রংপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোর প্রকৃতি কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। শীত এবং হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছেন। ভর দুপুরে যানবাহনকে লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশায় প্রকৃতি ঢেকে যাওয়ায় সর্বত্রই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদিকে রংপুরের জেলা প্রশাসন ১ লাখ ৪ হাজার শীত বস্ত্রের চাহিদা পাঠালে সেখানে সোমবার পর্যন্ত বরাদ্দ এসেছে মাত্র ১ হাজার ৬০০ পিছ। ফলে শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে সোমবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে যেমন তেমন, রাতে তাপমাত্রা দ্রুত কমছে। গত কয়েকদিন থেকে আকাশ রয়েছে মেঘলা। শীতের কারণে খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির মানুষ কাজ না পেয়ে বেকায়দায় রয়েছে। ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে শহরে লোকজনের চলাচল কমে গেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার সমাগম নেই বললেই চলে।
শীতার্তদের কষ্ট লাঘবে স্থানীয় প্রশাসন শীত বস্ত্রের চাহিদা পাঠালেও এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র এসে পৌছায়নি। সময় মত শীতবস্ত্র না এলে শীতার্ত মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
রংপুর জেলা ত্রাণ অফিস জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ে এক লাখ চার হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত শীতবস্ত্র এক হাজার ৬০০ পিছ এসেছে। একই অবস্থা আশপাশের অন্যান্য জেলাগুলোতে।
স্থানীয় প্রশাসন শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠালেও তা এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র এসে পৌছেনি। বর্তমানে রংপুর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলে হিমেল হাওয়ার সাথে শীতের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।
আবহাওয়া বিদদের মতে জলবাযুর পরিবর্তনের ফলে এ অঞ্চলে শীতের সময় প্রচন্ড শীত এবং গরমের সময় প্রচন্ড গরম অনুভূত হয়। গত ক'দিন থেকে এ অঞ্চলে শীত তার আপন রুপে ফিরে আসতে শুরু করেছে। শীতের কারণে অনেকের গায়ে গরম পোশাক চড়ালেও হতদরিদ্ররা পড়েছেন বেকায়দায়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল ও চর এলাকার লোকজন শীতবস্ত্রের অভাবে থাকেন। শীতে কাবু হয়ে অনেক দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষকে শীতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
কয়েকদিনের ব্যবধানে শীত ও ঘন কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শীতের এই পরিস্থিতিতে মানুষের পাশাপাশি গরু-ছাগলসহ গবাদিপশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাবের পরিমান বেশি।
রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, মৌসুমি বার্য়র প্রভাবে প্রকৃতিতে কুয়াশার পরিমান বেড়ে গেছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে এই অঞ্চলে শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল