শিরোনাম
- গাজার দক্ষিণে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত ২
- হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে দুই ইউনিট
- ব্রাজিলে হট এয়ার বেলুন দুর্ঘটনায় নিহত ৮
- আমিরের ‘সিতারে জমিন পর’: ভিন্নধর্মী গল্পে বক্স অফিসে সাড়া
- নারায়ণগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত
- অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির মৃত্যু, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর ক্লিনিক ঘেরাও
- বগুড়ায় করতোয়া নদী সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন
- নির্বাচনের মনোনয়নে গুরুত্ব পাবেন ত্যাগী ও জনবান্ধব নেতারা : খোকন
- শাবিপ্রবি ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, দুই শিক্ষার্থী গ্রেফতার
- মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে হাইকমিশনের ঈদ আনন্দ উৎসব
- পর্যাপ্ত সময় পেলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো : শান্ত
- পৃথিবীর শান্তি ও মানবতা ধ্বংস করছে ইসরায়েল : হেফাজতে ইসলাম
- জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে নিচ্ছে ইসি
- দশম পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলো ইরান
- ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
- সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার কারাগারে
- শরীয়তপুরের ডিসিকে ওএসডি
- জয়পুরহাটে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীর বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি
- রবিবার সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি
- আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা
ভরা শ্রাবণেও বৃষ্টির দেখা নেই
নীলফামারীতে আমন চারা রোপণে বিপাকে কৃষকেরা
নীলফামারী প্রতিনিধি
অনলাইন ভার্সন

চলছে শ্রাবণ মাস, ভরা বর্ষাকাল। সাধারণত এসময় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়, যা ধান চাষের উপযোগী। তবে এ বছর টানা দাবদাহ আর অনাবৃষ্টিতে মাঠ শুকিয়ে গেছে। আর এ কারণে চারা রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নীলফামারী জেলার কৃষকরা। খরায় জমিতে আমন চারা লাগানোর পানি নেই। খাল ও বিলে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় পাট জাগ দিতে পাচ্ছেন না এ জেলার কৃষকেরা। প্রায় এক মাস কোনও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তীব্র দাবদাহে নাজেহাল জনপদের মানুষ।
নীলফামারী কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি আমন মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৯২ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগে লাগানো আমনের চারা খরার কবলে পড়েছে। বেশকিছু স্থানে গভীর নলকূপ ও শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। তৈরি করছেন আমনের জমিও। এজন্য প্রতি ঘণ্টা সেচের জন্য কৃষককে ২৫০ টাকা করে গুণতে হচ্ছে। গভীর নলকূপের সেচের জন্য প্রতিবিঘা (৬০ শতাংশ) ৫০০ টাকা করে সেচের ভাড়া গুণতে হচ্ছে। এতে করে কৃষকের ব্যয় বাড়ছে।
কৃষি শ্রমিক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে আমনের চারা তুলে লাগানোর জন্য ২৫০০ টাকা ৩০০০ টাকা খরচ হচ্ছে। তবে পাট কেটে রেখেছি পানির অভাবে জাগ দিতে পারছি না।
কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষের আবাদ নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। ফলে জমিতে সম্পূরক সেচের মাধ্যমে আমন ধানের চারা রোপণ করতে হচ্ছে। এতে ফলন খরচ বেড়ে যাবে। এ বছর বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। তাই আমন ধান আবাদে অনেকটা সেচনির্ভর হতে হচ্ছে। শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে সেচ এবং ট্রাক্টর দিয়ে চাষাবাদ করতে গিয়ে আমাদের খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-পরিচালক ড. এস. এম. আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির অভাবে আমন চারা লাগাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কৃষকরা গভীর ও অগভীর নলকূপের সাহায্যে জমিতে সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণ করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর