ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৫ এপ্রিল। গত বছরের ৬ এপ্রিল ইবি শাখা ছাত্রলীগের ৮ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ এপ্রিল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়ে ২ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এক বছরের জন্য এ কমিটি ঘোষণা করে তারা। কমিটির মেয়াদ একবছর পূর্ণ হলেও সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কোন নেতা নেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের। পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই মেয়াদ শেষ হওয়ায় ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা। আবার পদ পদবী না পেয়ে সংগঠনটির সিনিয়র নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তবে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বারবার আশ্বাস দিয়েও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করছেন না বলে জানিয়েছে তারা।
ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, ‘কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। যাচাই বাছায়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব বলে আশা করছি।’
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৮ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি এম সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে কমিটির বিষয়ে সমঝোতা না হওয়ায় কমিটি ঘোষণা না সম্মেলন শেষ করে চলে যান। এরপর ১৫ এপ্রিল বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিনুর রহমান শাহিনকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী জুয়েল রানা হালিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ২ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
পরে কেন্দ্রীয় সংসদের এক নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে ওই বছরের ২৫ জুলাই এর মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশ দেয়া হয়। তবে সেই কেন্দ্রীয় সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা একবারের জন্যও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ও কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী এক বছর পূর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
এদিকে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম সংক্ষুদ্ধ ও হতাশা বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘গঠনতন্ত্র মানছে না ইবি ছাত্রলীগ। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা সেটা অবগত হয়েও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় পরে এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দেওয়ায় আমরা আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগছি। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় ত্যাগী নেতারাও ক্যাম্পাস বিমুখ হয়ে চলে যাচ্ছে।’
বিগত কমটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘যেকোন সংগঠনের মূল চালিকা শক্তি হল নেতা কর্মীরা। এক বছর পরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি এটা খুবই দুঃখজনক। দল চাঙ্গা রাখার জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি জরুরি। আমি আশা করি নেতারা দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি দিবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্ররীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কার্যক্রম শেষের দিকে। আশা করছি খুব শিঘ্রই কমিটি প্রকাশ করা হবে।’
এবিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সাথে যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা ব্যস্ত আছেন বলে জানান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার