শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯ আপডেট:

সত্য চাই, নাকি আসল চাই

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রিন্ট ভার্সন
সত্য চাই, নাকি আসল চাই

খেয়াল করায় দেখতে পাচ্ছি যে, আমার নিজের লেখাতে ‘আসল’ কথাটি বেশ ঘুরেফিরে আসছে, মহোৎসাহে না হলেও বেশ আগ্রহভরে। এর ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আছে। হয়তো মনে হয় অনেক কথা বলছি বটে তবে আসল কথাটি অস্পষ্ট থেকে যাচ্ছে। তাই তাকে সুযোগ করে দেওয়া দরকার আত্মপ্রকাশের। আসল যে আসলেই বের হচ্ছে না এই সন্দেহ অমূলক নয়।

নকল এখন বড়ই প্রবল, সেটিও একটি সত্য বটে। আসল তাই। কোণঠাসা; তাকে খুঁজে বের করা অত্যাবশ্যক, সত্যের খাতিরে। সত্যের খাতিরে মানে আমাদের নিজেদের স্বার্থে, নইলে খাতির করলেই যে সত্য এসে হাজির হবে এমন ভরসা কম। নিজের স্বার্থেই খাঁটি জিনিস চাই, কিন্তু পাই না। বাজারে নেই। বক্তৃতাতে নেই। সংবাদপত্র ও টেলিভিশন দেখাশোনা তো ভীষণ রকমের বিভ্রান্তিকর।

রাজনীতিতে সত্য মারাত্মকভাবে অনুপস্থিত। আগে দুধে পানি দেওয়া হতো, এখন ব্যাপার দাঁড়িয়েছে এমন যে পানির সঙ্গে দুধ মেশানো চলছে। এটি রূপক ও ব্যাপক অর্থে অত্যন্ত সত্য।

আসল জিনিস পাওয়া কঠিন, আর পাই যদি বা তবু নিশ্চিন্ত হতে পারি না। ঠকছি না তো, নকলকেই বেছে নিচ্ছি না তো আসল বলে, এসব জিজ্ঞাসা উত্ত্যক্ত করে। একসময় পরীক্ষার হলে ভীষণ নকল হতো। অভিভাবকরা পর্যন্ত নিজ নিজ ছেলেমেয়েদের ওই কাজে সাহায্য করতেন, পাছে তারা পিছিয়ে পড়ে যায় অন্যদের তুলনায়। পরীক্ষার হলে যারা পাহারা দিতেন তারা হিমশিম খেয়ে যেতেন নকলওয়ালাদের প্রখর বুদ্ধির কাছে। ওই মেধাকে তারা যদি পড়াশোনায় কাজে খাটাত তাহলে নকল করার আবশ্যকতা তো থাকতই না বরং সবার ফলই ভালো হতো। শিক্ষার মান নিঃসন্দেহে বইমুখী হয়ে পড়ত। কিন্তু পরিশ্রম তো করে দিনমজুরে, ভদ্রলোকেরা পরিশ্রম করবে কেন, তারা ফাঁকি দেবে, প্রতারণা করবে এবং ওইভাবে সাফল্য অর্জন করে বাহাদুরি দেখাবে। শ্রমজীবীদের ঘৃণা করতেও ছাড়বে না। পরীক্ষায় নকল করার ক্ষেত্রে ওই ঘটনাই ঘটেছে বৈকি।

এখন অবশ্য নকলের ব্যাপারটি আর পরীক্ষার হলের ভিতর আটকে নেই, সর্বত্রই বেরিয়ে পড়েছে। সব পক্ষীই মৎস্যভক্ষী, বদনাম শুধু মাছরাঙার, এ অবস্থাটি নেই। এখন সবাই নকলের বীরত্বে গৌরবান্বিত। দৃশ্যত শিক্ষা ক্ষেত্রে নকল বরং কমেছে। নকল করার অধিকার নিয়ে দাঙ্গাহাঙ্গামার খবর এখন পাওয়া যায় না, পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে দলে দলে শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত হচ্ছে এমন দৃশ্যেরও বর্ণনা পাই না। তাহলে কি শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে নকলবাজি উধাও হয়ে গেছে? শুভ স্পর্শ লেগেছে কোনো অলৌকিক শক্তির? সেটি বোধহয় বলা যাবে না। বোধকরি বলতে হবে গোটা শিক্ষাব্যবস্থার ভিতরেই নকল ঢুকে পড়েছে। এসেছে গৃহশিক্ষকতা এবং কোচিং সেন্টার। দুটো আসলে একই জিনিস। উচ্চ নম্বর লাভের কলাকৌশল শেখানো। নকলের যা উদ্দেশ্য কোচিং যাতায়াতেরও সেই একই উদ্দেশ্য, সহজে ভালো নম্বর পাওয়া। বিদ্যা অর্জন নয়, গ্রেড অর্জন। গৃহশিক্ষকরা আগেও ছিল কিন্তু এখন তা ব্যাপক হয়েছে এবং যে গৃহেই হোক, গুরুর কিংবা ব্যবসায়ীর, অভিন্ন উদ্দেশ্য বিদ্যা বিতরণ নয়, গ্রেডপ্রাপ্তিতে সহায়তাদান। অর্থের বিনিময়ে। ছেলেমেয়েরা এখন বই পড়ে না, ফটোকপির দোকানে দৌড়াদৌড়ি করে, নকল চাই, নকলের নকল চলছে; আসল জিনিসে উৎসাহ নেই। পড়াশোনাটি হওয়ার কথা ক্লাসরুমে। সেটিই আসল। সেখানে তা হচ্ছে না। হচ্ছে কোচিং সেন্টারে। সেটি আসল নয়, নকল বটে। দুই কারণে। প্রথমত, ঘটনাটি শিক্ষাগত নয়, বাণিজ্যিক। দ্বিতীয়ত, ওই যে বললাম উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করা নয়, তাদের গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে উজ্জ্বল করে তোলা। পাঠদান করা হচ্ছে না, গ্রেড হাতিয়ে নেওয়ার দক্ষতা। শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই হাতিয়ে নেওয়াটি তো চুরি-ডাকাতিরই শামিল। আসলেই। এই নকলবাজিতে শিক্ষকদের অংশগ্রহণের পেছনে যুক্তি আছে। সেটি শিক্ষকরা উচ্চকণ্ঠে দিতে পারেন না, তবে নিম্নকণ্ঠে যে বলেন না তা নয়। বেচারা শিক্ষকদের কণ্ঠ দুর্বল হতে বাধ্য। প্রথমত, ক্লাসে পড়াতে হয়, ঠিকমতো পড়াতে না পারলেও অন্তত হাজিরা তো দিতে হয়, তারপর থাকে সকালে-বিকালে কোচিংয়ের চাপ, গলা তো ভাঙবেই। স্কুলে আমাদের এক বাংলা শিক্ষক ছিলেন, চমৎকার পড়াতেন, তাঁর লেখা পাঠ্যবই বাজারে চালু ছিল। ঠাট্টা করে ক্লাসেই বলতেন, সকাল ১০টায় শুরু করি, বিকাল ৫টায় যখন শেষ করি তখন দেখি আড়াই সের চালের খিদে লেগেছে। তিনি গৃহশিক্ষকতা করতেন না; অনুমান করি পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন থেকে তার খারাপ

আয় হতো না। কিন্তু অন্যদের অবস্থাটি কী? নিশ্চয়ই ভালো ছিল না। প্রচণ্ড ক্ষুধা তাঁদের পরিবারেও ছিল। সেটি মেনে নিতেন। শিক্ষকতাকে মনে করতেন ব্রত। কিন্তু ব্রতই হোক আর পেশাই হোক ক্ষুণিœবৃত্তির আক্রমণে স্থির থাকা যে কঠিন সেই বাস্তব সত্যকে অস্বীকার করবে কে? বাস্তবতা এখন আর ব্রতচারিতার আচ্ছাদনকে অক্ষত রাখতে পারছে না, প্রয়োজনের তাগিদে এবং নিরুপায় হয়ে তারাও বাধ্য হয়েছেন বাণিজ্যের পথ ধরতে।

সব মিলিয়ে শিক্ষা কেনাবেচার সামগ্রী হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুশকিলটি আসলে ওইখানেই, ওই বাণিজ্যে। বাণিজ্যে ফাঁক ও ফাঁকি থাকবেই। শিক্ষা যে সুষ্ঠু পথ ধরে এগোচ্ছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়াটি নিছক বোকামি বৈ অন্য কিছু নয়।

চিকিৎসা তো ভয়ঙ্করভাবে বাণিজ্যকবলিত। চিকিৎসককে অবশ্য সরাসরি একটি পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। সেটি হচ্ছে রোগের নিরাময় ঘটানো। তবে এর বাইরে চিকিৎসকরা রোগীদের নানা রকমের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার অধীন না করে নিস্তার দেন না। সেগুলোর সবই যে প্রয়োজনীয় তা-ও নয়। ওদিকে ওষুধ প্রস্তুতকারীরা রোগীদের দিকে কখনই তাকান না, কেবলই মুনাফা খোঁজেন। দাম তো বটেই, উপাদানের দিক থেকেও ওষুধ যে খাঁটি এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। আর অসহায় রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসকরা যে টাকাটি আদায় করে নেন তা উকিল-ব্যারিস্টারদের আদায় তৎপরতার তুলনায় নিতান্ত সামান্য নয়। বাংলাদেশে আজ কোনো কিছুই সামান্য থাকতে চাচ্ছে না; সবকিছুই উঁচু থেকে আরও উঁচু হয়ে উঠছে। দালানকোঠা থেকে শুরু করে বিদ্যুতের দাম- সবকিছুই অত্যন্ত উন্নত। আর ওই উন্নতির নিচে চাপা পড়ে নিচুদের দুর্দশার অন্ত নেই। কেবল নকল নয়, ভেজালও সমাজে চলছিল। মাড়োয়ারিরা এ কাজে বেশ দক্ষ ছিল এবং তারা লোকপ্রসিদ্ধিও অর্জন করেছিল। তেল, চাল, ডালসহ খাবার-দাবারের জিনিসগুলোর ওপরই ওই ব্যবসায়ীদের কৃপাদৃষ্টি বিশেষভাবে নিক্ষিপ্ত হতো। তাতে ভোক্তাদের কতটি দুর্ভোগ হবে তা নিয়ে তারা মাথা ঘামায়নি। আমরা পাকিস্তান চেয়েছিলাম অনেক স্বপ্ন মাথায় পুষে; তার মধ্যে একটি ছিল অমুসলিম ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আশা। তা তারা বিদায় হলো ঠিকই, কিন্তু আমরা তো মুক্তি পেলাম না। আমরা গিয়ে পড়লাম অবাঙালি মুসলিমদের হাতে। ব্যবসা-বাণিজ্য তাদের দখলে চলে গেল। ভেজালের কাজে এদের কোনো কার্পণ্য ছিল না। ঢাকা শহরে ছোটবেলায় আমি নিজে দেখেছি মৌলভীবাজার মোড়ে মুসলিম লীগের ঢাকা শহর শাখার সভাপতিকে, রোজই দেখতাম এবং বয়স্কদের মুখে শুনতাম অতিপ্রসন্ন নুরানি চেহারার ওই নেতার আড়তে তেলের সঙ্গে নানা রকমের ভেজাল মেশানো হতো। ওই আমলে রেশনের চালের সঙ্গে পাথরকণার মারাত্মক সংমিশ্রণ ঘটত।

এর পরের খবর বিলক্ষণ জানি আমরা। দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলো। স্বাধীনতা নয়, আমরা ভাবলাম পেয়ে গেছি মুক্তি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা কমল, নাকি বাড়ল? বাড়ল যে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। একাত্তরের পর মুক্তি অনেক কিছুরই ঘটেছে, সর্বাধিক পরিমাণে মুক্তি পেয়েছে ব্যবসা ও বাণিজ্য। চোরা এবং প্রকাশ্য উভয় পথে। বিদেশি পণ্য হু হু করে ঢুকছে। জল, স্থল, আকাশ- সব পথই খোলা। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, বাধা দেওয়ার কেউ নেই, উৎসাহ দেওয়ার লোক যত্রতত্র। মানসম্মান, নিরাপত্তা, নারীর মর্যাদা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি- সবকিছুই অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের আওতার মধ্যে চলে এসেছে। মারাত্মক রকমের বন্যার মতো ব্যবসা ঢুকে পড়েছে রাজনীতির পরতে পরতে।

রাষ্ট্রক্ষমতার ব্যাপারে মূল লড়াইটি কিন্তু জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের। জনগণ যখন মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসল ঘটনা তখন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই। কিন্তু জনগণ আন্দোলনে অর্জিত বিজয়কে ধরে রাখতে পারে না, সেটি হস্তগত হয়ে যায় ক্ষমতাবানদের এবং ক্ষমতা যাদের হাতে তাদের নিজেদের মধ্যে কে কতটা ভোগ করবে কিংবা করবে না তা নিয়ে ভীষণ, অনেক সময় রক্তাক্ত সংগ্রাম শুরু হয়। এটি তাদের ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্ব, কিন্তু প্রচারের মাধ্যমে সেটিকে তারা জনগণের যুদ্ধ হিসেবে হাজির করতে চায়। জনগণকে খাড়াখাড়ি ভাগ করে ফেলার চেষ্টা করে ক্ষমতাবানদের পক্ষে থাকা এবং বিপক্ষে যাওয়ার লাইন ধরে। এই যোদ্ধাদের দল ভিন্ন ভিন্ন। এদের পোশাক-আশাকেও ভিন্নতা দেখা যায়। আদর্শের ভিন্নতার কথাও তারা বলে কিন্তু ভিতরে ভিতরে তারা অনেক নয়, এক ও অভিন্ন দল বটে, সেটি হচ্ছে শাসকশ্রেণি। ভাই-ব্রাদার। এটিই হচ্ছে প্রকৃত সত্য। একে আচ্ছাদিত করে রাখার জন্য বহুবিধ তৎপরতা চলে, কথার ফুলঝুরি, পারস্পরিক নৃশংস আক্রমণ, সভা-সমিতি, আলোচনা-সম্মেলন, টক-শো, সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় অনেক কিছুর ব্যবহার করা হয়। সত্য চাপা পড়ে যায় মিথ্যার জাঁকজমক ও হল্লা-ফ্যাসাদের নিচে। জনগণ সেখানেই থাকে যেখানে তারা ছিল। শত্রুপক্ষ এখন আগের চেয়ে ভয়ঙ্কর। মুশকিল হলো এই যে, জনগণের পক্ষে সংগঠিত রাজনৈতিক শক্তি নেই। যারা তাদের দলে টানে তারা জনগণের মঙ্গল করতে চায় না, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য জনসমর্থন খাড়া করে। বলে, দেখছ না, চোখ নেই? দেখ, আমাদের পেছনে কত লোক, আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। ভূমিকাটি মিত্রের নয়, ভূমিকাটি প্রতারকের, প্রবঞ্চকের।

রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের বিবিধ প্রতিচ্ছবির অসংখ্য ক্ষেত্র পাওয়া যাবে। যেমন ধরা যাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ১৯২১ সালে। তার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রের জন্য কম কাজ করেনি। প্রশাসক, রাজনীতিক, পরামর্শদাতা সবই সরবরাহ করেছে; রাষ্ট্রের সুনাম বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত মানুষেরা অনিবার্য ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু সব ধরনের আদান-প্রদান ও সুসম্পর্কের ভিতরে-প্রকাশ্যে কখনো, অনেক সময়ই অপ্রকাশ্যে যা কাজ করেছে তা হলো দ্বন্দ্ব। রাষ্ট্র এ বিশ্ববিদ্যালয়কে পছন্দ করেনি, যদিও একে কাজে লাগিয়েছে। তাই দেখা যায় বার বার, বিশেষ করে স্বৈরশাসকের আগমন ও প্রস্থানের কালে সম্পর্কটি সংঘর্ষের রূপ নিয়েছে। স্বৈরশাসন আসার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় চঞ্চল হয়ে উঠেছে। কারণ স্বৈরশাসকের পক্ষে না-জেনে উপায় থাকেনি যে, বিশ্ববিদ্যালয় তাকে মেনে নেবে না। প্রতিবাদ করবে। তা করেছে বৈকি। অধিকাংশ সময়ই দেখা গেছে প্রতিবাদের কাজটি সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকেই ঘটেছে; এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কারণেই স্বৈরশাসনের পতন ত্বরান্বিত হয়েছে।

এ দ্বন্দ্বের কারণটি বুঝতে কোনো কষ্ট নেই। কারণ হলো রাষ্ট্র যেখানে কায়েমি স্বার্থ রক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে স্বার্থের ওই আধিপত্যকে ভাঙতে বদ্ধপরিকর। বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে। তার কারণ এটি নয় যে, বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের প্রতিষ্ঠান, কারণ হলো এই যে, বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদাই মুক্তির পক্ষে। সে মুক্তি জ্ঞানের তো অবশ্যই, কিন্তু ওই জ্ঞান মানুষের জীবনকে বাদ দিয়ে নয়। তাই দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এটি একেবারেই অনিবার্য যে, সে কেবল বিদ্যা অর্জন ও বিতরণের কেন্দ্র থাকবে না, সামাজিক প্রতিষ্ঠানও হয়ে উঠবে। মানুষের সঙ্গে মানুষের ঐক্য ও মৈত্রী হচ্ছে সামাজিকতার ভিত্তি। শিক্ষিত মানুষ বিচ্ছিন্ন, একাকী, আত্মস্বার্থসর্বস্ব হবে এটি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েরই কাম্য নয়, সে চায় সামাজিক মানুষ তৈরি করতে, যে মানুষ সামাজিকতার মধ্য দিয়ে নিজের বুদ্ধিবৃত্তি ও সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটাবে, তাকেই সে যথার্থরূপে শিক্ষিত বিবেচনা করে, নইলে নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। কেননা তারা সামাজিক মানুষ তৈরি না করে উপার্জনে দক্ষ মানুষ তৈরিতে ব্রতী হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা বলছিলাম। সত্যের কথাটা বার বার আসছে। আসলে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা নিরূপণ করা কঠিন। সেটিই বোধকরি সত্য, যেটিতে আমি বিশ্বাস করি এবং যেটি আমার পছন্দের। তা ছাড়া এও তো সত্য যে, সত্যকে চাই বলে আমরা যতই চেঁচামেচি করি না কেন সত্যকে আসলেই যে চাই তাও ঠিক নয়। কবি বলেছেন, যা সত্য তাই সুন্দর এবং যা সুন্দর তাই সত্য। সত্য বলতে তিনি বুঝিয়েছেন স্থায়ীকে। যে জিনিস সত্য সেটিই টিকবে, যা মিথ্যা তা টিকবে না, এভাবেই উক্তিটির অর্থ করা হয়েছে এবং সেটিই যথার্থ। নইলে সত্য যে সর্বদাই সুন্দর হবে এমন কোনো কথা নেই। অনেক সময়ই দেখা যায় সত্য বড় নিষ্ঠুর, খুবই নির্মম, তাকে প্রিয় বলা কঠিন। সেজন্য আশা দিয়ে আচ্ছাদন তৈরি করে সত্যকে অস্পষ্ট করে রাখতে আমরা সচেষ্ট হই। প্রবোধ দিতে চাই, সান্ত্বনা খুঁজি। আশা অনেক সময়ই ছলনায় পরিণত হয়, সান্ত্বনা প্রতারণা করে। তবু তাদের দরকার বৈকি।

সত্যকে জানা সহজ নয়, কেননা সে লুকিয়ে থাকে নানাবিধ মিথ্যার অন্তরালে। তাকে জানলে প্রকাশ করাও কঠিন, লোকে তা পছন্দ না-ও করতে পারে। রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠান সত্য প্রকাশের অপরাধে বহু দার্শনিক ও বিপ্লবী বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। কেবল রাষ্ট্রীয় নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও সত্য প্রকাশ বিপজ্জনক। সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে, যিনি এক কিশোরের জিজ্ঞাসার উত্তরে বলেছিলেন, জানি না। পরমুহূর্তেই খেয়াল হয়েছে যে মিথ্যা বলেছেন, কেননা সিনেমা হলটিতে কোন পথে যেতে হবে তা তিনি জানেন। কিশোরকে ডেকে তিনি বলেছিলেন, জানি কিন্তু বলব না। এ রকমটি ঘটাই স্বাভাবিক। অপছন্দের সত্য-বিষয়ে হয় বলতে হয় জানি না, নয় তো বলার প্রয়োজন হয় জানি কিন্তু বলব না। প্রথমটিই নিরাপদ পথ। ওই পথেই লোকে চলতে চায়। তবে অনেক সময়ই সত্য জানাও থাকে না। সত্যকে জানলে তবেই তো প্রশ্ন ওঠে না-বলার।

লেখক : শিক্ষাবিদ।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে নাসুমকে দলে নিলো বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে নাসুমকে দলে নিলো বাংলাদেশ

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

মাদারীপুরে বাস-মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
মাদারীপুরে বাস-মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহাকাশে সাত ঘণ্টা স্থায়ী রহস্যময় আলোর বিস্ফোরণ
মহাকাশে সাত ঘণ্টা স্থায়ী রহস্যময় আলোর বিস্ফোরণ

১১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

মেলবোর্নে তিন প্রবাসী নারীর নতুন ফ্যাশন হাউজের যাত্রা
মেলবোর্নে তিন প্রবাসী নারীর নতুন ফ্যাশন হাউজের যাত্রা

১২ মিনিট আগে | পরবাস

বরুড়ায় মুন্সী জিন্নাত আলী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অভিষেক অনুষ্ঠিত
বরুড়ায় মুন্সী জিন্নাত আলী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অভিষেক অনুষ্ঠিত

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কাভার্ড ভ্যান ভর্তি ভারতীয় শাড়ি জব্দ
কাভার্ড ভ্যান ভর্তি ভারতীয় শাড়ি জব্দ

২৫ মিনিট আগে | জীবন ধারা

আন্দোলনরত শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার
আন্দোলনরত শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে মেলায় হোটেলে নাস্তা খেয়ে শিশুসহ ৬ জন অজ্ঞান
দিনাজপুরে মেলায় হোটেলে নাস্তা খেয়ে শিশুসহ ৬ জন অজ্ঞান

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি
জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি

৩২ মিনিট আগে | রাজনীতি

নারীদের বিশেষায়িত ব্যাংক আরব আমিরাতের কাছে বিক্রি করল পাকিস্তান
নারীদের বিশেষায়িত ব্যাংক আরব আমিরাতের কাছে বিক্রি করল পাকিস্তান

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্রকল্পে সৌদির সহায়তা চাইলো বাংলাদেশ
রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্রকল্পে সৌদির সহায়তা চাইলো বাংলাদেশ

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

সাতকানিয়ায় নিখোঁজ বৃদ্ধের গলিত লাশ উদ্ধার
সাতকানিয়ায় নিখোঁজ বৃদ্ধের গলিত লাশ উদ্ধার

৪১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

৪৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাবেক এমপি কবিরুল হকের জামিন নামঞ্জুর
সাবেক এমপি কবিরুল হকের জামিন নামঞ্জুর

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

৪৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাবনায় রূপপুর প্রকল্পের দোভাষীর মরদেহ উদ্ধার
পাবনায় রূপপুর প্রকল্পের দোভাষীর মরদেহ উদ্ধার

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাতিসংঘ রেজল্যুশন-২২৩১ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা, ইরান-রাশিয়া-চীনের যৌথ চিঠি
জাতিসংঘ রেজল্যুশন-২২৩১ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা, ইরান-রাশিয়া-চীনের যৌথ চিঠি

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবৈধ লটারিতে প্রশাসনের নীরবতা, পুরস্কারের প্রলোভনে নিঃস্ব মানুষ
অবৈধ লটারিতে প্রশাসনের নীরবতা, পুরস্কারের প্রলোভনে নিঃস্ব মানুষ

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শুক্র-শনিবারেও আমদানিকৃত মালামাল খালাস হবে
শুক্র-শনিবারেও আমদানিকৃত মালামাল খালাস হবে

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ষড়যন্ত্রকারীরা নয়, জয় হবে ঐক্যবদ্ধ জনগণের: ডা. জাহিদ হোসেন
ষড়যন্ত্রকারীরা নয়, জয় হবে ঐক্যবদ্ধ জনগণের: ডা. জাহিদ হোসেন

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হচ্ছে : রিজভী
খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হচ্ছে : রিজভী

৫৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: ইউট্যাবের উদ্বেগ, নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা
বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: ইউট্যাবের উদ্বেগ, নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ঘুরে আসতে পারেন ঐতিহাসিক ডুব্রোভনিক শহর
ঘুরে আসতে পারেন ঐতিহাসিক ডুব্রোভনিক শহর

১ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

সিলেটে চোরাই শাড়ির বিশাল চালানসহ আটক ২
সিলেটে চোরাই শাড়ির বিশাল চালানসহ আটক ২

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বগুড়ায় আগাম শীতকালিন সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক
বগুড়ায় আগাম শীতকালিন সবজি চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ এখন ভারতের ক্রীড়নক হয়ে পড়েছে : ফারুক
আওয়ামী লীগ এখন ভারতের ক্রীড়নক হয়ে পড়েছে : ফারুক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ম্যারাথন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ
জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ম্যারাথন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিপাইনে শক্তিশালী ঝড়ের তাণ্ডবে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
ফিলিপাইনে শক্তিশালী ঝড়ের তাণ্ডবে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিইউএফটিতে নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত
বিইউএফটিতে নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে
শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা নির্ধারণ
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা নির্ধারণ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি বলছেন ব্যবসায়ীরা
বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি বলছেন ব্যবসায়ীরা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা
দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট
গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি
২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজিএমইএ সভাপতি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগুন নিয়ন্ত্রণে রোবটের ব্যবহার
আগুন নিয়ন্ত্রণে রোবটের ব্যবহার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি
চট্টগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন পণ্য নিয়ে জাহাজডুবি

১৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাহিদ ইসলাম ‘সংগ্রামী নেতা’: জয়নুল আবদিন ফারুক
নাহিদ ইসলাম ‘সংগ্রামী নেতা’: জয়নুল আবদিন ফারুক

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হঠাৎ বিয়ে করে চমকে দিলেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত জায়রা ওয়াসিম
হঠাৎ বিয়ে করে চমকে দিলেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত জায়রা ওয়াসিম

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় : ইসি আনোয়ারুল
শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় : ইসি আনোয়ারুল

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে আবারও পরমাণু বোমার হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান
ভারতকে আবারও পরমাণু বোমার হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরের ধীরগতির পিচে জয় বাংলাদেশের
মিরপুরের ধীরগতির পিচে জয় বাংলাদেশের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতে ২৪ ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির গণ-আত্মহত্যার চেষ্টা, নেপথ্যে যা...
ভারতে ২৪ ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তির গণ-আত্মহত্যার চেষ্টা, নেপথ্যে যা...

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার ৪ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ঢাকার ৪ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে বক্তব্য এনসিপি আংশিক কাট করেছে : সালাহউদ্দিন
জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে বক্তব্য এনসিপি আংশিক কাট করেছে : সালাহউদ্দিন

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের
আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন রিশাদ
ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন রিশাদ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ আন্দোলনে জনতার ঢল, উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র
ট্রাম্পবিরোধী ‘নো কিংস’ আন্দোলনে জনতার ঢল, উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনবে: তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনবে: তারেক রহমান

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে হামলা মানেই যুক্তরাষ্ট্রে হামলা: নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির পথে রিয়াদ
সৌদিতে হামলা মানেই যুক্তরাষ্ট্রে হামলা: নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির পথে রিয়াদ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে: বেবিচক
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে: বেবিচক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কানাডা কি সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে?
কানাডা কি সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা গোয়েন্দাপ্রধান
৪৫ বছর ছদ্মবেশে বিলাসী জীবন, অবশেষে বিচারের মুখে গুম-খুনের হোতা গোয়েন্দাপ্রধান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসের স্থপতি’ ইসরায়েলের ১৭ বিজ্ঞানীর তথ্য ফাঁস
‘হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসের স্থপতি’ ইসরায়েলের ১৭ বিজ্ঞানীর তথ্য ফাঁস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রতিদিন একটি শসা খেলে মিলবে যে উপকার
প্রতিদিন একটি শসা খেলে মিলবে যে উপকার

১০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু
শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা ছিল বাতাস: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বেতন ৮০ হাজার, সম্পদ হাজার কোটি টাকার
বেতন ৮০ হাজার, সম্পদ হাজার কোটি টাকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির নওশাদ, জামায়াতের ইকবাল, এনসিপির সারজিস
বিএনপির নওশাদ, জামায়াতের ইকবাল, এনসিপির সারজিস

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অমিতাভকে কেন চোখে চোখে রাখতেন জয়া বচ্চন
অমিতাভকে কেন চোখে চোখে রাখতেন জয়া বচ্চন

শোবিজ

এখনো সিঙ্গেল ইধিকা
এখনো সিঙ্গেল ইধিকা

শোবিজ

বাংলাদেশকে একাই জেতালেন রিশাদ
বাংলাদেশকে একাই জেতালেন রিশাদ

মাঠে ময়দানে

অভিনয় নিয়ে আফজাল
অভিনয় নিয়ে আফজাল

শোবিজ

মোশাররফ করিমের গল্প
মোশাররফ করিমের গল্প

শোবিজ

প্রচারে বিএনপি জামায়াত এনসিপি ইসলামি দল
প্রচারে বিএনপি জামায়াত এনসিপি ইসলামি দল

নগর জীবন

প্রদর্শকরা কেন প্রযোজনায় নেই
প্রদর্শকরা কেন প্রযোজনায় নেই

শোবিজ

নৌকাই ভরসা লাখো মানুষের
নৌকাই ভরসা লাখো মানুষের

দেশগ্রাম

কবরস্থান সংকট দিল্লিতে!
কবরস্থান সংকট দিল্লিতে!

পূর্ব-পশ্চিম

ট্রেন চালু, যাত্রাবিরতির দাবি
ট্রেন চালু, যাত্রাবিরতির দাবি

দেশগ্রাম

প্রেমিকের নানাবাড়িতে কিশোরীর লাশ
প্রেমিকের নানাবাড়িতে কিশোরীর লাশ

দেশগ্রাম

বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুন
বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান
পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান

পূর্ব-পশ্চিম

সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে
সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা
উত্তরাঞ্চলে দিনে গরম রাতে ঠান্ডা

দেশগ্রাম

বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি স্পষ্ট
বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি স্পষ্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাশলেস সোসাইটি গড়া এখন সময়ের দাবি
ক্যাশলেস সোসাইটি গড়া এখন সময়ের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

মাছ ধরা উৎসব, হতাশ শিকারিরা
মাছ ধরা উৎসব, হতাশ শিকারিরা

দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার
চট্টগ্রামে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার

নগর জীবন

আইনি ভিত্তি না হলে প্রহসন হবে
আইনি ভিত্তি না হলে প্রহসন হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভক্তের পদচারণে মুখর সাঁইজির আখড়া
ভক্তের পদচারণে মুখর সাঁইজির আখড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

ধান খেতে গৃহবধূর, ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ
ধান খেতে গৃহবধূর, ঘরে বৃদ্ধার গলা কাটা লাশ

দেশগ্রাম

কাজের লোকের কোদালের আঘাতে মৃত্যু, লাশ ফেলা হয় নলকূপে
কাজের লোকের কোদালের আঘাতে মৃত্যু, লাশ ফেলা হয় নলকূপে

দেশগ্রাম

চীনে শীর্ষ ৯ জেনারেল বহিষ্কার
চীনে শীর্ষ ৯ জেনারেল বহিষ্কার

পূর্ব-পশ্চিম

আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং
আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং

দেশগ্রাম

সড়কে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর
সড়কে প্রাণ গেল তিন মোটরসাইকেল আরোহীর

দেশগ্রাম

ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের
ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের

পূর্ব-পশ্চিম