শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯ আপডেট:

সত্য চাই, নাকি আসল চাই

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রিন্ট ভার্সন
সত্য চাই, নাকি আসল চাই

খেয়াল করায় দেখতে পাচ্ছি যে, আমার নিজের লেখাতে ‘আসল’ কথাটি বেশ ঘুরেফিরে আসছে, মহোৎসাহে না হলেও বেশ আগ্রহভরে। এর ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আছে। হয়তো মনে হয় অনেক কথা বলছি বটে তবে আসল কথাটি অস্পষ্ট থেকে যাচ্ছে। তাই তাকে সুযোগ করে দেওয়া দরকার আত্মপ্রকাশের। আসল যে আসলেই বের হচ্ছে না এই সন্দেহ অমূলক নয়।

নকল এখন বড়ই প্রবল, সেটিও একটি সত্য বটে। আসল তাই। কোণঠাসা; তাকে খুঁজে বের করা অত্যাবশ্যক, সত্যের খাতিরে। সত্যের খাতিরে মানে আমাদের নিজেদের স্বার্থে, নইলে খাতির করলেই যে সত্য এসে হাজির হবে এমন ভরসা কম। নিজের স্বার্থেই খাঁটি জিনিস চাই, কিন্তু পাই না। বাজারে নেই। বক্তৃতাতে নেই। সংবাদপত্র ও টেলিভিশন দেখাশোনা তো ভীষণ রকমের বিভ্রান্তিকর।

রাজনীতিতে সত্য মারাত্মকভাবে অনুপস্থিত। আগে দুধে পানি দেওয়া হতো, এখন ব্যাপার দাঁড়িয়েছে এমন যে পানির সঙ্গে দুধ মেশানো চলছে। এটি রূপক ও ব্যাপক অর্থে অত্যন্ত সত্য।

আসল জিনিস পাওয়া কঠিন, আর পাই যদি বা তবু নিশ্চিন্ত হতে পারি না। ঠকছি না তো, নকলকেই বেছে নিচ্ছি না তো আসল বলে, এসব জিজ্ঞাসা উত্ত্যক্ত করে। একসময় পরীক্ষার হলে ভীষণ নকল হতো। অভিভাবকরা পর্যন্ত নিজ নিজ ছেলেমেয়েদের ওই কাজে সাহায্য করতেন, পাছে তারা পিছিয়ে পড়ে যায় অন্যদের তুলনায়। পরীক্ষার হলে যারা পাহারা দিতেন তারা হিমশিম খেয়ে যেতেন নকলওয়ালাদের প্রখর বুদ্ধির কাছে। ওই মেধাকে তারা যদি পড়াশোনায় কাজে খাটাত তাহলে নকল করার আবশ্যকতা তো থাকতই না বরং সবার ফলই ভালো হতো। শিক্ষার মান নিঃসন্দেহে বইমুখী হয়ে পড়ত। কিন্তু পরিশ্রম তো করে দিনমজুরে, ভদ্রলোকেরা পরিশ্রম করবে কেন, তারা ফাঁকি দেবে, প্রতারণা করবে এবং ওইভাবে সাফল্য অর্জন করে বাহাদুরি দেখাবে। শ্রমজীবীদের ঘৃণা করতেও ছাড়বে না। পরীক্ষায় নকল করার ক্ষেত্রে ওই ঘটনাই ঘটেছে বৈকি।

এখন অবশ্য নকলের ব্যাপারটি আর পরীক্ষার হলের ভিতর আটকে নেই, সর্বত্রই বেরিয়ে পড়েছে। সব পক্ষীই মৎস্যভক্ষী, বদনাম শুধু মাছরাঙার, এ অবস্থাটি নেই। এখন সবাই নকলের বীরত্বে গৌরবান্বিত। দৃশ্যত শিক্ষা ক্ষেত্রে নকল বরং কমেছে। নকল করার অধিকার নিয়ে দাঙ্গাহাঙ্গামার খবর এখন পাওয়া যায় না, পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে দলে দলে শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত হচ্ছে এমন দৃশ্যেরও বর্ণনা পাই না। তাহলে কি শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে নকলবাজি উধাও হয়ে গেছে? শুভ স্পর্শ লেগেছে কোনো অলৌকিক শক্তির? সেটি বোধহয় বলা যাবে না। বোধকরি বলতে হবে গোটা শিক্ষাব্যবস্থার ভিতরেই নকল ঢুকে পড়েছে। এসেছে গৃহশিক্ষকতা এবং কোচিং সেন্টার। দুটো আসলে একই জিনিস। উচ্চ নম্বর লাভের কলাকৌশল শেখানো। নকলের যা উদ্দেশ্য কোচিং যাতায়াতেরও সেই একই উদ্দেশ্য, সহজে ভালো নম্বর পাওয়া। বিদ্যা অর্জন নয়, গ্রেড অর্জন। গৃহশিক্ষকরা আগেও ছিল কিন্তু এখন তা ব্যাপক হয়েছে এবং যে গৃহেই হোক, গুরুর কিংবা ব্যবসায়ীর, অভিন্ন উদ্দেশ্য বিদ্যা বিতরণ নয়, গ্রেডপ্রাপ্তিতে সহায়তাদান। অর্থের বিনিময়ে। ছেলেমেয়েরা এখন বই পড়ে না, ফটোকপির দোকানে দৌড়াদৌড়ি করে, নকল চাই, নকলের নকল চলছে; আসল জিনিসে উৎসাহ নেই। পড়াশোনাটি হওয়ার কথা ক্লাসরুমে। সেটিই আসল। সেখানে তা হচ্ছে না। হচ্ছে কোচিং সেন্টারে। সেটি আসল নয়, নকল বটে। দুই কারণে। প্রথমত, ঘটনাটি শিক্ষাগত নয়, বাণিজ্যিক। দ্বিতীয়ত, ওই যে বললাম উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করা নয়, তাদের গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে উজ্জ্বল করে তোলা। পাঠদান করা হচ্ছে না, গ্রেড হাতিয়ে নেওয়ার দক্ষতা। শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই হাতিয়ে নেওয়াটি তো চুরি-ডাকাতিরই শামিল। আসলেই। এই নকলবাজিতে শিক্ষকদের অংশগ্রহণের পেছনে যুক্তি আছে। সেটি শিক্ষকরা উচ্চকণ্ঠে দিতে পারেন না, তবে নিম্নকণ্ঠে যে বলেন না তা নয়। বেচারা শিক্ষকদের কণ্ঠ দুর্বল হতে বাধ্য। প্রথমত, ক্লাসে পড়াতে হয়, ঠিকমতো পড়াতে না পারলেও অন্তত হাজিরা তো দিতে হয়, তারপর থাকে সকালে-বিকালে কোচিংয়ের চাপ, গলা তো ভাঙবেই। স্কুলে আমাদের এক বাংলা শিক্ষক ছিলেন, চমৎকার পড়াতেন, তাঁর লেখা পাঠ্যবই বাজারে চালু ছিল। ঠাট্টা করে ক্লাসেই বলতেন, সকাল ১০টায় শুরু করি, বিকাল ৫টায় যখন শেষ করি তখন দেখি আড়াই সের চালের খিদে লেগেছে। তিনি গৃহশিক্ষকতা করতেন না; অনুমান করি পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন থেকে তার খারাপ

আয় হতো না। কিন্তু অন্যদের অবস্থাটি কী? নিশ্চয়ই ভালো ছিল না। প্রচণ্ড ক্ষুধা তাঁদের পরিবারেও ছিল। সেটি মেনে নিতেন। শিক্ষকতাকে মনে করতেন ব্রত। কিন্তু ব্রতই হোক আর পেশাই হোক ক্ষুণিœবৃত্তির আক্রমণে স্থির থাকা যে কঠিন সেই বাস্তব সত্যকে অস্বীকার করবে কে? বাস্তবতা এখন আর ব্রতচারিতার আচ্ছাদনকে অক্ষত রাখতে পারছে না, প্রয়োজনের তাগিদে এবং নিরুপায় হয়ে তারাও বাধ্য হয়েছেন বাণিজ্যের পথ ধরতে।

সব মিলিয়ে শিক্ষা কেনাবেচার সামগ্রী হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুশকিলটি আসলে ওইখানেই, ওই বাণিজ্যে। বাণিজ্যে ফাঁক ও ফাঁকি থাকবেই। শিক্ষা যে সুষ্ঠু পথ ধরে এগোচ্ছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়াটি নিছক বোকামি বৈ অন্য কিছু নয়।

চিকিৎসা তো ভয়ঙ্করভাবে বাণিজ্যকবলিত। চিকিৎসককে অবশ্য সরাসরি একটি পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। সেটি হচ্ছে রোগের নিরাময় ঘটানো। তবে এর বাইরে চিকিৎসকরা রোগীদের নানা রকমের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার অধীন না করে নিস্তার দেন না। সেগুলোর সবই যে প্রয়োজনীয় তা-ও নয়। ওদিকে ওষুধ প্রস্তুতকারীরা রোগীদের দিকে কখনই তাকান না, কেবলই মুনাফা খোঁজেন। দাম তো বটেই, উপাদানের দিক থেকেও ওষুধ যে খাঁটি এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। আর অসহায় রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসকরা যে টাকাটি আদায় করে নেন তা উকিল-ব্যারিস্টারদের আদায় তৎপরতার তুলনায় নিতান্ত সামান্য নয়। বাংলাদেশে আজ কোনো কিছুই সামান্য থাকতে চাচ্ছে না; সবকিছুই উঁচু থেকে আরও উঁচু হয়ে উঠছে। দালানকোঠা থেকে শুরু করে বিদ্যুতের দাম- সবকিছুই অত্যন্ত উন্নত। আর ওই উন্নতির নিচে চাপা পড়ে নিচুদের দুর্দশার অন্ত নেই। কেবল নকল নয়, ভেজালও সমাজে চলছিল। মাড়োয়ারিরা এ কাজে বেশ দক্ষ ছিল এবং তারা লোকপ্রসিদ্ধিও অর্জন করেছিল। তেল, চাল, ডালসহ খাবার-দাবারের জিনিসগুলোর ওপরই ওই ব্যবসায়ীদের কৃপাদৃষ্টি বিশেষভাবে নিক্ষিপ্ত হতো। তাতে ভোক্তাদের কতটি দুর্ভোগ হবে তা নিয়ে তারা মাথা ঘামায়নি। আমরা পাকিস্তান চেয়েছিলাম অনেক স্বপ্ন মাথায় পুষে; তার মধ্যে একটি ছিল অমুসলিম ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আশা। তা তারা বিদায় হলো ঠিকই, কিন্তু আমরা তো মুক্তি পেলাম না। আমরা গিয়ে পড়লাম অবাঙালি মুসলিমদের হাতে। ব্যবসা-বাণিজ্য তাদের দখলে চলে গেল। ভেজালের কাজে এদের কোনো কার্পণ্য ছিল না। ঢাকা শহরে ছোটবেলায় আমি নিজে দেখেছি মৌলভীবাজার মোড়ে মুসলিম লীগের ঢাকা শহর শাখার সভাপতিকে, রোজই দেখতাম এবং বয়স্কদের মুখে শুনতাম অতিপ্রসন্ন নুরানি চেহারার ওই নেতার আড়তে তেলের সঙ্গে নানা রকমের ভেজাল মেশানো হতো। ওই আমলে রেশনের চালের সঙ্গে পাথরকণার মারাত্মক সংমিশ্রণ ঘটত।

এর পরের খবর বিলক্ষণ জানি আমরা। দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলো। স্বাধীনতা নয়, আমরা ভাবলাম পেয়ে গেছি মুক্তি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা কমল, নাকি বাড়ল? বাড়ল যে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। একাত্তরের পর মুক্তি অনেক কিছুরই ঘটেছে, সর্বাধিক পরিমাণে মুক্তি পেয়েছে ব্যবসা ও বাণিজ্য। চোরা এবং প্রকাশ্য উভয় পথে। বিদেশি পণ্য হু হু করে ঢুকছে। জল, স্থল, আকাশ- সব পথই খোলা। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, বাধা দেওয়ার কেউ নেই, উৎসাহ দেওয়ার লোক যত্রতত্র। মানসম্মান, নিরাপত্তা, নারীর মর্যাদা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি- সবকিছুই অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের আওতার মধ্যে চলে এসেছে। মারাত্মক রকমের বন্যার মতো ব্যবসা ঢুকে পড়েছে রাজনীতির পরতে পরতে।

রাষ্ট্রক্ষমতার ব্যাপারে মূল লড়াইটি কিন্তু জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের। জনগণ যখন মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসল ঘটনা তখন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই। কিন্তু জনগণ আন্দোলনে অর্জিত বিজয়কে ধরে রাখতে পারে না, সেটি হস্তগত হয়ে যায় ক্ষমতাবানদের এবং ক্ষমতা যাদের হাতে তাদের নিজেদের মধ্যে কে কতটা ভোগ করবে কিংবা করবে না তা নিয়ে ভীষণ, অনেক সময় রক্তাক্ত সংগ্রাম শুরু হয়। এটি তাদের ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্ব, কিন্তু প্রচারের মাধ্যমে সেটিকে তারা জনগণের যুদ্ধ হিসেবে হাজির করতে চায়। জনগণকে খাড়াখাড়ি ভাগ করে ফেলার চেষ্টা করে ক্ষমতাবানদের পক্ষে থাকা এবং বিপক্ষে যাওয়ার লাইন ধরে। এই যোদ্ধাদের দল ভিন্ন ভিন্ন। এদের পোশাক-আশাকেও ভিন্নতা দেখা যায়। আদর্শের ভিন্নতার কথাও তারা বলে কিন্তু ভিতরে ভিতরে তারা অনেক নয়, এক ও অভিন্ন দল বটে, সেটি হচ্ছে শাসকশ্রেণি। ভাই-ব্রাদার। এটিই হচ্ছে প্রকৃত সত্য। একে আচ্ছাদিত করে রাখার জন্য বহুবিধ তৎপরতা চলে, কথার ফুলঝুরি, পারস্পরিক নৃশংস আক্রমণ, সভা-সমিতি, আলোচনা-সম্মেলন, টক-শো, সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় অনেক কিছুর ব্যবহার করা হয়। সত্য চাপা পড়ে যায় মিথ্যার জাঁকজমক ও হল্লা-ফ্যাসাদের নিচে। জনগণ সেখানেই থাকে যেখানে তারা ছিল। শত্রুপক্ষ এখন আগের চেয়ে ভয়ঙ্কর। মুশকিল হলো এই যে, জনগণের পক্ষে সংগঠিত রাজনৈতিক শক্তি নেই। যারা তাদের দলে টানে তারা জনগণের মঙ্গল করতে চায় না, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য জনসমর্থন খাড়া করে। বলে, দেখছ না, চোখ নেই? দেখ, আমাদের পেছনে কত লোক, আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। ভূমিকাটি মিত্রের নয়, ভূমিকাটি প্রতারকের, প্রবঞ্চকের।

রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের বিবিধ প্রতিচ্ছবির অসংখ্য ক্ষেত্র পাওয়া যাবে। যেমন ধরা যাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ১৯২১ সালে। তার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রের জন্য কম কাজ করেনি। প্রশাসক, রাজনীতিক, পরামর্শদাতা সবই সরবরাহ করেছে; রাষ্ট্রের সুনাম বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত মানুষেরা অনিবার্য ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু সব ধরনের আদান-প্রদান ও সুসম্পর্কের ভিতরে-প্রকাশ্যে কখনো, অনেক সময়ই অপ্রকাশ্যে যা কাজ করেছে তা হলো দ্বন্দ্ব। রাষ্ট্র এ বিশ্ববিদ্যালয়কে পছন্দ করেনি, যদিও একে কাজে লাগিয়েছে। তাই দেখা যায় বার বার, বিশেষ করে স্বৈরশাসকের আগমন ও প্রস্থানের কালে সম্পর্কটি সংঘর্ষের রূপ নিয়েছে। স্বৈরশাসন আসার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় চঞ্চল হয়ে উঠেছে। কারণ স্বৈরশাসকের পক্ষে না-জেনে উপায় থাকেনি যে, বিশ্ববিদ্যালয় তাকে মেনে নেবে না। প্রতিবাদ করবে। তা করেছে বৈকি। অধিকাংশ সময়ই দেখা গেছে প্রতিবাদের কাজটি সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকেই ঘটেছে; এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কারণেই স্বৈরশাসনের পতন ত্বরান্বিত হয়েছে।

এ দ্বন্দ্বের কারণটি বুঝতে কোনো কষ্ট নেই। কারণ হলো রাষ্ট্র যেখানে কায়েমি স্বার্থ রক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে স্বার্থের ওই আধিপত্যকে ভাঙতে বদ্ধপরিকর। বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে। তার কারণ এটি নয় যে, বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের প্রতিষ্ঠান, কারণ হলো এই যে, বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদাই মুক্তির পক্ষে। সে মুক্তি জ্ঞানের তো অবশ্যই, কিন্তু ওই জ্ঞান মানুষের জীবনকে বাদ দিয়ে নয়। তাই দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এটি একেবারেই অনিবার্য যে, সে কেবল বিদ্যা অর্জন ও বিতরণের কেন্দ্র থাকবে না, সামাজিক প্রতিষ্ঠানও হয়ে উঠবে। মানুষের সঙ্গে মানুষের ঐক্য ও মৈত্রী হচ্ছে সামাজিকতার ভিত্তি। শিক্ষিত মানুষ বিচ্ছিন্ন, একাকী, আত্মস্বার্থসর্বস্ব হবে এটি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েরই কাম্য নয়, সে চায় সামাজিক মানুষ তৈরি করতে, যে মানুষ সামাজিকতার মধ্য দিয়ে নিজের বুদ্ধিবৃত্তি ও সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটাবে, তাকেই সে যথার্থরূপে শিক্ষিত বিবেচনা করে, নইলে নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। কেননা তারা সামাজিক মানুষ তৈরি না করে উপার্জনে দক্ষ মানুষ তৈরিতে ব্রতী হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা বলছিলাম। সত্যের কথাটা বার বার আসছে। আসলে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা নিরূপণ করা কঠিন। সেটিই বোধকরি সত্য, যেটিতে আমি বিশ্বাস করি এবং যেটি আমার পছন্দের। তা ছাড়া এও তো সত্য যে, সত্যকে চাই বলে আমরা যতই চেঁচামেচি করি না কেন সত্যকে আসলেই যে চাই তাও ঠিক নয়। কবি বলেছেন, যা সত্য তাই সুন্দর এবং যা সুন্দর তাই সত্য। সত্য বলতে তিনি বুঝিয়েছেন স্থায়ীকে। যে জিনিস সত্য সেটিই টিকবে, যা মিথ্যা তা টিকবে না, এভাবেই উক্তিটির অর্থ করা হয়েছে এবং সেটিই যথার্থ। নইলে সত্য যে সর্বদাই সুন্দর হবে এমন কোনো কথা নেই। অনেক সময়ই দেখা যায় সত্য বড় নিষ্ঠুর, খুবই নির্মম, তাকে প্রিয় বলা কঠিন। সেজন্য আশা দিয়ে আচ্ছাদন তৈরি করে সত্যকে অস্পষ্ট করে রাখতে আমরা সচেষ্ট হই। প্রবোধ দিতে চাই, সান্ত্বনা খুঁজি। আশা অনেক সময়ই ছলনায় পরিণত হয়, সান্ত্বনা প্রতারণা করে। তবু তাদের দরকার বৈকি।

সত্যকে জানা সহজ নয়, কেননা সে লুকিয়ে থাকে নানাবিধ মিথ্যার অন্তরালে। তাকে জানলে প্রকাশ করাও কঠিন, লোকে তা পছন্দ না-ও করতে পারে। রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠান সত্য প্রকাশের অপরাধে বহু দার্শনিক ও বিপ্লবী বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। কেবল রাষ্ট্রীয় নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও সত্য প্রকাশ বিপজ্জনক। সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে, যিনি এক কিশোরের জিজ্ঞাসার উত্তরে বলেছিলেন, জানি না। পরমুহূর্তেই খেয়াল হয়েছে যে মিথ্যা বলেছেন, কেননা সিনেমা হলটিতে কোন পথে যেতে হবে তা তিনি জানেন। কিশোরকে ডেকে তিনি বলেছিলেন, জানি কিন্তু বলব না। এ রকমটি ঘটাই স্বাভাবিক। অপছন্দের সত্য-বিষয়ে হয় বলতে হয় জানি না, নয় তো বলার প্রয়োজন হয় জানি কিন্তু বলব না। প্রথমটিই নিরাপদ পথ। ওই পথেই লোকে চলতে চায়। তবে অনেক সময়ই সত্য জানাও থাকে না। সত্যকে জানলে তবেই তো প্রশ্ন ওঠে না-বলার।

লেখক : শিক্ষাবিদ।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় রোহিঙ্গা যুবক নিহত
উখিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় রোহিঙ্গা যুবক নিহত

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে অস্ত্র, মাদক ও টাকাসহ নারী গ্রেপ্তার, স্বামী পলাতক
বরিশালে অস্ত্র, মাদক ও টাকাসহ নারী গ্রেপ্তার, স্বামী পলাতক

১৬ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মৎস্য দপ্তরের জব্দ করা জাটকা লুট
বরিশালে মৎস্য দপ্তরের জব্দ করা জাটকা লুট

২ মিনিট আগে | নগর জীবন

২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন
২০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এশিয়ান আরচারির সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল
এশিয়ান আরচারির সভাপতি হলেন বাংলাদেশের চপল

৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জি-মেইল হ্যাক করে ব্যাংক হিসাব থেকে ১৭ লাখ টাকা স্থানান্তর, গ্রেপ্তার ২
জি-মেইল হ্যাক করে ব্যাংক হিসাব থেকে ১৭ লাখ টাকা স্থানান্তর, গ্রেপ্তার ২

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরের ডাসারে সেলুনে বই পড়ার নতুন উদ্যোগ
মাদারীপুরের ডাসারে সেলুনে বই পড়ার নতুন উদ্যোগ

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় বাস টার্মিনালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম
গাইবান্ধায় বাস টার্মিনালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কালকিনি তাঁতী লীগের সম্পাদক গ্রেফতার
কালকিনি তাঁতী লীগের সম্পাদক গ্রেফতার

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বুয়েটের অপূর্বের নেতৃত্বে ‘নিউরাল নিনজাস’ দলের আন্তর্জাতিক সাফল্য
বুয়েটের অপূর্বের নেতৃত্বে ‘নিউরাল নিনজাস’ দলের আন্তর্জাতিক সাফল্য

২৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ওয়াটসন মারা গেছেন
নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ওয়াটসন মারা গেছেন

৩৩ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

কাস্তে প্রতীকের সমর্থনে গাইবান্ধায় সিপিবির কর্মীসভা
কাস্তে প্রতীকের সমর্থনে গাইবান্ধায় সিপিবির কর্মীসভা

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী নৈরাজ্য সৃষ্টির করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে : আইজিপি
ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী নৈরাজ্য সৃষ্টির করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে : আইজিপি

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

৩৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

যমুনামুখী প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের বাধা
যমুনামুখী প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের বাধা

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

গণতন্ত্রকে ধ্বংস ও যুক্তরাষ্ট্রকে বিব্রত করছেন ট্রাম্প: বাইডেন
গণতন্ত্রকে ধ্বংস ও যুক্তরাষ্ট্রকে বিব্রত করছেন ট্রাম্প: বাইডেন

৪০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অলিম্পিক ২০২৮-এ ক্রিকেট ফিরলেও ধোঁয়াশায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান
অলিম্পিক ২০২৮-এ ক্রিকেট ফিরলেও ধোঁয়াশায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান

৪১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভোট ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্যোগ ইসির
ভোট ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্যোগ ইসির

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রেসক্লাব বাঞ্ছারামপুরের নতুন কমিটি গঠন
প্রেসক্লাব বাঞ্ছারামপুরের নতুন কমিটি গঠন

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মাগুরায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‍্যালি
মাগুরায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‍্যালি

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিনামূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে গুগল ম্যাপসের এআই সুবিধা
বিনামূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে গুগল ম্যাপসের এআই সুবিধা

৪৫ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

লিবিয়া থেকে চলতি মাসে ফিরলেন ৯২৮ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে চলতি মাসে ফিরলেন ৯২৮ বাংলাদেশি

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

বন্যপ্রাণী ও বন রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক নিবন্ধন শুরু
বন্যপ্রাণী ও বন রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক নিবন্ধন শুরু

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে ডাকাত দলের চার সদস্য গ্রেফতার
কক্সবাজারে ডাকাত দলের চার সদস্য গ্রেফতার

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নতুন বিতর্ক
মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নতুন বিতর্ক

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রাজধানীর পল্লবীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত ১
রাজধানীর পল্লবীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মুসল্লিকে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মুসল্লিকে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাগুরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ
মাগুরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি
বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার
মনোনয়ন না পেয়ে আম্পায়ারের ভঙ্গিতে রিভিউ আবেদন বিএনপি নেতার

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল
পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিকল্পনা করছিল ভারত-ইসরায়েল

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!
কিছুই জানেন না তিনি, অথচ তাকে নিয়ে ভারতে তুলকালাম!

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ
ঘি খেতে চাইলে চামচ দিয়ে ভদ্রভাবে খান : ডা. সায়ন্থ

১৮ ঘণ্টা আগে | টক শো

বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপে দল বাড়াচ্ছে আইসিসি, সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের
আমেরিকায় গরুর মাংসের দামে রেকর্ড, তদন্তের নির্দেশ ট্রাম্পের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর
গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থী এরশাদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় স্থানান্তর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ
বর্তমান বাস্তবতায় ১০-২০ কোটি টাকা ছাড়া নির্বাচন করা যায় না:  আসিফ মাহমুদ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি
জবির ১৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন
মাহবুবউল আলম হানিফের শ্যালকসহ গ্রেফতার ৬ জন

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!
ইউরোপের একটিমাত্র দেশকে রাশিয়ার তেল কেনার সুযোগ দেবেন ট্রাম্প!

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়বেটিসসহ যেসব রোগ থাকলে নাও মিলতে পারে মার্কিন ভিসা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!
২৬ বিলিয়নিয়ার ২২ মিলিয়ন ঢেলেও মামদানিকে ঠেকাতে পারেনি!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ভারতের ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করল ফিলিপাইন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান
মা হারালেন অভিনেতা জায়েদ খান

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত উত্তেজনা চায় না: রাজনাথ সিং

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো আদর্শের রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না : এ্যানি

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা নিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা
শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতি ৪৫০০ কোটি টাকা

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা
ফিফা দ্য বেস্ট ২০২৫: বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন ঘোষণা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস
মাইকে ভাইয়ের সঙ্গে মারামারির ঘোষণা: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সেই কুদ্দুস

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন
রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প
জটিলতায় স্থবির জাইকা ঋণের ৫ মেগাপ্রকল্প

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‌‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’
‌‘এই দেশের জনগণ তারেক রহমানকেই আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়’

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
শ্রীমঙ্গলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স
মনে হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য : প্রিন্স

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া
জাহানারার অভিযোগে টালমাটাল ক্রিকেটপাড়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই কাজরী এখন
সেই কাজরী এখন

শোবিজ

আসছে হেরোইনের কাঁচামাল
আসছে হেরোইনের কাঁচামাল

পেছনের পৃষ্ঠা

নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা
নদীর পারে অন্যরকম চিড়িয়াখানা

শনিবারের সকাল

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না
‘নো হাংকি পাংকি’ ভাষা হতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে
সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা রুখতে হবে

নগর জীবন

ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক
ঝুঁকিতে ৭ কোটি পোশাকশ্রমিক

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র
গণভোটের দাবি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ
সেনাপ্রধানকে নিয়ে অপপ্রচার, সতর্ক থাকার অনুরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা
উন্নয়নের সব প্রকল্পই আটকা

নগর জীবন

এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ
এশিয়ান আর্চারির পদকের লড়াই শুরু আজ

মাঠে ময়দানে

নায়করাজের সেই ছবি
নায়করাজের সেই ছবি

শোবিজ

দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি
দেড় হাজার কোটি টাকার সুফল প্রকল্পে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র
হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের আগে সহিংসতার ষড়যন্ত্র

সম্পাদকীয়

সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা
সিরিজে পিছিয়ে গেলেন যুবারা

মাঠে ময়দানে

কালের সাক্ষী তমাল গাছটি
কালের সাক্ষী তমাল গাছটি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই
ইয়ামাল-দেম্বেলের বর্ষসেরার লড়াই

মাঠে ময়দানে

সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের
সিলেট-১ ছেড়ে ৪-এ প্রচার শুরু আরিফের

নগর জীবন

চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর
চাঁদা না দেওয়ায় অফিস ভাঙচুর

দেশগ্রাম

খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব
খেলবে ব্রাজিল আর্জেন্টিনার ক্লাব

মাঠে ময়দানে

আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে
আইরিশ ক্রিকেট দল এখন সিলেটে

মাঠে ময়দানে

বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা
বছরের শুরুতে সব বই পাবে না শিক্ষার্থীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিড়াল হত্যার ঘটনায় নারী গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা
ঠিক পথেই আছে খুদে কিংসরা

মাঠে ময়দানে

বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড
বন্যায় ডুবতে পারে থাইল্যান্ড

পূর্ব-পশ্চিম

দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লংমার্চ আইনজীবীদের

দেশগ্রাম

মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ
মাছের আড়তে পড়ে ছিল যুবকের রক্তাক্ত লাশ

দেশগ্রাম