২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৯:৫৯

সুন্দরবনে গোলপাতা আহরণ শুরু, এবার লক্ষ্যমাত্র ৭ হাজার মেট্রিক টন

বাগেরহাট প্রতিনিধি

সুন্দরবনে গোলপাতা আহরণ শুরু, এবার লক্ষ্যমাত্র ৭ হাজার মেট্রিক টন

সুন্দরবনে শুরু হয়েছে এ বছরের গোলপাতা আহরণ মৌসুম। রবিবার (২৯ জানুয়ারী) গোলপাতা আহরণ মৌসুমের প্রথম দিনে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতিপত্র (বিএলসি) নিয়ে গোলপাতা আহরণে চাঁদপাই রেঞ্জে বনের অভ্যন্তরে দুটি গোলপাতার কূপে গেছেন উপকূলের ৩০ বাওয়ালী। চলতি মৌসুমে চাঁদপাই রেঞ্জের এ দুটি কূপ থেকে গোলপাতা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। সুন্দরবনে চলতি গোলপাতা আহরণ মৌসুম চলবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। 

সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে দুটি গোলপাতা আহরণ এলাকা (কূপ) রয়েছে। এই দুটি গোলপাতা কূপের মধ্যে এ মৌসুমে শ্যালা কূপ থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন ও চাঁদপাই কূপ থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন গোলপাতা আহরণে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রতি কুইন্টাল গোলপাতা আহরণে রাজস্ব বাড়িয়ে ৬৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বন বিভাগ। গত আহরণ মৌসুমে যা ছিল কুইন্টাল প্রতি মাত্র ২৫ টাকা। গত আহরণ মৌসুমে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা ও চাঁদপাই কূপ থেকে সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরিতে ১০০টি বিএলসি নিয়ে বাওয়ালীরা ১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন গোলপাতা আহরণ করে। গত মৌসুমে গোলপাতা থেকে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ রাজস্ব আয় হয় ৯ লাখ টাকা। সুন্দরবন বিভাগ আশা করছে চলতি মৌসুমে কুইন্টাল প্রতি ২৫ টাকার স্থলে রাজস্ব এবার ৬৮ টাকা নির্ধারন করাসহ গত মৌসুমের চেয়ে বেশি গোলপাতা আহরিত হলে রাজস্ব আদায় ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসন জানান, সুন্দরবনের ওপর থেকে চাপ কমানোর জন্য গোলপাতা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা এবছর দেড় হাজার মেট্রিক টন কম করা হয়েছে। গোলপাতা আহরণ নিবির্ঘে যাতে বাওয়ালীরা গোলপাতা কাটতে পারে তার জন্য বন বিভাগ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। প্রতিটি কূপে নিয়মিত তদারকি করে বিএলসি নবায়ন করার অনুমতি দিয়েছেন। পাশাপাশি কূপে নৌকার মিল রেখে গোলপাতা কাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গালপাতা আহরণে এবারও বাওয়ালীদের শর্ত দেয়া হয়েছে। গোলপাতা আহরণের জন্য নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত সময় বনে অবস্থান করা যাবে না, গোলপাতা ঝাড়ের মাইজপাতা ও ঠেকপাতা কোনোভাবেই কাটা যাবে না। গোলপাতা আহরণে গিয়ে কোন বাওয়ালী গোলপাতার ছাড়া অন্য কোন প্রজাতির গাছ কাটতে পারবেনা। বন্যপ্রাণি শিকারসহ বনের ক্ষতি করলে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর