শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০১৯ আপডেট:

সত্য চাই, নাকি আসল চাই

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রিন্ট ভার্সন
সত্য চাই, নাকি আসল চাই

খেয়াল করায় দেখতে পাচ্ছি যে, আমার নিজের লেখাতে ‘আসল’ কথাটি বেশ ঘুরেফিরে আসছে, মহোৎসাহে না হলেও বেশ আগ্রহভরে। এর ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আছে। হয়তো মনে হয় অনেক কথা বলছি বটে তবে আসল কথাটি অস্পষ্ট থেকে যাচ্ছে। তাই তাকে সুযোগ করে দেওয়া দরকার আত্মপ্রকাশের। আসল যে আসলেই বের হচ্ছে না এই সন্দেহ অমূলক নয়।

নকল এখন বড়ই প্রবল, সেটিও একটি সত্য বটে। আসল তাই। কোণঠাসা; তাকে খুঁজে বের করা অত্যাবশ্যক, সত্যের খাতিরে। সত্যের খাতিরে মানে আমাদের নিজেদের স্বার্থে, নইলে খাতির করলেই যে সত্য এসে হাজির হবে এমন ভরসা কম। নিজের স্বার্থেই খাঁটি জিনিস চাই, কিন্তু পাই না। বাজারে নেই। বক্তৃতাতে নেই। সংবাদপত্র ও টেলিভিশন দেখাশোনা তো ভীষণ রকমের বিভ্রান্তিকর।

রাজনীতিতে সত্য মারাত্মকভাবে অনুপস্থিত। আগে দুধে পানি দেওয়া হতো, এখন ব্যাপার দাঁড়িয়েছে এমন যে পানির সঙ্গে দুধ মেশানো চলছে। এটি রূপক ও ব্যাপক অর্থে অত্যন্ত সত্য।

আসল জিনিস পাওয়া কঠিন, আর পাই যদি বা তবু নিশ্চিন্ত হতে পারি না। ঠকছি না তো, নকলকেই বেছে নিচ্ছি না তো আসল বলে, এসব জিজ্ঞাসা উত্ত্যক্ত করে। একসময় পরীক্ষার হলে ভীষণ নকল হতো। অভিভাবকরা পর্যন্ত নিজ নিজ ছেলেমেয়েদের ওই কাজে সাহায্য করতেন, পাছে তারা পিছিয়ে পড়ে যায় অন্যদের তুলনায়। পরীক্ষার হলে যারা পাহারা দিতেন তারা হিমশিম খেয়ে যেতেন নকলওয়ালাদের প্রখর বুদ্ধির কাছে। ওই মেধাকে তারা যদি পড়াশোনায় কাজে খাটাত তাহলে নকল করার আবশ্যকতা তো থাকতই না বরং সবার ফলই ভালো হতো। শিক্ষার মান নিঃসন্দেহে বইমুখী হয়ে পড়ত। কিন্তু পরিশ্রম তো করে দিনমজুরে, ভদ্রলোকেরা পরিশ্রম করবে কেন, তারা ফাঁকি দেবে, প্রতারণা করবে এবং ওইভাবে সাফল্য অর্জন করে বাহাদুরি দেখাবে। শ্রমজীবীদের ঘৃণা করতেও ছাড়বে না। পরীক্ষায় নকল করার ক্ষেত্রে ওই ঘটনাই ঘটেছে বৈকি।

এখন অবশ্য নকলের ব্যাপারটি আর পরীক্ষার হলের ভিতর আটকে নেই, সর্বত্রই বেরিয়ে পড়েছে। সব পক্ষীই মৎস্যভক্ষী, বদনাম শুধু মাছরাঙার, এ অবস্থাটি নেই। এখন সবাই নকলের বীরত্বে গৌরবান্বিত। দৃশ্যত শিক্ষা ক্ষেত্রে নকল বরং কমেছে। নকল করার অধিকার নিয়ে দাঙ্গাহাঙ্গামার খবর এখন পাওয়া যায় না, পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে দলে দলে শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত হচ্ছে এমন দৃশ্যেরও বর্ণনা পাই না। তাহলে কি শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে নকলবাজি উধাও হয়ে গেছে? শুভ স্পর্শ লেগেছে কোনো অলৌকিক শক্তির? সেটি বোধহয় বলা যাবে না। বোধকরি বলতে হবে গোটা শিক্ষাব্যবস্থার ভিতরেই নকল ঢুকে পড়েছে। এসেছে গৃহশিক্ষকতা এবং কোচিং সেন্টার। দুটো আসলে একই জিনিস। উচ্চ নম্বর লাভের কলাকৌশল শেখানো। নকলের যা উদ্দেশ্য কোচিং যাতায়াতেরও সেই একই উদ্দেশ্য, সহজে ভালো নম্বর পাওয়া। বিদ্যা অর্জন নয়, গ্রেড অর্জন। গৃহশিক্ষকরা আগেও ছিল কিন্তু এখন তা ব্যাপক হয়েছে এবং যে গৃহেই হোক, গুরুর কিংবা ব্যবসায়ীর, অভিন্ন উদ্দেশ্য বিদ্যা বিতরণ নয়, গ্রেডপ্রাপ্তিতে সহায়তাদান। অর্থের বিনিময়ে। ছেলেমেয়েরা এখন বই পড়ে না, ফটোকপির দোকানে দৌড়াদৌড়ি করে, নকল চাই, নকলের নকল চলছে; আসল জিনিসে উৎসাহ নেই। পড়াশোনাটি হওয়ার কথা ক্লাসরুমে। সেটিই আসল। সেখানে তা হচ্ছে না। হচ্ছে কোচিং সেন্টারে। সেটি আসল নয়, নকল বটে। দুই কারণে। প্রথমত, ঘটনাটি শিক্ষাগত নয়, বাণিজ্যিক। দ্বিতীয়ত, ওই যে বললাম উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করা নয়, তাদের গ্রেড পাইয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে উজ্জ্বল করে তোলা। পাঠদান করা হচ্ছে না, গ্রেড হাতিয়ে নেওয়ার দক্ষতা। শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই হাতিয়ে নেওয়াটি তো চুরি-ডাকাতিরই শামিল। আসলেই। এই নকলবাজিতে শিক্ষকদের অংশগ্রহণের পেছনে যুক্তি আছে। সেটি শিক্ষকরা উচ্চকণ্ঠে দিতে পারেন না, তবে নিম্নকণ্ঠে যে বলেন না তা নয়। বেচারা শিক্ষকদের কণ্ঠ দুর্বল হতে বাধ্য। প্রথমত, ক্লাসে পড়াতে হয়, ঠিকমতো পড়াতে না পারলেও অন্তত হাজিরা তো দিতে হয়, তারপর থাকে সকালে-বিকালে কোচিংয়ের চাপ, গলা তো ভাঙবেই। স্কুলে আমাদের এক বাংলা শিক্ষক ছিলেন, চমৎকার পড়াতেন, তাঁর লেখা পাঠ্যবই বাজারে চালু ছিল। ঠাট্টা করে ক্লাসেই বলতেন, সকাল ১০টায় শুরু করি, বিকাল ৫টায় যখন শেষ করি তখন দেখি আড়াই সের চালের খিদে লেগেছে। তিনি গৃহশিক্ষকতা করতেন না; অনুমান করি পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন থেকে তার খারাপ

আয় হতো না। কিন্তু অন্যদের অবস্থাটি কী? নিশ্চয়ই ভালো ছিল না। প্রচণ্ড ক্ষুধা তাঁদের পরিবারেও ছিল। সেটি মেনে নিতেন। শিক্ষকতাকে মনে করতেন ব্রত। কিন্তু ব্রতই হোক আর পেশাই হোক ক্ষুণিœবৃত্তির আক্রমণে স্থির থাকা যে কঠিন সেই বাস্তব সত্যকে অস্বীকার করবে কে? বাস্তবতা এখন আর ব্রতচারিতার আচ্ছাদনকে অক্ষত রাখতে পারছে না, প্রয়োজনের তাগিদে এবং নিরুপায় হয়ে তারাও বাধ্য হয়েছেন বাণিজ্যের পথ ধরতে।

সব মিলিয়ে শিক্ষা কেনাবেচার সামগ্রী হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুশকিলটি আসলে ওইখানেই, ওই বাণিজ্যে। বাণিজ্যে ফাঁক ও ফাঁকি থাকবেই। শিক্ষা যে সুষ্ঠু পথ ধরে এগোচ্ছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়াটি নিছক বোকামি বৈ অন্য কিছু নয়।

চিকিৎসা তো ভয়ঙ্করভাবে বাণিজ্যকবলিত। চিকিৎসককে অবশ্য সরাসরি একটি পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। সেটি হচ্ছে রোগের নিরাময় ঘটানো। তবে এর বাইরে চিকিৎসকরা রোগীদের নানা রকমের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার অধীন না করে নিস্তার দেন না। সেগুলোর সবই যে প্রয়োজনীয় তা-ও নয়। ওদিকে ওষুধ প্রস্তুতকারীরা রোগীদের দিকে কখনই তাকান না, কেবলই মুনাফা খোঁজেন। দাম তো বটেই, উপাদানের দিক থেকেও ওষুধ যে খাঁটি এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। আর অসহায় রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসকরা যে টাকাটি আদায় করে নেন তা উকিল-ব্যারিস্টারদের আদায় তৎপরতার তুলনায় নিতান্ত সামান্য নয়। বাংলাদেশে আজ কোনো কিছুই সামান্য থাকতে চাচ্ছে না; সবকিছুই উঁচু থেকে আরও উঁচু হয়ে উঠছে। দালানকোঠা থেকে শুরু করে বিদ্যুতের দাম- সবকিছুই অত্যন্ত উন্নত। আর ওই উন্নতির নিচে চাপা পড়ে নিচুদের দুর্দশার অন্ত নেই। কেবল নকল নয়, ভেজালও সমাজে চলছিল। মাড়োয়ারিরা এ কাজে বেশ দক্ষ ছিল এবং তারা লোকপ্রসিদ্ধিও অর্জন করেছিল। তেল, চাল, ডালসহ খাবার-দাবারের জিনিসগুলোর ওপরই ওই ব্যবসায়ীদের কৃপাদৃষ্টি বিশেষভাবে নিক্ষিপ্ত হতো। তাতে ভোক্তাদের কতটি দুর্ভোগ হবে তা নিয়ে তারা মাথা ঘামায়নি। আমরা পাকিস্তান চেয়েছিলাম অনেক স্বপ্ন মাথায় পুষে; তার মধ্যে একটি ছিল অমুসলিম ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আশা। তা তারা বিদায় হলো ঠিকই, কিন্তু আমরা তো মুক্তি পেলাম না। আমরা গিয়ে পড়লাম অবাঙালি মুসলিমদের হাতে। ব্যবসা-বাণিজ্য তাদের দখলে চলে গেল। ভেজালের কাজে এদের কোনো কার্পণ্য ছিল না। ঢাকা শহরে ছোটবেলায় আমি নিজে দেখেছি মৌলভীবাজার মোড়ে মুসলিম লীগের ঢাকা শহর শাখার সভাপতিকে, রোজই দেখতাম এবং বয়স্কদের মুখে শুনতাম অতিপ্রসন্ন নুরানি চেহারার ওই নেতার আড়তে তেলের সঙ্গে নানা রকমের ভেজাল মেশানো হতো। ওই আমলে রেশনের চালের সঙ্গে পাথরকণার মারাত্মক সংমিশ্রণ ঘটত।

এর পরের খবর বিলক্ষণ জানি আমরা। দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলো। স্বাধীনতা নয়, আমরা ভাবলাম পেয়ে গেছি মুক্তি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের তৎপরতা কমল, নাকি বাড়ল? বাড়ল যে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। একাত্তরের পর মুক্তি অনেক কিছুরই ঘটেছে, সর্বাধিক পরিমাণে মুক্তি পেয়েছে ব্যবসা ও বাণিজ্য। চোরা এবং প্রকাশ্য উভয় পথে। বিদেশি পণ্য হু হু করে ঢুকছে। জল, স্থল, আকাশ- সব পথই খোলা। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, বাধা দেওয়ার কেউ নেই, উৎসাহ দেওয়ার লোক যত্রতত্র। মানসম্মান, নিরাপত্তা, নারীর মর্যাদা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি- সবকিছুই অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের আওতার মধ্যে চলে এসেছে। মারাত্মক রকমের বন্যার মতো ব্যবসা ঢুকে পড়েছে রাজনীতির পরতে পরতে।

রাষ্ট্রক্ষমতার ব্যাপারে মূল লড়াইটি কিন্তু জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের। জনগণ যখন মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসল ঘটনা তখন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই। কিন্তু জনগণ আন্দোলনে অর্জিত বিজয়কে ধরে রাখতে পারে না, সেটি হস্তগত হয়ে যায় ক্ষমতাবানদের এবং ক্ষমতা যাদের হাতে তাদের নিজেদের মধ্যে কে কতটা ভোগ করবে কিংবা করবে না তা নিয়ে ভীষণ, অনেক সময় রক্তাক্ত সংগ্রাম শুরু হয়। এটি তাদের ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্ব, কিন্তু প্রচারের মাধ্যমে সেটিকে তারা জনগণের যুদ্ধ হিসেবে হাজির করতে চায়। জনগণকে খাড়াখাড়ি ভাগ করে ফেলার চেষ্টা করে ক্ষমতাবানদের পক্ষে থাকা এবং বিপক্ষে যাওয়ার লাইন ধরে। এই যোদ্ধাদের দল ভিন্ন ভিন্ন। এদের পোশাক-আশাকেও ভিন্নতা দেখা যায়। আদর্শের ভিন্নতার কথাও তারা বলে কিন্তু ভিতরে ভিতরে তারা অনেক নয়, এক ও অভিন্ন দল বটে, সেটি হচ্ছে শাসকশ্রেণি। ভাই-ব্রাদার। এটিই হচ্ছে প্রকৃত সত্য। একে আচ্ছাদিত করে রাখার জন্য বহুবিধ তৎপরতা চলে, কথার ফুলঝুরি, পারস্পরিক নৃশংস আক্রমণ, সভা-সমিতি, আলোচনা-সম্মেলন, টক-শো, সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় অনেক কিছুর ব্যবহার করা হয়। সত্য চাপা পড়ে যায় মিথ্যার জাঁকজমক ও হল্লা-ফ্যাসাদের নিচে। জনগণ সেখানেই থাকে যেখানে তারা ছিল। শত্রুপক্ষ এখন আগের চেয়ে ভয়ঙ্কর। মুশকিল হলো এই যে, জনগণের পক্ষে সংগঠিত রাজনৈতিক শক্তি নেই। যারা তাদের দলে টানে তারা জনগণের মঙ্গল করতে চায় না, নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য জনসমর্থন খাড়া করে। বলে, দেখছ না, চোখ নেই? দেখ, আমাদের পেছনে কত লোক, আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। ভূমিকাটি মিত্রের নয়, ভূমিকাটি প্রতারকের, প্রবঞ্চকের।

রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের বিবিধ প্রতিচ্ছবির অসংখ্য ক্ষেত্র পাওয়া যাবে। যেমন ধরা যাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ১৯২১ সালে। তার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রের জন্য কম কাজ করেনি। প্রশাসক, রাজনীতিক, পরামর্শদাতা সবই সরবরাহ করেছে; রাষ্ট্রের সুনাম বৃদ্ধিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিত মানুষেরা অনিবার্য ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু সব ধরনের আদান-প্রদান ও সুসম্পর্কের ভিতরে-প্রকাশ্যে কখনো, অনেক সময়ই অপ্রকাশ্যে যা কাজ করেছে তা হলো দ্বন্দ্ব। রাষ্ট্র এ বিশ্ববিদ্যালয়কে পছন্দ করেনি, যদিও একে কাজে লাগিয়েছে। তাই দেখা যায় বার বার, বিশেষ করে স্বৈরশাসকের আগমন ও প্রস্থানের কালে সম্পর্কটি সংঘর্ষের রূপ নিয়েছে। স্বৈরশাসন আসার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় চঞ্চল হয়ে উঠেছে। কারণ স্বৈরশাসকের পক্ষে না-জেনে উপায় থাকেনি যে, বিশ্ববিদ্যালয় তাকে মেনে নেবে না। প্রতিবাদ করবে। তা করেছে বৈকি। অধিকাংশ সময়ই দেখা গেছে প্রতিবাদের কাজটি সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকেই ঘটেছে; এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কারণেই স্বৈরশাসনের পতন ত্বরান্বিত হয়েছে।

এ দ্বন্দ্বের কারণটি বুঝতে কোনো কষ্ট নেই। কারণ হলো রাষ্ট্র যেখানে কায়েমি স্বার্থ রক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে স্বার্থের ওই আধিপত্যকে ভাঙতে বদ্ধপরিকর। বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে। তার কারণ এটি নয় যে, বিশ্ববিদ্যালয় জনগণের প্রতিষ্ঠান, কারণ হলো এই যে, বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদাই মুক্তির পক্ষে। সে মুক্তি জ্ঞানের তো অবশ্যই, কিন্তু ওই জ্ঞান মানুষের জীবনকে বাদ দিয়ে নয়। তাই দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এটি একেবারেই অনিবার্য যে, সে কেবল বিদ্যা অর্জন ও বিতরণের কেন্দ্র থাকবে না, সামাজিক প্রতিষ্ঠানও হয়ে উঠবে। মানুষের সঙ্গে মানুষের ঐক্য ও মৈত্রী হচ্ছে সামাজিকতার ভিত্তি। শিক্ষিত মানুষ বিচ্ছিন্ন, একাকী, আত্মস্বার্থসর্বস্ব হবে এটি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েরই কাম্য নয়, সে চায় সামাজিক মানুষ তৈরি করতে, যে মানুষ সামাজিকতার মধ্য দিয়ে নিজের বুদ্ধিবৃত্তি ও সৃষ্টিশীলতার বিকাশ ঘটাবে, তাকেই সে যথার্থরূপে শিক্ষিত বিবেচনা করে, নইলে নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। কেননা তারা সামাজিক মানুষ তৈরি না করে উপার্জনে দক্ষ মানুষ তৈরিতে ব্রতী হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা বলছিলাম। সত্যের কথাটা বার বার আসছে। আসলে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা নিরূপণ করা কঠিন। সেটিই বোধকরি সত্য, যেটিতে আমি বিশ্বাস করি এবং যেটি আমার পছন্দের। তা ছাড়া এও তো সত্য যে, সত্যকে চাই বলে আমরা যতই চেঁচামেচি করি না কেন সত্যকে আসলেই যে চাই তাও ঠিক নয়। কবি বলেছেন, যা সত্য তাই সুন্দর এবং যা সুন্দর তাই সত্য। সত্য বলতে তিনি বুঝিয়েছেন স্থায়ীকে। যে জিনিস সত্য সেটিই টিকবে, যা মিথ্যা তা টিকবে না, এভাবেই উক্তিটির অর্থ করা হয়েছে এবং সেটিই যথার্থ। নইলে সত্য যে সর্বদাই সুন্দর হবে এমন কোনো কথা নেই। অনেক সময়ই দেখা যায় সত্য বড় নিষ্ঠুর, খুবই নির্মম, তাকে প্রিয় বলা কঠিন। সেজন্য আশা দিয়ে আচ্ছাদন তৈরি করে সত্যকে অস্পষ্ট করে রাখতে আমরা সচেষ্ট হই। প্রবোধ দিতে চাই, সান্ত্বনা খুঁজি। আশা অনেক সময়ই ছলনায় পরিণত হয়, সান্ত্বনা প্রতারণা করে। তবু তাদের দরকার বৈকি।

সত্যকে জানা সহজ নয়, কেননা সে লুকিয়ে থাকে নানাবিধ মিথ্যার অন্তরালে। তাকে জানলে প্রকাশ করাও কঠিন, লোকে তা পছন্দ না-ও করতে পারে। রাষ্ট্র নামক প্রতিষ্ঠান সত্য প্রকাশের অপরাধে বহু দার্শনিক ও বিপ্লবী বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। কেবল রাষ্ট্রীয় নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও সত্য প্রকাশ বিপজ্জনক। সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে, যিনি এক কিশোরের জিজ্ঞাসার উত্তরে বলেছিলেন, জানি না। পরমুহূর্তেই খেয়াল হয়েছে যে মিথ্যা বলেছেন, কেননা সিনেমা হলটিতে কোন পথে যেতে হবে তা তিনি জানেন। কিশোরকে ডেকে তিনি বলেছিলেন, জানি কিন্তু বলব না। এ রকমটি ঘটাই স্বাভাবিক। অপছন্দের সত্য-বিষয়ে হয় বলতে হয় জানি না, নয় তো বলার প্রয়োজন হয় জানি কিন্তু বলব না। প্রথমটিই নিরাপদ পথ। ওই পথেই লোকে চলতে চায়। তবে অনেক সময়ই সত্য জানাও থাকে না। সত্যকে জানলে তবেই তো প্রশ্ন ওঠে না-বলার।

লেখক : শিক্ষাবিদ।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা, গুলিবিদ্ধ ৩
মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা, গুলিবিদ্ধ ৩

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

আমেরিকানরা এখনো নারী নেতৃত্বে প্রস্তুত নয়: মিশেল ওবামা
আমেরিকানরা এখনো নারী নেতৃত্বে প্রস্তুত নয়: মিশেল ওবামা

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গোপালগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
গোপালগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ

৬ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বিশ্বকাপ মঞ্চে দেখা যেতে পারে ক্ষুদ্রতম দেশ কুরাসাওকে
বিশ্বকাপ মঞ্চে দেখা যেতে পারে ক্ষুদ্রতম দেশ কুরাসাওকে

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্যরাতে আকাশ রাঙাবে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি
মধ্যরাতে আকাশ রাঙাবে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি

১৩ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম

১৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নীলফামারীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
নীলফামারীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন পেলেন হিরো আলম
জামিন পেলেন হিরো আলম

১৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সামরিক মহড়ার ঘোষণা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সামরিক মহড়ার ঘোষণা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা ভারত
বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা ভারত

২৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শাহরুখের নামে দুবাইয়ে পাঁচতারা হোটেল
শাহরুখের নামে দুবাইয়ে পাঁচতারা হোটেল

৩০ মিনিট আগে | শোবিজ

ইবিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থী আটক, থানায় সোপর্দ
ইবিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থী আটক, থানায় সোপর্দ

৩৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

গারোদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দেশকে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় করেছে : প্রিন্স
গারোদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দেশকে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় করেছে : প্রিন্স

৩৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজশাহীতে ট্রাকের চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
রাজশাহীতে ট্রাকের চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৯২
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৯২

৪২ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বিদেশি অপরাধী ঠেকাতে থাইল্যান্ডে ভিসা যাচাইয়ে নতুন কড়াকড়ি
বিদেশি অপরাধী ঠেকাতে থাইল্যান্ডে ভিসা যাচাইয়ে নতুন কড়াকড়ি

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা
তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব : ডিএসসিসি প্রশাসক
নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব : ডিএসসিসি প্রশাসক

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
বগুড়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাকচাপায় একজনের মৃত্যু
ট্রাকচাপায় একজনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৬
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৬

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সৎ মানুষদের রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার
সৎ মানুষদের রাজনীতিতে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বলেশ্বর নদীতে নৌ-র‍্যালি
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বলেশ্বর নদীতে নৌ-র‍্যালি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একাত্তরের মতো জুলাইকে নিয়ে একটা শ্রেণি ব্যবসা শুরু করেছে : শিবির সভাপতি
একাত্তরের মতো জুলাইকে নিয়ে একটা শ্রেণি ব্যবসা শুরু করেছে : শিবির সভাপতি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২১৭৬ মামলা
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২১৭৬ মামলা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টেস্টের বিরল ক্লাবে জাদেজা
টেস্টের বিরল ক্লাবে জাদেজা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আশুগঞ্জে ১২০ কেজি গাঁজাসহ পাচারকারী গ্রেফতার, পিকআপ জব্দ
আশুগঞ্জে ১২০ কেজি গাঁজাসহ পাচারকারী গ্রেফতার, পিকআপ জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে কারাগারে ভারতীয় জেলের মৃত্যু
বাগেরহাটে কারাগারে ভারতীয় জেলের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

২১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

১৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে
আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা