শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মুসলিম মনীষীদের মাজার

যুগে যুগে ইসলাম প্রচারে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বুজুর্গ ব্যক্তির আগমন ঘটেছে। তারা ছড়িয়েছেন ইসলামের আলো। এসব মনীষীর হাত ধরে দিকহারা সাধারণ মানুষ পেয়েছে দীন ইসলামের দিশা। পরিণত হয়েছেন মনীষীদের ভক্ত-আশেকানে। এই ভালোবাসা পরবর্তীতে অব্যাহত থেকেছে অনুসারীদের মাঝে। তাই বুজুর্গদের প্রতি ভালোবাসা ও স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে সমবেত হন তাদের মাজারে। আজকের বিশেষ আয়োজনে থাকছে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন মুসলিম মনীষীর মাজার সম্পর্কে বিস্তারিত।
তানিয়া তুষ্টি
প্রিন্ট ভার্সন
মুসলিম মনীষীদের মাজার

বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানীর মাজার

 

হিজরি ৫৬১ সালের ১১ রবিউস সানি বড়পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) পরলোক গমন করেন। খ্রিস্ট সাল অনুযায়ী ১১৬৬ সাল ছিল। তবে তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ৮, ৯, ১১, ১৩ এবং ১৭ পর্যন্ত এ পাঁচটি তারিখের উল্লেখ পাওয়া গেলেও সর্বসম্মত মতে ১১ রবিউস সানি। তার মৃত্যুবার্ষিকী ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত। ফাতেহা অর্থ দোয়া, আর ইয়াজদাহম অর্থ এগারো। রবিউস সানি মাসের ১১ তারিখ হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) এর স্মরণে বিশ্বব্যাপী তার ভক্ত-অনুসারীরা দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে পালন করে থাকেন। ইরাকের বাগদাদ শহরের ‘বাবুশ শায়েখ’ এলাকায় তার মাজার শরিফ অবস্থিত। এই দিনে ভক্তদের উদ্যোগে ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উপলক্ষে মসজিদে আলোকসজ্জা করা হয়। মাহফিল মজলিসের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, রসুলুল্লাহ (স.)-এর প্রতি দরুদ শরিফ ও সালাম, কালেমা পাঠ, জিকির-আজকার ও শিরনি এবং মিষ্টি বিতরণ ও ইসালে সওয়াব ইত্যাদি অনুষ্ঠান পালন। এই দিবসকে এগারই শরিফ বা গিয়ারভি শরিফ বলে। দিবসটি গাউসে পাকের উরস মোবারক। অন্যান্য আউলিয়া কেরামের উরস শরিফ অনুষ্ঠিত হয় সাধারণত তাদের ইন্তেকাল দিবসে কিন্তু হুজুর গাউসে পাকের উরস শরিফ অনুষ্ঠিত হয় প্রতি চন্দ্র মাসের ১১ তারিখ রাতে ও দিনে। গাউসে পাকের বিশেষ মর্যাদার কারণে তার ভক্তরা এগারই শরিফ বা গিয়ারভি শরিফ পালন করে বিশ্বের সব ‘সিলসিলায়ে কাদেরিয়া’র বিভিন্ন দরবার শরিফে। শুধু কাদেরিয়া তরিকার বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় নয়, দিবসটি চিশতিয়া, নকশবন্দিয়া (মুজাদ্দেদিয়া), সহওয়ার্দিয়া ইত্যাদি তরিকায়ও পালিত হয়। বিশেষ করে বড়পীর গাউসে পাকের খাস বংশধর তথা আহলে বাইতের সদস্য (প্রিয় নবীর বংশধর), হজরত সৈয়্যেদেনা ওয়া মাওলানা সৈয়দ শাহ মুরশিদ আলী আল কাদেরী আল জিলানী আল মেদিনীপুরী আলা জাদ্দিহি নাবিয়ানা আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম ওরফে ‘মাওলা পাক’ এর ‘আঞ্জুমানে-ই-কাদেরিয়া’ সিলসিলা অন্তর্ভুক্ত ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, পাকিস্তানের সব খানকা শরিফ মসজিদে প্রতি চন্দ্র মাসের ১০ তারিখ দিবাগত রাতে (১১ তারিখ) ১১ শরিফ বা গিয়ারভি শরিফ পালিত হয় অত্যন্ত আদব ও ভক্তি শ্রদ্ধাভরে। ‘আঞ্জুমানে-ই-কাদেরিয়া’ সিলসিলা

অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশের ঢাকা, রাজবাড়ী, পাবনা, চট্টগ্রাম জেলার খানকা শরিফ মসজিদগুলোতে এগারই শরিফ মাহফিলে হাজার হাজার আশেকানে গাউসে পাক যোগদান করেন। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে পরম শ্রদ্ধেয় আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)। ৪৭০ বা ৪৭১ হিজরির ১ রমজান পারস্যের এক বিখ্যাত জনপদ ‘জিলানে’ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামের অন্যতম প্রচারক হওয়ায় তাকে ‘গাউস উল আজম’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ইসলাম ধর্মমতে তাকে ‘বড়পীর’ হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) নামে অবিহিত করা হয়। শিক্ষা-দীক্ষায় পূর্ণতা অর্জনের পর তিনি নিজেকে পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত করেন। তার মাহফিলে শুধু মুসলিম নয়, অনেক অমুসলিমও অংশগ্রহণ করতেন। তার বক্তব্য শুনে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেন। তিনি কাব্য, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, ভূগোল ইত্যাদি বিষয়ের পণ্ডিত ছিলেন। তার রচিত বহু গ্রন্থ রয়েছে। এসব গ্রন্থের মধ্যে ফতহুল গায়ের গুনিয়াতুত তালেবীন, ফতহুর রবজানি, কালিদায়ে গাওসিয়া উল্লেখযোগ্য। জ্ঞান, গরিমায় উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন গাওসুল আজম হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর স্থান মুসলিম বিশ্বের আওলিয়ায়ে কেরামের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সবার ঊর্ধ্বে।

 

হজরত ওয়াইস করনির রওজা শরিফ

গোটা বিশ্বে ৭টি রওজা শরিফ রয়েছে। কেউ যেন তার সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারে সেজন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন। তখন আল্লাহর কুদরতে একজন সাতজনে পরিণত হন, রওজাও হয় ৭টি।

গোটা বিশ্বে ওয়াইস করনির ৭টা রওজা শরিফ রয়েছে। প্রথম রওজা সিফফিনে, দ্বিতীয় রওজা আজারবাইজানে, তৃতীয় রওজা ইয়েমেনে, চতুর্থ রওজা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে, পঞ্চম রওজা মদিনার দক্ষিণে জোবায়দায়, ষষ্ঠ রওজা গজনিতে, সপ্তম রওজা বাগদাদে অবস্থিত। ওয়াইস করনি একদিন আল্লাহ পাকের কাছে এই বলে প্রার্থনা করেন যে, হে আল্লাহ আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতে গোপন রাখো। কেউ যেন আমার সঠিক পরিচয় জানতে না পারে। আল্লাহ পাক তার এই দোয়া কবুল করেন। এই দোয়া করার সঙ্গে সঙ্গেই আল্লাহর কুদরতে একজন ওয়াস করনি হতে সাতজন সৃষ্টি হয়ে ৭ দেশে চলে যায়। পরবর্তীতে এই সাতজন ৭ ভাবে ৭ জাগায় ইন্তেকাল করেন। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যে এই ৭টা রওজা শরিফেই অলৌকিক কারামত লক্ষিত হয়। ওয়াইস করনি (রহ.) এর রওজা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আজও রহস্যের বিষয়। চিরকাল থাকবে বলে ধারণা করা হয়। পুরো নাম সুলতানুল আশেকে রাব্বানি হজরত ওয়াইস করনি (রহ.)। তিনি বিশ্বের কাছে ইয়েমেনের প্রখ্যাত একজন মুসলিম মনীষী, সুফি, দার্শনিক ও শহীদ হিসেবে পরিচিত। ওয়াইস করনি ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে ইয়েমেনের করণ শহরে জন্ম নেন। জাতিসত্তায় ছিলেন আরব। পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং মার নাম বেদউরা। তার পদবি ছিল সুলতানুল আশেকিনে রাব্বানি, আল্লাহ ও রসুলের নয়নমণি। জীবদ্দশায় তিনি অনুসারীদের ওয়াইসি মতে প্রভাবিত করতেন। সুন্নি, সুফি ও শিয়াদের কাছে সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। আলী ইবনে আবু তালিবের পক্ষে লড়াই করে ৬৫৭ সালে ওয়াইস করনি সিফফিনের যুদ্ধে শহীদ হন। তারপর তাকে সিরিয়ার রাক্কাহতে দাফন করা হয়। এক সময় কিছু চরমপন্থি ইসলামী গোষ্ঠী এটি গুঁড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে তার সম্মানে তুরস্কের সির্ত প্রদেশের বায়কানে একটি মাজার নির্মাণ করা হয়। আধ্যাত্মিক সাধনায় তিনি এতই মশগুল থাকতেন যে নিজের দেহের প্রতি কোনো খেয়ালই করতেন না। তিনি দেখতে ছিলেন উজ্জ্বল ফর্সা মধ্যমা আকৃতির, চোখ দুটি ছিল নীল সমুদ্রের মতো, মাথার চুল ছিল আলু-থালু ,উষ্ক-খুষ্ক। তিনি এতই ইবাদত করতেন যে খাওয়া, ঘুম ভুলে যেতেন। কঠোর ইবাদতের ফলে তার পেট পিঠের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল, সারা শরীর ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে গিয়েছিল। সারা  দেহে মাংস বলতে কিছুই ছিল না, ছিল শুধু হাড়। দূর থেকে তার দেহের সব হাড় গোনা  যেত। তিনি শত ছিন্ন তালি দেওয়া কাপড় পরতেন। সাধারণ মানুষ দেখে তাকে রাস্তার পাগল বলে উপহাস করত।

 

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর মাজার

খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) ১২৩৬ সাল বা ৬৩৩ হিজরির ৫ রজব দিবাগত রাত অর্থাৎ ৬ রজব সূর্যোদয়ের সময় পরলোক গমন করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ভারতের আজমিরে তার পবিত্র মাজার শরিফ অবস্থিত। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভক্তরা প্রতিবছর ১ রজব থেকে ৬ রজব পর্যন্ত মাজারস্থলে উরস পালন করে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নানা ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সেই ওরসে সমবেত হয়। এই উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.)-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি আসার আগে এখানকার মানুষ চরম অন্ধকারে বসবাস করছিল। কথিত আছে মদিনা শরিফে নবীজী তাকে স্বপ্নযোগে হুকুম করেন ভারতের আজমির নামক স্থানে ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য। মহানবী (স.) তাকে স্বপ্নযোগে আজমিরের পরিচয় দেন। তারপর তিনি আজমিরের উদ্দেশে রওনা হন। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) আজমিরে আসার আগে হিন্দুরাজা পৃথ্বীরাজের দাপটে জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.)-এর আজমিরে আগমন ঘটে। এই মহান বুুজর্গের আগমনে রাজা পৃথ্বীরাজ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) আজমিরে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য আস্তানা করেন। অসীম শক্তিশালী অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজ তার বিশাল সৈন্য বাহিনী, তান্ত্রিক সাধক এবং আরও অন্যান্য শক্তি প্রয়োগ করেও খাজা গরিরে নেওয়াজের কোনো ক্ষতি করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত খাজা বাবা সব দুষ্ট শক্তিকে দমন করে ভারতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে মানুষ সহজেই খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহ.) এর প্রতি মোহিত হয়ে যেত। তিনি কখনো কাউকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেননি। তিনি ছিলেন বড় মাপের একজন আধ্যাত্মিক সাধক। ছোটবেলা থেকেই তিনি কঠোর এবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী ৫৩৬ হিজরি বা ১১৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পূর্ব পারস্যের সিসটান রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি জ্ঞানার্জন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বোখারার উদ্দেশে যাত্রা করেন। তখন থেকেই তার বিশ্বভ্রমণ শুরু। তিনি দুনিয়ার সব আকর্ষণ করে আল্লাহর এবাদতে নিয়োজিত থাকতেন।

 

শাহ জালালের দরগাহ

কারও কারও মতে সিলেট ভূমির মুসলিম সভ্যতা ও ধর্মমত এই দরগাহকে কেন্দ্র করে প্রসার লাভ করেছে। শাহ জালালের লৌকিক ও অলৌকিক স্মৃতিবিজড়িত এই স্থান সিলেটের অন্যতম পুণ্য তীর্থ হিসেবে পরিচিত।

 

সিলেট বিজয়ের পর দিল্লির সুলতান শামসুদ্দীন ফিরোজ শাহ, শাহ জালালকে সিলেটের শাসনভার গ্রহণের প্রস্তাব দেন। কিন্তু শাহ জালাল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে সুলতান বিশেষ ঘোষণা জারি করে সিলেট শহরকে খাজনা মুক্ত করে দরবেশকে সম্মানিত করেন। ১৩০৩ সালে পাশ্চাত্যের ইসলাম ধর্মপ্রচারক শাহ জালালের বাসস্থান নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এটিই মূলত তার শেষ সমাধিতে পরিণত হয়। শাহ জালালের এই দরগাহ সিলেট শহরের একটি আধ্যাত্মিক স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। দরগাহটি সিলেট শহরের উত্তর প্রান্তে একটি টিলার ওপর অবস্থিত। কারও কারও মতে সিলেট ভূমির মুসলিম সভ্যতা ও ধর্মমত এই দরগাহকে কেন্দ্র করে প্রসার লাভ করেছে। শাহ জালালে লৌকিক ও অলৌকিক স্মৃতিবিজড়িত এই স্থান সিলেটের অন্যতম পুণ্য তীর্থ হিসেবে পরিচিত। পরবর্তীতে শাহ জালালের সঙ্গী অনুসারীদের দ্বারা ঢাকা, ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা, কুমিল্লা, আসাম ও প্রভৃতি স্থানে মুসলিম সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচার ও প্রসার হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাৎসরিক উরস উপলক্ষে প্রতিবছর হাজার হাজার লোক এখানে এসে শাহ জালালের উপলক্ষ ধরে স্রষ্টার কাছে ভক্তি নিবেদন করেন। সুলতানি আমল হতে প্রথা অনুযায়ী নবাব, বাদশা বা রাজকর্মচারীদের মধ্যে যারা সিলেট আসতেন তারা নানা প্রকার দালান নির্মাণ করে সম্মানের সঙ্গে দরগাহের সংস্কার ও প্রসার সাধন করতেন। দরগাহ চত্বরে অবস্থিত দালান, মসজিদ ও পুকুর ঘাট ইত্যাদি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থাপনা সুলতানি ও মুঘল আমলে নির্মিত। স্থাপনায় থাকা তাম্রফলক ও প্রস্তর ফলকে লিখিত বিভিন্ন নিদর্শন তার প্রমাণ দেয়। যেমন সিলেট শহরের সর্ব বৃহৎ দরগাহ মসজিদের ফলকে লিখিত তথ্যে আছে, ‘বাংলার সুলতানদের কর্তৃক ১৪০০ সালে ইহা নির্মিত। শাহ জালালের সমাধি ঘিরে যে দেয়াল রয়েছে তা লুৎফুল্লাহ আমিন বকশী কর্তৃক নির্মিত বলে একটি ফলক সূত্রে জানা যায়। এ ছাড়া দরগাহের লঙ্গরখানায় অর্থ সাহায্য, খাদেমদের জন্য জায়গির ব্যবস্থা, দরগাহের আলোকসজ্জা ইত্যাদি অনুদান সুলতানরা ও মুঘল বাদশাহদের দরবেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিভিন্ন বিবরণীতে পাওয়া যায়।

 

হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মাজার

সুলতান-উল-মাশায়েখ, মেহবুব-এ-ইলাহী, শেখ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) নামেও পরিচিত। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার একজন প্রখ্যাত সুফি সাধক। তিনি চিশতিয়া তরিকা মৌলিক আধ্যাত্মিক ধারাবাহিকতা বা সিলসিলা তৈরি করেছেন, যা ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। নিজামুদ্দিন আউলিয়া ১৩২৫ সালের ৩ এপ্রিল সকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মাজার, নিজামুদ্দিনের দরগাহ দিল্লিতে অবস্থিত। বর্তমানে যে স্থাপনাটি তার মাজার হিসেবে পরিচিত সেটি ১৫৬২ সালে নির্মিত হয়। ধনী-গরিবসহ সব শ্রেণির মানুষের ভিড়ে এখানে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। তার অনেক শিষ্য আধ্যাত্মিকতার উচ্চ আসন অর্জন করেছেন।

 

হজরত শাহ পরানের মাজার টিলা

শাহ জালাল যখন বাংলাদেশে আসার উদ্যোগ নেন তখন ভাগ্নে শাহ পরান খবর পেয়ে ভারতে এসে মামার সঙ্গী হন। সিলেট বিজয়ের পর শাহ জালালের আদেশে তিনি ইসলাম প্রচারের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। শাহ পরান সিলেটের নবীগঞ্জ, হবীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচার করেন। পরবর্তীকালে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ হলে শাহ জালালের নির্দেশে শাহ পরান সিলেট শহর হতে ছয় মাইল দূরে খাদেম নগর এলাকায় গিয়ে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশে বসতি স্থাপন করেন। সেখানেই জীবনের  শেষ সময় পর্যন্ত ইসলাম প্রচার করেন। বর্তমান মাজার টিলায় চির নিদ্রায় শায়িত হন। সিলেট শহরের পূর্ব দিকে খাদিমনগর এলাকায় টিলার ওপর একটি প্রকাণ্ড বৃক্ষের নিচে রয়েছে শাহ পরানের কবর। মাজার টিলায় ওঠানামার জন্য উক্ত মাজার প্রাঙ্গণে উত্তর ও দক্ষিণ হয়ে সিঁড়ি আছে। যা প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট উঁচু। এই সিঁড়িটি মুঘল আমলে নির্মিত বলে লোক মুখে শোনা যায়। মাজারের পশ্চিম দিকে মুঘল বাদশাদের স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদে প্রায় ৫০০ মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করে থাকেন। মাজার টিলা  থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট দক্ষিণ পশ্চিমে মহিলা পর্যটকদের জন্য এক তলা বিশিষ্ট দালান ঘর রয়েছে। উক্ত দালানের অল্প পরিসর দক্ষিণ পূর্বে আরেকটি ঘর দেখতে পাওয়া যায়। এ ঘরখানা মূলত বিদেশাগত পর্যটকদের বিশ্রামাগার হিসেবে ব্যবহার হয়। এই ঘরের পাশেই একটি পুকুর রয়েছে, যা অজু গোসলের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শাহ পরানের পূর্ব পুরুষরা মূলত বোখারা শহরের অধিবাসী ছিলেন। তার ঊর্ধŸতন ৪র্থ পুরুষ শাহ জামাল উদ্দীন, বোখারা হতে ধর্ম প্রচারের জন্য প্রথমে সমরকন্দ ও পরে তুর্কিস্তানে এসে বসবাস করেন। বংশ সূত্রে শাহ পরানের বাবা মোহাম্মদও একজন খ্যাতনামা ধার্মিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মা সম্পর্কে শাহ জালালের বোন ছিলেন। সে হিসেবে শাহ পরান হচ্ছেন শাহ জালালের ভাগ্নে। শাহ পরানের বয়স যখন ১১ বছর তখন তিনি বাবাকে হারান। পরবর্তীতে তার আত্মীয় প্রখ্যাত দরবেশ সৈয়দ আহমদ কবিরের কাছে ধর্ম শিক্ষায় দীক্ষিত হন। সেখান থেকে তিনি আধ্যাত্মিক দীক্ষা লাভে  নিশাপুরের বিখ্যাত দরবেশ পাগলা আমিনের শরণাপন্ন হয়ে আধ্যাত্মিক শিক্ষায় দীক্ষিত হন।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, গ্রেফতার ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, গ্রেফতার ২

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিতে চারদিনে ১৫ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন
ভোট দিতে চারদিনে ১৫ হাজারের বেশি প্রবাসীর নিবন্ধন

৮ মিনিট আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক
গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহাসড়কের পাশ থেকে কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক উদ্ধার
মহাসড়কের পাশ থেকে কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক উদ্ধার

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘সিইও অব দ্য ইয়ার–২০২৫’ পুরস্কারে ভূষিত সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন
‘সিইও অব দ্য ইয়ার–২০২৫’ পুরস্কারে ভূষিত সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন

২১ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

গাইবান্ধায় ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করছে ল্যাম্ব
গাইবান্ধায় ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করছে ল্যাম্ব

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাইব্যুনাল ও বিচারকদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য ও ছবি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ
ট্রাইব্যুনাল ও বিচারকদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য ও ছবি সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ
শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ

২৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল

৩১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নেত্রকোনায় হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোনায় হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জকীগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
জকীগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

৩৫ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক
গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই : আমীর খসরু
গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই : আমীর খসরু

৩৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

৪২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিউক্যাসল বাংলাদেশ কমিউনিটির ১০ বছর পূর্তি উদযাপন
নিউক্যাসল বাংলাদেশ কমিউনিটির ১০ বছর পূর্তি উদযাপন

৪২ মিনিট আগে | পরবাস

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা

৪৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদী থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদী থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কানাডা
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কানাডা

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার পরিবেশ আনন্দদায়ক হতে হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার পরিবেশ আনন্দদায়ক হতে হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৭৮
ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৭৮

৫০ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বাউবির ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবন খালি করার নির্দেশ
বাউবির ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবন খালি করার নির্দেশ

৫২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে
নির্বাচনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

আইসিসির সাবেক আম্পায়ার খিজার হায়াতের মৃত্যু
আইসিসির সাবেক আম্পায়ার খিজার হায়াতের মৃত্যু

৫৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার ভূমিকম্পের চেয়েও বড় ঝুঁকি তৈরি করছে’
‘অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার ভূমিকম্পের চেয়েও বড় ঝুঁকি তৈরি করছে’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

রাজনীতিতে সহনশীলতা না থাকায় সমাজে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে : রিজভী
রাজনীতিতে সহনশীলতা না থাকায় সমাজে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে : রিজভী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেন শান্তি প্রস্তাবে ইউরোপের নিরাপত্তাও দেখতে হবে: ম্যাক্রোঁ
ইউক্রেন শান্তি প্রস্তাবে ইউরোপের নিরাপত্তাও দেখতে হবে: ম্যাক্রোঁ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

২৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা