কুড়িগ্রামে গত দুই সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ক্রমেই কমছে। তবে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে গেছে গোটা জেলা। শীতের সাথে ঘন কুয়াশায় অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি।
গত এক সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। সোমবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, তাপমাত্রা ধীরে ধীরে জেলায় আরো কমে আসবে। আকাশ মেঘলাসহ ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সুর্য দেখতে না পাওয়ায় সোমবার দিনভর প্রচন্ড ঠান্ডা বিরাজ করে। দিনের বেলা প্রতিদিন তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে বেশি। তবে সোমবার দিনভর উত্তাপ ছিল না বলে প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে কম বেরিয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষজন। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় যানবাহনগুলো হেড-লাইট জ্বালিয়ে চলাচলে বিলম্বে যাতায়াত করে থাকে।
আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, যাদের অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ।
অন্যদিকে,কুয়াশা ও শীতের কারণে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন। তারা সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না। নদনদীর চর ও দ্বীপচরের উলিপুর উপজেলার হকের চরের বাসিন্দা গোলেনুর বেগম জানান, ‘ঠান্ডাত হামরা আইজ খুব কষ্ট পাবার নাগচি। এখন যদি কাইও হামাক কম্বল দিলে হয় তাহলে ভালো হইবে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল