শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মুসলিম মনীষীদের মাজার

যুগে যুগে ইসলাম প্রচারে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বুজুর্গ ব্যক্তির আগমন ঘটেছে। তারা ছড়িয়েছেন ইসলামের আলো। এসব মনীষীর হাত ধরে দিকহারা সাধারণ মানুষ পেয়েছে দীন ইসলামের দিশা। পরিণত হয়েছেন মনীষীদের ভক্ত-আশেকানে। এই ভালোবাসা পরবর্তীতে অব্যাহত থেকেছে অনুসারীদের মাঝে। তাই বুজুর্গদের প্রতি ভালোবাসা ও স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে সমবেত হন তাদের মাজারে। আজকের বিশেষ আয়োজনে থাকছে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন মুসলিম মনীষীর মাজার সম্পর্কে বিস্তারিত।
তানিয়া তুষ্টি
প্রিন্ট ভার্সন
মুসলিম মনীষীদের মাজার

বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানীর মাজার

 

হিজরি ৫৬১ সালের ১১ রবিউস সানি বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) পরলোক গমন করেন। খ্রিস্ট সাল অনুযায়ী ১১৬৬ সাল ছিল। তবে তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ৮, ৯, ১১, ১৩ এবং ১৭ পর্যন্ত এ পাঁচটি তারিখের উল্লেখ পাওয়া গেলেও সর্বসম্মত মতে ১১ রবিউস সানি। তার মৃত্যুবার্ষিকী ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত। ফাতেহা অর্থ দোয়া, আর ইয়াজদাহম অর্থ এগারো। রবিউস সানি মাসের ১১ তারিখ হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) এর স্মরণে বিশ্বব্যাপী তার ভক্ত-অনুসারীরা দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে পালন করে থাকেন। ইরাকের বাগদাদ শহরের ‘বাবুশ শায়েখ’ এলাকায় তার মাজার শরিফ অবস্থিত। এই দিনে ভক্তদের উদ্যোগে ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে মসজিদে আলোকসজ্জা করা হয়। মাহফিল মজলিসের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, রসুলুল্লাহ (স.)-এর প্রতি দরুদ শরিফ ও সালাম, কালেমা পাঠ, জিকির-আজকার ও শিরনি এবং মিষ্টি বিতরণ ও ইসালে সওয়াব ইত্যাদি অনুষ্ঠান পালন। এই দিবসকে এগারই শরিফ বা গিয়ারভি শরিফ বলে। দিবসটি গাউসে পাকের উরস মোবারক। অন্যান্য আউলিয়া কেরামের উরস শরিফ অনুষ্ঠিত হয় সাধারণত তাদের ইন্তেকাল দিবসে কিন্তু হুজুর গাউসে পাকের উরস শরিফ অনুষ্ঠিত হয় প্রতি চন্দ্র মাসের ১১ তারিখ রাতে ও দিনে। গাউসে পাকের বিশেষ মর্যাদার কারণে তার ভক্তরা এগারই শরিফ বা গিয়ারভি শরিফ পালন করে বিশ্বের সব ‘সিলসিলায়ে কাদেরিয়া’র বিভিন্ন দরবার শরিফে। শুধু কাদেরিয়া তরিকার বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় নয়, দিবসটি চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া (মুজাদ্দেদিয়া), সহওয়ার্দিয়া ইত্যাদি তরিকায়ও পালিত হয়। বিশেষ করে বড়পীর গাউসে পাকের খাস বংশধর তথা আহলে বাইতের সদস্য (প্রিয় নবীর বংশধর), হজরত সৈয়্যেদেনা ওয়া মাওলানা সৈয়দ শাহ মুরশিদ আলী আল কাদেরী আল জিলানী আল মেদিনীপুরী আলা জাদ্দিহি নাবিয়ানা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম ওরফে ‘মাওলা পাক’ এর ‘আঞ্জুমানে-ই-কাদেরিয়া’ সিলসিলা অন্তর্ভুক্ত ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, পাকিস্তানের সব খানকা শরিফ মসজিদে প্রতি চন্দ্র মাসের ১০ তারিখ দিবাগত রাতে (১১ তারিখ) ১১ শরিফ বা গিয়ারভি শরিফ পালিত হয় অত্যন্ত আদব ও ভক্তি শ্রদ্ধাভরে। ‘আঞ্জুমানে-ই-কাদেরিয়া’ সিলসিলা

অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের ঢাকা, রাজবাড়ী, পাবনা, চট্টগ্রাম জেলার খানকা শরিফ মসজিদগুলোতে এগারই শরিফ মাহফিলে হাজার হাজার আশেকানে গাউসে পাক যোগদান করেন। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পরম শ্রদ্ধেয় আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)। ৪৭০ বা ৪৭১ হিজরির ১ রমজান পারস্যের এক বিখ্যাত জনপদ ‘জিলানে’ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামের অন্যতম প্রচারক হওয়ায় তাকে ‘গাউস উল আজম’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ইসলাম ধর্মমতে তাকে ‘বড়পীর’ হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) নামে অবিহিত করা হয়। শিক্ষা-দীক্ষায় পূর্ণতা অর্জনের পর তিনি নিজেকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত করেন। তার মাহফিলে শুধু মুসলিম নয়, অনেক অমুসলিমও অংশগ্রহণ করতেন। তার বক্তব্য শুনে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেন। তিনি কাব্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ের পণ্ডিত ছিলেন। তার রচিত বহু গ্রন্থ রয়েছে। এসব গ্রন্থের মধ্যে ফতহুল গায়ের গুনিয়াতুত তালেবীন, ফতহুর রবজানি, কালিদায়ে গাওসিয়া উল্লেখযোগ্য। জ্ঞান, গরিমায় উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন গাওসুল আজম হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর স্থান মুসলিম বিশ্বের আওলিয়ায়ে কেরামের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সবার ঊর্ধ্বে।

 

হজরত ওয়াইস করনির রওজা শরিফ

গোটা বিশ্বে ৭টি রওজা শরিফ রয়েছে। কেউ যেন তার সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারে সেজন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন। তখন আল্লাহর কুদরতে একজন সাতজনে পরিণত হন, রওজাও হয় ৭টি।

গোটা বিশ্বে ওয়াইস করনির ৭টা রওজা শরিফ রয়েছে। প্রথম রওজা সিফফিনে, দ্বিতীয় রওজা আজারবাইজানে, তৃতীয় রওজা ইয়েমেনে, চতুর্থ রওজা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে, পঞ্চম রওজা মদিনার দক্ষিণে জোবায়দায়, ষষ্ঠ রওজা গজনিতে, সপ্তম রওজা বাগদাদে অবস্থিত। ওয়াইস করনি একদিন আল্লাহ পাকের কাছে এই বলে প্রার্থনা করেন যে, হে আল্লাহ আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে গোপন রাখো। কেউ যেন আমার সঠিক পরিচয় জানতে না পারে। আল্লাহ পাক তার এই দোয়া কবুল করেন। এই দোয়া করার সঙ্গে সঙ্গেই আল্লাহর কুদরতে একজন ওয়াস করনি হতে সাতজন সৃষ্টি হয়ে ৭ দেশে চলে যায়। পরবর্তীতে এই সাতজন ৭ ভাবে ৭ জাগায় ইন্তেকাল করেন। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যে এই ৭টা রওজা শরিফেই অলৌকিক কারামত লক্ষিত হয়। ওয়াইস করনি (রহ.) এর রওজা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আজও রহস্যের বিষয়। চিরকাল থাকবে বলে ধারণা করা হয়। পুরো নাম সুলতানুল আশেকে রাব্বানি হজরত ওয়াইস করনি (রহ.)। তিনি বিশ্বের কাছে ইয়েমেনের প্রখ্যাত একজন মুসলিম মনীষী, সুফি, দার্শনিক ও শহীদ হিসেবে পরিচিত। ওয়াইস করনি ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে ইয়েমেনের করণ শহরে জন্ম নেন। জাতিসত্তায় ছিলেন আরব। পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং মার নাম বেদউরা। তার পদবি ছিল সুলতানুল আশেকিনে রাব্বানি, আল্লাহ ও রসুলের নয়নমণি। জীবদ্দশায় তিনি অনুসারীদের ওয়াইসি মতে প্রভাবিত করতেন। সুন্নি, সুফি ও শিয়াদের কাছে সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। আলী ইবনে আবু তালিবের পক্ষে লড়াই করে ৬৫৭ সালে ওয়াইস করনি সিফফিনের যুদ্ধে শহীদ হন। তারপর তাকে সিরিয়ার রাক্কাহতে দাফন করা হয়। এক সময় কিছু চরমপন্থি ইসলামী গোষ্ঠী এটি গুঁড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে তার সম্মানে তুরস্কের সির্ত প্রদেশের বায়কানে একটি মাজার নির্মাণ করা হয়। আধ্যাত্মিক সাধনায় তিনি এতই মশগুল থাকতেন যে নিজের দেহের প্রতি কোনো খেয়ালই করতেন না। তিনি দেখতে ছিলেন উজ্জ্বল ফর্সা মধ্যমা আকৃতির, চোখ দুটি ছিল নীল সমুদ্রের মতো, মাথার চুল ছিল আলু-থালু ,উষ্ক-খুষ্ক। তিনি এতই ইবাদত করতেন যে খাওয়া, ঘুম ভুলে যেতেন। কঠোর ইবাদতের ফলে তার পেট পিঠের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল, সারা শরীর ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। সারা  দেহে মাংস বলতে কিছুই ছিল না, ছিল শুধু হাড়। দূর থেকে তার দেহের সব হাড় গোনা  যেত। তিনি শত ছিন্ন তালি দেওয়া কাপড় পরতেন। সাধারণ মানুষ দেখে তাকে রাস্তার পাগল বলে উপহাস করত।

 

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর মাজার

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) ১২৩৬ সাল বা ৬৩৩ হিজরির ৫ রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ রজব সূর্যোদয়ের সময় পরলোক গমন করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ভারতের আজমিরে তার পবিত্র মাজার শরিফ অবস্থিত। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভক্তরা প্রতিবছর ১ রজব থেকে ৬ রজব পর্যন্ত মাজারস্থলে উরস পালন করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নানা ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সেই ওরসে সমবেত হয়। এই উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি আসার আগে এখানকার মানুষ চরম অন্ধকারে বসবাস করছিল। কথিত আছে মদিনা শরিফে নবীজী তাকে স্বপ্নযোগে হুকুম করেন ভারতের আজমির নামক স্থানে ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য। মহানবী (স.) তাকে স্বপ্নযোগে আজমিরের পরিচয় দেন। তারপর তিনি আজমিরের উদ্দেশে রওনা হন। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) আজমিরে আসার আগে হিন্দুরাজা পৃথ্বীরাজের দাপটে জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.)-এর আজমিরে আগমন ঘটে। এই মহান বুুজর্গের আগমনে রাজা পৃথ্বীরাজ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) আজমিরে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য আস্তানা করেন। অসীম শক্তিশালী অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজ তার বিশাল সৈন্য বাহিনী, তান্ত্রিক সাধক এবং আরও অন্যান্য শক্তি প্রয়োগ করেও খাজা গরিরে নেওয়াজের কোনো ক্ষতি করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত খাজা বাবা সব দুষ্ট শক্তিকে দমন করে ভারতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে মানুষ সহজেই খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর প্রতি মোহিত হয়ে যেত। তিনি কখনো কাউকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেননি। তিনি ছিলেন বড় মাপের একজন আধ্যাত্মিক সাধক। ছোটবেলা থেকেই তিনি কঠোর এবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ৫৩৬ হিজরি বা ১১৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পূর্ব পারস্যের সিসটান রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি জ্ঞানার্জন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বোখারার উদ্দেশে যাত্রা করেন। তখন থেকেই তার বিশ্বভ্রমণ শুরু। তিনি দুনিয়ার সব আকর্ষণ করে আল্লাহর এবাদতে নিয়োজিত থাকতেন।

 

শাহ জালালের দরগাহ

কারও কারও মতে সিলেট ভূমির মুসলিম সভ্যতা ও ধর্মমত এই দরগাহকে কেন্দ্র করে প্রসার লাভ করেছে। শাহ জালালের লৌকিক ও অলৌকিক স্মৃতিবিজড়িত এই স্থান সিলেটের অন্যতম পুণ্য তীর্থ হিসেবে পরিচিত।

 

সিলেট বিজয়ের পর দিল্লির সুলতান শামসুদ্দীন ফিরোজ শাহ, শাহ জালালকে সিলেটের শাসনভার গ্রহণের প্রস্তাব দেন। কিন্তু শাহ জালাল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে সুলতান বিশেষ ঘোষণা জারি করে সিলেট শহরকে খাজনা মুক্ত করে দরবেশকে সম্মানিত করেন। ১৩০৩ সালে পাশ্চাত্যের ইসলাম ধর্মপ্রচারক শাহ জালালের বাসস্থান নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এটিই মূলত তার শেষ সমাধিতে পরিণত হয়। শাহ জালালের এই দরগাহ সিলেট শহরের একটি আধ্যাত্মিক স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। দরগাহটি সিলেট শহরের উত্তর প্রান্তে একটি টিলার ওপর অবস্থিত। কারও কারও মতে সিলেট ভূমির মুসলিম সভ্যতা ও ধর্মমত এই দরগাহকে কেন্দ্র করে প্রসার লাভ করেছে। শাহ জালালে লৌকিক ও অলৌকিক স্মৃতিবিজড়িত এই স্থান সিলেটের অন্যতম পুণ্য তীর্থ হিসেবে পরিচিত। পরবর্তীতে শাহ জালালের সঙ্গী অনুসারীদের দ্বারা ঢাকা, ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা, কুমিল্লা, আসাম ও প্রভৃতি স্থানে মুসলিম সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচার ও প্রসার হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাৎসরিক উরস উপলক্ষে প্রতিবছর হাজার হাজার লোক এখানে এসে শাহ জালালের উপলক্ষ ধরে স্রষ্টার কাছে ভক্তি নিবেদন করেন। সুলতানি আমল হতে প্রথা অনুযায়ী নবাব, বাদশা বা রাজকর্মচারীদের মধ্যে যারা সিলেট আসতেন তারা নানা প্রকার দালান নির্মাণ করে সম্মানের সঙ্গে দরগাহের সংস্কার ও প্রসার সাধন করতেন। দরগাহ চত্বরে অবস্থিত দালান, মসজিদ ও পুকুর ঘাট ইত্যাদি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থাপনা সুলতানি ও মুঘল আমলে নির্মিত। স্থাপনায় থাকা তাম্রফলক ও প্রস্তর ফলকে লিখিত বিভিন্ন নিদর্শন তার প্রমাণ দেয়। যেমন সিলেট শহরের সর্ব বৃহৎ দরগাহ মসজিদের ফলকে লিখিত তথ্যে আছে, ‘বাংলার সুলতানদের কর্তৃক ১৪০০ সালে ইহা নির্মিত। শাহ জালালের সমাধি ঘিরে যে দেয়াল রয়েছে তা লুৎফুল্লাহ আমিন বকশী কর্তৃক নির্মিত বলে একটি ফলক সূত্রে জানা যায়। এ ছাড়া দরগাহের লঙ্গরখানায় অর্থ সাহায্য, খাদেমদের জন্য জায়গির ব্যবস্থা, দরগাহের আলোকসজ্জা ইত্যাদি অনুদান সুলতানরা ও মুঘল বাদশাহদের দরবেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিভিন্ন বিবরণীতে পাওয়া যায়।

 

হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজার

সুলতান-উল-মাশায়েখ, মেহবুব-এ-ইলাহী, শেখ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) নামেও পরিচিত। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার একজন প্রখ্যাত সুফি সাধক। তিনি চিশতিয়া তরিকা মৌলিক আধ্যাত্মিক ধারাবাহিকতা বা সিলসিলা তৈরি করেছেন, যা ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। নিজামুদ্দিন আউলিয়া ১৩২৫ সালের ৩ এপ্রিল সকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মাজার, নিজামুদ্দিনের দরগাহ দিল্লিতে অবস্থিত। বর্তমানে যে স্থাপনাটি তার মাজার হিসেবে পরিচিত সেটি ১৫৬২ সালে নির্মিত হয়। ধনী-গরিবসহ সব শ্রেণির মানুষের ভিড়ে এখানে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। তার অনেক শিষ্য আধ্যাত্মিকতার উচ্চ আসন অর্জন করেছেন।

 

হজরত শাহ পরানের মাজার টিলা

শাহ জালাল যখন বাংলাদেশে আসার উদ্যোগ নেন তখন ভাগ্নে শাহ পরান খবর পেয়ে ভারতে এসে মামার সঙ্গী হন। সিলেট বিজয়ের পর শাহ জালালের আদেশে তিনি ইসলাম প্রচারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। শাহ পরান সিলেটের নবীগঞ্জ, হবীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচার করেন। পরবর্তীকালে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ হলে শাহ জালালের নির্দেশে শাহ পরান সিলেট শহর হতে ছয় মাইল দূরে খাদেম নগর এলাকায় গিয়ে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশে বসতি স্থাপন করেন। সেখানেই জীবনের  শেষ সময় পর্যন্ত ইসলাম প্রচার করেন। বর্তমান মাজার টিলায় চির নিদ্রায় শায়িত হন। সিলেট শহরের পূর্ব দিকে খাদিমনগর এলাকায় টিলার ওপর একটি প্রকাণ্ড বৃক্ষের নিচে রয়েছে শাহ পরানের কবর। মাজার টিলায় ওঠানামার জন্য উক্ত মাজার প্রাঙ্গণে উত্তর ও দক্ষিণ হয়ে সিঁড়ি আছে। যা প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু। এই সিঁড়িটি মুঘল আমলে নির্মিত বলে লোক মুখে শোনা যায়। মাজারের পশ্চিম দিকে মুঘল বাদশাদের স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদে প্রায় ৫০০ মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করে থাকেন। মাজার টিলা  থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট দক্ষিণ পশ্চিমে মহিলা পর্যটকদের জন্য এক তলা বিশিষ্ট দালান ঘর রয়েছে। উক্ত দালানের অল্প পরিসর দক্ষিণ পূর্বে আরেকটি ঘর দেখতে পাওয়া যায়। এ ঘরখানা মূলত বিদেশাগত পর্যটকদের বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহার হয়। এই ঘরের পাশেই একটি পুকুর রয়েছে, যা অজু গোসলের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শাহ পরানের পূর্ব পুরুষরা মূলত বোখারা শহরের অধিবাসী ছিলেন। তার ঊর্ধŸতন ৪র্থ পুরুষ শাহ জামাল উদ্দীন, বোখারা হতে ধর্ম প্রচারের জন্য প্রথমে সমরকন্দ ও পরে তুর্কিস্তানে এসে বসবাস করেন। বংশ সূত্রে শাহ পরানের বাবা মোহাম্মদও একজন খ্যাতনামা ধার্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মা সম্পর্কে শাহ জালালের বোন ছিলেন। সে হিসেবে শাহ পরান হচ্ছেন শাহ জালালের ভাগ্নে। শাহ পরানের বয়স যখন ১১ বছর তখন তিনি বাবাকে হারান। পরবর্তীতে তার আত্মীয় প্রখ্যাত দরবেশ সৈয়দ আহমদ কবিরের কাছে ধর্ম শিক্ষায় দীক্ষিত হন। সেখান থেকে তিনি আধ্যাত্মিক দীক্ষা লাভে  নিশাপুরের বিখ্যাত দরবেশ পাগলা আমিনের শরণাপন্ন হয়ে আধ্যাত্মিক শিক্ষায় দীক্ষিত হন।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ সেপ্টেম্বর)

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির
র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি শেকৃবির

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?
টিকটক নিয়ে চুক্তি, একাংশের মালিকানা পাচ্ছে আমেরিকা?

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার
ডাকসুর ভোট ম্যানুয়ালি গণনার জন্য লিখিত আবেদন উমামার

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক
বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর অভিযানে ১১ পাচারকারী আটক

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প
চসিকের স্কুলে হেলথ ক্যাম্প

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত
ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এক দিনেই ৩৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি
নেপালে লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং
শ্রীলঙ্কাকে ১৫০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো হংকং

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড
গোপালগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
ভালুকায় হত্যা মামলায় ২ শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম
চমেক হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই
রংপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
ইইউ বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ
চমেক হাসপাতাল এলাকায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: ট্রাম্প হতাশ, পথ খুঁজে পাচ্ছেন না

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ
আগস্ট মাসে চিনের বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম
বাটলারকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়লেন আমিরাতের ওয়াসিম

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
জাকসু নির্বাচনে হওয়া অনিয়মের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করছে ইসি
নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করছে ইসি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প
আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি
বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ
পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩
বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের
ইসরায়েলকে রুখতে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের আহ্বান ইরাকের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার
আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার একা নয়: আরব লীগ প্রধান
কাতার একা নয়: আরব লীগ প্রধান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮
নারায়ণগঞ্জে আবাসিক হোটেলে অভিযান, গ্রেপ্তার ৮

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর চটলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী
ইসরায়েলের ওপর চটলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ
ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের প্রধান তিন কারণ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে
অর্থোপেডিক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত: ভাঙা হাড় জোড়া লাগবে মাত্র ৩ মিনিটে

১৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার
পাকিস্তান ক্রিকেটারদের মান নেই, সিঙ্গেলও নিতে পারে না: শোয়েব আখতার

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের
মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান ইরানের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’
‘চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে’

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি
নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতি

নগর জীবন

পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
পলাতক সাত পুলিশ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার

নগর জীবন

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

নগর জীবন

সারা দেশে শুরু হলো একাদশ শ্রেণির ক্লাস
সারা দেশে শুরু হলো একাদশ শ্রেণির ক্লাস

নগর জীবন

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল রোহান, এখনো চিকিৎসাধীন ১০ জন
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল রোহান, এখনো চিকিৎসাধীন ১০ জন

নগর জীবন

সৌজন্য সাক্ষাৎ
সৌজন্য সাক্ষাৎ

নগর জীবন

প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ
প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ

দেশগ্রাম

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ