শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৯ আপডেট:

গণতন্ত্র সুশাসন ও উন্নয়নকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার কোনো উপায় নেই

--------- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
প্রিন্ট ভার্সন
গণতন্ত্র সুশাসন ও উন্নয়নকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার কোনো উপায় নেই
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। একজন অর্থনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, বর্তমানে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের অর্থনৈতিক উত্থান, সামাজিক খাতের অগ্রগতি, ব্যাংকিং খাত পরিস্থিতি ও সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- মানিক মুনতাসির

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন : স্বাধীনতার পর ৪৭ বছর কেটে গেছে। এই সময়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে এসব বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ : দেখুন সার্বিকভাবে যদি বলি তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বেশ সন্তোষজনক। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা একটা উন্নয়নের মডেল স্থাপন করেছি। কিন্তু এ পর্যন্ত আসতে আমরা অনেকটা বেশি সময় নিয়ে ফেলেছি। যদিও স্বাধীনতার পর অনেক প্রশ্ন ছিল যে, এত ছোট ভূখণ্ড অথচ বিপুলসংখ্যক মানুষ। সম্পদ নেই। স্বাধীন দেশ হিসেবে কীভাবে টিকে থাকবে। ইত্যাদি। অথচ আমরা কিন্তু পেরেছি। স্বাধীনতার পর ৪৭ বছর পার করেছি। এটা একেবারেই কম নয়। কিন্তু মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া অনেক কম সময়ে বেশি উন্নতি করেছে। এর জন্য অবশ্য কতগুলো কারণ রয়েছে। যার প্রধান কারণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশের জন্য মডেল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। আমরা জিডিপিতে ৬ বৃত্ত ভেঙে ৭-এ চলে গেছি। যেটা পৃথিবীর অনেক দেশই পারেনি। আমাদের রপ্তানি আয় ভালো। রেমিট্যান্সেও উচ্চ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। রপ্তানি পণ্য একটি হওয়া সত্ত্বেও এ খাতের প্রবৃদ্ধির উল্লম্ফন ঘটেছে। মূল্যস্ফীতিও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা দুটি মাইল স্টোনে পৌঁছেছি যার একটি হলোÑ বিশ্বব্যাংকের হিসাবে আমরা নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। আরেকটি হচ্ছে জাতিসংঘের হিসাবে আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাতারে প্রবেশ করেছি।

বা. প্র. বর্তমান সরকার টানা ১০ বছরের শাসন শেষে তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নিয়েছে। এ সময়ে দেশের অর্থনীতি অনেক দূর এগিয়েছে দারিদ্র্য কমেছে, প্রবৃদ্ধি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সাবেক গভর্নর হিসেবে আপনি সামনের দিনগুলোকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

সালেহ উদ্দিন : একটি বিমান রানওয়ে থেকে টেক অফ করার পর একটা নির্দিষ্ট সীমায় ওপরে উঠে তারপর কিন্তু নির্দিষ্ট গতিতে চলতে থাকে। এখানে রানওয়েতে আমরা অনেকটা সময় ব্যয় করেছি। এখন টেক অফ করছি। শুধু দ্রুতগতিতে চলতে থাকা দরকার। উন্নয়নের ধারাবাহিকতাটা যেন বজায় থাকে, সেটাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বাধাহীনভাবে চলতে হবে। এখন আমাদের সামনে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। সেখানে সুশাসনটাকেও মাথায় রাখতে হবে। রাজনীতিতেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু নব্বইয়ের দশক থেকে ধারাবাহিকভাবে বলা যায় নির্বাচিত সরকারগুলোর একটা ধারাবাহিকতা রয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে কারোরই এমনটি দাবি করা উচিত নয় যে, আমরাই সব করেছি। বরং এটা হচ্ছে একটা যৌথ প্রক্রিয়া। কোনো অর্জনই এক দিনে হয়নি। আমাদের এখানে একটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো জনগণ তাদের চাহিদার আলোকে কাজ করছে বলেই আমরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

 

বা. প্র. সরকার মূল্যস্ফীতির ভিত্তি বছর পরিবর্তন করেছে, খুব তাড়াতাড়ি জিডিপির ভিত্তি বছরও পরিবর্তন করতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

সালেহ উদ্দিন : মূল্যস্ফীতির ভিত্তি বছর পরিবর্তন একটা কৌশল। এটা দিয়ে শুধু একটা ধারণা দেওয়া হয়। আপনি জানেন মূল্যস্ফীতির ভিত্তি বছর পরিবর্তন না করলে এখন হয়তো সেটা ১০ বা ১১ শতাংশে থাকত। আসলে কত আছে? অন্যদিকে জিডিপির ভিত্তির পরিবর্তন করাও একটা কৌশল। যেহেতু সরকার ২ অঙ্কের জিডিপির যুগে যেতে চাচ্ছে। ফলে সেটা তো করতেই হবে। এ ছাড়া এটার জন্য নিয়ম তো একটা থাকেই যে, নির্দিষ্ট সময় পরপর ভিত্তি বছর পরিবর্তন করার।

 

বা. প্র. আমাদের বর্তমান গণতন্ত্র ও সুশাসনের ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

সালেহ উদ্দিন : দেখুন এখানে একটা কথা বলা জরুরি গণতন্ত্র, সুশাসন আর উন্নয়নকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার উপায় নেই। কেউ কেউ কোট করেন যে, আমরা তো উন্নয়ন করে ফেলেছি। দেখুন মার্শাল লর সময়ও উন্নয়ন হয়। কিন্তু তা কোনো টেকসই উন্নয়ন নয়। আর যারা উদাহরণ দেন যে, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন হয় তারা চীন, রাশিয়া, কিংবা ফিদেল কাস্ত্রোর উদাহরণ দেন। কিন্তু সেখানে বাকস্বাধীনতা ছিল। মানুষ প্রতিবাদ করতে পারত। খোদ অমর্ত্য সেন নিজেও বলেছেন এগুলো হচ্ছে ভুল উদাহরণ দিয়ে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করা। আপনি দেখুন আমেরিকার অর্থনীতি যতই হৈচৈ করুক, কোনো দোষত্রুটি করে চট করে কোনোভাবেই পার পাবে না।

 

বা. প্র. বাংলাদেশ টানা কয়েক বছর ধরে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। এমনকি আশা করা হচ্ছে ২০২৪ সালের আগে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২ অঙ্কে উন্নীত হবে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

সালেহ উদ্দিন : সরকার শুধু চলার বাধাগুলো দূর করলে এবং সব বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দিতে পারলে উন্নয়নটা কিন্তু আরও ত্বরান্বিত হবে। আর প্রবৃদ্ধির ধারা যে হারে এগোচ্ছে তাতে মনে হয় সরকারের টার্গেটকৃত সময়ের আগেই প্রবৃদ্ধি ২ অঙ্কে পৌঁছে যাবে। আর উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি কিন্তু জনগণ। সাধারণ মানুষ তাদের নিজেদের জন্য কাজ করছে যা মূলত দেশের উন্নয়নে কাজে লাগছে। তবে শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ালেই চলবে না। মানুষের জীবনমান কতটা বাড়ল, বৈষম্য কতটা কমল, সেবা পেল কিনা- সেগুলোও বিবেচ্য বিষয়।

 

বা. প্র. গত ১০ বছরে ব্যাংক খাতের অবস্থা নাজুক পর্যায়ে চলে গেছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়। খেলাপি ঋণ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া মুদ্রানীতি কতটা বাস্তবায়ন হয় বলে আপনি মনে করেন?

সালেহ উদ্দিন : দেখুন এখানে গভর্নর হোটেলে কেন গেলেন এটা আমার বোধগম্য নয়। মুদ্রানীতি তো বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব ব্যাপার। পৃথিবীর কোনো দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকই শতভাগই অটনমি ভোগ করতে পারে না। পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতেও না। কিন্তু অন্যান্য দেশে সরকার চাপ দিলেও সেন্ট্রাল ব্যাংকের পছন্দ না হলে তা অপস করে। কই আমি তো কোনো দিন অর্থমন্ত্রীকে রিসিভ করতে যাইনি। তার কাছেও যাইনি। সরকারের প্রয়োজন হলে সেন্ট্রাল ব্যাংকের কাছে আসবে। এজন্য সেন্ট্রাল ব্যাংককে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য সরকারকেও আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। সরকারের ন্যাচারই যদি হয় ইন্টারফেয়ার করবে তাহলে তো সেন্ট্রাল ব্যাংকের কাজ করাটা কঠিন।

 

বা. প্র. রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা এখন সঠিক পথে আছি কিনা? রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। একে আপনি কীভাবে দেখেন?

সালেহ উদ্দিন : রোহিঙ্গা ইস্যুটা আমাদের জন্য এক ধরনের চ্যালেঞ্জ আবার ঝুঁকিরও। এখানে দুই ধরনের চ্যালেঞ্জ আছেÑ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দিয়ে আমরাই বিপদে পড়ে গেছি। মিয়ানমার একটা দুষ্ট দেশ। তারা আমাদের মাঝে ঠেলে দিয়েছে। তারা একটা সময় ব্যবসা-বাণিজ্য এমনকি চাকরি-বাকরিতেও ডিমান্ড করবে। তারা তো বসে থাকবে না। এরা কিছু করলে আপনি তো ধরতেও পারবেন না। এদের জন্য ওই এলাকায় আমাদের পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তারা আমাদের গাছপালা কেটে ফেলছে। দীর্ঘমেয়াদে এটা আমাদের জন্য বিরাট একটা ঝুঁকি তৈরি করবে। তারা যদি কোনো অপরাধ করে আমরা তো তাদের ধরে শাস্তি দিতে গেলেও নানান ঝামেলায় পড়ব। আমরা তাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে থাকতে দিয়েছি। এখানে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি কিন্তু সেটা কোনো সমাধান নয়। কীভাবে তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফেরত পাঠানো যায়  সেদিকটায় আমাদের জোর দিতে হবে। এখানে বিশ্ববাসীকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। মিয়ানমারের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করতে হবে। এটাকে এখন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করে নেগোসিয়েশনের দিকে যেতে হবে।

 

বা. প্র. এ মুহূর্তে আমাদের অর্থনীতির মূল চ্যালেঞ্জ কী বলে আপনি মনে করেন?

সালেহ উদ্দিন : উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে তাকে ধরে রাখাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। সেইসঙ্গে সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন নিশ্চিত করা। আর এই উন্নয়নটা কিন্তু এক দিনে হয় না। ধাপে ধাপে হয়। হঠাৎ করেই  কেউ চাইলেই উন্নয়নটাকে একেবারে শীর্ষে নিয়ে যেতে পারবে না। এর জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটা চ্যালেঞ্জ। আর সমতার ভিত্তিতে উন্নয়নটাও একটা চ্যালেঞ্জ। আরেকটা বিষয় হচ্ছে সরকারি খাতের বিনিয়োগের সঙ্গে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগটাকে চাঙ্গা করাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ইকোনমিক জোনগুলো হয়ে গেলে হয়তো সেটা একটু বাড়বে বলে আশা করা যায়।

 

বা. প্র. বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রধান বাধা কী বলে মনে করেন?

সালেহ উদ্দিন : সরকার যদি ন্যূনতম কিছু নাও করে, শুধু বাধাগুলো সরিয়ে দেয়, সাধারণ মানুষ কিন্তু নিজের প্রয়োজনেই ব্যবসা-বাণিজ্যে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এখানেই সরকারের রোলটা প্রশ্নের মুখে পড়ে। এখানে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ সব ব্যবসায়ীকে সমান সুযোগ দিতে হবে যেন বাধাহীনভাবে ব্যবসা করতে পারে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের লজিস্টিক সাপোর্টগুলো দিতে হবে। আপনি দেখেন এখন কারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছে? যারা একটু চালাকচতুর তারা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকেন ফলে তারাই ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। যারা রাজনীতির কাছাকাছি থাকছে তারাই অর্থবিত্তের মালিক হচ্ছে। এখানে তথ্যপ্রাপ্তির একটা বিষয় আছে। কোন ব্যবসায় কী ধরনের লাভ-লোকসান রয়েছে এটা সবাই সমানভাবে জানতে পারে। কিন্তু অন্যান্য দেশে সেটা নেই। সেখানে সব ব্যবসায়িক তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। কোনটা করলে কী লাভ আর লোকসান হতে পারে সেটা জানতে পারে। আমাদের এখানে যাদের আমলাদের সঙ্গে কানেকশন আছে তারাই ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করছে। কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে; যা দিয়ে তারা নিজেরা ধনী বনে যাচ্ছে। এ জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

 

বা. প্র. দেশের ব্যাংক খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি বাড়ছে। এ খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বেরিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো কমিশন গঠন করা প্রয়োজন কিনা। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

সালেহ উদ্দিন : হ্যাঁ, এই যে ব্যাংক খাতে লুটপাট হয়ে গেল কিন্তু কারও কিছুই হয়নি। অন্য কোনো দেশের যদি হতো তাহলে শুধু ব্যাংকাররা নয়, পলিসি মেকাররাও শাস্তির আওতায় চলে আসতেন। আর কমিশন গঠন করে কী করবেন? সেখানে যদি সরকারের দ্বারা প্রভাবিত লোককেই বসানো হয়। তার চেয়ে বরং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা প্রয়োগের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এই দেখেন আমেরিকার অর্থনীতিতে কেউ কিছু করলে কিন্তু সহজে পার পাবে না।

পালানোর কোনো সুযোগই নেই। ভালো এবং যোগ্য লোকদের ব্যাংকের পর্ষদে পাঠাতে হবে। আর সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে।

 

বা. প্র. বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আর অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

সালেহ উদ্দিন : আমাদের আর্থিক খাতটা সুশৃঙ্খল ছিল। কিন্তু এখন সেটা নেই। বিশৃঙ্খল হয়ে গেছে। এখন আমাদের আর্থিক খাত খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এখানে ব্যাংকগুলোর দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক তো একটা রেগুলেটর সংস্থা। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব স্বকীয়তাকে শক্তভাবে প্রয়োগ করতে হবে। খেলাপি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে। আর যাকে ঋণ দিলে খেলাপি হয়ে যাবে জানার পর আবার তাকেই ঋণ দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

 

বা. প্র. কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক কি সঠিক অবস্থানে রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?

সালেহ উদ্দিন : দেখুন এভাবে বলা যাবে না। তবে সেন্ট্রাল ব্যাংকের স্বকীয়তা বজায় রাখতে হবে। আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপ কমিয়ে আনতে হবে। আর ব্যাংকগুলোকেও সচেতনতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। পলিসি যেটা নেবে সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।

 

বা. প্র. বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পর তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। অবশেষে বাংলাদেশ ব্যাংক নিউইয়র্কের কোর্টে মামলা করেছে। আরসিবিসিও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছে। এ বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

সালেহ উদ্দিন : রিজার্ভ চুরি আইটি সেক্টরের দুর্বলতার কারণে। নিশ্চয়ই এর সঙ্গে কারও না কারও যোগসাজশ ছিল। কিন্তু সেটা তো নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তবে এর জন্য সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো সরকারকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি। এ ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল ব্যাংকের উচিত ছিল ফিলিপাইনের সেন্ট্রাল ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা। প্রয়োজনে নেগোসিয়েট করা যে তোমাদের ওই ব্যাংক এই অপরাধ করেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নাও। আর না হয় তাদের ব্যাংকিং লাইসেন্স বাতিল কর। এখানে অ্যাটর্নি জেনারেল, আইনমন্ত্রী ফিলিপাইন বা নিউইয়র্কে বেড়াতে যাওয়া এসবের তো কোনো দরকার ছিল না। তাদের তো কোনো ফাংশন নেই এখানে। শুধু উভয় দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকের পারস্পরিক যোগাযোগের ভিত্তিতেই এর সমাধান সম্ভব ছিল। সেই সঙ্গে তদন্তটা যা হয়েছে সেটা প্রকাশ করা দরকার ছিল। তাহলে আর কেউ দায় এড়াতে পারত না। তবে এখন চুরি যাওয়া এই টাকাটা উদ্ধার করা অত্যন্ত কঠিন এবং কষ্টসাধ্য।

 

বা. প্র. দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দ্রুতগতিতে কমছে। অন্যদিকে ধনীর সংখ্যাও বাড়ছে। পাশাপাশি আয়বৈষম্যও বাড়ছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

সালেহ উদ্দিন : বর্তমানে অর্থনৈতিক বৈষম্যটা প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। একটা বিষয় খেয়াল করুন। সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো সন্তোষজনক বলেই এমনটা নয় যে সুশাসন রয়েছে। এবং উন্নয়নটা যে সমানভাবে হচ্ছে সেটাও প্রমাণ করা যাবে। এজন্য প্রয়োজন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সুশাসন আর সমতাভিত্তিক উন্নয়ন। তবে হ্যাঁ, কেউ কেউ হয়তো আর্গুমেন্ট করতে পারে যে, এখন তো গ্রামেও বিউটি পারলার রয়েছে, জিম রয়েছে, গ্রামের মানুষও আঙ্গুর কিনে খাচ্ছে কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে সবাই ধনী হয়ে গেছে। অর্থনীতিতে একটা কথা রয়েছেÑ সাপ্লাই ক্রিয়েট ডিমান্ড। সরবরাহ থাকলে চাহিদা সৃষ্টি হবেই। কিন্তু সেটা তো উন্নয়নের নির্দেশক হতে পারে না।

আপনি দেখুন ২০ বছর আগে যাদের হাতে কিছুই ছিল না তারা এখন কত টাকার মালিক। কিন্তু তারা কীভাবে ধনী হলো। সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। সবচেয়ে বেশি বৈষম্য হয়েছে সম্পদের বৈষম্য। মাত্র কয়েক হাজার মানুষের কাছে পুরো দেশের সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে রয়েছে। ফলে সঠিক, সমতাভিত্তিক উন্নয়ন করতে হলে এসব জায়গায় নক করতে হবে। আমাদের আয় বাড়ছে, প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এসব ক্ষেত্রেও কিন্তু শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। আবার এসব সূচকেরও দরকার রয়েছে। কেননা এসব সূচক না থাকলেও তো আমরা কিছুই বুঝব না।

 

বা. প্র. আমাদের সামাজিক সূচকের উন্নয়নটাকে আপনি কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?

সালেহ উদ্দিন : আমাদের সামাজিক সূচকের উন্নতি তো কিছুটা হয়েছেই। কিন্তু এটার গুণগতমান খুবই খারাপ। আমাদের ভোগবাদী আয় বাড়ছে। কিন্তু সমতার ভিত্তিতে শিক্ষার হার ও গুণগতমান বাড়ছে না। বলা হয় আমরা ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান বা আফগানিস্তানের চেয়ে এই সূচকে এগিয়ে রয়েছি। কিন্তু এসব দেশের সঙ্গে তুলনা করে লাভ নেই। পাকিস্তান বা আফগানিস্তান তো ভিন্ন প্রকৃতির দেশ। সেখানে প্রতিনিয়তই যুদ্ধ হয়। আর ভারত তো একটা বিস্তৃত দেশ। আপনি তুলনা করবেন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে। সামাজিক সূচকে তারা আমাদের তুলনায় অনেক ওপরে। বড় কথা হলো যেসব সেবা আমরা দিয়ে থাকি সেগুলোর গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন তো তোলাই যায়। ফলে গুণগত মানসম্পন্ন কোনো সেবা দিতে হলে টেকসই উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে।

 

বা. প্র. সামনে নতুন বাজেট আসছে সেটা কেমন হওয়া দরকার বলে আপনি মনে করেন?

সালেহ উদ্দিন : শুধু উন্নয়ন বললে হবে না। বড় বড় অবকাঠামো হচ্ছে। রাস্তাঘাট হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো কোনটা কতটুকু টেকসই সেদিকে নজর দিতে হবে। এখন আমাদের টেকসই উন্নয়নের জন্য অর্থবহ বাজেট দিতে হবে। এজন্য আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। গুণগত শিক্ষার প্রচণ্ড অভাব। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমাদের বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। আমরা জিডিপির মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ দিই শিক্ষা খাতে। কিন্তু কোরিয়া দেয় জিডিপির ১২ শতাংশ। থাইল্যান্ড ১২ থেকে ১৪ শতাংশ। আমরা ভর্তুকি দিই বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণে। কিন্তু সেসব ভর্তুকির অর্থ কাদের পকেটে যাচ্ছে তা আমরা জানি। ফলে সামাজিক নিরাপত্তা বাড়াতে হলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য একটা পাবলিক গুড। এটা চলে গেছে বেসরকারি খাতের হাতে। ফলে সরকারি হাসপাতালের সেবার মান বাড়াতে হবে। খালি ভিটামিন এ ক্যাপসুল আর ইনজেকশন সরবরাহ করলেই স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন হয়ে যায় না। বাজেটকে করতে হবে জনবান্ধব ও আরও অর্থবহ।

 

বা. প্র. দেশ থেকে প্রতি বছরই টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এটা কীভাবে রোধ করা যায়?

সালেহ উদ্দিন : এটা একটা উদ্বেগজনক ব্যাপার। যে দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না অথচ দেশের বাইরে পুঁজি পাচার হয়ে যাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এর মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের আড়ালে আন্ডার কিংবা ওভার ইনভয়েস করে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটে থাকে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি কাস্টমসের নজরদারি বাড়ানো খুব জরুরি।

 

বা. প্র. দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে বলে মনে করেন?

সালেহ উদ্দিন : দেখুন এগুলো তো একেকটা সূচক তাই না। সব মানুষের আয় তো আর ১৮০০ বা ১৯০০ ডলার নয়। ওই যে বললাম কিছুসংখ্যক মানুষের হাতে সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে রয়েছে। সেটার জন্য বিপুলসংখ্যক মানুষের আয় কিন্তু সীমিত। আর ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার বিষয়টা আপেক্ষিক। মানুষকে তো বাঁচতে হবে। মানুষ যখন জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজন মেটায় তখন কোনো না কোনোভাবে নিজের সারভাইভ করতে চায়। এতে ধার কিংবা ঋণ করে হলেও তাকে বাঁচতে হয়। ফলে সব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু কতটা বেড়েছে সেটা দেখতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ
সেই পিয়ন জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা