বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। এতে শহরের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষকে। মানুষ সচেতন না হলে কিংবা বহুদিনের পুরনো অভ্যাস পরিবর্তন না করলে জনদুর্ভোগ এড়ানো সম্ভব নয়।
তাই ‘যত্রতত্র আবর্জনায় কমবে শহরের মান, আমরা সচেতন হলেই তবে মিলবে সমাধান’ স্লোগানে শনিবার বগুড়া শহরবাসীকে সচেতন করতে বসুন্ধরা শুভসংঘ শহরের কয়েকটি স্থানে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করে। পরে যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলার নির্দেশনা সংবলিত ব্যানার লাগানো হয়।
বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় মসজিদের দক্ষিণ পাশে তিন রাস্তার মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনা ফেলা হতো। এতে করে দুর্গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দাসহ পথচারীদের চলাফেরায় সমস্যা হতো। বসুন্ধরা শুভসংঘ বগুড়া জেলা শাখার সদস্যরা এই জায়গাটিকে আবর্জনা মুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
স্থানীয় মুদি দোকান ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন ধরে আবর্জনা থাকাতে দোকানে বসে ব্যবসা করতে সমস্যা হতো। শুভসংঘের আজকের এই উদ্যোগে একটি বিরাট সমস্যার সমাধান হলো।
শহীদ জব্বার ক্লাবের উত্তর পাশে মিল্লাত প্লাজার সামনেও পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন বসুন্ধরা শুভসংঘ বগুড়া জেলা শাখার সদস্যরা। ওই এলাকার পথচারী নুরুল ইসলাম বলেন, শহরের মূল কেন্দ্রে যেতে হলে আমাদেরকে এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে চলাফেরা করতে ব্যাপক সমস্যা হতো। আজকে তাদের এই উদ্যোগের ফলে চলাফেরা করতে আর কোনো সমস্যা হবে না।
বসুন্ধরা শুভসংঘ বগুড়া জেলা শাখার আজকের কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ হোসেন, বসুন্ধরা শুভসংঘ বগুড়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী, কামরুল হাসান সজিব, সাধারণ সম্পাদক আশফাক উর রহমান চন্দন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান সিদ্দিকী সজল, আবু সুফিয়ান সফিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ান হাসেন সিদ্দিকী সিয়াম, অর্থ সম্পাদক সোহাগ মন্ডল, প্রচার সম্পাদক নাহিদ হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক জুনায়েদ ইসলাম সার্জিল, নাজমুল, শিহাবসহ অন্যান্য শুভার্থীবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল