শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মুসলিম মনীষীদের মাজার

যুগে যুগে ইসলাম প্রচারে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বুজুর্গ ব্যক্তির আগমন ঘটেছে। তারা ছড়িয়েছেন ইসলামের আলো। এসব মনীষীর হাত ধরে দিকহারা সাধারণ মানুষ পেয়েছে দীন ইসলামের দিশা। পরিণত হয়েছেন মনীষীদের ভক্ত-আশেকানে। এই ভালোবাসা পরবর্তীতে অব্যাহত থেকেছে অনুসারীদের মাঝে। তাই বুজুর্গদের প্রতি ভালোবাসা ও স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে সমবেত হন তাদের মাজারে। আজকের বিশেষ আয়োজনে থাকছে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন মুসলিম মনীষীর মাজার সম্পর্কে বিস্তারিত।
তানিয়া তুষ্টি
প্রিন্ট ভার্সন
মুসলিম মনীষীদের মাজার

বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানীর মাজার

 

হিজরি ৫৬১ সালের ১১ রবিউস সানি বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) পরলোক গমন করেন। খ্রিস্ট সাল অনুযায়ী ১১৬৬ সাল ছিল। তবে তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ৮, ৯, ১১, ১৩ এবং ১৭ পর্যন্ত এ পাঁচটি তারিখের উল্লেখ পাওয়া গেলেও সর্বসম্মত মতে ১১ রবিউস সানি। তার মৃত্যুবার্ষিকী ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত। ফাতেহা অর্থ দোয়া, আর ইয়াজদাহম অর্থ এগারো। রবিউস সানি মাসের ১১ তারিখ হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) এর স্মরণে বিশ্বব্যাপী তার ভক্ত-অনুসারীরা দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে পালন করে থাকেন। ইরাকের বাগদাদ শহরের ‘বাবুশ শায়েখ’ এলাকায় তার মাজার শরিফ অবস্থিত। এই দিনে ভক্তদের উদ্যোগে ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে মসজিদে আলোকসজ্জা করা হয়। মাহফিল মজলিসের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, রসুলুল্লাহ (স.)-এর প্রতি দরুদ শরিফ ও সালাম, কালেমা পাঠ, জিকির-আজকার ও শিরনি এবং মিষ্টি বিতরণ ও ইসালে সওয়াব ইত্যাদি অনুষ্ঠান পালন। এই দিবসকে এগারই শরিফ বা গিয়ারভি শরিফ বলে। দিবসটি গাউসে পাকের উরস মোবারক। অন্যান্য আউলিয়া কেরামের উরস শরিফ অনুষ্ঠিত হয় সাধারণত তাদের ইন্তেকাল দিবসে কিন্তু হুজুর গাউসে পাকের উরস শরিফ অনুষ্ঠিত হয় প্রতি চন্দ্র মাসের ১১ তারিখ রাতে ও দিনে। গাউসে পাকের বিশেষ মর্যাদার কারণে তার ভক্তরা এগারই শরিফ বা গিয়ারভি শরিফ পালন করে বিশ্বের সব ‘সিলসিলায়ে কাদেরিয়া’র বিভিন্ন দরবার শরিফে। শুধু কাদেরিয়া তরিকার বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় নয়, দিবসটি চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া (মুজাদ্দেদিয়া), সহওয়ার্দিয়া ইত্যাদি তরিকায়ও পালিত হয়। বিশেষ করে বড়পীর গাউসে পাকের খাস বংশধর তথা আহলে বাইতের সদস্য (প্রিয় নবীর বংশধর), হজরত সৈয়্যেদেনা ওয়া মাওলানা সৈয়দ শাহ মুরশিদ আলী আল কাদেরী আল জিলানী আল মেদিনীপুরী আলা জাদ্দিহি নাবিয়ানা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম ওরফে ‘মাওলা পাক’ এর ‘আঞ্জুমানে-ই-কাদেরিয়া’ সিলসিলা অন্তর্ভুক্ত ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, পাকিস্তানের সব খানকা শরিফ মসজিদে প্রতি চন্দ্র মাসের ১০ তারিখ দিবাগত রাতে (১১ তারিখ) ১১ শরিফ বা গিয়ারভি শরিফ পালিত হয় অত্যন্ত আদব ও ভক্তি শ্রদ্ধাভরে। ‘আঞ্জুমানে-ই-কাদেরিয়া’ সিলসিলা

অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের ঢাকা, রাজবাড়ী, পাবনা, চট্টগ্রাম জেলার খানকা শরিফ মসজিদগুলোতে এগারই শরিফ মাহফিলে হাজার হাজার আশেকানে গাউসে পাক যোগদান করেন। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পরম শ্রদ্ধেয় আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)। ৪৭০ বা ৪৭১ হিজরির ১ রমজান পারস্যের এক বিখ্যাত জনপদ ‘জিলানে’ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামের অন্যতম প্রচারক হওয়ায় তাকে ‘গাউস উল আজম’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ইসলাম ধর্মমতে তাকে ‘বড়পীর’ হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) নামে অবিহিত করা হয়। শিক্ষা-দীক্ষায় পূর্ণতা অর্জনের পর তিনি নিজেকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত করেন। তার মাহফিলে শুধু মুসলিম নয়, অনেক অমুসলিমও অংশগ্রহণ করতেন। তার বক্তব্য শুনে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেন। তিনি কাব্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ের পণ্ডিত ছিলেন। তার রচিত বহু গ্রন্থ রয়েছে। এসব গ্রন্থের মধ্যে ফতহুল গায়ের গুনিয়াতুত তালেবীন, ফতহুর রবজানি, কালিদায়ে গাওসিয়া উল্লেখযোগ্য। জ্ঞান, গরিমায় উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন গাওসুল আজম হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর স্থান মুসলিম বিশ্বের আওলিয়ায়ে কেরামের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সবার ঊর্ধ্বে।

 

হজরত ওয়াইস করনির রওজা শরিফ

গোটা বিশ্বে ৭টি রওজা শরিফ রয়েছে। কেউ যেন তার সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারে সেজন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন। তখন আল্লাহর কুদরতে একজন সাতজনে পরিণত হন, রওজাও হয় ৭টি।

গোটা বিশ্বে ওয়াইস করনির ৭টা রওজা শরিফ রয়েছে। প্রথম রওজা সিফফিনে, দ্বিতীয় রওজা আজারবাইজানে, তৃতীয় রওজা ইয়েমেনে, চতুর্থ রওজা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে, পঞ্চম রওজা মদিনার দক্ষিণে জোবায়দায়, ষষ্ঠ রওজা গজনিতে, সপ্তম রওজা বাগদাদে অবস্থিত। ওয়াইস করনি একদিন আল্লাহ পাকের কাছে এই বলে প্রার্থনা করেন যে, হে আল্লাহ আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে গোপন রাখো। কেউ যেন আমার সঠিক পরিচয় জানতে না পারে। আল্লাহ পাক তার এই দোয়া কবুল করেন। এই দোয়া করার সঙ্গে সঙ্গেই আল্লাহর কুদরতে একজন ওয়াস করনি হতে সাতজন সৃষ্টি হয়ে ৭ দেশে চলে যায়। পরবর্তীতে এই সাতজন ৭ ভাবে ৭ জাগায় ইন্তেকাল করেন। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যে এই ৭টা রওজা শরিফেই অলৌকিক কারামত লক্ষিত হয়। ওয়াইস করনি (রহ.) এর রওজা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আজও রহস্যের বিষয়। চিরকাল থাকবে বলে ধারণা করা হয়। পুরো নাম সুলতানুল আশেকে রাব্বানি হজরত ওয়াইস করনি (রহ.)। তিনি বিশ্বের কাছে ইয়েমেনের প্রখ্যাত একজন মুসলিম মনীষী, সুফি, দার্শনিক ও শহীদ হিসেবে পরিচিত। ওয়াইস করনি ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে ইয়েমেনের করণ শহরে জন্ম নেন। জাতিসত্তায় ছিলেন আরব। পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং মার নাম বেদউরা। তার পদবি ছিল সুলতানুল আশেকিনে রাব্বানি, আল্লাহ ও রসুলের নয়নমণি। জীবদ্দশায় তিনি অনুসারীদের ওয়াইসি মতে প্রভাবিত করতেন। সুন্নি, সুফি ও শিয়াদের কাছে সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। আলী ইবনে আবু তালিবের পক্ষে লড়াই করে ৬৫৭ সালে ওয়াইস করনি সিফফিনের যুদ্ধে শহীদ হন। তারপর তাকে সিরিয়ার রাক্কাহতে দাফন করা হয়। এক সময় কিছু চরমপন্থি ইসলামী গোষ্ঠী এটি গুঁড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে তার সম্মানে তুরস্কের সির্ত প্রদেশের বায়কানে একটি মাজার নির্মাণ করা হয়। আধ্যাত্মিক সাধনায় তিনি এতই মশগুল থাকতেন যে নিজের দেহের প্রতি কোনো খেয়ালই করতেন না। তিনি দেখতে ছিলেন উজ্জ্বল ফর্সা মধ্যমা আকৃতির, চোখ দুটি ছিল নীল সমুদ্রের মতো, মাথার চুল ছিল আলু-থালু ,উষ্ক-খুষ্ক। তিনি এতই ইবাদত করতেন যে খাওয়া, ঘুম ভুলে যেতেন। কঠোর ইবাদতের ফলে তার পেট পিঠের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল, সারা শরীর ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। সারা  দেহে মাংস বলতে কিছুই ছিল না, ছিল শুধু হাড়। দূর থেকে তার দেহের সব হাড় গোনা  যেত। তিনি শত ছিন্ন তালি দেওয়া কাপড় পরতেন। সাধারণ মানুষ দেখে তাকে রাস্তার পাগল বলে উপহাস করত।

 

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর মাজার

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) ১২৩৬ সাল বা ৬৩৩ হিজরির ৫ রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ রজব সূর্যোদয়ের সময় পরলোক গমন করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ভারতের আজমিরে তার পবিত্র মাজার শরিফ অবস্থিত। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভক্তরা প্রতিবছর ১ রজব থেকে ৬ রজব পর্যন্ত মাজারস্থলে উরস পালন করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নানা ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সেই ওরসে সমবেত হয়। এই উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি আসার আগে এখানকার মানুষ চরম অন্ধকারে বসবাস করছিল। কথিত আছে মদিনা শরিফে নবীজী তাকে স্বপ্নযোগে হুকুম করেন ভারতের আজমির নামক স্থানে ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য। মহানবী (স.) তাকে স্বপ্নযোগে আজমিরের পরিচয় দেন। তারপর তিনি আজমিরের উদ্দেশে রওনা হন। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) আজমিরে আসার আগে হিন্দুরাজা পৃথ্বীরাজের দাপটে জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.)-এর আজমিরে আগমন ঘটে। এই মহান বুুজর্গের আগমনে রাজা পৃথ্বীরাজ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) আজমিরে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য আস্তানা করেন। অসীম শক্তিশালী অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজ তার বিশাল সৈন্য বাহিনী, তান্ত্রিক সাধক এবং আরও অন্যান্য শক্তি প্রয়োগ করেও খাজা গরিরে নেওয়াজের কোনো ক্ষতি করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত খাজা বাবা সব দুষ্ট শক্তিকে দমন করে ভারতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে মানুষ সহজেই খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর প্রতি মোহিত হয়ে যেত। তিনি কখনো কাউকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেননি। তিনি ছিলেন বড় মাপের একজন আধ্যাত্মিক সাধক। ছোটবেলা থেকেই তিনি কঠোর এবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ৫৩৬ হিজরি বা ১১৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পূর্ব পারস্যের সিসটান রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি জ্ঞানার্জন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বোখারার উদ্দেশে যাত্রা করেন। তখন থেকেই তার বিশ্বভ্রমণ শুরু। তিনি দুনিয়ার সব আকর্ষণ করে আল্লাহর এবাদতে নিয়োজিত থাকতেন।

 

শাহ জালালের দরগাহ

কারও কারও মতে সিলেট ভূমির মুসলিম সভ্যতা ও ধর্মমত এই দরগাহকে কেন্দ্র করে প্রসার লাভ করেছে। শাহ জালালের লৌকিক ও অলৌকিক স্মৃতিবিজড়িত এই স্থান সিলেটের অন্যতম পুণ্য তীর্থ হিসেবে পরিচিত।

 

সিলেট বিজয়ের পর দিল্লির সুলতান শামসুদ্দীন ফিরোজ শাহ, শাহ জালালকে সিলেটের শাসনভার গ্রহণের প্রস্তাব দেন। কিন্তু শাহ জালাল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে সুলতান বিশেষ ঘোষণা জারি করে সিলেট শহরকে খাজনা মুক্ত করে দরবেশকে সম্মানিত করেন। ১৩০৩ সালে পাশ্চাত্যের ইসলাম ধর্মপ্রচারক শাহ জালালের বাসস্থান নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এটিই মূলত তার শেষ সমাধিতে পরিণত হয়। শাহ জালালের এই দরগাহ সিলেট শহরের একটি আধ্যাত্মিক স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। দরগাহটি সিলেট শহরের উত্তর প্রান্তে একটি টিলার ওপর অবস্থিত। কারও কারও মতে সিলেট ভূমির মুসলিম সভ্যতা ও ধর্মমত এই দরগাহকে কেন্দ্র করে প্রসার লাভ করেছে। শাহ জালালে লৌকিক ও অলৌকিক স্মৃতিবিজড়িত এই স্থান সিলেটের অন্যতম পুণ্য তীর্থ হিসেবে পরিচিত। পরবর্তীতে শাহ জালালের সঙ্গী অনুসারীদের দ্বারা ঢাকা, ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা, কুমিল্লা, আসাম ও প্রভৃতি স্থানে মুসলিম সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচার ও প্রসার হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাৎসরিক উরস উপলক্ষে প্রতিবছর হাজার হাজার লোক এখানে এসে শাহ জালালের উপলক্ষ ধরে স্রষ্টার কাছে ভক্তি নিবেদন করেন। সুলতানি আমল হতে প্রথা অনুযায়ী নবাব, বাদশা বা রাজকর্মচারীদের মধ্যে যারা সিলেট আসতেন তারা নানা প্রকার দালান নির্মাণ করে সম্মানের সঙ্গে দরগাহের সংস্কার ও প্রসার সাধন করতেন। দরগাহ চত্বরে অবস্থিত দালান, মসজিদ ও পুকুর ঘাট ইত্যাদি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থাপনা সুলতানি ও মুঘল আমলে নির্মিত। স্থাপনায় থাকা তাম্রফলক ও প্রস্তর ফলকে লিখিত বিভিন্ন নিদর্শন তার প্রমাণ দেয়। যেমন সিলেট শহরের সর্ব বৃহৎ দরগাহ মসজিদের ফলকে লিখিত তথ্যে আছে, ‘বাংলার সুলতানদের কর্তৃক ১৪০০ সালে ইহা নির্মিত। শাহ জালালের সমাধি ঘিরে যে দেয়াল রয়েছে তা লুৎফুল্লাহ আমিন বকশী কর্তৃক নির্মিত বলে একটি ফলক সূত্রে জানা যায়। এ ছাড়া দরগাহের লঙ্গরখানায় অর্থ সাহায্য, খাদেমদের জন্য জায়গির ব্যবস্থা, দরগাহের আলোকসজ্জা ইত্যাদি অনুদান সুলতানরা ও মুঘল বাদশাহদের দরবেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিভিন্ন বিবরণীতে পাওয়া যায়।

 

হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজার

সুলতান-উল-মাশায়েখ, মেহবুব-এ-ইলাহী, শেখ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) নামেও পরিচিত। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার একজন প্রখ্যাত সুফি সাধক। তিনি চিশতিয়া তরিকা মৌলিক আধ্যাত্মিক ধারাবাহিকতা বা সিলসিলা তৈরি করেছেন, যা ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। নিজামুদ্দিন আউলিয়া ১৩২৫ সালের ৩ এপ্রিল সকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মাজার, নিজামুদ্দিনের দরগাহ দিল্লিতে অবস্থিত। বর্তমানে যে স্থাপনাটি তার মাজার হিসেবে পরিচিত সেটি ১৫৬২ সালে নির্মিত হয়। ধনী-গরিবসহ সব শ্রেণির মানুষের ভিড়ে এখানে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। তার অনেক শিষ্য আধ্যাত্মিকতার উচ্চ আসন অর্জন করেছেন।

 

হজরত শাহ পরানের মাজার টিলা

শাহ জালাল যখন বাংলাদেশে আসার উদ্যোগ নেন তখন ভাগ্নে শাহ পরান খবর পেয়ে ভারতে এসে মামার সঙ্গী হন। সিলেট বিজয়ের পর শাহ জালালের আদেশে তিনি ইসলাম প্রচারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। শাহ পরান সিলেটের নবীগঞ্জ, হবীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচার করেন। পরবর্তীকালে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ হলে শাহ জালালের নির্দেশে শাহ পরান সিলেট শহর হতে ছয় মাইল দূরে খাদেম নগর এলাকায় গিয়ে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশে বসতি স্থাপন করেন। সেখানেই জীবনের  শেষ সময় পর্যন্ত ইসলাম প্রচার করেন। বর্তমান মাজার টিলায় চির নিদ্রায় শায়িত হন। সিলেট শহরের পূর্ব দিকে খাদিমনগর এলাকায় টিলার ওপর একটি প্রকাণ্ড বৃক্ষের নিচে রয়েছে শাহ পরানের কবর। মাজার টিলায় ওঠানামার জন্য উক্ত মাজার প্রাঙ্গণে উত্তর ও দক্ষিণ হয়ে সিঁড়ি আছে। যা প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু। এই সিঁড়িটি মুঘল আমলে নির্মিত বলে লোক মুখে শোনা যায়। মাজারের পশ্চিম দিকে মুঘল বাদশাদের স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদে প্রায় ৫০০ মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করে থাকেন। মাজার টিলা  থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট দক্ষিণ পশ্চিমে মহিলা পর্যটকদের জন্য এক তলা বিশিষ্ট দালান ঘর রয়েছে। উক্ত দালানের অল্প পরিসর দক্ষিণ পূর্বে আরেকটি ঘর দেখতে পাওয়া যায়। এ ঘরখানা মূলত বিদেশাগত পর্যটকদের বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহার হয়। এই ঘরের পাশেই একটি পুকুর রয়েছে, যা অজু গোসলের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শাহ পরানের পূর্ব পুরুষরা মূলত বোখারা শহরের অধিবাসী ছিলেন। তার ঊর্ধŸতন ৪র্থ পুরুষ শাহ জামাল উদ্দীন, বোখারা হতে ধর্ম প্রচারের জন্য প্রথমে সমরকন্দ ও পরে তুর্কিস্তানে এসে বসবাস করেন। বংশ সূত্রে শাহ পরানের বাবা মোহাম্মদও একজন খ্যাতনামা ধার্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মা সম্পর্কে শাহ জালালের বোন ছিলেন। সে হিসেবে শাহ পরান হচ্ছেন শাহ জালালের ভাগ্নে। শাহ পরানের বয়স যখন ১১ বছর তখন তিনি বাবাকে হারান। পরবর্তীতে তার আত্মীয় প্রখ্যাত দরবেশ সৈয়দ আহমদ কবিরের কাছে ধর্ম শিক্ষায় দীক্ষিত হন। সেখান থেকে তিনি আধ্যাত্মিক দীক্ষা লাভে  নিশাপুরের বিখ্যাত দরবেশ পাগলা আমিনের শরণাপন্ন হয়ে আধ্যাত্মিক শিক্ষায় দীক্ষিত হন।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
মৎস্য রপ্তানির নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে : মৎস্য উপদেষ্টা
মৎস্য রপ্তানির নীতিমালা ও প্রস্তুতিতে সরকার কাজ করবে : মৎস্য উপদেষ্টা

এই মাত্র | ক্যাম্পাস

বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় : প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় : প্রধান বিচারপতি

২ মিনিট আগে | জাতীয়

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

১১ মিনিট আগে | শোবিজ

শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে মার্কিন সমর্থন হারানোর ঝুঁকি, জেলেনস্কির সতর্কবার্তা
শান্তি পরিকল্পনা ঘিরে মার্কিন সমর্থন হারানোর ঝুঁকি, জেলেনস্কির সতর্কবার্তা

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'আশুলিয়ার কম্পন নরসিংদীর মাধবদীর আফটারশক'
'আশুলিয়ার কম্পন নরসিংদীর মাধবদীর আফটারশক'

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগ
লক্ষ্মীপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগ

২০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক
আ.লীগকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : ইশরাক

২৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

ঘূর্ণিঝড়ের পর জ্যামাইকায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৬ মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড়ের পর জ্যামাইকায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৬ মৃত্যু

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ২২

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

৩৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

র‌্যাবের জালে ৩ জন, ৯১ কেজি গাঁজা উদ্ধার
র‌্যাবের জালে ৩ জন, ৯১ কেজি গাঁজা উদ্ধার

৩৮ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের, তবে থাকছে চমক
দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন: বয়কট যুক্তরাষ্ট্রের, তবে থাকছে চমক

৪২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আবেদন
গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসা ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের আবেদন

৪৬ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

প্রাকৃতিকের সাথে কৃত্রিম মাছ চাষও বাড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
প্রাকৃতিকের সাথে কৃত্রিম মাছ চাষও বাড়াতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন
ভূমিকম্পে নিহত বাবা-ছেলের দাফন সম্পন্ন

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

৫৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে জামায়াত প্রার্থীর শোভাযাত্রা
চাঁদপুরে জামায়াত প্রার্থীর শোভাযাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবিতে সমাবেশ, সড়ক অবরোধ
জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবিতে সমাবেশ, সড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জিততেই হবে : আমীর খসরু
ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জিততেই হবে : আমীর খসরু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যাত্রীর অভাবে ঢাকা ছাড়েনি স্টিমার মাহসুদ
যাত্রীর অভাবে ঢাকা ছাড়েনি স্টিমার মাহসুদ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাইজেরিয়ায় ক্যাথলিক স্কুলে হামলা, ২১৫ শিক্ষার্থীসহ ২২৭ জনকে অপহরণ
নাইজেরিয়ায় ক্যাথলিক স্কুলে হামলা, ২১৫ শিক্ষার্থীসহ ২২৭ জনকে অপহরণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের পাশ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের পাশ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথমবারের মতো কাবাডি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
প্রথমবারের মতো কাবাডি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের সমস্যা এক-দুই বছরে সমাধান সম্ভব নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা
বাংলাদেশের সমস্যা এক-দুই বছরে সমাধান সম্ভব নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ : রাজউক চেয়ারম্যান
পুরান ঢাকার অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ : রাজউক চেয়ারম্যান

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূকম্পন অনুভূত
আশুলিয়ার বাইপাইলে ভূকম্পন অনুভূত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত
দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো
পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম

নগর জীবন

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের
ঘরের দেয়াল ভেঙে হামলা লুটপাট রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা