শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯ আপডেট:

সত্য চাই, নাকি আসল চাই

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রিন্ট ভার্সন
সত্য চাই, নাকি আসল চাই

খেয়াল করায় দেখতে পাচ্ছি যে, আমার নিজের লেখাতে ‘আসল’ কথাটি বেশ ঘুরেফিরে আসছে, মহোৎসাহে না হলেও বেশ আগ্রহভরে। এর ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আছে। হয়তো মনে হয় অনেক কথা বলছি বটে তবে আসল কথাটি অস্পষ্ট থেকে যাচ্ছে। তাই তাকে সুযোগ করে দেওয়া দরকার আত্মপ্রকাশের। আসল যে আসলেই বের হচ্ছে না এই সন্দেহ অমূলক নয়।

নকল এখন বড়ই প্রবল, সেটিও একটি সত্য বটে। আসল তাই। কোণঠাসা; তাকে খুঁজে বের করা অত্যাবশ্যক, সত্যের খাতিরে। সত্যের খাতিরে মানে আমাদের নিজেদের স্বার্থে, নইলে খাতির করলেই যে সত্য এসে হাজির হবে এমন ভরসা কম। নিজের স্বার্থেই খাঁটি জিনিস চাই, কিন্তু পাই না। বাজারে নেই। বক্তৃতাতে নেই। সংবাদপত্র ও টেলিভিশন দেখাশোনা তো ভীষণ রকমের বিভ্রান্তিকর।

রাজনীতিতে সত্য মারাত্মকভাবে অনুপস্থিত। আগে দুধে পানি দেওয়া হতো, এখন ব্যাপার দাঁড়িয়েছে এমন যে পানির সঙ্গে দুধ মেশানো চলছে। এটি রূপক ও ব্যাপক অর্থে অত্যন্ত সত্য।

আসল জিনিস পাওয়া কঠিন, আর পাই যদি বা তবু নিশ্চিন্ত হতে পারি না। ঠকছি না তো, নকলকেই বেছে নিচ্ছি না তো আসল বলে, এসব জিজ্ঞাসা উত্ত্যক্ত করে। একসময় পরীক্ষার হলে ভীষণ নকল হতো। অভিভাবকরা পর্যন্ত নিজ নিজ ছেলেমেয়েদের ওই কাজে সাহায্য করতেন, পাছে তারা পিছিয়ে পড়ে যায় অন্যদের তুলনায়। পরীক্ষার হলে যারা পাহারা দিতেন তারা হিমশিম খেয়ে যেতেন নকলওয়ালাদের প্রখর বুদ্ধির কাছে। ওই মেধাকে তারা যদি পড়াশোনায় কাজে খাটাত তাহলে নকল করার আবশ্যকতা তো থাকতই না বরং সবার ফলই ভালো হতো। শিক্ষার মান নিঃসন্দেহে বইমুখী হয়ে পড়ত। কিন্তু পরিশ্রম তো করে দিনমজুরে, ভদ্রলোকেরা পরিশ্রম করবে কেন, তারা ফাঁকি দেবে, প্রতারণা করবে এবং ওইভাবে সাফল্য অর্জন করে বাহাদুরি দেখাবে। শ্রমজীবীদের ঘৃণা করতেও ছাড়বে না। পরীক্ষায় নকল করার ক্ষেত্রে ওই ঘটনাই ঘটেছে বৈকি।

এখন অবশ্য নকলের ব্যাপারটি আর পরীক্ষার হলের ভিতর আটকে নেই, সর্বত্রই বেরিয়ে পড়েছে। সব পক্ষীই মৎস্যভক্ষী, বদনাম শুধু মাছরাঙার, এ অবস্থাটি নেই। এখন সবাই নকলের বীরত্বে গৌরবান্বিত। দৃশ্যত শিক্ষা ক্ষেত্রে নকল বরং কমেছে। নকল করার অধিকার নিয়ে দাঙ্গাহাঙ্গামার খবর এখন পাওয়া যায় না, পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে দলে দলে শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত হচ্ছে এমন দৃশ্যেরও বর্ণনা পাই না। তাহলে কি শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে নকলবাজি উধাও হয়ে গেছে? শুভ স্পর্শ লেগেছে কোনো অলৌকিক শক্তির? সেটি বোধহয় বলা যাবে না। বোধকরি বলতে হবে গোটা শিক্ষাব্যবস্থার ভিতরেই নকল ঢুকে পড়েছে। এসেছে গৃহশিক্ষকতা এবং কোচিং সেন্টার। দুটো আসলে একই জিনিস। উচ্চ নম্বর লাভের কলাকৌশল শেখানো। নকলের যা উদ্দেশ্য কোচিং যাতায়াতেরও সেই একই উদ্দেশ্য, সহজে ভালো নম্বর পাওয়া। বিদ্যা অর্জন নয়, গ্রেড অর্জন। গৃহশিক্ষকরা আগেও ছিল কিন্তু এখন তা ব্যাপক হয়েছে এবং যে গৃহেই হোক, গুরুর কিংবা ব্যবসায়ীর, অভিন্ন উদ্দেশ্য বিদ্যা বিতরণ নয়, গ্রেডপ্রাপ্তিতে সহায়তাদান। অর্থের বিনিময়ে। ছেলেমেয়েরা এখন বই পড়ে না, ফটোকপির দোকানে দৌড়াদৌড়ি করে, নকল চাই, নকলের নকল চলছে; আসল জিনিসে উৎসাহ নেই। পড়াশোনাটি হওয়ার কথা ক্লাসরুমে। সেটিই আসল। সেখানে তা হচ্ছে না। হচ্ছে কোচিং সেন্টারে। সেটি আসল নয়, নকল বটে। দুই কারণে। প্রথমত, ঘটনাটি শিক্ষাগত নয়, বাণিজ্যিক। দ্বিতীয়ত, ওই যে বললাম উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করা নয়, তাদের গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে উজ্জ্বল করে তোলা। পাঠদান করা হচ্ছে না, গ্রেড হাতিয়ে নেওয়ার দক্ষতা। শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই হাতিয়ে নেওয়াটি তো চুরি-ডাকাতিরই শামিল। আসলেই। এই নকলবাজিতে শিক্ষকদের অংশগ্রহণের পেছনে যুক্তি আছে। সেটি শিক্ষকরা উচ্চকণ্ঠে দিতে পারেন না, তবে নিম্নকণ্ঠে যে বলেন না তা নয়। বেচারা শিক্ষকদের কণ্ঠ দুর্বল হতে বাধ্য। প্রথমত, ক্লাসে পড়াতে হয়, ঠিকমতো পড়াতে না পারলেও অন্তত হাজিরা তো দিতে হয়, তারপর থাকে সকালে-বিকালে কোচিংয়ের চাপ, গলা তো ভাঙবেই। স্কুলে আমাদের এক বাংলা শিক্ষক ছিলেন, চমৎকার পড়াতেন, তাঁর লেখা পাঠ্যবই বাজারে চালু ছিল। ঠাট্টা করে ক্লাসেই বলতেন, সকাল ১০টায় শুরু করি, বিকাল ৫টায় যখন শেষ করি তখন দেখি আড়াই সের চালের খিদে লেগেছে। তিনি গৃহশিক্ষকতা করতেন না; অনুমান করি পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন থেকে তার খারাপ

আয় হতো না। কিন্তু অন্যদের অবস্থাটি কী? নিশ্চয়ই ভালো ছিল না। প্রচণ্ড ক্ষুধা তাঁদের পরিবারেও ছিল। সেটি মেনে নিতেন। শিক্ষকতাকে মনে করতেন ব্রত। কিন্তু ব্রতই হোক আর পেশাই হোক ক্ষুণিœবৃত্তির আক্রমণে স্থির থাকা যে কঠিন সেই বাস্তব সত্যকে অস্বীকার করবে কে? বাস্তবতা এখন আর ব্রতচারিতার আচ্ছাদনকে অক্ষত রাখতে পারছে না, প্রয়োজনের তাগিদে এবং নিরুপায় হয়ে তারাও বাধ্য হয়েছেন বাণিজ্যের পথ ধরতে।

সব মিলিয়ে শিক্ষা কেনাবেচার সামগ্রী হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুশকিলটি আসলে ওইখানেই, ওই বাণিজ্যে। বাণিজ্যে ফাঁক ও ফাঁকি থাকবেই। শিক্ষা যে সুষ্ঠু পথ ধরে এগোচ্ছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়াটি নিছক বোকামি বৈ অন্য কিছু নয়।

চিকিৎসা তো ভয়ঙ্করভাবে বাণিজ্যকবলিত। চিকিৎসককে অবশ্য সরাসরি একটি পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। সেটি হচ্ছে রোগের নিরাময় ঘটানো। তবে এর বাইরে চিকিৎসকরা রোগীদের নানা রকমের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার অধীন না করে নিস্তার দেন না। সেগুলোর সবই যে প্রয়োজনীয় তা-ও নয়। ওদিকে ওষুধ প্রস্তুতকারীরা রোগীদের দিকে কখনই তাকান না, কেবলই মুনাফা খোঁজেন। দাম তো বটেই, উপাদানের দিক থেকেও ওষুধ যে খাঁটি এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। আর অসহায় রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসকরা যে টাকাটি আদায় করে নেন তা উকিল-ব্যারিস্টারদের আদায় তৎপরতার তুলনায় নিতান্ত সামান্য নয়। বাংলাদেশে আজ কোনো কিছুই সামান্য থাকতে চাচ্ছে না; সবকিছুই উঁচু থেকে আরও উঁচু হয়ে উঠছে। দালানকোঠা থেকে শুরু করে বিদ্যুতের দাম- সবকিছুই অত্যন্ত উন্নত। আর ওই উন্নতির নিচে চাপা পড়ে নিচুদের দুর্দশার অন্ত নেই। কেবল নকল নয়, ভেজালও সমাজে চলছিল। মাড়োয়ারিরা এ কাজে বেশ দক্ষ ছিল এবং তারা লোকপ্রসিদ্ধিও অর্জন করেছিল। তেল, চাল, ডালসহ খাবার-দাবারের জিনিসগুলোর ওপরই ওই ব্যবসায়ীদের কৃপাদৃষ্টি বিশেষভাবে নিক্ষিপ্ত হতো। তাতে ভোক্তাদের কতটি দুর্ভোগ হবে তা নিয়ে তারা মাথা ঘামায়নি। আমরা পাকিস্তান চেয়েছিলাম অনেক স্বপ্ন মাথায় পুষে; তার মধ্যে একটি ছিল অমুসলিম ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আশা। তা তারা বিদায় হলো ঠিকই, কিন্তু আমরা তো মুক্তি পেলাম না। আমরা গিয়ে পড়লাম অবাঙালি মুসলিমদের হাতে। ব্যবসা-বাণিজ্য তাদের দখলে চলে গেল। ভেজালের কাজে এদের কোনো কার্পণ্য ছিল না। ঢাকা শহরে ছোটবেলায় আমি নিজে দেখেছি মৌলভীবাজার মোড়ে মুসলিম লীগের ঢাকা শহর শাখার সভাপতিকে, রোজই দেখতাম এবং বয়স্কদের মুখে শুনতাম অতিপ্রসন্ন নুরানি চেহারার ওই নেতার আড়তে তেলের সঙ্গে নানা রকমের ভেজাল মেশানো হতো। ওই আমলে রেশনের চালের সঙ্গে পাথরকণার মারাত্মক সংমিশ্রণ ঘটত।

এর পরের খবর বিলক্ষণ জানি আমরা। দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলো। স্বাধীনতা নয়, আমরা ভাবলাম পেয়ে গেছি মুক্তি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা কমল, নাকি বাড়ল? বাড়ল যে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। একাত্তরের পর মুক্তি অনেক কিছুরই ঘটেছে, সর্বাধিক পরিমাণে মুক্তি পেয়েছে ব্যবসা ও বাণিজ্য। চোরা এবং প্রকাশ্য উভয় পথে। বিদেশি পণ্য হু হু করে ঢুকছে। জল, স্থল, আকাশ- সব পথই খোলা। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, বাধা দেওয়ার কেউ নেই, উৎসাহ দেওয়ার লোক যত্রতত্র। মানসম্মান, নিরাপত্তা, নারীর মর্যাদা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি- সবকিছুই অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের আওতার মধ্যে চলে এসেছে। মারাত্মক রকমের বন্যার মতো ব্যবসা ঢুকে পড়েছে রাজনীতির পরতে পরতে।

রাষ্ট্রক্ষমতার ব্যাপারে মূল লড়াইটি কিন্তু জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের। জনগণ যখন মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসল ঘটনা তখন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই। কিন্তু জনগণ আন্দোলনে অর্জিত বিজয়কে ধরে রাখতে পারে না, সেটি হস্তগত হয়ে যায় ক্ষমতাবানদের এবং ক্ষমতা যাদের হাতে তাদের নিজেদের মধ্যে কে কতটা ভোগ করবে কিংবা করবে না তা নিয়ে ভীষণ, অনেক সময় রক্তাক্ত সংগ্রাম শুরু হয়। এটি তাদের ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্ব, কিন্তু প্রচারের মাধ্যমে সেটিকে তারা জনগণের যুদ্ধ হিসেবে হাজির করতে চায়। জনগণকে খাড়াখাড়ি ভাগ করে ফেলার চেষ্টা করে ক্ষমতাবানদের পক্ষে থাকা এবং বিপক্ষে যাওয়ার লাইন ধরে। এই যোদ্ধাদের দল ভিন্ন ভিন্ন। এদের পোশাক-আশাকেও ভিন্নতা দেখা যায়। আদর্শের ভিন্নতার কথাও তারা বলে কিন্তু ভিতরে ভিতরে তারা অনেক নয়, এক ও অভিন্ন দল বটে, সেটি হচ্ছে শাসকশ্রেণি। ভাই-ব্রাদার। এটিই হচ্ছে প্রকৃত সত্য। একে আচ্ছাদিত করে রাখার জন্য বহুবিধ তৎপরতা চলে, কথার ফুলঝুরি, পারস্পরিক নৃশংস আক্রমণ, সভা-সমিতি, আলোচনা-সম্মেলন, টক-শো, সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় অনেক কিছুর ব্যবহার করা হয়। সত্য চাপা পড়ে যায় মিথ্যার জাঁকজমক ও হল্লা-ফ্যাসাদের নিচে। জনগণ সেখানেই থাকে যেখানে তারা ছিল। শত্রুপক্ষ এখন আগের চেয়ে ভয়ঙ্কর। মুশকিল হলো এই যে, জনগণের পক্ষে সংগঠিত রাজনৈতিক শক্তি নেই। যারা তাদের দলে টানে তারা জনগণের মঙ্গল করতে চায় না, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য জনসমর্থন খাড়া করে। বলে, দেখছ না, চোখ নেই? দেখ, আমাদের পেছনে কত লোক, আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। ভূমিকাটি মিত্রের নয়, ভূমিকাটি প্রতারকের, প্রবঞ্চকের।

রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের বিবিধ প্রতিচ্ছবির অসংখ্য ক্ষেত্র পাওয়া যাবে। যেমন ধরা যাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ১৯২১ সালে। তার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রের জন্য কম কাজ করেনি। প্রশাসক, রাজনীতিক, পরামর্শদাতা সবই সরবরাহ করেছে; রাষ্ট্রের সুনাম বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত মানুষেরা অনিবার্য ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু সব ধরনের আদান-প্রদান ও সুসম্পর্কের ভিতরে-প্রকাশ্যে কখনো, অনেক সময়ই অপ্রকাশ্যে যা কাজ করেছে তা হলো দ্বন্দ্ব। রাষ্ট্র এ বিশ্ববিদ্যালয়কে পছন্দ করেনি, যদিও একে কাজে লাগিয়েছে। তাই দেখা যায় বার বার, বিশেষ করে স্বৈরশাসকের আগমন ও প্রস্থানের কালে সম্পর্কটি সংঘর্ষের রূপ নিয়েছে। স্বৈরশাসন আসার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় চঞ্চল হয়ে উঠেছে। কারণ স্বৈরশাসকের পক্ষে না-জেনে উপায় থাকেনি যে, বিশ্ববিদ্যালয় তাকে মেনে নেবে না। প্রতিবাদ করবে। তা করেছে বৈকি। অধিকাংশ সময়ই দেখা গেছে প্রতিবাদের কাজটি সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকেই ঘটেছে; এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কারণেই স্বৈরশাসনের পতন ত্বরান্বিত হয়েছে।

এ দ্বন্দ্বের কারণটি বুঝতে কোনো কষ্ট নেই। কারণ হলো রাষ্ট্র যেখানে কায়েমি স্বার্থ রক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে স্বার্থের ওই আধিপত্যকে ভাঙতে বদ্ধপরিকর। বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে। তার কারণ এটি নয় যে, বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের প্রতিষ্ঠান, কারণ হলো এই যে, বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদাই মুক্তির পক্ষে। সে মুক্তি জ্ঞানের তো অবশ্যই, কিন্তু ওই জ্ঞান মানুষের জীবনকে বাদ দিয়ে নয়। তাই দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এটি একেবারেই অনিবার্য যে, সে কেবল বিদ্যা অর্জন ও বিতরণের কেন্দ্র থাকবে না, সামাজিক প্রতিষ্ঠানও হয়ে উঠবে। মানুষের সঙ্গে মানুষের ঐক্য ও মৈত্রী হচ্ছে সামাজিকতার ভিত্তি। শিক্ষিত মানুষ বিচ্ছিন্ন, একাকী, আত্মস্বার্থসর্বস্ব হবে এটি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েরই কাম্য নয়, সে চায় সামাজিক মানুষ তৈরি করতে, যে মানুষ সামাজিকতার মধ্য দিয়ে নিজের বুদ্ধিবৃত্তি ও সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটাবে, তাকেই সে যথার্থরূপে শিক্ষিত বিবেচনা করে, নইলে নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। কেননা তারা সামাজিক মানুষ তৈরি না করে উপার্জনে দক্ষ মানুষ তৈরিতে ব্রতী হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা বলছিলাম। সত্যের কথাটা বার বার আসছে। আসলে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা নিরূপণ করা কঠিন। সেটিই বোধকরি সত্য, যেটিতে আমি বিশ্বাস করি এবং যেটি আমার পছন্দের। তা ছাড়া এও তো সত্য যে, সত্যকে চাই বলে আমরা যতই চেঁচামেচি করি না কেন সত্যকে আসলেই যে চাই তাও ঠিক নয়। কবি বলেছেন, যা সত্য তাই সুন্দর এবং যা সুন্দর তাই সত্য। সত্য বলতে তিনি বুঝিয়েছেন স্থায়ীকে। যে জিনিস সত্য সেটিই টিকবে, যা মিথ্যা তা টিকবে না, এভাবেই উক্তিটির অর্থ করা হয়েছে এবং সেটিই যথার্থ। নইলে সত্য যে সর্বদাই সুন্দর হবে এমন কোনো কথা নেই। অনেক সময়ই দেখা যায় সত্য বড় নিষ্ঠুর, খুবই নির্মম, তাকে প্রিয় বলা কঠিন। সেজন্য আশা দিয়ে আচ্ছাদন তৈরি করে সত্যকে অস্পষ্ট করে রাখতে আমরা সচেষ্ট হই। প্রবোধ দিতে চাই, সান্ত্বনা খুঁজি। আশা অনেক সময়ই ছলনায় পরিণত হয়, সান্ত্বনা প্রতারণা করে। তবু তাদের দরকার বৈকি।

সত্যকে জানা সহজ নয়, কেননা সে লুকিয়ে থাকে নানাবিধ মিথ্যার অন্তরালে। তাকে জানলে প্রকাশ করাও কঠিন, লোকে তা পছন্দ না-ও করতে পারে। রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠান সত্য প্রকাশের অপরাধে বহু দার্শনিক ও বিপ্লবী বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। কেবল রাষ্ট্রীয় নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও সত্য প্রকাশ বিপজ্জনক। সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে, যিনি এক কিশোরের জিজ্ঞাসার উত্তরে বলেছিলেন, জানি না। পরমুহূর্তেই খেয়াল হয়েছে যে মিথ্যা বলেছেন, কেননা সিনেমা হলটিতে কোন পথে যেতে হবে তা তিনি জানেন। কিশোরকে ডেকে তিনি বলেছিলেন, জানি কিন্তু বলব না। এ রকমটি ঘটাই স্বাভাবিক। অপছন্দের সত্য-বিষয়ে হয় বলতে হয় জানি না, নয় তো বলার প্রয়োজন হয় জানি কিন্তু বলব না। প্রথমটিই নিরাপদ পথ। ওই পথেই লোকে চলতে চায়। তবে অনেক সময়ই সত্য জানাও থাকে না। সত্যকে জানলে তবেই তো প্রশ্ন ওঠে না-বলার।

লেখক : শিক্ষাবিদ।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি
দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু
বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ
বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন
এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’
নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু
মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাতুয়াইলে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
মাতুয়াইলে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৪ জুলাই পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে বিশাল আকৃতির গ্রহাণু
৪ জুলাই পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে বিশাল আকৃতির গ্রহাণু

৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম
জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঝালকাঠিতে জামায়াতের খাবার বিতরণ
ঝালকাঠিতে জামায়াতের খাবার বিতরণ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরকীয়ায় বাধা, ভাসুরকে হত্যা লাশ মাটি চাপা
পরকীয়ায় বাধা, ভাসুরকে হত্যা লাশ মাটি চাপা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ছিনতাইয়ের সালিশ নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে গণপিটুনিতে হত্যা
ছিনতাইয়ের সালিশ নিয়ে বিরোধের জেরে তিনজনকে গণপিটুনিতে হত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জের দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
সিরাজগঞ্জের দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ‍্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ
ফ‍্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় চালের মোকামে অভিযান, তিন চালকল মিলকে জরিমানা
কুষ্টিয়ায় চালের মোকামে অভিযান, তিন চালকল মিলকে জরিমানা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রূপগঞ্জে ধর্ষণের পর স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা : খুনিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
রূপগঞ্জে ধর্ষণের পর স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা : খুনিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক পুলিশ সুপার আসাদ ২ দিনের রিমান্ডে
সাবেক পুলিশ সুপার আসাদ ২ দিনের রিমান্ডে

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাউবির এইচএসসি পরীক্ষা শুরু শুক্রবার
বাউবির এইচএসসি পরীক্ষা শুরু শুক্রবার

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুমারখালীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
কুমারখালীতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল
জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত
শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কক্সবাজার কারাগারে মৌসুমি ফল উৎসব
কক্সবাজার কারাগারে মৌসুমি ফল উৎসব

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে ৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে ৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!
স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী
পিআর চালু হলে দেশে আর কোনো স্থানীয় নেতার জন্ম হবে না: রিজভী

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য সুখবর

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত
রাশিয়ার নৌবাহিনীর উপ-প্রধান নিহত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করেছে ইরান’
‘ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করেছে ইরান’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবলীগ নেতাকে ধরতে বাড়ি ঘেরাও, ফোনে বললেন-‘লাভ হবে না’
যুবলীগ নেতাকে ধরতে বাড়ি ঘেরাও, ফোনে বললেন-‘লাভ হবে না’

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি
প্রথমবারের মতো মার্কিন থাড প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করল সৌদি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!
এবার ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বানাচ্ছে ভারত!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!
থাইল্যান্ডের ‘বরখাস্ত’ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন এখন সংস্কৃতিমন্ত্রী!

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?
পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?
ব্রিটিশ রাজমুকুটের আসল মূল্য কতো?

১৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‌‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
ইসরায়েলি হামলায় ইন্দোনেশীয় চিকিৎসকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এটাই কি মেসিদের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি?
এটাই কি মেসিদের ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি?

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের
ইরান আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে, আশঙ্কা মার্কিন বিশেষজ্ঞদের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের প্রস্তাবে একমত বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের
ইরান-সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা ইসরায়েলের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান
গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহ, বিপুলসংখ্যক আফগানকে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে হিজবুল্লাহর ৪ হাজার যোদ্ধা নিহত

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে কাসাম-কুদসের রকেট হামলা
ইসরায়েলে কাসাম-কুদসের রকেট হামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ
রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ হেলায় হারানো যাবে না: আলী রীয়াজ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচলে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪
বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচলে ১১ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৩৪

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে
গুমে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি ঘিরেই বিএনপির প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি
জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত
জব্দের আগেই ব্যাংক খালি স্থাবর সম্পদ অক্ষত

প্রথম পৃষ্ঠা

চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা
চলচ্চিত্র অনুদান - নিজেদের মধ্যেই ভাগবাঁটোয়ারা

শোবিজ

এবার বিশ্বকাপের হাতছানি
এবার বিশ্বকাপের হাতছানি

মাঠে ময়দানে

প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে
প্রাণ ফিরেছে সুন্দরবনে

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা
আন্দোলনে স্বাস্থ্য সহকারীরা ঝুঁকিতে শিশু স্বাস্থ্যসেবা

নগর জীবন

বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

থানায় হামলা ভাঙচুর
থানায় হামলা ভাঙচুর

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে
পিআর পদ্ধতি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন
দেশে ডেলিভারি বিদেশে লেনদেন

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত

সম্পাদকীয়

কবরের মতো বন্দিশালা
কবরের মতো বন্দিশালা

প্রথম পৃষ্ঠা

সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি
সতর্কতার সঙ্গে পথ হাঁটছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা
ছবিতে শহীদ সন্তানের স্মৃতি হাতড়ান মা-বাবা

দেশগ্রাম

ব্যয়বহুল তৌসিফ
ব্যয়বহুল তৌসিফ

শোবিজ

‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান
‘কালা জাহাঙ্গীর’ শাকিব খান

শোবিজ

বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু
বঁটি ঘাড়ের ওপর পড়ে শিশুর মৃত্যু

দেশগ্রাম

স্কুলের বন্ধু
স্কুলের বন্ধু

সাহিত্য

মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম
মায়াবী নিঃসঙ্গ ওম

সাহিত্য

মাদকসেবন করে মাকে নির্যাতনে দণ্ড
মাদকসেবন করে মাকে নির্যাতনে দণ্ড

দেশগ্রাম

জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে
জঙ্গি নাটক সাজিয়ে হত্যা সাবেক এসপি রিমান্ডে

দেশগ্রাম

নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন
নিষিদ্ধ জালে মাছ নিধন

দেশগ্রাম

গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার
গৃহবধূ হত্যা, পাঁচজন গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল
কবিধাম-কবির শহর টাঙ্গাইল

সাহিত্য

নূরুল হুদার জবানবন্দি
নূরুল হুদার জবানবন্দি

সম্পাদকীয়

আমি ও জীবনানন্দ
আমি ও জীবনানন্দ

সাহিত্য

শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড

সম্পাদকীয়