিন্তু হুজুর গাউসে পাকের উরস শরিফ অনুষ্ঠিত হয় প্রতি চন্দ্র মাসের ১১ তারিখ রাতে ও দিনে। গাউসে পাকের বিশেষ মর্যাদার কারণে তার ভক্তরা এগারই শরিফ বা গিয়ারভি শরিফ পালন করে বিশ্বের সব ‘সিলসিলায়ে কাদেরিয়া’র বিভিন্ন দরবার শরিফে। শুধু কাদেরিয়া তরিকার বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় নয়, দিবসটি চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া (মুজাদ্দেদিয়া), সহওয়ার্দিয়া ইত্যাদি তরিকায়ও পালিত হয়। বিশেষ করে বড়পীর গাউসে পাকের খাস বংশধর তথা আহলে বাইতের সদস্য (প্রিয় নবীর বংশধর), হজরত সৈয়্যেদেনা ওয়া মাওলানা সৈয়দ শাহ মুরশিদ আলী আল কাদেরী আল জিলানী আল মেদিনীপুরী আলা জাদ্দিহি নাবিয়ানা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম ওরফে ‘মাওলা পাক’ এর ‘আঞ্জুমানে-ই-কাদেরিয়া’ সিলসিলা অন্তর্ভুক্ত ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, পাকিস্তানের সব খানকা শরিফ মসজিদে প্রতি চন্দ্র মাসের ১০ তারিখ দিবাগত রাতে (১১ তারিখ) ১১ শরিফ বা গিয়ারভি শরিফ পালিত হয় অত্যন্ত আদব ও ভক্তি শ্রদ্ধাভরে। ‘আঞ্জুমানে-ই-কাদেরিয়া’ সিলসিলা

অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের ঢাকা, রাজবাড়ী, পাবনা, চট্টগ্রাম জেলার খানকা শরিফ মসজিদগুলোতে এগারই শরিফ মাহফিলে হাজার হাজার আশেকানে গাউসে পাক যোগদান করেন। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পরম শ্রদ্ধেয় আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)। ৪৭০ বা ৪৭১ হিজরির ১ রমজান পারস্যের এক বিখ্যাত জনপদ ‘জিলানে’ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামের অন্যতম প্রচারক হওয়ায় তাকে ‘গাউস উল আজম’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ইসলাম ধর্মমতে তাকে ‘বড়পীর’ হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) নামে অবিহিত করা হয়। শিক্ষা-দীক্ষায় পূর্ণতা অর্জনের পর তিনি নিজেকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত করেন। তার মাহফিলে শুধু মুসলিম নয়, অনেক অমুসলিমও অংশগ্রহণ করতেন। তার বক্তব্য শুনে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেন। তিনি কাব্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ের পণ্ডিত ছিলেন। তার রচিত বহু গ্রন্থ রয়েছে। এসব গ্রন্থের মধ্যে ফতহুল গায়ের গুনিয়াতুত তালেবীন, ফতহুর রবজানি, কালিদায়ে গাওসিয়া উল্লেখযোগ্য। জ্ঞান, গরিমায় উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন গাওসুল আজম হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর স্থান মুসলিম বিশ্বের আওলিয়ায়ে কেরামের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সবার ঊর্ধ্বে।

 

হজরত ওয়াইস করনির রওজা শরিফ

গোটা বিশ্বে ৭টি রওজা শরিফ রয়েছে। কেউ যেন তার সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারে সেজন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন। তখন আল্লাহর কুদরতে একজন সাতজনে পরিণত হন, রওজাও হয় ৭টি।

গোটা বিশ্বে ওয়াইস করনির ৭টা রওজা শরিফ রয়েছে। প্রথম রওজা সিফফিনে, দ্বিতীয় রওজা আজারবাইজানে, তৃতীয় রওজা ইয়েমেনে, চতুর্থ রওজা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে, পঞ্চম রওজা মদিনার দক্ষিণে জোবায়দায়, ষষ্ঠ রওজা গজনিতে, সপ্তম রওজা বাগদাদে অবস্থিত। ওয়াইস করনি একদিন আল্লাহ পাকের কাছে এই বলে প্রার্থনা করেন যে, হে আল্লাহ আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে গোপন রাখো। কেউ যেন আমার সঠিক পরিচয় জানতে না পারে। আল্লাহ পাক তার এই দোয়া কবুল করেন। এই দোয়া করার সঙ্গে সঙ্গেই আল্লাহর কুদরতে একজন ওয়াস করনি হতে সাতজন সৃষ্টি হয়ে ৭ দেশে চলে যায়। পরবর্তীতে এই সাতজন ৭ ভাবে ৭ জাগায় ইন্তেকাল করেন। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যে এই ৭টা রওজা শরিফেই অলৌকিক কারামত লক্ষিত হয়। ওয়াইস করনি (রহ.) এর রওজা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আজও রহস্যের বিষয়। চিরকাল থাকবে বলে ধারণা করা হয়। পুরো নাম সুলতানুল আশেকে রাব্বানি হজরত ওয়াইস করনি (রহ.)। তিনি বিশ্বের কাছে ইয়েমেনের প্রখ্যাত একজন মুসলিম মনীষী, সুফি, দার্শনিক ও শহীদ হিসেবে পরিচিত। ওয়াইস করনি ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে ইয়েমেনের করণ শহরে জন্ম নেন। জাতিসত্তায় ছিলেন আরব। পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং মার নাম বেদউরা। তার পদবি ছিল সুলতানুল আশেকিনে রাব্বানি, আল্লাহ ও রসুলের নয়নমণি। জীবদ্দশায় তিনি অনুসারীদের ওয়াইসি মতে প্রভাবিত করতেন। সুন্নি, সুফি ও শিয়াদের কাছে সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। আলী ইবনে আবু তালিবের পক্ষে লড়াই করে ৬৫৭ সালে ওয়াইস করনি সিফফিনের যুদ্ধে শহীদ হন। তারপর তাকে সিরিয়ার রাক্কাহতে দাফন করা হয়। এক সময় কিছু চরমপন্থি ইসলামী গোষ্ঠী এটি গুঁড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে তার সম্মানে তুরস্কের সির্ত প্রদেশের বায়কানে একটি মাজার নির্মাণ করা হয়। আধ্যাত্মিক সাধনায় তিনি এতই মশগুল থাকতেন যে নিজের দেহের প্রতি কোনো খেয়ালই করতেন না। তিনি দেখতে ছিলেন উজ্জ্বল ফর্সা মধ্যমা আকৃতির, চোখ দুটি ছিল নীল সমুদ্রের মতো, মাথার চুল ছিল আলু-থালু ,উষ্ক-খুষ্ক। তিনি এতই ইবাদত করতেন যে খাওয়া, ঘুম ভুলে যেতেন। কঠোর ইবাদতের ফলে তার পেট পিঠের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল, সারা শরীর ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। সারা  দেহে মাংস বলতে কিছুই ছিল না, ছিল শুধু হাড়। দূর থেকে তার দেহের সব হাড় গোনা  যেত। তিনি শত ছিন্ন তালি দেওয়া কাপড় পরতেন। সাধারণ মানুষ দেখে তাকে রাস্তার পাগল বলে উপহাস করত।

 

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর মাজার

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) ১২৩৬ সাল বা ৬৩৩ হিজরির ৫ রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ রজব সূর্যোদয়ের সময় পরলোক গমন করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ভারতের আজমিরে তার পবিত্র মাজার শরিফ অবস্থিত। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভক্তরা প্রতিবছর ১ রজব থেকে ৬ রজব পর্যন্ত মাজারস্থলে উরস পালন করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নানা ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সেই ওরসে সমবেত হয়। এই উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি আসার আগে এখানকার মানুষ চরম অন্ধকারে বসবাস করছিল। কথিত আছে মদিনা শরিফে নবীজী তাকে স্বপ্নযোগে হুকুম করেন ভারতের আজমির নামক স্থানে ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য। মহানবী (স.) তাকে স্বপ্নযোগে আজমিরের পরিচয় দেন। তারপর তিনি আজমিরের উদ্দেশে রওনা হন। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) আজমিরে আসার আগে হিন্দুরাজা পৃথ্বীরাজের দাপটে জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.)-এর আজমিরে আগমন ঘটে। এই মহান বুুজর্গের আগমনে রাজা পৃথ্বীরাজ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) আজমিরে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য আস্তানা করেন। অসীম শক্তিশালী অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজ তার বিশাল সৈন্য বাহিনী, তান্ত্রিক সাধক এবং আরও অন্যান্য শক্তি প্রয়োগ করেও খাজা গরিরে নেওয়াজের কোনো ক্ষতি করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত খাজা বাবা সব দুষ্ট শক্তিকে দমন করে ভারতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে মানুষ সহজেই খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর প্রতি মোহিত হয়ে যেত। তিনি কখনো কাউকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেননি। তিনি ছিলেন বড় মাপের একজন আধ্যাত্মিক সাধক। ছোটবেলা থেকেই তিনি কঠোর এবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ৫৩৬ হিজরি বা ১১৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পূর্ব পারস্যের সিসটান রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি জ্ঞানার্জন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বোখারার উদ্দেশে যাত্রা করেন। তখন থেকেই তার বিশ্বভ্রমণ শুরু। তিনি দুনিয়ার সব আকর্ষণ করে আল্লাহর এবাদতে নিয়োজিত থাকতেন।

 

শাহ জালালের দরগাহ

কারও কারও মতে সিলেট ভূমির মুসলিম সভ্যতা ও ধর্মমত এই দরগাহকে কেন্দ্র করে প্রসার লাভ করেছে। শাহ জালালের লৌকিক ও অলৌকিক স্মৃতিবিজড়িত এই স্থান সিলেটের অন্যতম পুণ্য তীর্থ হিসেবে পরিচিত।

 

সিলেট বিজয়ের পর দিল্লির সুলতান শামসুদ্দীন ফিরোজ শাহ, শাহ জালালকে সিলেটের শাসনভার গ্রহণের প্রস্তাব দেন। কিন্তু শাহ জালাল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে সুলতান বিশেষ ঘোষণা জারি করে সিলেট শহরকে খাজনা মুক্ত করে দরবেশকে সম্মানিত করেন। ১৩০৩ সালে পাশ্চাত্যের ইসলাম ধর্মপ্রচারক শাহ জালালের বাসস্থান নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এটিই মূলত তার শেষ সমাধিতে পরিণত হয়। শাহ জালালের এই দরগাহ সিলেট শহরের একটি আধ্যাত্মিক স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। দরগাহটি সিলেট শহরের উত্তর প্রান্তে একটি টিলার ওপর অবস্থিত। কারও কারও মতে সিলেট ভূমির মুসলিম সভ্যতা ও ধর্মমত এই দরগাহকে কেন্দ্র করে প্রসার লাভ করেছে। শাহ জালালে লৌকিক ও অলৌকিক স্মৃতিবিজড়িত এই স্থান সিলেটের অন্যতম পুণ্য তীর্থ হিসেবে পরিচিত। পরবর্তীতে শাহ জালালের সঙ্গী অনুসারীদের দ্বারা ঢাকা, ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা, কুমিল্লা, আসাম ও প্রভৃতি স্থানে মুসলিম সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচার ও প্রসার হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাৎসরিক উরস উপলক্ষে প্রতিবছর হাজার হাজার লোক এখানে এসে শাহ জালালের উপলক্ষ ধরে স্রষ্টার কাছে ভক্তি নিবেদন করেন। সুলতানি আমল হতে প্রথা অনুযায়ী নবাব, বাদশা বা রাজকর্মচারীদের মধ্যে যারা সিলেট আসতেন তারা নানা প্রকার দালান নির্মাণ করে সম্মানের সঙ্গে দরগাহের সংস্কার ও প্রসার সাধন করতেন। দরগাহ চত্বরে অবস্থিত দালান, মসজিদ ও পুকুর ঘাট ইত্যাদি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থাপনা সুলতানি ও মুঘল আমলে নির্মিত। স্থাপনায় থাকা তাম্রফলক ও প্রস্তর ফলকে লিখিত বিভিন্ন নিদর্শন তার প্রমাণ দেয়। যেমন সিলেট শহরের সর্ব বৃহৎ দরগাহ মসজিদের ফলকে লিখিত তথ্যে আছে, ‘বাংলার সুলতানদের কর্তৃক ১৪০০ সালে ইহা নির্মিত। শাহ জালালের সমাধি ঘিরে যে দেয়াল রয়েছে তা লুৎফুল্লাহ আমিন বকশী কর্তৃক নির্মিত বলে একটি ফলক সূত্রে জানা যায়। এ ছাড়া দরগাহের লঙ্গরখানায় অর্থ সাহায্য, খাদেমদের জন্য জায়গির ব্যবস্থা, দরগাহের আলোকসজ্জা ইত্যাদি অনুদান সুলতানরা ও মুঘল বাদশাহদের দরবেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিভিন্ন বিবরণীতে পাওয়া যায়।

 

হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজার

সুলতান-উল-মাশায়েখ, মেহবুব-এ-ইলাহী, শেখ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) নামেও পরিচিত। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার একজন প্রখ্যাত সুফি সাধক। তিনি চিশতিয়া তরিকা মৌলিক আধ্যাত্মিক ধারাবাহিকতা বা সিলসিলা তৈরি করেছেন, যা ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। নিজামুদ্দিন আউলিয়া ১৩২৫ সালের ৩ এপ্রিল সকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মাজার, নিজামুদ্দিনের দরগাহ দিল্লিতে অবস্থিত। বর্তমানে যে স্থাপনাটি তার মাজার হিসেবে পরিচিত সেটি ১৫৬২ সালে নির্মিত হয়। ধনী-গরিবসহ সব শ্রেণির মানুষের ভিড়ে এখানে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। তার অনেক শিষ্য আধ্যাত্মিকতার উচ্চ আসন অর্জন করেছেন।

 

হজরত শাহ পরানের মাজার টিলা

শাহ জালাল যখন বাংলাদেশে আসার উদ্যোগ নেন তখন ভাগ্নে শাহ পরান খবর পেয়ে ভারতে এসে মামার সঙ্গী হন। সিলেট বিজয়ের পর শাহ জালালের আদেশে তিনি ইসলাম প্রচারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। শাহ পরান সিলেটের নবীগঞ্জ, হবীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচার করেন। পরবর্তীকালে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ হলে শাহ জালালের নির্দেশে শাহ পরান সিলেট শহর হতে ছয় মাইল দূরে খাদেম নগর এলাকায় গিয়ে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশে বসতি স্থাপন করেন। সেখানেই জীবনের  শেষ সময় পর্যন্ত ইসলাম প্রচার করেন। বর্তমান মাজার টিলায় চির নিদ্রায় শায়িত হন। সিলেট শহরের পূর্ব দিকে খাদিমনগর এলাকায় টিলার ওপর একটি প্রকাণ্ড বৃক্ষের নিচে রয়েছে শাহ পরানের কবর। মাজার টিলায় ওঠানামার জন্য উক্ত মাজার প্রাঙ্গণে উত্তর ও দক্ষিণ হয়ে সিঁড়ি আছে। যা প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু। এই সিঁড়িটি মুঘল আমলে নির্মিত বলে লোক মুখে শোনা যায়। মাজারের পশ্চিম দিকে মুঘল বাদশাদের স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদে প্রায় ৫০০ মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করে থাকেন। মাজার টিলা  থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট দক্ষিণ পশ্চিমে মহিলা পর্যটকদের জন্য এক তলা বিশিষ্ট দালান ঘর রয়েছে। উক্ত দালানের অল্প পরিসর দক্ষিণ পূর্বে আরেকটি ঘর দেখতে পাওয়া যায়। এ ঘরখানা মূলত বিদেশাগত পর্যটকদের বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহার হয়। এই ঘরের পাশেই একটি পুকুর রয়েছে, যা অজু গোসলের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শাহ পরানের পূর্ব পুরুষরা মূলত বোখারা শহরের অধিবাসী ছিলেন। তার ঊর্ধŸতন ৪র্থ পুরুষ শাহ জামাল উদ্দীন, বোখারা হতে ধর্ম প্রচারের জন্য প্রথমে সমরকন্দ ও পরে তুর্কিস্তানে এসে বসবাস করেন। বংশ সূত্রে শাহ পরানের বাবা মোহাম্মদও একজন খ্যাতনামা ধার্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মা সম্পর্কে শাহ জালালের বোন ছিলেন। সে হিসেবে শাহ পরান হচ্ছেন শাহ জালালের ভাগ্নে। শাহ পরানের বয়স যখন ১১ বছর তখন তিনি বাবাকে হারান। পরবর্তীতে তার আত্মীয় প্রখ্যাত দরবেশ সৈয়দ আহমদ কবিরের কাছে ধর্ম শিক্ষায় দীক্ষিত হন। সেখান থেকে তিনি আধ্যাত্মিক দীক্ষা লাভে  নিশাপুরের বিখ্যাত দরবেশ পাগলা আমিনের শরণাপন্ন হয়ে আধ্যাত্মিক শিক্ষায় দীক্ষিত হন।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
অন্ধ কুকুরকে গুলি, কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন মালিক
অন্ধ কুকুরকে গুলি, কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন মালিক

এই মাত্র | পাঁচফোড়ন

ঝিনাইগাতীতে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
ঝিনাইগাতীতে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

৩৭ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ছেলের নাম জানল রাঘব-পরিণীতি
ছেলের নাম জানল রাঘব-পরিণীতি

১ মিনিট আগে | শোবিজ

মাইলফলকের ম্যাচে মুশফিকের ফিফটি
মাইলফলকের ম্যাচে মুশফিকের ফিফটি

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে সৎমা গ্রেফতার
ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে সৎমা গ্রেফতার

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১৭
রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১৭

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন পাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ
অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন পাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

শাকসু নির্বাচন : খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ বৃহস্পতিবার
শাকসু নির্বাচন : খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ বৃহস্পতিবার

২৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভসূচনা পাকিস্তানের
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভসূচনা পাকিস্তানের

২৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কর্মশালা
নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কর্মশালা

২৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষ মৃত্যুর চেয়ে বদনামকে বেশি ভয় করে: জিতু কমল
মানুষ মৃত্যুর চেয়ে বদনামকে বেশি ভয় করে: জিতু কমল

২৭ মিনিট আগে | শোবিজ

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

২৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : মির্জা ফখরুল
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

৩৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জোনায়েদ সাকির
নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জোনায়েদ সাকির

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় কয়েক দফা হামলা ইউক্রেনের
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় কয়েক দফা হামলা ইউক্রেনের

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

৫২ মিনিট আগে | নগর জীবন

সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

চীনা জাদুঘরে মিলছে তেলাপোকা ও পিঁপড়ার কফি
চীনা জাদুঘরে মিলছে তেলাপোকা ও পিঁপড়ার কফি

৫৬ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

কুষ্টিয়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন
কুষ্টিয়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ
মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর
গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে স্কটল্যান্ড
২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে স্কটল্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লালমনিরহাটে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিল জেলা কৃষকদল
লালমনিরহাটে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিল জেলা কৃষকদল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান
উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান

২২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা
তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা