শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯ আপডেট:

সত্য চাই, নাকি আসল চাই

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রিন্ট ভার্সন
সত্য চাই, নাকি আসল চাই

খেয়াল করায় দেখতে পাচ্ছি যে, আমার নিজের লেখাতে ‘আসল’ কথাটি বেশ ঘুরেফিরে আসছে, মহোৎসাহে না হলেও বেশ আগ্রহভরে। এর ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আছে। হয়তো মনে হয় অনেক কথা বলছি বটে তবে আসল কথাটি অস্পষ্ট থেকে যাচ্ছে। তাই তাকে সুযোগ করে দেওয়া দরকার আত্মপ্রকাশের। আসল যে আসলেই বের হচ্ছে না এই সন্দেহ অমূলক নয়।

নকল এখন বড়ই প্রবল, সেটিও একটি সত্য বটে। আসল তাই। কোণঠাসা; তাকে খুঁজে বের করা অত্যাবশ্যক, সত্যের খাতিরে। সত্যের খাতিরে মানে আমাদের নিজেদের স্বার্থে, নইলে খাতির করলেই যে সত্য এসে হাজির হবে এমন ভরসা কম। নিজের স্বার্থেই খাঁটি জিনিস চাই, কিন্তু পাই না। বাজারে নেই। বক্তৃতাতে নেই। সংবাদপত্র ও টেলিভিশন দেখাশোনা তো ভীষণ রকমের বিভ্রান্তিকর।

রাজনীতিতে সত্য মারাত্মকভাবে অনুপস্থিত। আগে দুধে পানি দেওয়া হতো, এখন ব্যাপার দাঁড়িয়েছে এমন যে পানির সঙ্গে দুধ মেশানো চলছে। এটি রূপক ও ব্যাপক অর্থে অত্যন্ত সত্য।

আসল জিনিস পাওয়া কঠিন, আর পাই যদি বা তবু নিশ্চিন্ত হতে পারি না। ঠকছি না তো, নকলকেই বেছে নিচ্ছি না তো আসল বলে, এসব জিজ্ঞাসা উত্ত্যক্ত করে। একসময় পরীক্ষার হলে ভীষণ নকল হতো। অভিভাবকরা পর্যন্ত নিজ নিজ ছেলেমেয়েদের ওই কাজে সাহায্য করতেন, পাছে তারা পিছিয়ে পড়ে যায় অন্যদের তুলনায়। পরীক্ষার হলে যারা পাহারা দিতেন তারা হিমশিম খেয়ে যেতেন নকলওয়ালাদের প্রখর বুদ্ধির কাছে। ওই মেধাকে তারা যদি পড়াশোনায় কাজে খাটাত তাহলে নকল করার আবশ্যকতা তো থাকতই না বরং সবার ফলই ভালো হতো। শিক্ষার মান নিঃসন্দেহে বইমুখী হয়ে পড়ত। কিন্তু পরিশ্রম তো করে দিনমজুরে, ভদ্রলোকেরা পরিশ্রম করবে কেন, তারা ফাঁকি দেবে, প্রতারণা করবে এবং ওইভাবে সাফল্য অর্জন করে বাহাদুরি দেখাবে। শ্রমজীবীদের ঘৃণা করতেও ছাড়বে না। পরীক্ষায় নকল করার ক্ষেত্রে ওই ঘটনাই ঘটেছে বৈকি।

এখন অবশ্য নকলের ব্যাপারটি আর পরীক্ষার হলের ভিতর আটকে নেই, সর্বত্রই বেরিয়ে পড়েছে। সব পক্ষীই মৎস্যভক্ষী, বদনাম শুধু মাছরাঙার, এ অবস্থাটি নেই। এখন সবাই নকলের বীরত্বে গৌরবান্বিত। দৃশ্যত শিক্ষা ক্ষেত্রে নকল বরং কমেছে। নকল করার অধিকার নিয়ে দাঙ্গাহাঙ্গামার খবর এখন পাওয়া যায় না, পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে দলে দলে শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত হচ্ছে এমন দৃশ্যেরও বর্ণনা পাই না। তাহলে কি শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে নকলবাজি উধাও হয়ে গেছে? শুভ স্পর্শ লেগেছে কোনো অলৌকিক শক্তির? সেটি বোধহয় বলা যাবে না। বোধকরি বলতে হবে গোটা শিক্ষাব্যবস্থার ভিতরেই নকল ঢুকে পড়েছে। এসেছে গৃহশিক্ষকতা এবং কোচিং সেন্টার। দুটো আসলে একই জিনিস। উচ্চ নম্বর লাভের কলাকৌশল শেখানো। নকলের যা উদ্দেশ্য কোচিং যাতায়াতেরও সেই একই উদ্দেশ্য, সহজে ভালো নম্বর পাওয়া। বিদ্যা অর্জন নয়, গ্রেড অর্জন। গৃহশিক্ষকরা আগেও ছিল কিন্তু এখন তা ব্যাপক হয়েছে এবং যে গৃহেই হোক, গুরুর কিংবা ব্যবসায়ীর, অভিন্ন উদ্দেশ্য বিদ্যা বিতরণ নয়, গ্রেডপ্রাপ্তিতে সহায়তাদান। অর্থের বিনিময়ে। ছেলেমেয়েরা এখন বই পড়ে না, ফটোকপির দোকানে দৌড়াদৌড়ি করে, নকল চাই, নকলের নকল চলছে; আসল জিনিসে উৎসাহ নেই। পড়াশোনাটি হওয়ার কথা ক্লাসরুমে। সেটিই আসল। সেখানে তা হচ্ছে না। হচ্ছে কোচিং সেন্টারে। সেটি আসল নয়, নকল বটে। দুই কারণে। প্রথমত, ঘটনাটি শিক্ষাগত নয়, বাণিজ্যিক। দ্বিতীয়ত, ওই যে বললাম উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করা নয়, তাদের গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে উজ্জ্বল করে তোলা। পাঠদান করা হচ্ছে না, গ্রেড হাতিয়ে নেওয়ার দক্ষতা। শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই হাতিয়ে নেওয়াটি তো চুরি-ডাকাতিরই শামিল। আসলেই। এই নকলবাজিতে শিক্ষকদের অংশগ্রহণের পেছনে যুক্তি আছে। সেটি শিক্ষকরা উচ্চকণ্ঠে দিতে পারেন না, তবে নিম্নকণ্ঠে যে বলেন না তা নয়। বেচারা শিক্ষকদের কণ্ঠ দুর্বল হতে বাধ্য। প্রথমত, ক্লাসে পড়াতে হয়, ঠিকমতো পড়াতে না পারলেও অন্তত হাজিরা তো দিতে হয়, তারপর থাকে সকালে-বিকালে কোচিংয়ের চাপ, গলা তো ভাঙবেই। স্কুলে আমাদের এক বাংলা শিক্ষক ছিলেন, চমৎকার পড়াতেন, তাঁর লেখা পাঠ্যবই বাজারে চালু ছিল। ঠাট্টা করে ক্লাসেই বলতেন, সকাল ১০টায় শুরু করি, বিকাল ৫টায় যখন শেষ করি তখন দেখি আড়াই সের চালের খিদে লেগেছে। তিনি গৃহশিক্ষকতা করতেন না; অনুমান করি পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন থেকে তার খারাপ

আয় হতো না। কিন্তু অন্যদের অবস্থাটি কী? নিশ্চয়ই ভালো ছিল না। প্রচণ্ড ক্ষুধা তাঁদের পরিবারেও ছিল। সেটি মেনে নিতেন। শিক্ষকতাকে মনে করতেন ব্রত। কিন্তু ব্রতই হোক আর পেশাই হোক ক্ষুণিœবৃত্তির আক্রমণে স্থির থাকা যে কঠিন সেই বাস্তব সত্যকে অস্বীকার করবে কে? বাস্তবতা এখন আর ব্রতচারিতার আচ্ছাদনকে অক্ষত রাখতে পারছে না, প্রয়োজনের তাগিদে এবং নিরুপায় হয়ে তারাও বাধ্য হয়েছেন বাণিজ্যের পথ ধরতে।

সব মিলিয়ে শিক্ষা কেনাবেচার সামগ্রী হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুশকিলটি আসলে ওইখানেই, ওই বাণিজ্যে। বাণিজ্যে ফাঁক ও ফাঁকি থাকবেই। শিক্ষা যে সুষ্ঠু পথ ধরে এগোচ্ছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়াটি নিছক বোকামি বৈ অন্য কিছু নয়।

চিকিৎসা তো ভয়ঙ্করভাবে বাণিজ্যকবলিত। চিকিৎসককে অবশ্য সরাসরি একটি পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। সেটি হচ্ছে রোগের নিরাময় ঘটানো। তবে এর বাইরে চিকিৎসকরা রোগীদের নানা রকমের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার অধীন না করে নিস্তার দেন না। সেগুলোর সবই যে প্রয়োজনীয় তা-ও নয়। ওদিকে ওষুধ প্রস্তুতকারীরা রোগীদের দিকে কখনই তাকান না, কেবলই মুনাফা খোঁজেন। দাম তো বটেই, উপাদানের দিক থেকেও ওষুধ যে খাঁটি এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। আর অসহায় রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসকরা যে টাকাটি আদায় করে নেন তা উকিল-ব্যারিস্টারদের আদায় তৎপরতার তুলনায় নিতান্ত সামান্য নয়। বাংলাদেশে আজ কোনো কিছুই সামান্য থাকতে চাচ্ছে না; সবকিছুই উঁচু থেকে আরও উঁচু হয়ে উঠছে। দালানকোঠা থেকে শুরু করে বিদ্যুতের দাম- সবকিছুই অত্যন্ত উন্নত। আর ওই উন্নতির নিচে চাপা পড়ে নিচুদের দুর্দশার অন্ত নেই। কেবল নকল নয়, ভেজালও সমাজে চলছিল। মাড়োয়ারিরা এ কাজে বেশ দক্ষ ছিল এবং তারা লোকপ্রসিদ্ধিও অর্জন করেছিল। তেল, চাল, ডালসহ খাবার-দাবারের জিনিসগুলোর ওপরই ওই ব্যবসায়ীদের কৃপাদৃষ্টি বিশেষভাবে নিক্ষিপ্ত হতো। তাতে ভোক্তাদের কতটি দুর্ভোগ হবে তা নিয়ে তারা মাথা ঘামায়নি। আমরা পাকিস্তান চেয়েছিলাম অনেক স্বপ্ন মাথায় পুষে; তার মধ্যে একটি ছিল অমুসলিম ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আশা। তা তারা বিদায় হলো ঠিকই, কিন্তু আমরা তো মুক্তি পেলাম না। আমরা গিয়ে পড়লাম অবাঙালি মুসলিমদের হাতে। ব্যবসা-বাণিজ্য তাদের দখলে চলে গেল। ভেজালের কাজে এদের কোনো কার্পণ্য ছিল না। ঢাকা শহরে ছোটবেলায় আমি নিজে দেখেছি মৌলভীবাজার মোড়ে মুসলিম লীগের ঢাকা শহর শাখার সভাপতিকে, রোজই দেখতাম এবং বয়স্কদের মুখে শুনতাম অতিপ্রসন্ন নুরানি চেহারার ওই নেতার আড়তে তেলের সঙ্গে নানা রকমের ভেজাল মেশানো হতো। ওই আমলে রেশনের চালের সঙ্গে পাথরকণার মারাত্মক সংমিশ্রণ ঘটত।

এর পরের খবর বিলক্ষণ জানি আমরা। দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলো। স্বাধীনতা নয়, আমরা ভাবলাম পেয়ে গেছি মুক্তি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা কমল, নাকি বাড়ল? বাড়ল যে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। একাত্তরের পর মুক্তি অনেক কিছুরই ঘটেছে, সর্বাধিক পরিমাণে মুক্তি পেয়েছে ব্যবসা ও বাণিজ্য। চোরা এবং প্রকাশ্য উভয় পথে। বিদেশি পণ্য হু হু করে ঢুকছে। জল, স্থল, আকাশ- সব পথই খোলা। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, বাধা দেওয়ার কেউ নেই, উৎসাহ দেওয়ার লোক যত্রতত্র। মানসম্মান, নিরাপত্তা, নারীর মর্যাদা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি- সবকিছুই অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের আওতার মধ্যে চলে এসেছে। মারাত্মক রকমের বন্যার মতো ব্যবসা ঢুকে পড়েছে রাজনীতির পরতে পরতে।

রাষ্ট্রক্ষমতার ব্যাপারে মূল লড়াইটি কিন্তু জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের। জনগণ যখন মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসল ঘটনা তখন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই। কিন্তু জনগণ আন্দোলনে অর্জিত বিজয়কে ধরে রাখতে পারে না, সেটি হস্তগত হয়ে যায় ক্ষমতাবানদের এবং ক্ষমতা যাদের হাতে তাদের নিজেদের মধ্যে কে কতটা ভোগ করবে কিংবা করবে না তা নিয়ে ভীষণ, অনেক সময় রক্তাক্ত সংগ্রাম শুরু হয়। এটি তাদের ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্ব, কিন্তু প্রচারের মাধ্যমে সেটিকে তারা জনগণের যুদ্ধ হিসেবে হাজির করতে চায়। জনগণকে খাড়াখাড়ি ভাগ করে ফেলার চেষ্টা করে ক্ষমতাবানদের পক্ষে থাকা এবং বিপক্ষে যাওয়ার লাইন ধরে। এই যোদ্ধাদের দল ভিন্ন ভিন্ন। এদের পোশাক-আশাকেও ভিন্নতা দেখা যায়। আদর্শের ভিন্নতার কথাও তারা বলে কিন্তু ভিতরে ভিতরে তারা অনেক নয়, এক ও অভিন্ন দল বটে, সেটি হচ্ছে শাসকশ্রেণি। ভাই-ব্রাদার। এটিই হচ্ছে প্রকৃত সত্য। একে আচ্ছাদিত করে রাখার জন্য বহুবিধ তৎপরতা চলে, কথার ফুলঝুরি, পারস্পরিক নৃশংস আক্রমণ, সভা-সমিতি, আলোচনা-সম্মেলন, টক-শো, সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় অনেক কিছুর ব্যবহার করা হয়। সত্য চাপা পড়ে যায় মিথ্যার জাঁকজমক ও হল্লা-ফ্যাসাদের নিচে। জনগণ সেখানেই থাকে যেখানে তারা ছিল। শত্রুপক্ষ এখন আগের চেয়ে ভয়ঙ্কর। মুশকিল হলো এই যে, জনগণের পক্ষে সংগঠিত রাজনৈতিক শক্তি নেই। যারা তাদের দলে টানে তারা জনগণের মঙ্গল করতে চায় না, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য জনসমর্থন খাড়া করে। বলে, দেখছ না, চোখ নেই? দেখ, আমাদের পেছনে কত লোক, আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। ভূমিকাটি মিত্রের নয়, ভূমিকাটি প্রতারকের, প্রবঞ্চকের।

রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের বিবিধ প্রতিচ্ছবির অসংখ্য ক্ষেত্র পাওয়া যাবে। যেমন ধরা যাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ১৯২১ সালে। তার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রের জন্য কম কাজ করেনি। প্রশাসক, রাজনীতিক, পরামর্শদাতা সবই সরবরাহ করেছে; রাষ্ট্রের সুনাম বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত মানুষেরা অনিবার্য ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু সব ধরনের আদান-প্রদান ও সুসম্পর্কের ভিতরে-প্রকাশ্যে কখনো, অনেক সময়ই অপ্রকাশ্যে যা কাজ করেছে তা হলো দ্বন্দ্ব। রাষ্ট্র এ বিশ্ববিদ্যালয়কে পছন্দ করেনি, যদিও একে কাজে লাগিয়েছে। তাই দেখা যায় বার বার, বিশেষ করে স্বৈরশাসকের আগমন ও প্রস্থানের কালে সম্পর্কটি সংঘর্ষের রূপ নিয়েছে। স্বৈরশাসন আসার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় চঞ্চল হয়ে উঠেছে। কারণ স্বৈরশাসকের পক্ষে না-জেনে উপায় থাকেনি যে, বিশ্ববিদ্যালয় তাকে মেনে নেবে না। প্রতিবাদ করবে। তা করেছে বৈকি। অধিকাংশ সময়ই দেখা গেছে প্রতিবাদের কাজটি সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকেই ঘটেছে; এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কারণেই স্বৈরশাসনের পতন ত্বরান্বিত হয়েছে।

এ দ্বন্দ্বের কারণটি বুঝতে কোনো কষ্ট নেই। কারণ হলো রাষ্ট্র যেখানে কায়েমি স্বার্থ রক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে স্বার্থের ওই আধিপত্যকে ভাঙতে বদ্ধপরিকর। বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে। তার কারণ এটি নয় যে, বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের প্রতিষ্ঠান, কারণ হলো এই যে, বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদাই মুক্তির পক্ষে। সে মুক্তি জ্ঞানের তো অবশ্যই, কিন্তু ওই জ্ঞান মানুষের জীবনকে বাদ দিয়ে নয়। তাই দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এটি একেবারেই অনিবার্য যে, সে কেবল বিদ্যা অর্জন ও বিতরণের কেন্দ্র থাকবে না, সামাজিক প্রতিষ্ঠানও হয়ে উঠবে। মানুষের সঙ্গে মানুষের ঐক্য ও মৈত্রী হচ্ছে সামাজিকতার ভিত্তি। শিক্ষিত মানুষ বিচ্ছিন্ন, একাকী, আত্মস্বার্থসর্বস্ব হবে এটি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েরই কাম্য নয়, সে চায় সামাজিক মানুষ তৈরি করতে, যে মানুষ সামাজিকতার মধ্য দিয়ে নিজের বুদ্ধিবৃত্তি ও সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটাবে, তাকেই সে যথার্থরূপে শিক্ষিত বিবেচনা করে, নইলে নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। কেননা তারা সামাজিক মানুষ তৈরি না করে উপার্জনে দক্ষ মানুষ তৈরিতে ব্রতী হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা বলছিলাম। সত্যের কথাটা বার বার আসছে। আসলে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা নিরূপণ করা কঠিন। সেটিই বোধকরি সত্য, যেটিতে আমি বিশ্বাস করি এবং যেটি আমার পছন্দের। তা ছাড়া এও তো সত্য যে, সত্যকে চাই বলে আমরা যতই চেঁচামেচি করি না কেন সত্যকে আসলেই যে চাই তাও ঠিক নয়। কবি বলেছেন, যা সত্য তাই সুন্দর এবং যা সুন্দর তাই সত্য। সত্য বলতে তিনি বুঝিয়েছেন স্থায়ীকে। যে জিনিস সত্য সেটিই টিকবে, যা মিথ্যা তা টিকবে না, এভাবেই উক্তিটির অর্থ করা হয়েছে এবং সেটিই যথার্থ। নইলে সত্য যে সর্বদাই সুন্দর হবে এমন কোনো কথা নেই। অনেক সময়ই দেখা যায় সত্য বড় নিষ্ঠুর, খুবই নির্মম, তাকে প্রিয় বলা কঠিন। সেজন্য আশা দিয়ে আচ্ছাদন তৈরি করে সত্যকে অস্পষ্ট করে রাখতে আমরা সচেষ্ট হই। প্রবোধ দিতে চাই, সান্ত্বনা খুঁজি। আশা অনেক সময়ই ছলনায় পরিণত হয়, সান্ত্বনা প্রতারণা করে। তবু তাদের দরকার বৈকি।

সত্যকে জানা সহজ নয়, কেননা সে লুকিয়ে থাকে নানাবিধ মিথ্যার অন্তরালে। তাকে জানলে প্রকাশ করাও কঠিন, লোকে তা পছন্দ না-ও করতে পারে। রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠান সত্য প্রকাশের অপরাধে বহু দার্শনিক ও বিপ্লবী বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। কেবল রাষ্ট্রীয় নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও সত্য প্রকাশ বিপজ্জনক। সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে, যিনি এক কিশোরের জিজ্ঞাসার উত্তরে বলেছিলেন, জানি না। পরমুহূর্তেই খেয়াল হয়েছে যে মিথ্যা বলেছেন, কেননা সিনেমা হলটিতে কোন পথে যেতে হবে তা তিনি জানেন। কিশোরকে ডেকে তিনি বলেছিলেন, জানি কিন্তু বলব না। এ রকমটি ঘটাই স্বাভাবিক। অপছন্দের সত্য-বিষয়ে হয় বলতে হয় জানি না, নয় তো বলার প্রয়োজন হয় জানি কিন্তু বলব না। প্রথমটিই নিরাপদ পথ। ওই পথেই লোকে চলতে চায়। তবে অনেক সময়ই সত্য জানাও থাকে না। সত্যকে জানলে তবেই তো প্রশ্ন ওঠে না-বলার।

লেখক : শিক্ষাবিদ।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে
খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন