যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, তিনি সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে (সিআইএ) ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছেন। ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, তার প্রশাসন ভেনেজুয়েলার ভিতরে স্থলভিত্তিক সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করে দেখছে। সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার নৌযানগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। আলজাজিরা জানিয়েছে, বুধবার ট্রাম্প তার কিছু শীর্ষ আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। এখানে তিনি সিআইএকে দেওয়া ওই অনুমতির বিষয়ে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত খবর নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন। একজন সাংবাদিক সরাসরি প্রশ্ন করেন, ‘আপনি সিআইএকে ভেনেজুয়েলার ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন কেন?’
উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি দুটি কারণে অনুমতি দিয়েছি। প্রথমটি হচ্ছে, তারা তাদের কারাগারগুলো যুক্তরাষ্ট্রে খালি করে দিয়েছে। -রয়টার্স
অপর কারণটি হচ্ছে, মাদক পাচারে ভেনেজুয়েলার ভূমিকা।’ তারপর তিনি ইঙ্গিত দেন, মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিদেশের মাটিতে গিয়েও পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ভেনেজুয়েলা থেকে প্রচুর মাদক আসে। ভেনেজুয়েলার মাদকের একটা বড় অংশ সাগরপথে আসে। তা আপনারা দেখছেন। কিন্তু আমরা স্থলেও তাদের থামিয়ে দিতে যাচ্ছি।’ ট্রাম্পের এসব মন্তব্য ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে তার প্রচারণা বাড়ার সর্বশেষ উদাহরণ। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দীর্ঘদিন ধরে তার লক্ষ্যস্থল হয়ে আছেন, ট্রাম্পের সেই প্রথম মেয়াদ থেকে। সম্ভাব্য শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশে উভয় নেতাই ক্যারিবিয়ান সাগর বরাবর তাদের সামরিক শক্তি জোরদার করে তুলছেন।
ট্রাম্পের সর্বশেষ মন্তব্য ও সিআইএকে অভিযানের অনুমতির বিষয়ে ভেনেজুয়েলা সরকার কঠোর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে কারাকাস। এক বিবৃতিতে মাদুরো সরকার বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো ভেনেজুয়েলায় শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য অভিযান চালানোর বৈধতা তৈরি করা। এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো এ দেশের সব খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।’ ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সভ্রেনটি অ্যান্ড পিসের এক অনুষ্ঠানে মাদুরো বলেন, ‘শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনকে না। এটি আমাদের আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া ইত্যাদির ব্যর্থ চিরন্তন যুদ্ধের কথা অনেক বেশি মনে করিয়ে দেয়।’