৬ আগস্ট, ২০২২ ১৪:৪৩

আম গাছে বক-পানকৌড়ির নিরাপদ আবাস

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

আম গাছে বক-পানকৌড়ির নিরাপদ আবাস

বর্ষার সময়েও বক আর পানকৌড়ি নিরাপদ আস্তানা হিসেবে বেছে নিয়েছে দিনাজপুর শহরের আবাসিক এলাকার আম গাছকে। সন্ধ্যা আর সকালে পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই চোখে পড়বে তাদের। কিচিরমিচির শব্দে চারপাশ মুখরিত।

পানকৌড়ি আর বকদের নিরাপদ আস্তানা দিনাজপুর শহরের দক্ষিণ বালুবাড়ীর ফুড অফিসের সামনে এবং পাহাড়পুর ইকবাল স্কুলের গাছগুলোতে। বালুবাড়ীর আম গাছে নিরাপদ প্রজনন আবাসস্থল। আশেপাশে নির্মাণ কাজ চললেও পাখিরা ওই গাছ ছেড়ে যায়নি। 

সরেজমিনে দেখা যায়, দিনাজপুর শহরের দক্ষিণ বালুবাড়ীর ফুড অফিসের সামনে গাছের ডালে বাসা বেঁধেছে সাদা বক ও পানকৌড়ি। তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে গাছগুলো। বৈশাখে এসেছে এসব পাখি। প্রজনন শেষে বাচ্চাগুলো বড় হওয়ার পর ভাদ্র মাসেই চলে যায় তারা। সবার অগোচরে আম গাছগুলোতে নিরাপদ প্রজনন এলাকা হিসেবে বেছে নিয়েছে সাদা বক-পানকৌড়িরা। সকালে আর বিকালে পাখিদের আনাগোনায় মন জুড়িয়ে যাবে সবার।

সকাল হলেই মা পাখিরা খাবারের সন্ধানে উড়ে যায়, আবার সন্ধ্যা নামার সাথে ফিরে আসে নীড়ে। সন্ধ্যার দিকে গাছগুলোর দিকে তাকালে মনে হয় শাখা-প্রশাখা জুড়ে সাদা-কালো ফুল। 

মোসাদ্দেক হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, এরা বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আসতে শুরু করে এবং ৫ মাস অবস্থান করে প্রজনন শেষে চলে যায়। শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পুনর্ভবা, আত্রাই, গাবুরা নদীসহ খাল-বিল আর ফসলের মাঠ থেকে নানা জাতের মাছ, পোকামাকড় ও শামুক-ঝিনুক খেয়ে জীবন বাঁচে পাখিগুলোর। কেউ তাদের বিরক্ত করে না। এমন জায়গায় নিরাপদ আশ্রয়ে বাসা বেঁধে ডিম দেয় এবং তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায় তারা। মা পাখিরা খাবার সংগ্রহ করে এনে মুখে তুলে দেয় বাচ্চা পাখির।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর