৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ ১০:৩০

নেত্রকোনায় এবারো খাদ্য চাহিদার দ্বিগুণ উৎপাদনের সম্ভাবনা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় এবারো খাদ্য চাহিদার দ্বিগুণ উৎপাদনের সম্ভাবনা

হাওর অধ্যুষিত জেলা নেত্রকোনা। জেলার সর্বত্র বোরো আবাদ প্রায় শেষের পথে। তারমধ্যে হাওরাঞ্চলে সম্পন্ন হয়েছে পুরো আবাদ। চলছে পরিচর্চা। সম্ভাবনা রয়েছে আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িযে যাওয়ার। ফলন ভালো হলে চালের উৎপাদনে জেলার খাদ্য চাহিদার দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা কৃষি বিভাগের। তবে হাওরে মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা বলছেন নিয়মিত তদারকি নেই। তদারিক থাকলে শেষ পর্যন্ত ঘরে তুলতে পারবেন সোনার ফসল। 

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষি নির্ভর জেলা নেত্রকোনায় হাওরাঞ্চল সম্পূর্ণ ধান উদ্বৃত্ত। এবছর হাওরের কৃষকরা আগেভাগেই চারা রোপণের কাজ সম্পন্ন করায় পানি আসার আগেই এবার ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা। তবে মাঠের কৃষকরা আগাম বন্যা এবং ধানে ব্লাস্ট রোগকে ভয় পাচ্ছেন। সেইসাথে সেচ সঙ্কটে না পড়লে এবার ভালো ফলনের আশাই করছেন তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, জেলায় এবছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমি। তারমধ্যে জানুয়ারী শেষ নাগাদ আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৭ হেক্টর। শুধু মাত্র হাওরের ৪০ হাজার ৯৬০ হেক্টরের মধ্যে এবার শতভাগ অর্জন হয়ে ১০ হেক্টর বেশি অবাদ হয়েছে। এবছর জেলায় বীজতলা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮ হাজার ৮১৩ হেক্টর। তারমেধ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়ে আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ৫২০ হেক্টর। 

বীজতলা নষ্ট না হওয়ার ফলে কৃষকরাও খুশি এবার বোরো আবাদে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং সেচ ব্যবস্থার অবনতি না হলে এবার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকরা। কিন্তু তেল ডিজেল সার সহনীয় পর্যায়ে থাকলে সেটি সম্ভব হবে বলে আশা করছেন কৃষকেরা। 

উপ পরিচালক আরও জানান, এবার বীজতলা সময় মতো সম্পূর্ণ হয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। রোপণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে কৃষি বিভাগের। তিনি জানান, জেলায় এ বছর চালের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৫ মেট্রিক টন। যার সরকারী মূল্যে প্রতি টন ৪২ হাজার করে মূল্যে আসে ৩ হাজার ২শ কোটি টাকা। 

চালের হিসেব করে তিনি জানান, জেলায় খাদ্য চাহিদা রয়েছে ৫ লাখ ৫ হাজার ২১ মেট্রিক টন চাল। কিন্তু দুটি ফসলে অপচয় বাদেও উৎপাদন আসে ১১ লাখ ২২ হাজার ২১১ মেট্রিক টন। উদ্বৃত্ত থাকে ৬ লাখ ১৭ হাজার ১৯০ মেট্রিক টন।  

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর